Home Blog Page 4

শাকিবকে নিয়ে ফেসবুকে যা লিখলেন মিশা

0

গতকাল ২৮ মে উৎসব হিসেবে ধরা দেয় শাকিবিয়ানদের কাছে। কেননা এদিন ঢালিউডে আড়াই দশক পূর্ণ হয় মেগাস্টার শাকিব খানের ক্যারিয়ারের। দেশ-বিদেশে রজত জয়ন্তী পালনে ব্যস্ত ছিল ভক্তরা। দিনভর সহকর্মীরাও অভিনন্দনে সিক্ত করেছেন শাকিবকে।

এদিকে শাকিবের দীর্ঘদিনের সহকর্মী মিশা সওদাগর। অসংখ্য সিনেমায় একসঙ্গে কাজ করেছেন তারা। পাশাপাশি শিল্পী সমিতিতেও সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন শাকিব-মিশা। তার সোশ্যাল হ্যান্ডেলও সরব হয়ে উঠেছে কিং খানের শুভকামনায়।

অল্প কথায় পুরো গল্প তুলে ধরেছেন মিশা। তিনি লিখেছেন, তোমার জীবনের প্রথম থেকে আজ পর্যন্ত শেষ শুটিং করা সিনেমার সাথে আমি জড়িত। আমার তিন যুগের অভিজ্ঞতা থেকে আমি বলতে চাই, সাকসেসের জন্য সবাই কঠোর পরিশ্রম করে। কিন্তু সাকসেস পাওয়ার পর তোমার মত তুফানি পরিশ্রম করতে আমি কাউকে দেখিনি।

এরপর মিশা লিখেছেন, ২৫ পেরিয়ে ২৬ এর সফল অগ্রিম শুভেচ্ছা। সুস্থ থাকো, চলচ্চিত্রকে এমন করেই ভালোবাস।

ঈদে মুক্তি পেতে যাচ্ছে শাকিবের নতুন সিনেমা ‘তুফান’। এরইমধ্যে প্রকাশ পেয়েছে ছবির টিজার ও গানের ঝলক। দর্শক লুফে নিয়েছেন সেসব। এ ছবিতেও খল চরিত্রে আছেন মিশা। নব্বই দশকের গ্যাংস্টারের গল্প দেখা যাবে ‘তুফান’-এ। এতে শাকিবের বিপরীতে অভিনয় করবেন টলিউডের মিমি চক্রবর্তী এবং বাংলাদেশের মাসুমা রহমান নাবিলা।

দেশের দুই প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আলফা আই ও চরকির সঙ্গে ছবিটি প্রযোজনা করবে কলকাতার এসভিএফ। তুফাম পরিচালনা করবেন রায়হান রাফী। কোরবানির ঈদে ছবিটি মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে।

বাংলাদেশের জন্য ৭০ কোটি ডলার অনুমোদন বিশ্বব্যাংকের

0

বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে মৌলিক সেবা ও সুযোগ দেওয়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশকে সহায়তা দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। দুটি প্রকল্পের আওতায় ৭০ কোটি ডলার ডলার অনুমোদন করেছে তারা, যা স্থানীয় মুদ্রায় ৮ হাজার ২৩৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা (প্রতি ডলার ১১৭.৬৫ টাকা ধরে)।

আজ বুধবার (২৯ মে) বিশ্বব্যাংকের প্রধান কার্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিশ্বব্যাংকের নির্বাহী পরিচালকদের পর্ষদ বাংলাদেশে আশ্রিত বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী এবং তাদের আশ্রয়দাতা স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য মৌলিক সেবা দিতে এই অর্থ অনুমোদন করে। ২০১৭ সাল থেকে সহিংসতার কবলে পড়ে প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা মায়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। এটি বিশ্বের বৃহত্তম জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির সংকটগুলোর মধ্যে একটি।

বাংলাদেশ এবং ভুটানে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুলায়ে সেক বলেন, আমরা প্রায় এক মিলিয়ন রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সহায়তায় বাংলাদেশ সরকারের উদারতাকে বিশেষভাবে প্রশংসা করি। আমরা স্থানীয় আশ্রয়দাতা গোষ্ঠীর ওপর ব্যাপক চাপের বিষয়টিও উপলব্ধি করি। এই সংকট ইতোমধ্যে সাত বছরে পদার্পণ করেছে এবং তাদের স্বল্পমেয়াদি ও জরুরি চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ও টেকসই সমাধান অত্যাবশ্যকীয় হয়ে পড়েছে। আমরা এই জটিল সংকট মোকাবিলায় এবং রোহিঙ্গা ও তাদের আশ্রয়দাতা স্থানীয় জনগোষ্ঠীর কল্যাণে বাংলাদেশ সরকারকে সাহায্য করতে অঙ্গীকারবদ্ধ।

বিশ্বব্যাংক জানায়, বাংলাদেশে থাকা বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের প্রায় ৭০ শতাংশ নারী ও শিশু এবং তাদের অর্ধেকের বয়স ১৫ বছরের নিচে। দুটি প্রকল্পই নারী, শিশু এবং অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠীর ওপর সংকটের ভিন্ন ধরনের প্রভাবকে বিবেচনায় রেখেছে। জেন্ডার- ভিত্তিক সহিংসতা; নিরাপদ ব্যবস্থাপনা, জেন্ডার-স্পর্শকাতর ও জলবায়ু সহিষ্ণু স্যানিটেশন ও হাইজিন সুবিধা, নিরাপত্তার জন্য সৌর বিদ্যুতের সড়ক বাতি এবং কমিউনিটিভিত্তিক দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার ওপর নারীদের জন্য প্রশিক্ষণসহ নারী ও শিশুদের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে প্রকল্প দুটিতে সুনির্দিষ্ট কার্যক্রম রয়েছে।

বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ রোল মডেল : প্রধানমন্ত্রী

0

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। শেখ হাসিনা সংলাপের মাধ্যমে সব দ্বন্ধ-সংঘাত নিরসন, চলমান যুদ্ধ বন্ধ এবং অস্ত্র প্রতিযোগিতার অর্থ মানবজাতির কল্যাণে ব্যয় করার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ আভ্যন্তরীণ শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষার পাশাপাশি বৈশি^ক শান্তি প্রতিষ্টার প্রচেষ্টায় একটি দায়িত্বশীল ও নির্ভরযোগ্য নাম। আমরা সর্বজন স্বীকৃত এবং বিশে^র বুকে একটি রোল মডেল।’

আজ বুধবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস-২০২৪’ উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, জাতির পিতার পররাষ্ট নীতি ’সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়’, বিশ^শান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতির পিতার অঙ্গীকার ও আমাদের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা অনুসরণ করে বাংলাদেশ জাতিসংঘের ‘ব্লু হেলমেট’ পরিবারের সদস্য হয়।

সরকারপ্রধান বলেন, বর্তমানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের ১৩টি স্থানে ৪৯৩ জন নারীসহ ৬০৯২ জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী সুনামের সঙ্গে কাজ করছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীরা যেখানে কাজ করছে সেসব রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা তাদের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।

তিনি বলেন, ‘প্রশংসা শুনে গর্বে আমার বুকটা ভরে যায়।’

শেখ হাসিনা বলেন, শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখার বৈশি^ক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ আজ একটি দায়িত্বশীল ও নির্ভরযোগ্য নাম। আমরা সর্বজন স্বীকৃত এবং বিশে^র বুকে রোল মডেল। এই অর্জনের পেছনে রয়েছে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী ও পুলিশ বাহিনীর টেকসই. পরিশ্রমী নিবেদিত প্রাণ সদস্যদের মহান আত্মত্যাগ ও অমূল্য অবদান।

তিনি ১৬৮ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের অবদানের কথা স্মরণ করেন যারা বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় আত্মত্যাগ করেছেন এবং ২৬৬ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।

শান্তিরক্ষায় অবদান রাখতে গিয়ে আত্মোৎসর্গকারীদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে তাঁদের পরিবারের সদস্যদেরও সমবেদনা জানান তিনি। স্বজন হারাবার বেদনা যে কি, তিনি তা জানেন বলেও এ সময় উল্লেখ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা জাতিসংঘ শাস্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের অংশগ্রহণের ৩৬ বছর উদযাপন করছি। বাংলাদেশ আজ বিশে^র বৃহৎ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারি দেশ এবং সকলে অত্যন্ত সুনাম ও গৌরবের সঙ্গে কাজ করে চলেছেন। তিনি এ সময় বিশে^র নানা প্রান্তে কর্মরত সকল বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের শুভেচ্ছা জানান।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতার আদর্শ অনুসরণ করে আমরা বিশ^ শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছি। শান্তিরক্ষা মিশন ছাড়াও অন্যান্য আন্তর্জাতিক ফোরাম গুলোতেও আমরা সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ ও অবদান রাখছি।

১৯৯৭ সালে বাংলাদেশের জাতিসংঘে ‘কালচার অব পিস’ (শাস্তির সংস্কৃতি) প্রস্তাব উত্থাপন করে যা ১৯৯৯ সালে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হওয়ার প্রসঙ্গ টেনে শেখ হাসিনা বলেন, সেই থেকে প্রতিবছর জাতিসংঘে বাংলাদেশের ‘ফ্লাগশিপ রেজ্যুলেশন’ এই ‘কালচার অব পিস’ সর্বস্মতিক্রমে গৃহীত হয়ে আসছে। পরবর্তী সময়ে জাতিসংঘ ২০০০ সালকে ‘ইন্টারন্যাশনাল ইয়ার অব কালচার অব পিস’ হিসেবে ঘোষণা করে। যার মাধ্যমে শান্তির সংস্কৃতি প্রস্তাবের ২৫ তম বর্ষ উদযাপিত হতে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘এজেন্ডা ২০৩০ বাস্তবায়নে কালচার অব পিস প্রতিষ্ঠা অপরিহার্য বলে আমার বিশ^াস।’

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, সিনিয়র পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গুয়েন লুইস।

প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে আহতদের হাতে সম্মাননা তুলে দেন। তিনি ইউএন পিস কিপার্স জার্নাল এর (১০ম ভলিউম) মোড়কও উন্মোচন করেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় আত্মত্যাগকারী বীরদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

অনুষ্ঠানে জাতিসংঘ মিশনে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের কৃতিত্বের ওপর একটি ভিডিও প্রামাণ্যচিত্র ও প্রদর্শন করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী পরে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিভিন্ন স্থানে কর্মরত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদেও সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

পাকিস্তানে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২৮

0

পাকিস্তানে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে ২৮ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও প্রায় ২২ জন।

ভ্রমণের সময় টায়ার ফেটে বাসটি উল্টে খাদে পড়ে যাওয়ার পর হতাহতের এ ঘটনা ঘটে। পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশে এ ঘটনা ঘটেছে।

আজ বুধবার দেশটির সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার সকালে বেলুচিস্তান প্রদেশের ওয়াশুক জেলায় একটি যাত্রীবাহী বাস উল্টে খাদে পড়ে যাওয়ার পর নারী ও শিশুসহ অন্তত ২৮ জন নিহত হয়েছেন। উদ্ধারকারী ও লেভিস কর্মকর্তাদের মতে, দুর্ঘটনায় আরও প্রায় ২২ জন আহত হয়েছেন এবং তাদের বাসিমার সিভিল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

জিও নিউজ বলছে, যাত্রীবাহী বাসের টায়ার ফেটে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন উদ্ধারকারী কর্মকর্তারা। বাসটি গোয়াদর থেকে কোয়েটার দিকে যাচ্ছিল।

এদিকে মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনায় দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ শোক প্রকাশ করেছেন এবং নিহতদের রুহের মাগফেরাত কামনা করেছেন। একই সঙ্গে আহতদের সহায়তা দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।

বেলুচিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী সরফরাজ বুগতি ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় প্রাণহানির জন্য শোক প্রকাশ করেছেন এবং আহতদের জন্য প্রার্থনা করেছেন।

বাংলাদেশি সেনাদের প্রশংসা শুনলে গর্বে বুক ভরে যায় : প্রধানমন্ত্রী

0

বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যেসব দেশে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বাহিনী কাজ করছে, সেসব দেশে গেলে বা তাদের রাষ্ট্রপ্রধান-সরকারপ্রধানদের সঙ্গে দেখা হলে তারা প্রত্যেকেই আমাদের শান্তিরক্ষীদের ভূয়সী প্রশংসা করেন। এটা শুনে সত্যিই আমার গর্বে বুক ভরে যায়।

আজ বুধবার (২৯ মে) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস-২০২৪’ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, শান্তিরক্ষী বাহিনীতে সক্রিয় অংশগ্রহণকারী হিসেবে গৌরবের সঙ্গে কাজ করছে বাংলাদেশের সদস্যরা। আরও বেশি নারী শান্তিরক্ষী প্রেরণের জন্য জাতিসংঘের পক্ষ থেকে আমাদের আহ্বান জানানো হয়েছে। বাংলাদেশের শান্তিরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা যাতে বিশ্বের সব থেকে চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখতে পারে, সে হিসেবেই তাদের প্রশিক্ষিত করা হচ্ছে।

যুদ্ধ হয়, আলোচনার মাধ্যমেই সব সমস্যার সমাধান করা সম্ভব মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, বিভিন্ন প্রান্তে সংঘাত বিশ্ব শান্তি নষ্ট করছে। অস্ত্রের প্রতিযোগিতা যতো বৃদ্ধি পাচ্ছে, মানুষের জীবন ততই বিপন্ন হচ্ছে। আলোচনার মাধ্যমেই সব সমস্যার সমাধান করতে হবে। শান্তির কথা বললেও বারবার আমরা সংঘাতে লিপ্ত হই। যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে ব্যয় করতে হবে।

বিশ্বশান্তি নিশ্চিত করা এখন অতীতের চেয়ে কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রযুক্তির সাম্প্রতিক প্রসার ও অগ্রযাত্রার সঙ্গে বাড়ছে নতুন নতুন হুমকি। ফলে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনগুলোর শান্তিরক্ষীদের বহুমাত্রিক জটিল পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হচ্ছে।

তিনি বলেন, শান্তিরক্ষা মিশনগুলো উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে সমৃদ্ধ করার প্রয়োজনীয়তা এখন বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা বিশ্বের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং ও বিপজ্জনক অঞ্চলে সৃষ্ট পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পারে, সেজন্য তাদের সময়োপযোগী প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, নারীর অধিকার ও জেন্ডার সমতা নিশ্চিত করতে আমাদের পদক্ষেপ ‘উইমেন স্পিচ অ্যান্ড সিকিউরিটি অ্যাজেন্ডা’ তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রেখে যাচ্ছে। বাংলাদেশ অন্যতম বৃহৎ নারী শান্তিরক্ষী দেশ হিসেবেও পরিচিতি লাভ করছে। এ পর্যন্ত বাংলাদেশের ৩ হাজার ৩৮ জন নারী শান্তিরক্ষী অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে জাতিসংঘের শান্তি মিশন সম্পন্ন করেছেন। এখন দাবি আসছে, আরও নারী শান্তিরক্ষী প্রেরণ করার। জাতিসংঘের সেক্রেটারি জেনারেল নিজেই আমাকে বলেছেন, আমরা যেন আরও বেশি করে নারী শান্তিরক্ষী প্রেরণ করি।

জলবায়ুর ঝুঁকি মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক সহায়তার আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

0

জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি মোকাবেলা ও ক্ষুদ্র দ্বীপদেশগুলোর উন্নয়নে জোর আন্তর্জাতিক সহায়তার আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

আজ বুধবার ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ক্যারিবীয় দ্বীপরাষ্ট্র এন্টিগা এন্ড বারবুডার রাজধানী সেন্ট জনসে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার দুপুরে জাতিসংঘ আয়োজিত ‘ক্ষুদ্র দ্বীপ উন্নয়নশীল রাষ্ট্রের চতুর্থ সম্মেলন’-এর দ্বিতীয় দিনে বাংলাদেশের পক্ষে প্রতিনিধিত্বকারী ড. হাছান মাহমুদ বক্তৃতায় এই আহবান জানান।

সেন্ট জনসের আমেরিকান ইউনিভার্সিটি অব এন্টিগার প্রধান মিলনায়তনে সিডস সম্মেলনের প্লেনারি অধিবেশনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্বল্পোন্নত দেশগুলোর ঐতিহ্যবাহী মুখপাত্র হিসেবে এবং ক্ষুদ্র দ্বীপদেশগুলোর উন্নয়নে ধারাবাহিকভাবে উচ্চকন্ঠ বাংলাদেশের ভূমিকা উল্লেখ করতে গিয়ে এই সব বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত প্রতিশ্রুতি তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, দুই মেয়াদে জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর সংগঠন ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, সমুদ্রের অম্লতাবৃদ্ধি এবং চরম আবহাওয়ার চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলায় বিশেষ দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছে।

বিশিষ্ট পরিবেশবিদ ড. হাছান বলেন, পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন কমাতে উচ্চ কার্বন নিঃসরণকারী উন্নত অর্থনীতির দেশগুলোকে জবাবদিহিমূলক প্রতিশ্রুতির আওতায় আনা একান্ত প্রয়োজন। সেই লক্ষ্যে আজারবাইজানের বাকুতে আসন্ন বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন কপ-২৯ এ ২০২৫ সাল পরবর্তী সময়ে জলবায়ু অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন এবং জলবায়ু ঝুঁকির অভিযোজন ক্ষমতা বৃদ্ধির দিকে জাতিসংঘ সদস্যদের মনোযোগী হওয়া জরুরি বলে তিনি উল্লেখ করেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর চ্যালেজ্ঞ মোকাবেলায় রাষ্ট্রগুলোর দায়িত্ব সম্পর্কে আন্তর্জাতিক আদালতের (আইসিজে) কাছ থেকে পরামর্শমূলক মতামত চাওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের নেতৃত্বের কথাও তুলে ধরেন।

আফ্রিকার স্বল্পোন্নত এবং ক্যারিবীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় সিডস দেশগুলোর ক্যাডেটদের জন্য বাংলাদেশ মেরিন একাডেমিতে বৃত্তি প্রদানের কথা জানিয়ে সম্মেলনে ড. হাছান বলেন, সামুদ্রিক খাতে আঞ্চলিক সহযোগিতা এবং আন্ত:জাতি সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজ করতে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

সম্মেলন শেষে ‘দ্য এন্টিগা এন্ড বারবুডা এজেন্ডা ফর সিডস (আবাস)’ প্রতিরোধে সক্ষম উন্নয়নের লক্ষ্যে নবায়নকৃত ঘোষণাপত্রটি চূড়ান্ত হবে।

নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মোহাম্মদ আবদুল মুহিত, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উত্তর আমেরিকা অণুবিভাগের মহাপরিচালক খন্দকার মাসুদুল আলম, পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মীর আকরাম উদ্দীন আহম্মদ দেশের প্রতিনিধিদলের সদস্য হিসেবে সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন।

এই দিন সিডস সম্মেলনে যোগদানের পাশাপাশি জ্যামাইকা এবং ডোমিনিকান রিপাবলিকের দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে বৈঠক করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

হাছান মাহমুদের সাথে ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রবার্টো আলভারেজ এবং জ্যামাইকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী কামিনা জনসন স্মিথের বহুপাক্ষিক প্ল্যাটফর্মে সহযোগিতা, মানুষে মানুষে যোগাযোগ, সংস্কৃতি, শিল্প, শিক্ষা, বাণিজ্য এবং পর্যটনে সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়গুলো আলোচনায় স্থান পায়।

পাশাপাশি এই দিন নিউইয়র্কে জাতিসংঘে কানাডার স্থায়ী প্রতিনিধি বব রে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে দেখা করেন। বর্তমান প্রেক্ষাপট নিয়ে আলোচনায় বব রে রোহিঙ্গা সংকট নিরসন নিয়ে কথা বলেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাকে জানান, নিজ দেশ থেকে উদ্বাস্তু হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া এই রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরে যাওয়াই একমাত্র সমাধান।

জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিলেন প্রধানমন্ত্রী

0

বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বুধবার (২৯ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি।

আজ আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও যথাযোগ্য মর্যাদায় এ বছর দিবসটি পালন করা হচ্ছে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী বিশ্বের সব দেশের শান্তিরক্ষীদের অসামান্য অবদানকে এই দিনে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হয়।

আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস উদ্যাপনে বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয়ভাবে নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এদিন শান্তিরক্ষীদের স্মরণের মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়, যেখানে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম প্রধান অতিথি হিসেবে ‘শান্তিরক্ষী দৌড়-২০২৪’ উদ্বোধন করছেন।

দিনটি উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শহীদ শান্তিরক্ষীদের আত্মীয় ও আহত শান্তিরক্ষীদের সংবর্ধনা এবং জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের ওপর বিশেষ উপস্থাপনার আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

দীর্ঘ চার দশকের শান্তিরক্ষার ইতিহাসে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা বিশ্বের ৪৩টি দেশ ও স্থানে, ৬৩টি জাতিসংঘ মিশন সফলতার সঙ্গে সম্পন্ন করেছে।

বর্তমানে ১৩ দেশে বাংলাদেশের ৬ হাজার ৯২ জন শান্তিরক্ষী জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে ও কার্যক্রমে নিয়োজিত আছেন। যার মধ্যে রয়েছে ৪৯৩ জন নারী শান্তিরক্ষী। শুরু থেকে এ পর্যন্ত জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের ১৬৮ জন শান্তিরক্ষী শহীদ হয়েছেন। এই বছর তিনজন আহত শান্তিরক্ষীকে সম্মাননা দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বিটিভি ওয়ার্ল্ড সংবর্ধনা অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করছে।

শাহজালালে দুই কেজি সোনাসহ কেবিন ক্রু গ্রেপ্তার

0

হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রিয়াদ থেকে আসা একটি ফ্লাইটের নারী কেবিন ক্রুকে ১ কেজি ৯৭৯ গ্রাম সোনাসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৮ মে) রাতে এপিবিএন, এনএসআই ও কাস্টমস গোয়েন্দার যৌথ অভিযানে এসব সোনা উদ্ধারসহ ওই কেবিন ক্রুকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আজ বুধবার (২৯ মে) সকালে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, রিয়াদ থেকে আসা সৌদি এয়ারলাইন্সের এসভি-৮০৪ ফ্লাইটটির মঙ্গলবার দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটের দিকে ঢাকায় অবতরণের সময় ছিল। কিন্তু ঢাকার আবহাওয়া খারাপ থাকার কারণে ফ্লাইটটি ভারতের হায়দরাবাদে অবতরণ করে। পরে ঢাকার আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে মঙ্গলবার রাত ১০টা ৫ মিনিটে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

জিয়াউল হক আরও জানান, গোপন তথ্যর ভিত্তিতে এপিবিএন, এনএসআই ও কাস্টমস গোয়েন্দার যৌথ উপস্থিতিতে ওই ফ্লাইটের কেবিম ক্রু রোকেয়া খাতুনকে কাস্টমস গ্রিন চ্যানেলে তল্লাশি করা হয়। তাকে তল্লাশি করে ১১টি স্বর্ণের বার, আটটি সোনার চুরি এবং একটি চেন পাওয়া যায়। উদ্ধার করা এসব সোনার আনুমানিক ওজন ১ কেজি ৯৭৯ গ্রাম।

অভিযুক্তের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তার বাড়ি সিরাজগঞ্জ বলেও জানান এপিবিএনের এই কর্মকর্তা।

গাজায় তাঁবু ক্যাম্পে হামলায় নিহত অন্তত ২১

0

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে বাস্তুচ্যুতদের ক্যাম্পে আবারও হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে অন্তত ২১ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ১২ জন নারী। হামলায় আহত হয়েছেন আরও অর্ধশতাধিক মানুষ।

গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফা শহরের কাছে বাস্তুচ্যুতদের তাঁবু ক্যাম্পে ইসরায়েল হামলা চালালে হতাহতের এই ঘটনা ঘটে। বুধবার (২৯ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফা শহরের কাছে আল-মাওয়াসিতে বাস্তুচ্যুত পরিবারগুলোর একটি তাঁবু ক্যাম্পে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ২১ জন নিহত হয়েছেন বলে ফিলিস্তিনি চিকিৎসা কর্মকর্তারা এবং ফিলিস্তিনি বার্তাসংস্থা জানিয়েছে।

এর আগে রোববার রাতে গাজা ভূখণ্ডের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফা শহরে বাস্তুচ্যুত লোকদের শিবিরে ভয়াবহ হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে কমপক্ষে ৪৫ ফিলিস্তিনি নিহত হন। সর্বশেষ এই হামলা এমন এক সময়ে হলো যখন আগের ওই হামলার কারণে ইসরায়েল বিশ্বব্যাপী নিন্দা ও সমালোচনার মুখে পড়েছে।

গাজার চিকিৎসা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রাফা গভর্নরেটে হওয়া এই হামলায় নিহতদের মধ্যে অন্তত ১২ জন নারী।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় টেলিগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে জানিয়েছে, হামলায় আরও ৬৪ জন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ১০ জনের অবস্থা গুরুতর। অন্যদিকে ফিলিস্তিনের সরকারি বার্তাসংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, ওই এলাকাটিতে ইসরায়েল বিমান হামলা চালিয়েছে।

তবে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী রাফার আল-মাওয়াসিতে হামলা চালানোর কথা অস্বীকার করেছে। আগ্রাসন পরিচালনাকারী এই সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘গত কয়েক ঘণ্টার প্রতিবেদনের বিপরীতে (আমরা বলতে চাই), আইডিএফ (ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী) আল-মাওয়াসির ওই মানবিক এলাকায় হামলা করেনি।’

দেশে ফিরলেন ‘এভারেস্টজয়ী’ বাবর আলী

0

পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বত শৃঙ্গ ‘এভারেস্ট’ ও চতুর্থ সর্বোচ্চ শৃঙ্গ ‘লোৎসে’ জয় করে দেশে ফিরেছেন বাবর আলী। মঙ্গলবার (২৮ মে) বিকেলে নেপাল থেকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তজার্তিক বিমানবন্ধরে পৌঁছান তিনি।

এরপর নিজ শহর চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা দেন বাবর। রাতে চট্টগ্রামে পৌঁছেছেন বলে জানা গেছে। ‘এভারেস্টজয়ী’ বাবর আলীর নিজ শহরে আসার খবর শুনে উচ্ছ্বসিত চট্টগ্রামবাসী।

প্রসঙ্গত, গত ২১ মে বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টা ৫ মিনিটে লোৎসে পৌঁছান তিনি। এর আগে ১৯ মে পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে মাউন্ট এভারেস্ট জয় করেন তিনি। এদিন বাংলাদেশ সময় সকাল পৌনে ৯টায় এভারেস্টের চূড়ায় ওঠেন বাবর।

উল্লেখ্য, এমবিবিএস পাস করা বাবর পেশা হিসেবে ডাক্তারিতে থিতু হননি। পড়াশোনা করেছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে। চাকরি ছেড়ে দেশ-বিদেশ ঘোরার কর্মযজ্ঞ শুরু করেন তিনি। সাইক্লিংয়েও রয়েছে তার আলাদা আগ্রহ।