Home Blog Page 3

বার্সাতে থাকার ব্যাপারে এখানো আত্মবিশ্বাসী জাভি

0

বার্সেলোনা কোচ জাভি হার্নান্দেজ জানিয়েছেন তিনি এখনো ক্লাব সভাপতি হুয়ান লাপোর্তার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী। যদিও বিভিন্ন গণমাধ্যমের রিপোর্টের সূত্র ধরে জানা গেছে মৌসুম শেষে জাভিকে বার্সেলোনা থেকে বিদায় নিতে হচ্ছে।

শুক্রবার স্প্যানিশ গণমাধ্যম বেশ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গেই তাদের রিপোর্টে জানিয়েছে আগামী কিছুদিনের মধ্যেই জাভিকে ছাঁটাই করতে যাচ্ছে কাতালান জায়ান্টরা। কিন্তু জাভি জানিয়েছেন এ বিষয়ে বার্সেলোনা তাকে শান্ত থাকতে বলেছে।

৪৪ বছর বয়সী জাভি এর আগে জানুয়ারিতে মৌসুম শেষে ক্লাব ছাড়ার ঘোষনা দিয়েছিলেন। কিন্তু দলের পারফরমেন্স উন্নতি হওয়ায় তিনি আবারও বার্সেলোনায় থাকার বিষয়ে নিজের সিদ্ধান্তের নাটকীয় পরিবর্তন করেন।

এদিকে সপ্তাহের শুরুতে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদের তুলনায় বার্সেলোনার আর্থিক পরিস্থিতি খুব একটা সুবিধাজনক অবস্থানে নেই, জাভির এই মন্তব্যের বিপরীতে লাপোর্তা বেশ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে জাভি বলেছেন, ‘কোনো রিপোর্ট নিয়ে আমি আগ্রহী নই। ক্লাব আমাকে শান্ত ও আত্মবিশ^াসী থাকতে সাহস যুগিয়ে যাচ্ছে। আমার কাছে কোন কিছুই এখনো পরিবর্তিত হয়নি। আমরা সভাপতির সাথে পুরো বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। সেখানে কোন কিছু হয়ে থাকলে সবাই জানতো। কিন্তু কার্যত তিন সপ্তাহ আগে যেমন ছিল সবকিছুই এখনো তেমনই আছে।’

এ বছরই জাভির সঙ্গে বার্সেলোনার চুক্তি শেষ হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু গত মাসে লাপোর্তা ও জাভি উভয়ই ঘোষনা দিয়েছেন ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত কোচ হিসেবেই তিনিই থাকছেন। গত মৌসুমের লা লিগা চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনা এবার কোন শিরোপা জিততে পারেনি।

অথচ চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদ লা লিগা শিরোপা জয়ের পাশাপাশি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে পৌঁছে গেছে, পিএসজি তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পেকে দলে ভেড়ানোর দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। ইউরোপের শীর্ষ দলগুলোর বিপক্ষে বার্সেলোনার লড়াই করার সামর্থ্য কতটুকু আছে এ প্রসঙ্গে জাভি বলেছেন, এখনো তিনি মনে করেন আগামী মৌসুমে শক্তিশালী দল হিসেবেই কাতালান জায়ান্টরা আবির্ভূত হবে। জাভি বলেন, ‘অবশ্যই আমরা শক্তিশালী হিসেবেই ফিরে আসবো, এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। খেলোয়াড়দের উপর আমার সেই আস্থা আছে। আমাদের আশা ও আকাঙ্খা এখনো অটুট আছে।’

সফলতার সঙ্গে আমরা ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হয়েছি : মেয়র তাপস

0

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) সক্ষম হয়েছে বলে আবারও দাবি করেছেন মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।

আজ রোববার (১৯ মে) ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নগর ভবনে এক সংবাদ সম্মেলন এ তথ্য জানান তিনি। শেখ তাপসের দায়িত্বভার গ্রহণের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ডিএসসিসি।

লিখিত বক্তব্যে শেখ তাপস বলেন, গত বছরের জানুয়ারি থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় ৯ হাজার ৭৬৪ জন ডেঙ্গু রোগী পেয়েছি। তখন সারাদেশে রোগী ছিল ২ লাখ ৭১ হাজার ১৭৫ জন। যা মোট রোগীর মাত্র ৩ দশমিক ৬০ শতাংশ। ফলে সফলতার সঙ্গে আমরা ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছি।

শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, বৈশ্বিক করোনা মহামারির সময়ে আমি দায়িত্বভার গ্রহণ করি। করোনার মাঝেই ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের অগ্রযাত্রা নিশ্চিত করতে প্রায় সব খাতেই আমরা আমূল পরিবর্তন আনতে সচেষ্ট হই। একটি উন্নত, বাসযোগ্য ঢাকা বিনির্মাণে বিগত চার বছরে সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন খাতে বিদ্যমান অনিয়ম-দুর্নীতি দূর করে সুশাসন নিশ্চিত, বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আমূল পরিবর্তন সাধন, আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেলসহ মাণ্ডা, শ্যামপুর, জিরানি ও কালুনগর খাল পুনরুদ্ধার ও নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টিতে উদ্যোগ গ্রহণ, বছরব্যাপী সমন্বিত মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন, ঢাকার সচলতা আনয়নে বহুমাত্রিক উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন, দশকের পর দশক ধরে চলা দখল সাম্রাজ্যের অবসান ঘটানো, প্রতিটি ওয়ার্ডে খেলার মাঠ-উদ্যান- কাঁচাবাজার, গণশৌচাগার প্রতিষ্ঠা, জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ও বাস্তবভিত্তিক কার্যক্রম বাস্তবায়ন এবং সর্বোপরি ঢাকার ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও ফিরিয়ে আনার মাধ্যমে ঢাকাকে বিশ্বের বুকে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করতে নানাবিধ কর্মকাণ্ড পরিচালন ও বাস্তবায়ন করা হয়েছে এবং তা অব্যাহতভাবে চলমান রয়েছে।

তিনি বলেন, দায়িত্বভার গ্রহণের প্রথম দিন হতেই কর্পোরেশনের সব স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গাফিলতি, অনিয়ম, দুর্নীতি দূর করার মাধ্যমে সুশাসন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আমি শূন্য সহনশীলতা নীতি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে চলেছি। প্রশাসনিক সংস্কারের আওতায় এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। দায়িত্ব পালনে অবহেলা, গাফিলতি ও দুর্নীতির দায়ে বিগত ৪ বছরে বিভিন্ন স্তরের ৩৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। একইসঙ্গে কর্পোরেশনের প্রাত্যহিক কার্যক্রম সম্পাদনে জনবলের যে তীব্র সংকট ছিল তা উত্তরণে বিগত ৪ বছরে ভারী গাড়ির ১৪৩ জন চালক, ৬৬ জন উপ-সহকারী প্রকৌশলী, ৭৭ জন হিসাব সহকারী, ২৭ জন রেভিনিউ সুপারভাইজার, ৩১ জন পরিচ্ছন্ন পরিদর্শক, ২০ জন স্প্রেম্যান সুপারভাইজারসহ বিভিন্ন বিভাগে সর্বমোট ৮৭৯ জন জনবল নিয়োগ দেওয়া হয়েছে এবং ২১৭ জনের নিয়োগ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

মেয়র বলেন, কয়েকটি ব্যতিক্রম বাদে বিগত তিন দশকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীকে পদোন্নতি দেওয়া হয়নি। অতিরিক্ত দায়িত্ব, চলতি দায়িত্ব দিয়ে কর্পোরেশনের প্রাত্যহিক কার্যক্রম পরিচালনা করা হতো। এমন অনেকেই আছেন, যারা চাকরিতে যে পদে যোগদান করেছিলেন সে পদ হতেই পোস্ট রিটারমেন্ট লিভে (পিআরএল) গিয়েছেন। আমরা যোগ্যতার যথাযথ মূল্যায়ন করতে চাই। সেজন্য এই পদোন্নতি জট খুলে বিগত ৪ বছরে আমরা ১৫৭ জন যোগ্য প্রার্থীকে পদোন্নতি দিয়েছি।ফলে যেমনি সুশাসন নিশ্চিত করা হয়েছে তেমনি মাঠপর্যায়সহ কর্পোরেশনের সব স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে কর্মোদ্যম সঞ্চারিত হয়েছে। যার ফলে দুর্নীতি কমেছে এবং রাজস্ব আয় বেড়েছে।

শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, মেয়র নির্বাচনের আগে আমি ঢাকাবাসীর ওপর কোনো রকমের করের বোঝা না চাপিয়ে সুশাসন প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার করেছিলাম। সেই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বিগত চার বছরে আমরা কোনো খাতে কোনো কর বৃদ্ধি করিনি। বরং এসময়ে ২৫টি নতুন খাত সৃষ্টি করা হয়েছে এবং ১৪টি নতুন খাত হতে আমরা রাজস্ব আদায় শুরু করেছি। ফলে করোনা মহামারির মতো বৈশ্বিক সংকটের মাঝেও রাজস্ব আদায়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ইতিহাস সৃষ্টি করে চলেছে, যা অদ্যাবধি অগ্রসরমান। ২০১৯-২০ অর্থবছরে কর্পোরেশনের রাজস্ব আদায় ছিল মাত্র ৫১৩.৯৬ কোটি টাকা, যা ২০২০-২১, ২০২১-২২ ও ২০২২-২৩ অর্থবছরে যথাক্রমে ৭০৩.৩১ কোটি, ৮৭৯.৬৫ কোটি ও ১০৩১.৯৭ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের এপ্রিল মাস পর্যন্ত যে রাজস্ব আদায় হয়েছে তা আগের অর্থবছরের তুলনায় ৫৪ কোটি টাকা বেশি। ফলে চলমান অর্থবছরে আমরা পূর্বেকার মাইলফলক অতিক্রম করতে পারব বলে আশাবাদী।

তিনি বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি একসময় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতাদি ও তাদের জিআইএফ-সিপিএফের লভ্যাংশ, ঠিকাদারদের বকেয়া, ডিপিডিসি-ওয়াসা-তিতাস গ্যাসসহ সেবা সংস্থাগুলোর বকেয়া পাওনা দীর্ঘদিন পরিশোধ করতে পারেনি। সুশাসন নিশ্চিত করার মাধ্যমে সবার সহযোগিতায় এবং আমাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্তরিক ও দায়িত্বশীল ভূমিকার ফলে আমরা আগের প্রায় সব বকেয়াসহ প্রাত্যহিক পাওনা পরিশোধ করেছি। একইসঙ্গে কর্পোরেশনের প্রায় সব গাড়ির নিবন্ধন করেছি। দীর্ঘ ৫০ বছরের ভূমি উন্নয়ন করসহ অন্যান্য পুঞ্জীভূত বকেয়া পাওনাদিও আমরা পরিশোধ করেছি।

মেয়র বলেন, সামষ্টিকভাবে বলতে পারি, দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের অটল, অদম্য ও অনমনীয় কর্মোদ্যোগের ফলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে সুশাসন নিশ্চিত হয়েছে। পাশাপাশি ঢাকাবাসীর আস্থা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে, যে সংস্থা একসময় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন দিতে হিমশিম খেতো সে সংস্থা আজ স্বয়ংসম্পূর্ণ, আত্মনির্ভরশীল ও মর্যাদাপূর্ণ একটি প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত হয়েছে।

মেট্রোরেলে ভ্যাট বসানো এনবিআরের ভুল সিদ্ধান্ত : সেতুমন্ত্রী

0

মেট্রোরেলের ওপর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ১৫ শতাংশ ভ্যাট বসানোর ঘোষণায় মেট্রোরেলের সুনাম নষ্ট হয় বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, এনবিআরের সিদ্ধান্ত ভুল।

আজ রোববার (১৯ মে) রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) আয়োজিত ঢাকা মেট্রোরেলের ব্রান্ডিং সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

সেতুমন্ত্রী বলেন, আমাদের এনবিআর জনপ্রিয় পরিবহন মেট্রোরেলে হঠাৎ করে ১৫ শতাংশ ভ্যাটের ঘোষণা দিলো। বিষয়টি আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছি। এনবিআরের এ সিদ্ধান্ত ভুল। এটি হয় না। এতে করে মেট্রোরেলের সুনাম নষ্ট হয়। প্রধানমন্ত্রী এটি পুনর্বিবেচনার বিষয় আশ্বাস দিয়েছেন।

তিনি বলেন, এই ঢাকা সিটি, যেটি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নে অর্জনে বিশ্বের বিস্ময়। বাংলাদেশের রাজধানী এখন ইকোনমিস্টের পর্যবেক্ষণে মোস্ট আন বিলিভ্যাবল সিটি অব দ্য ওয়ার্ল্ড।

বহির্বিশ্বের পরিবহনের সঙ্গে তুলনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, এই শহরে যে বাসগুলো চলে, এখানে এত গরিব বাস। টিভিতে দেখি আফ্রিকান ছোট ছোট গাড়ি চলে, সেগুলো দেখতে অনেক সুন্দর। অথচ এই শহরের বাসগুলো জরাজীর্ণ।

সেতুমন্ত্রী বলেন, এই জরাজীর্ণ বাস নিয়ে আমরা মিটিং করে বিআরটিএর সঙ্গে কথা বলেও সমাধান করতে পারিনি। ঢাকার সঙ্গে এসব যায় না। আজ আমাদের বুড়িগঙ্গা শেষ, কর্ণফুলীও শেষ।

তিনি বলেন, আমাদের মেট্রোরেল অনেক সুন্দর, শব্দদূষণ নেই। অথচ পিলারগুলো পোস্টার দিয়ে ভরা। অপরিচ্ছন্ন নোংরা। মেট্রোরেল আমাদের সম্পদ। ২০৩০ সালে আমাদের টার্গেট ছিল ৬টি এমআরটি লাইনের যে কাজ শেষ হবে। ১ ও ৫ এর গ্রাউন্ড ম্যাপিং হয়ে গেছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ব্রেইনে আজ মেট্রোরেল, এলিভ্যাটেড এক্সপ্রেস। এই বাংলাদেশ নিয়ে তার যে বহুমুখী পরিকল্পনা। এই ঢাকা তার অবিচ্ছেদ্য অংশ।

তিনি মেয়রের উদ্দেশে বলেন, আমাকে সহযোগিতা করুন। যে বাসগুলো চলে, ভীষণ খারাপ লাগে। এত আধুনিক মেট্রোরেল থেকে নেমে যখন গরিব, জীর্ণশীর্ণ বাস দেখতে কেমন লাগে। আমাদের মালিকরা কি লজ্জা পায় না। তারা কি বিদেশে যান না, দেখেন না।

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিনুল্লাহ নূরীর সভাপতিত্বে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রেজওয়ান আহমেদ তৌফিক, ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক, জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি, জাইকা বাংলাদেশে প্রতিনিধি ইচিগুচি তোমোহোদি।

ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রীর পদত্যাগের হুমকি

0

ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার সদস্য বেনি গ্যান্টজ পদত্যাগের হুমকি দিয়েছেন। বেনি গ্যান্টজ শনিবার নেতানিয়াহুকে নির্দেশিত এক টেলিভিশন ভাষণে বলেছেন, গাজা নিয়ে যুদ্ধপরবর্তী পরিকল্পনা প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু অনুমোদন না দিলে তিনি পদত্যাগ করবেন। তিনি এ জন্য আগামী ৮ জুন সময় বেঁধে দিয়েছেন।

বেনি গ্যান্টজ ইসরায়েলি মন্ত্রিসভার প্রতি যুদ্ধ শেষে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকাকে শাসনের জন্য ছয়দফা পরিকল্পনায় সম্মতি দেয়ারও আহ্বান জানান।

বেনি গ্যান্টজ তার ছয় দফায় হামাসের পতন, ইসরায়েলি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, ফিলিস্তিনী ভূখন্ডের ওপর নিয়ন্ত্রণ এবং ইসরায়েলি জিম্মিদের ফিরিয়ে দেয়াকে অন্তর্ভূক্ত করেন।

তিনি বলেন, ইসরায়েলি নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখার পাশাপাশি আমেরিকান, ইউরোপীয়ান, আরব ও ফিলিস্তিনীদের নিয়ে একটি প্রশাসন গঠন করতে হবে যারা গাজা উপত্যকার বেসামরিক বিষয়গুলো দেখবে এবং ভবিষ্যতের বিকল্প ভিত্তি তৈরি করতে হবে যেখানে হামাস কিংবা মাহমুদ আব্বাস থাকবে না।

ইসরায়েলের সাবেক এই প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, যদি তাঁর চাওয়া পূরণ করা না হয়, তাহলে তিনি গত বছর গাজা যুদ্ধের তদারকির জন্য গঠন করা যুদ্ধকালীন জরুরি ঐক্যের সরকার থেকে নিজের মধ্যপন্থী দলের সমর্থন তুলে নেবেন।

উল্লেখ্য, বেনি গ্যান্টজ প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর অন্যতম রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ। এমনকি তিনি গত বছর যুদ্ধকালীন সরকারে অংশ নেওয়ার আগে দেশটিতে অন্যতম প্রধান বিরোধী নেতা হিসেবেও পরিচিত ছিলেন।

বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, গ্যান্টজের এই সময় বেঁধে দেওয়া ইসরায়েল সরকারের মধ্যকার ফাটল আরও গভীর কর তুলেছে। নেতানিয়াহু সরকারের ওপর ক্রমশ চাপ আরও বাড়বে বলেই তারা মনে করছেন।

গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলের অব্যাহত হামলায় এ পর্যন্ত অন্তত ৩৫ হাজার ৩৮৬ জন নিহত হয়েছে।

‘প্রধানমন্ত্রী চান বাংলাদেশের সয মানুষ এক ছাতার নিচে বাস করবে’

0

পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এ জাতিকে একটি স্মার্ট দেশ উপহার দিতে নিরন্তর কাজ করে চলেছেন। প্রধানমন্ত্রী চান বাংলাদেশের সব জাতি, গোষ্ঠী, সম্প্রদায় এক ছাতার নিচে বসবাস করবে।

গতকাল খাগড়াছড়ি স্টেডিয়ামে ঐতিহ্যবাহী বলিখেলা উদ্বোধন অনুষ্ঠান ও বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, মানুষ যাতে খারাপ কাজে লিপ্ত না হয়, ছাত্রছাত্রীরা যেন স্কুলমুখী ও কলেজমুখী হয়, সে জন্য সরকার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে খেলাধুলার পরিবেশ করে দিয়েছে। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে স্পোর্টস, ক্রিকেট, ফুটবল, ভলিবল, দাবা, মার্শাল আর্ট, বলিখেলা নিয়মিতভাবে পরিচালিত হচ্ছে। স্কুল, কলেজ পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীরা পড়াশুনার পাশাপাশি খেলাধুলা ও বিভিন্ন শারীরিক কসরৎ করে তাদের শরীর ও মনকে সুস্থ রাখছে। আর এর সবকিছুই সম্ভব হচ্ছে বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের আস্থার প্রতীক প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কল্যাণে।

প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রতিভাবান অস্বচ্ছল খেলোয়াড়দের কল্যাণের জন্য সহানুভূতির হাত বাড়িয়ে রেখেছেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বলি খেলা চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়। এ খেলায় বিজয়ী হতে হলে একজন খেলোয়াড়ের শরীরের শক্তি ও কৌশলের প্রয়োজন হয়। জনপ্রিয় এ খেলা দেখতে মাঠে হাজার হাজার মানুষ ভিড় করে।

খাগড়াছড়ির ঐতিহ্যবাহী বলিখেলায় অংশ নেওয়া খেলোয়াড়দের মধ্যে যৌথভাবে চ্যাম্পিয়ন হন তিনজন। বলি খেলায় দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ৩৬ জন খেলোয়াড় অংশগ্রহণ করে। বলি খেলা দেখতে খাগড়াছড়ি স্টেডিয়ামে হাজার মানুষের ঢল নামে। রবিন লীগ পদ্ধতিতে এ খেলা অনুষ্ঠিত হয়। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ফাইনাল খেলায় কেউ কাউকে হারাতে না পারায় কুমিল্লার শাহজালাল বলি ও খাগড়াছড়ির সুমন বলি এবং সৃজন বলিকে যৌথভাবে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয়।

খেলা শেষে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা চ্যাম্পিয়ন এবং রানার্সআপসহ গ্রুপ পর্বের বিজয়ীদের মধ্যে ট্রফি ও মেডেল বিতরণ করেন।

পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর খাগড়াছড়ির রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ মো.আমান হাসান, খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. শহিদুজ্জামান, খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মুক্তা ধর উপস্থিত ছিলেন

রাফা ছেড়েছে ৮ লাখ ফিলিস্তিনি : জাতিসংঘ

0

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার রাফা শহর থেকে প্রায় ৮ লাখ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। গত সপ্তাহে দক্ষিণ গাজার এই শহরে ইসরায়েল হামলা শুরু করলে প্রাণ বাঁচাতে তারা অন্যত্র সরে যান। শনিবার (১৮ মে) জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ-এর প্রধান ফিলিপ লাজারিনি এই তথ্য জানিয়েছেন। এ সময় ফিলিস্তিনিদের বারবার বাস্তুচ্যুতির নিন্দাও করেছেন তিনি। খবর আলজাজিরার।

লাজারিনি বলেন, গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ফিলিস্তিনিরা নিরাপত্তার সন্ধানে বহুবার পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। তবে তারা কখনো নিরাপত্তা খুঁজে পায়নি। এমনকি ইউএনআরডব্লিউএিএর আশ্রয়কেন্দ্রে পর্যন্ত সেটা মেলেনি।

তিনি বলেন, যখন মানুষ এক জায়গা থেকে অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হয়, তখন তারা নিরাপদ পথ বা সুরক্ষা ছাড়া অরক্ষিত হয়ে পড়ে। প্রতিবার তারা তাদের কিছু জিনিসপত্র ফেলে যেতে বাধ্য হয়। যেমন মাদুর, তাঁবু, রান্নার জিনিসপত্র। এসব তারা নিজেদের সঙ্গে নিয়ে যেতে পারে না কিংবা নিয়ে যাওয়ার মতো টাকা দিতে পারে না।

রাফা গাজার সর্বদক্ষিণের শহর। এই শহরে ইসরায়েলি হামলা থেকে বাঁচতে ১৫ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি আশ্রয়গ্রহণ করেছিলেন। তবে গত সপ্তাহে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী তাদের রাফা ছাড়ার নির্দেশ দিলে জীবন বাঁচাতে এসব মানুষ এখন অন্যত্র সরে যাচ্ছেন।

সাত মাস ধরে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে ইসরায়েল। তাদের ভাষ্য, রাফায় হাজার হাজার হামাস যোদ্ধা আশ্রয় গ্রহণ করেছেন। এসব হামাস যোদ্ধাকে নির্মূল করা ব্যতীত এই যুদ্ধে ইসরায়েলের জয়লাভ সম্ভব নয়। ইতিমধ্যে রাফায় বিপুল সংখ্যক সেনা ও ট্যাংক জড়ো করেছে ইসরায়েল। মিসরের সঙ্গে গাজার প্রধান সীমান্ত পথটিও দখল করে নিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতদিন এই সীমান্তপথ দিয়ে গাজাবাসীর জন্য জরুরি জীবন রক্ষাকারী ত্রাণ সহায়তা প্রবেশ করতো। তবে তা এখন বন্ধ রয়েছে।

তবে ইসরায়েল রাফায় স্থল অভিযান চালালে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করছে সারা বিশ্ব। এমনকি এখন পর্যন্ত রাফা অভিযানে সায় দেয়নি ইসরায়েলের প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। তবে তাদের উদ্বেগ উপেক্ষা করে রাফা পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে নেতানিয়াহুর উগ্র ডানপন্থী সরকার।

রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ২০

0

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে ২০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

রোববার (১৯ মে) ডিএমপির বিভিন্ন অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ডিএমপি সূত্রে জানা গেছে, ডিএমপির নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে শনিবার (১৮ মে) সকাল ৬টা থেকে রোববার সকাল ৬টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্য উদ্ধারসহ তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ডিএমপি জানায়, গ্রেপ্তারের সময় তাদের হেফাজত থেকে ৩৭৩ পিস ইয়াবা, ২ গ্রাম হেরোইন ও ১২ কেজি ৩০ গ্রাম গাঁজা জব্দ করা হয়েছে।

গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ১৪টি মামলা রুজু হয়েছে।

ফিরলেন মেসি, শেষ মুহূর্তের গোলে মিয়ামির জয়

0

মন্ট্রিলের বিপক্ষে ম্যাচে হাঁটুতে চোট পাওয়ায় অরল্যান্ড সিটির বিপক্ষে বিশ্রামে ছিলেন লিওনেল মেসি। দলের প্রধান তারকা না থাকায় ম্যাচটি জিততে পারেনি মিয়ামি। এতে টানা পাঁচ ম্যাচের জয়রথ থেমে যায় মিয়ামির।

এক ম্যাচ পর আজ মাঠে ফেরেন আর্জেন্টাইন বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক। তার ফেরার দিনে কষ্ট হলেও শেষ মুহূর্তে জয় পেয়েছে মিয়ামি।

বাংলাদেশ সময় রোববার ভোরে ফ্লোরিডার চেজ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হওয়া ম্যাচটিতে শেষ মুহূর্তে ডিসি ইউনাইটেডকে ১-০ ব্যবধানে হারায় মেসির মিয়ামি। দলের হয়ে গোলটি করেছেন বদলি হিসেবে মাঠে নামা লিওনার্দো কাম্পানা। ম্যাচের যোগকরা সময়ে ৯৪ মিনিটে গোলটি করেন তিনি।

মেসিকে পেয়ে আত্মবিশ্বাসী মায়ামি ম্যাচের শুরু থেকেই বলের দখলে আধিপত্য দেখায়। তবে আক্রমণে খুব একটা দাপট দেখাতে পারছিল না দলটি।

অষ্টম মিনিটে প্রথমবার লক্ষ্যে আঘাত হাতে মায়ামি। লুইস সুয়ারেজের পাস থেকে গোলের সামনেই বল পেয়েছিলেন বেঞ্জামিন ক্রেমাসি। তবে তার দুর্বল শট সহজেই ফিরিয়ে দেন প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক।

মায়ামির দাপটের মধ্যে ভয়ে চুপসে যায়নি ডিসি ইউনাইটেড। রক্ষণ সামলে আক্রমণে ওঠার চেষ্টা করেছে তারাও। ১৯ মিনিটে প্রথমবার গোলে শট নেয় তারা। তবে পেনাল্টি বক্সের ওনেক বাইরে থেকে নেয়া পেদ্রো সান্তোসের সেই শট সহজেই ফিরিয়ে দেন মায়ামির গোলরক্ষক।

৪৩ মিনিতে সহজ মিস করেন ক্রেমাসি। জর্ডি আলবার বাড়ানো দুর্দান্ত বল বক্সের মধ্যে ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণে নিয়েও জালে পাঠাতে পারেননি তিনি। সামনে থাকা একমাত্র গোলরক্ষকের গায়ে বল মারেন তিনি। গোল ছাড়াই শেষ হয় প্রথমার্ধের খেলা।

দ্বিতীয়ার্ধ্বেও খেলতে নেমে দুই দল পাল্টাপাল্টি আক্রমণ করতে থাকে। কিন্তু এই অর্ধেও কেউ গোলের দেখা পায়নি। অবশেষে ৯৪ তম মিনিটে ম্যাচের যোগকরা সময়ে মিয়ামির হয়ে একমাত্র গোলটি করেন বদলি হিসেবে মাঠে নামা লিওনার্দো কাম্পানা। শেষ মুহূর্তের রুদ্ধশ্বাস জয়ে হাসিমুখে মাঠ ছাড়েন মেসিরা।

গাজাজুড়ে জোরদার ইসরায়েলি হামলা, নিহত আরও ৬৪

0

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকাজুড়ে হামলা জোরদার করেছে দখলদার ইসরায়েল। এতে একদিনে আরও ৬৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও বহু মানুষ। খবর আল জাজিরার।

শনিবারের হামলায় ৬৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে উত্তর গাজার কামাল আদওয়ান হাসপাতালের কাছে একটি আবাসিক ভবনে হামলায় ২৮ জন নিহত হয়েছেন। আরও হয়েছেন কয়েক ডজন মানুষ। উত্তর গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের একটি আশ্রয়কেন্দ্রের গেটে জড়ো হওয়া ফিলিস্তিনিদের একটি দলকে লক্ষ্য করে গোলাবর্ষণে ১২ জন নিহত এবং ২৫ জন আহত হয়েছেন।

জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের পশ্চিমে ফালুজাতে পানির জন্য সারিবদ্ধ একদল লোকের ওপর কামানের হামলায় আটজন নিহত এবং ১০ জন আহত হয়েছেন। মধ্যগাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে হামলায় অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছেন। দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস শহরের একটি বাড়িতে হামলায় চারজন নিহত হয়েছেন। খান ইউনিসের পূর্বে আবসান আল-কাবিরা শহরের আল-ফারহিন এলাকায় হামলায় অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন।

দক্ষিণ গাজার মধ্য রাফাহ শহরের বাড়িতে অভিযানে তিনজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া উত্তর-পশ্চিম রাফাহতে একটি গাড়িতে ড্রোন হামলায় একজন নিহত হয়েছেন।

গত বছরের অক্টোবর মাসের ৭ তারিখে ইসরায়েলে এই দশকের সবচেয়ে বড় হামলা চালায় হামাস। এর পরপরই গাজায় বিমান হামলা ও স্থল হামলা শুরু করে ইসরায়েল।

আট মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা আগ্রাসনে এ পর্যন্ত ৩৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। আহত ৭৯ হাজার ছাড়িয়েছে। এ গণহত্যা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা।

জাতিসংঘ সতর্ক করে বলেছে, গাজার ২২ লাখ অধিবাসী দুর্ভিক্ষের ভয়াবহ ঝুঁকিতে রয়েছে। দ্রুত ত্রাণ পৌঁছাতে না পারলে বিশ্বকে জবাবদিহি করতে হবে।

পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে এভারেস্ট জয় করলেন বাবর আলী

0

পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট জয় করেছেন বাবর আলী।

রোববার (১৯ মে) বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৮টায় এভারেস্টের চূড়ায় ওঠেন তিনি। বেসক্যাম্প টিমের বরাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন অভিযানের প্রধান সমন্বয়ক ফরহান জামান।

হিমালয়ের শীতিধার চূড়া জয়ের জন্য বাবর আলী রওনা দিয়েছিলেন ১ এপ্রিল। চূড়াটি পর্বতের ১৫ হাজার ৫০০ ফুট ওপরে। সকাল সাড়ে ৮টায় সেখানে তিনি বাংলাদেশের পতাকা ওড়ান।

দুই বছর আগে হিমালয়ের ২২ হাজার ৩৪৯ ফুট উচ্চতার আমা দাবলাম চূড়ায় বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়েছিলেন চট্টগ্রামের এই তরুণ।

যাত্রা শুরু আগে বাবর আলী গণমাধ্যমকে জানান, বিশ্বের উচ্চতম শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্টে জয় করা অনেকের স্বপ্ন। প্রতি বছর হাজারো পর্বতারোহী এভারেস্টের পথে হাঁটেন। কিন্তু এভারেস্টের চূড়ায় ওঠার পর একই সঙ্গে আরেক পর্বতশৃঙ্গ লোৎসে ওঠার চেষ্টা বাংলাদেশ থেকে আগে হয়নি। তিনি সেই চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলেন। অর্থাৎ একই অভিযানে মাউন্ট এভারেস্ট ও চতুর্থ উচ্চতম পর্বত মাউন্ট লোৎসের চূড়ায় উঠতে চান।

চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেছেন ৩৩ বছর বয়সী বাবর আলী। এরপর শুরু করেছিলেন চিকিৎসা পেশা। তবে থিতু হননি। চাকরি ছেড়ে দেশ-বিদেশ ঘোরার কর্মযজ্ঞ শুরু করেন। সাইকেলিংয়ের পাশাপাশি এখন পর্যন্ত সারগো রি (৪ হাজার ৯৮৪ মিটার), সুরিয়া পিক (৫ হাজার ১৪৫ মিটার), মাউন্ট ইয়ানাম (৬ হাজার ১১৬ মিটার), মাউন্ট ফাবরাং (৬ হাজার ১৭২ মিটার), মাউন্ট চাউ চাউ কাং নিলডা (৬ হাজার ৩০৩ মিটার), মাউন্ট শিবা (৬ হাজার ১৪২ মিটার), মাউন্ট রামজাক (৬ হাজার ৩১৮ মিটার), মাউন্ট আমা দাবলাম (৬ হাজার ৮১২ মিটার) ও চুলু ইস্ট (৬ হাজার ০৫৯ মিটার) পর্বতের চূড়ায় উঠেছেন এই তরুণ।

বাবর আলী আগে ৪ বাংলাদেশির পা পড়েছে মাউন্ট এভারেস্টের চূড়ায়। এর মধ্যে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ২০১০ সালে বিশ্বের সর্বোচ্চ এ পর্বতশৃঙ্গ জয় করেন মুসা ইব্রাহীম। এক বছর পর ২০১১ সালে দ্বিতীয় এভারেস্ট বিজয়ী হিসেবে নাম লেখান এম এ মুহিত। পরের বছর ২০১২ সালে বাংলাদেশের প্রথম নারী হিসেবে এভারেস্টে আরোহণ করেন নিশাত মজুমদার। একই বছর সপ্তাহের ব্যবধানে সেখানে পা রাখেন আরেক বাংলাদেশি নারী ওয়াসফিয়া নাজরীন।