গাজাজুড়ে জোরদার ইসরায়েলি হামলা, নিহত আরও ৬৪

0

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকাজুড়ে হামলা জোরদার করেছে দখলদার ইসরায়েল। এতে একদিনে আরও ৬৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও বহু মানুষ। খবর আল জাজিরার।

শনিবারের হামলায় ৬৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে উত্তর গাজার কামাল আদওয়ান হাসপাতালের কাছে একটি আবাসিক ভবনে হামলায় ২৮ জন নিহত হয়েছেন। আরও হয়েছেন কয়েক ডজন মানুষ। উত্তর গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের একটি আশ্রয়কেন্দ্রের গেটে জড়ো হওয়া ফিলিস্তিনিদের একটি দলকে লক্ষ্য করে গোলাবর্ষণে ১২ জন নিহত এবং ২৫ জন আহত হয়েছেন।

জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের পশ্চিমে ফালুজাতে পানির জন্য সারিবদ্ধ একদল লোকের ওপর কামানের হামলায় আটজন নিহত এবং ১০ জন আহত হয়েছেন। মধ্যগাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে হামলায় অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছেন। দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস শহরের একটি বাড়িতে হামলায় চারজন নিহত হয়েছেন। খান ইউনিসের পূর্বে আবসান আল-কাবিরা শহরের আল-ফারহিন এলাকায় হামলায় অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন।

দক্ষিণ গাজার মধ্য রাফাহ শহরের বাড়িতে অভিযানে তিনজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া উত্তর-পশ্চিম রাফাহতে একটি গাড়িতে ড্রোন হামলায় একজন নিহত হয়েছেন।

গত বছরের অক্টোবর মাসের ৭ তারিখে ইসরায়েলে এই দশকের সবচেয়ে বড় হামলা চালায় হামাস। এর পরপরই গাজায় বিমান হামলা ও স্থল হামলা শুরু করে ইসরায়েল।

আট মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা আগ্রাসনে এ পর্যন্ত ৩৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। আহত ৭৯ হাজার ছাড়িয়েছে। এ গণহত্যা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা।

জাতিসংঘ সতর্ক করে বলেছে, গাজার ২২ লাখ অধিবাসী দুর্ভিক্ষের ভয়াবহ ঝুঁকিতে রয়েছে। দ্রুত ত্রাণ পৌঁছাতে না পারলে বিশ্বকে জবাবদিহি করতে হবে।

পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে এভারেস্ট জয় করলেন বাবর আলী

0

পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট জয় করেছেন বাবর আলী।

রোববার (১৯ মে) বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৮টায় এভারেস্টের চূড়ায় ওঠেন তিনি। বেসক্যাম্প টিমের বরাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন অভিযানের প্রধান সমন্বয়ক ফরহান জামান।

হিমালয়ের শীতিধার চূড়া জয়ের জন্য বাবর আলী রওনা দিয়েছিলেন ১ এপ্রিল। চূড়াটি পর্বতের ১৫ হাজার ৫০০ ফুট ওপরে। সকাল সাড়ে ৮টায় সেখানে তিনি বাংলাদেশের পতাকা ওড়ান।

দুই বছর আগে হিমালয়ের ২২ হাজার ৩৪৯ ফুট উচ্চতার আমা দাবলাম চূড়ায় বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়েছিলেন চট্টগ্রামের এই তরুণ।

যাত্রা শুরু আগে বাবর আলী গণমাধ্যমকে জানান, বিশ্বের উচ্চতম শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্টে জয় করা অনেকের স্বপ্ন। প্রতি বছর হাজারো পর্বতারোহী এভারেস্টের পথে হাঁটেন। কিন্তু এভারেস্টের চূড়ায় ওঠার পর একই সঙ্গে আরেক পর্বতশৃঙ্গ লোৎসে ওঠার চেষ্টা বাংলাদেশ থেকে আগে হয়নি। তিনি সেই চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলেন। অর্থাৎ একই অভিযানে মাউন্ট এভারেস্ট ও চতুর্থ উচ্চতম পর্বত মাউন্ট লোৎসের চূড়ায় উঠতে চান।

চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেছেন ৩৩ বছর বয়সী বাবর আলী। এরপর শুরু করেছিলেন চিকিৎসা পেশা। তবে থিতু হননি। চাকরি ছেড়ে দেশ-বিদেশ ঘোরার কর্মযজ্ঞ শুরু করেন। সাইকেলিংয়ের পাশাপাশি এখন পর্যন্ত সারগো রি (৪ হাজার ৯৮৪ মিটার), সুরিয়া পিক (৫ হাজার ১৪৫ মিটার), মাউন্ট ইয়ানাম (৬ হাজার ১১৬ মিটার), মাউন্ট ফাবরাং (৬ হাজার ১৭২ মিটার), মাউন্ট চাউ চাউ কাং নিলডা (৬ হাজার ৩০৩ মিটার), মাউন্ট শিবা (৬ হাজার ১৪২ মিটার), মাউন্ট রামজাক (৬ হাজার ৩১৮ মিটার), মাউন্ট আমা দাবলাম (৬ হাজার ৮১২ মিটার) ও চুলু ইস্ট (৬ হাজার ০৫৯ মিটার) পর্বতের চূড়ায় উঠেছেন এই তরুণ।

বাবর আলী আগে ৪ বাংলাদেশির পা পড়েছে মাউন্ট এভারেস্টের চূড়ায়। এর মধ্যে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ২০১০ সালে বিশ্বের সর্বোচ্চ এ পর্বতশৃঙ্গ জয় করেন মুসা ইব্রাহীম। এক বছর পর ২০১১ সালে দ্বিতীয় এভারেস্ট বিজয়ী হিসেবে নাম লেখান এম এ মুহিত। পরের বছর ২০১২ সালে বাংলাদেশের প্রথম নারী হিসেবে এভারেস্টে আরোহণ করেন নিশাত মজুমদার। একই বছর সপ্তাহের ব্যবধানে সেখানে পা রাখেন আরেক বাংলাদেশি নারী ওয়াসফিয়া নাজরীন।

সিডনিতে রবীন্দ্র জয়ন্তী পালিত

0

সিডনির ক্যাম্পবেলটাউন সিভিক হলে রবীন্দ্র জয়ন্তী পালিত হয়েছে। শনিবার (১৮ মে) অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে ‘আমাদের কথা’।

সিডনিতে এককভাবে রবীন্দ্র নাথের জন্ম জয়ন্তী পালনের উদ্যোগ প্রথম এই সংগঠনটি নেয় বিগত বছরে। আয়োজনটিতে ছিল রবীন্দ্রনাথের গান, কবিতা, গল্প ও জীবন নিয়ে।

অনুষ্ঠানের শুরুটা হয় সমবেত কণ্ঠে রবীন্দ্রনাথের লেখা বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত দিয়ে। এরপর অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় সংগীত।

অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে শিশুদের কোরাস ‘আলো আমার আলো ‘ গান গেয়ে সাংষ্কৃতিক পর্বের সূচনা করা হয়। এর পরেই ছিল নতুন প্রজন্মের গান, ছড়া ও নৃত্য পরিবেশনা।

মিলি ইসলাম রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে স্বল্প পরিসরে তথ্য পরিবেশন করেন সাংষ্কৃতিক পর্ব শুরুর আগে।

অনুষ্ঠানটির সাংস্কতিক পর্বগুলুকে কয়েকটা ক্যাটেগরিতে পূজা পর্যায়, প্রকৃতি পর্যায় ও প্রেম পর্যায়।

পূজা পর্যায়ে পরিবেশনায় ছিলেন পূরবী , ঋদ্ধ , জুঁই, তনিমা ও পৃথিবী। প্রকৃতি পর্যায়ে পরিবেশনায় ছিলেন শাহরিল রলি , ফারিন , প্রেরণা ডান্স গ্রুপ। আর প্রেম পর্যায়ে মঞ্জুশ্রী , মিশা , বাঁধন , সুবর্ণা , পলি ফরহাদ , মারিয়া , শ্রেয়সী ও তার নটরাজ ড্যান্স একাডেমির পরিবেশনা।

এছাড়াও কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বিশেষ শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেন আয়েশা কলি ‘বাঁধলো বাঁধলো ঝুলনিয়া ‘ গানটি গেয়ে ।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন কলামিস্ট ও লেখক অজয় দাশ গুপ্ত। তিনি বলেন ,”রবীন্দ্র নাথের জন্ম না হলে শিল্প সাহিত্যের অনেক জায়গায়ই পূরণ হতো না। রবীন্দ্রনাথ দিয়েছেন আমাদের প্রশান্তি।

গল্পে , কবিতায় , গানে ও দর্শনে কোথায় রবীন্দ্রনাথ নাই বাংলা সাহিত্যে। বাংলা সাহিত্যকে বিশ্বের বুকে তুলে ধরেছিলেন সেই সময়ে এবং বাংলায় তিনিই নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। এই তো বাঙ্গালীর বিশাল অহংকার।”

নতুন প্রজন্মকে বাংলা সংষ্কৃতিতে অবদান রাখার জন্য আমাদের কথা সার্টিফিকেট প্রদান করে।

বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন ক্যাম্পবেলটাউন সিটি কাউন্সিলের ডেপুটি মেয়র ইব্রাহিম খলিল মাছুদ , কাউন্সিলর মাছুদ চৌধুরী , সিডনির কমিউনিটির বটবৃক্ষ গামা আব্দুল কাদের ও সংগঠক শফিকুল আলম। এছাড়াও ছিলেন নারী সংগঠকদের মধ্যে তিশা তানিয়া , টুম্পা জাহরা।

অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে , উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে আগামীতে আরো সুন্দর অনুষ্ঠান পরিবেশনা করার আশ্বাস দিয়ে সকলকে রাতের খাবারের আমন্ত্রণ জানিয়ে আনুষ্ঠানিকতার পরিসমাপ্তি টানেন সংগঠনের কর্ণধার এবং সঞ্চালক পূরবী পারমিতা বোস।

শব্দ নিয়ন্ত্রণে ছিলেন আত্ত্বাবুর রহমান। অনুষ্ঠানের রাবীন্দ্রিক সাজসজ্জায় ছিলেন কানিতাজ।

সৌদিতে আরও ১ বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু

0

সৌদি আরবে পবিত্র হজ পালন করতে গিয়ে আরও এক বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। তার নাম মো. মোস্তফা।

শনিবার ৮৯ বছর বয়সী মোস্তফা মক্কায় মারা যান। তার পাসপোর্ট নম্বর-ইজি ০৭৪০৮৪৭।

চলতি হজ মৌসুমে সৌদি আরবে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে গত ১৫ মে মো. আসাদুজ্জামান নামে এক হজযাত্রী মারা যান। তিনি মদিনায় মৃত্যুবরণ করেন।

রোববার (১৯ মে) রাত দুইটার হজ পোর্টালে আইটি হেল্প ডেস্কের প্রতিদিনের বুলেটিন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

হজ ফ্লাইট শুরু হওয়ার পর গত মধ্যরাত পর্যন্ত ২৮ হাজার ৭৬০ জন হজযাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছেছেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৩ হাজার ৭৪৭ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ২৫ হাজার ১৩ হজযাত্রী সৌদি গেছেন।

এখন পর্যন্ত সৌদি আরব যাওয়ার ফ্লাইট পরিচালিত হয়েছে ৭২টি। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ২৫টি, সৌদি এয়ারলাইন্সের ২৩টি ও ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স পরিচালিত ফ্লাইট সংখ্যা ২০টি।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন এবারের হজ অনুষ্ঠিত হবে। হজযাত্রীদের সৌদি আরবে যাওয়ার ফ্লাইট গত ৯ মে শুরু হয়। আগামী ১০ জুন পর্যন্ত যাওয়ার ফ্লাইট চলবে। হজ শেষে ২০ জুন ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে। দেশে ফেরার ফ্লাইট শেষ হবে আগামী ২২ জুলাই।

এবার সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনা মিলিয়ে বাংলাদেশ থেকে মোট ৮৫ হাজার ২৫৭ জন হজ করতে যাবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪ হাজার ৫৬২ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এজেন্সির মাধ্যমে ৮০ হাজার ৬৯৫ জন হজে যাবেন।

আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

0

দেশের বাজারে আবারও স্বর্ণের দাম বাড়িয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ১৭৮ টাকা বাড়িয়ে নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ১৮ হাজার ৪৬০ টাকা।

শ‌নিবার (১৮ মে) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের দাম বেড়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। রোববার (১৯ মে) থেকে নতুন দর কার্যকর হবে।

নতুন দাম অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণ ১ লাখ ১৮ হাজার ৪৬০ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৩ হাজার ৮২ টাকা, ১৮ ক্যারেট ৯৬ হাজার ৯১৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের দাম পড়বে ৮০ হাজার ১৩২ টাকা।

এর আগে, ১১ মে স্বর্ণের দাম প্রতি ভরিতে ১,৮৩১ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছিলো। এতে ভালো মানের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম হয়েছিল ১ লাখ ১৭ হাজার ২৮১ টাকা। এর আগে, এই মানের স্বর্ণের দাম প্রতি ভরি ১ লাখ ১৫ হাজার ৪৫০ টাকা ছিল।

এরও আগে, ৭ মে স্বর্ণের দাম প্রতি ভরিতে ৪,৫০২ টাকা বাড়ানোর ঘোষণা দেয় বাজুস। নতুন দাম অনুযায়ী সবচেয়ে ভালো মানের (২২ ক্যারেট) প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণ ১ লাখ ১৭ হাজার ২৮১ টাকা, ২১ ক্যারেট প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১১ হাজার ৯৫১ টাকা, ১৮ ক্যারেট ৯৫ হাজার ৯৫৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণ ৭৯ হাজার ৩৩৮ টাকায় বিক্রি করা হবে।

যুক্তরাষ্ট্র জিএসপি সুবিধা ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলেছে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

0

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী (ডোনাল্ড লু) এসেছিলেন, তারা বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে এগিয়ে নেওয়ার জন্যই এই সফরে এসেছিলেন। আমার সঙ্গে দ্বি-পাক্ষিক বৈঠকে কীভাবে সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাবো, সেটি নিয়ে তিনি কথা বলেছেন। এমনকি আমরা যদি কোনও কোনও ক্ষেত্রে কিছু রিফর্ম (পুনর্গঠন) করি তাহলে আমাদেরকে জিএসপি সুবিধাও ফিরিয়ে দেওয়ার অভিপ্রায় তারা ব্যক্ত করেছেন। একইসঙ্গে বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা থেকে কাটিয়ে ওঠার লক্ষ্যে তাদের একটি বিশেষ তহবিল আছে। সেখান থেকে তারা সাহায্য করার কথাও বলেছেন। সুতরাং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার। আমরা সম্পর্ককে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যেই কাজ করছি। এ জন্যই বিএনপির মাথাটা বেশি খারাপ।’

শনিবার (১৮ মে) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর কাজীর দেউড়ির ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি একটা জালিয়াত রাজনৈতিক দল। আপনাদের মনে আছে, গত বছর ২৮ অক্টোবর জো বাইডেনের ভুয়া উপদেষ্টাকে বিএনপি হাজির করেছিল। ভুয়া উপদেষ্টা যখন বিএনপি কার্যালয়ে, তখন দেখি শুধু ইংরেজি বলে। পুলিশ যখন ধরে নিয়ে গেলো তখন দেখি গড়গড়াইয়া বাংলা বলে।’

তিনি বলেন, ‘তার আগে বিএনপি কংগ্রেসম্যানদের সই জাল করেছিল। সেই সময়ে বলেছিল ভারতের অমিত শাহ ফোন করেছিল। অমিত শাহর অফিস থেকে বলা হলো তিনি কাউকে ফোন করেননি, যে আওয়াজ ছাড়া হয়েছিল সেটা অমিত শাহর নয়। দেশের উন্নয়ন অগ্রগতি দেখে বিএনপি ও তাদের দোসরদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। মাঝেমধ্যে দেখি জি এম কাদেরেরও মাথা খারাপ হয়ে যায়।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘নির্বাচনের আগে আমরা দেখেছি, বিএনপি প্রতিদিন বিভিন্ন অ্যাম্বাসিতে ঘুরে বেড়াতো। আর দেন দরবার করতো, নির্বাচনটা যাতে বন্ধ করা যায়, কোনও লাভ হয়নি। নির্বাচন হয়েছে, ৪২ শতাংশ মানুষ ভোট দিয়েছে। যদি নির্বাচনের দিন কুয়াশা এবং প্রচণ্ড ঠান্ডা না থাকতো তাহলে আরও বেশি মানুষ ভোট দিত। আর বিএনপি যদি নির্বাচন প্রতিহতের ঘোষণা, মানুষের ওপর হামলা, ট্রেনের মধ্যে শিশুসন্তানসহ পুরো পরিবারকে জ্বালিয়ে হত্যা না করতো তাহলে ভোটের হার ৬০ শতাংশের বেশি হতো। গত দুই তিন বছরে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত অনেক দেশে নির্বাচন হয়েছে, সেখানে অনেক দেশে ৪০ শতাংশের কম ভোট পড়েছে। যদিও সেখানে নির্বাচনে বর্জন ও প্রতিহতের কোনও হুমকি ছিল না।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে অত্যন্ত চমৎকার নির্বাচন হয়েছে। নির্বাচন যদি চমৎকার না হতো তাহলে পৃথিবীর ৮০টা দেশের সরকার কিংবা রাষ্ট্রপ্রধান আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানাতেন না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট চিঠি লিখে অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে চাই। সর্বশেষ দুই দিন আগে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীও আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। এ জন্য বিএনপির মাথা খারাপ। সম্ভবত সেজন্য বিএনপি নেতা ড. মঈন খান ইদানীং জ্যোতিষীর মতো কথা বলছেন।’

বয়সে সিনিয়র বিএনপি নেতা ড. আব্দুল মঈন খানের প্রতি সম্মান রেখে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান বলেন, ‘তিনি রাজনীতির বাইরে এখন জ্যোতিষীর দায়িত্বও পালন করা শুরু করেছেন। বঙ্গবন্ধু যখন দেশ পরিচালনা করছিলেন তখন মঈন খানের বাবা আবদুল মোমেন খান খাদ্য সচিব ছিলেন। খাদ্যবাহী জাহাজ ভারত মহাসাগর থেকে ফেরত যাওয়ার পেছনে তার বাবার কারসাজি ছিল, যাতে দেশে খাদ্য সংকট তৈরি হয়। খাদ্য সংকট তৈরি করে বঙ্গবন্ধুকে অজনপ্রিয় করার ক্ষেত্রে আব্দুল মোমেন খানের ভূমিকা ছিল। সেটির পুরস্কার স্বরূপ জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখল করার পর আবদুল মোমেন খানকে মন্ত্রীর মর্যাদায় খাদ্য উপদেষ্টা বানিয়েছিলেন। ৭৯ সালের নির্বাচনের পর আবদুল মোমেন খান সংসদে খাদ্যমন্ত্রী হিসেবে বক্তব্যে বলেছিল, খাদ্যের জন্য দরকার হলে দেশ বিক্রি করে দেবো। ওনারই সন্তান জনাব মঈন খান।’

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আজকে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে, বাংলাদেশের মানুষের স্বপ্নের বাস্তবায়ন ঘটাতে হলে, শেখ হাসিনার বিকল্প একমাত্র শেখ হাসিনা, এই দেশে আর কোনও বিকল্প নাই। তিনি জাতিকে স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন ডিজিটাল বাংলাদেশের। সেই স্বপ্নের বাস্তবায়ন ঘটেছে। ২০১৮ সালে আমাদের স্লোগান ছিল আমার গ্রাম আমার শহর। আজকে গ্রামগুলো শহরের মতো হয়ে গেছে, গ্রাম আর শহরের মধ্যে কোনও পার্থক্য নাই।’

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহাতাব উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইব্রাহীম হোসেন চৌধুরী বাবুল, খোরশেদ আলম সুজন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য শফিক আদনান, শফিকুল ইসলাম ফারুক, শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী প্রমুখ।

হিজবুল্লাহর হামলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির কথা স্বীকার ইসরায়েলের

0

লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর সঙ্গে সংঘাতের জেরে ইসরায়েলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট। তবে এই ক্ষয়ক্ষতি পুরোপুরি ‘বৃথা যায়নি’ বলেও দাবি করেছেন তিনি।

শুক্রবার (১৮ মে) রাজধানী জেরুজালেমে এক অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে গ্যালান্ট বলেন, ‘হিজবুল্লাহর সঙ্গে সংঘাতের জেরে যে আমাদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা অস্বীকারের কোনো উপায় নেই এবং আমরা এটা বুঝতে পারি; কিন্তু গত কয়েক মাসে যত সন্ত্রাসীকে (হিজবুল্লাহ) আমরা হত্যা করতে পেরেছি, সেই সাফল্যও তুচ্ছ নয়।’

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমি বরাবরই বলে আসছি আমাদের সব সময় যেকোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। এতদিন পর্যন্ত কেউ একে তেমন গুরুত্ব দেয়নি। ৭ অক্টোবরের পর সবাই বুঝতে পেরেছে যে আমরা কতখানি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছি। তবে আমরা কখনও পিছু হটব না। সন্ত্রাসীদের প্রতিটি হামলার জবাব আমরা দিব।’

দীর্ঘ দখলদারত্ব আর পশ্চিম তীরে নিরীহ ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদের প্রতিবাদে গেল বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন সামরিক অভিযান চালায় ফিলিস্তিনের গাজার শাসক গোষ্ঠী হামাস। ওই হামলায় ১ হাজার ২০০ জন ইসরায়েলি নিহত হন। এ ঘটনার প্রতিশোধ নিতে ওই দিন থেকেই গাজায় নির্বিচার হামলা শুরু করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।

গাজা উপত্যকায় গত ৭ মাস ধরে আইডিএফের প্রতিশোধমূলক হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

গত বছরের অক্টোবরে আইডিএফ প্রতিশোধমূলক হামলা শুরুর পর হামাসের প্রতি সংহতি জানিয়ে ইসরায়েল-লেবানন সীমান্ত থেকে উত্তর ইসরায়েলের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনাকে লক্ষ্য করে রকেট হামলা শুরু করে হিজবুল্লাহ।

হিজবুল্লাহর এসব হামলার জবাবে ইসরায়েল-লেবানন সীমান্তে ও লেবাননের অভ্যন্তরে পাল্টা হামলা চালাচ্ছে আইডিএফ। পাল্টা হামলায় এখন পর্যন্ত ২ শতাধিক হিজবুল্লাহ যোদ্ধা নিহত হয়েছেন।
খবর আনাদোলু এজেন্সি

সব নাগরিকের ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার রয়েছে : প্রধান বিচারপতি

0

প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, দেশের সব নাগরিকের ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার রয়েছে, এটি সংবিধানে নিশ্চিত করা হয়েছে। ন্যায়বিচার পাওয়া প্রত্যেক মানুষের মৌলিক অধিকার। আদালতে বিচারপ্রার্থীরা ন্যায়বিচার পাওয়ার জন্যই আসেন। আদালতের কর্তব্য হচ্ছে, বিচার প্রার্থী সব নাগরিকের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা। পাশাপাশি বিচারপ্রার্থীদের সব সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।

কক্সবাজার জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গণে আজ শনিবার সকালে বিচারপ্রার্থী জনগণের বিশ্রামাগার ন্যায়কুঞ্জ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

এ সময় প্রধান বিচারপতি কক্সবাজারে মাদক মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেন।

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সিনিয়র বিচারপতি এম এনায়েতুর রহিমসহ সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট ডিভিশনের বিচারপতিবৃন্দ, সুপ্রিম কোর্টের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, কক্সবাজারের জজ আদালতের বিচারক, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার এবং জেলা আইনজীবী সমিতির নেতারা এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

পরে প্রধান বিচারপতি কক্সবাজার চিফ জুডিশিয়াল কোর্ট এলাকা পরিদর্শন করেন।

করোনা : ২৪ ঘণ্টায় ১ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ১১

0

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৯ হাজার ৪৯৫ জনে। এসময় ৩১৮টি নমুনা পরীক্ষায় ১১ জনের শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৫০ হাজার ২৩৪ জনে।

শনিবার (১৮ মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১০ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১৭ হাজার ৭০৭ জন।

পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৩ দশমিক ৪৬ শতাংশ। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০৬ শতাংশ।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ঐক্য ও শক্তির প্রতীক : ধর্মমন্ত্রী

0

ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেছেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। এটি আমাদের ঐক্য ও শক্তির প্রতীক।

আজ শনিবার সকালে বরিশালে জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে পুরোহিত ও সেবাইতদের বিভাগীয় সম্মেলনে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।

ধর্মমন্ত্রী বলেন, আবহমানকাল থেকেই বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির পীঠস্থান। বিভিন্ন ধর্ম- গ্রোত্রের মানুষ এখানে মিলেমিশে বসবাস করে। উৎসব-পার্বনে সকল ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মানুষ আনন্দ ভাগাভাগি করে নেয়।

তিনি বলেন, আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের মূল চেতনার অন্যতম হলো অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ। স্বাধীনতার এই অম্লান চেতনাকে সামনে রেখেই বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশ পরিচালনা করে যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণে আমরা হাটি-হাটি, পা-পা করে আজ সম্মানজনক একটি জায়গায় পৌঁছাতে পেরেছি। বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ হতে মধ্য আয়ের দেশে রূপান্তরিত হয়েছে। বাংলাদেশ এখন শুধু স্বপ্ন দেখে না- স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে।

পুরোহিত ও সেবাইতদের উদ্দেশে মো. ফরিদুল হক খান বলেন, দেশ ও জাতির উন্নয়নে আপনাদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের সমাজে বিদ্যমান সামাজিক ব্যাধি ইভটিজিং, বাল্যবিবাহ, মাদকাসক্তি, দুর্নীতি, ভেজাল প্রভৃতি প্রতিরোধেও আপনারা তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন। এ ছাড়া সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য যেন কোনভাবেই বিনষ্ট না হয়- সেদিকে খেয়াল রাখবেন।

ধর্মমন্ত্রী আরও বলেন, দেশের উন্নয়নে আমাদের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা রয়েছে- রুপকল্প-২০৪১। এ ছাড়া জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে আমরা এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে দায়বদ্ধতা রয়েছে। আগামীদিনে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কল্যাণে আরো বেশি কাজ করার পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে।

স্থানীয় সরকারের পরিচালক খোন্দকার আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে ধর্ম সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সচিব ড. কৃষ্ণেন্দু কুমার পাল, উপপরিচালক (স্থানীয় সরকার) গৌতম বাড়ৈ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রেজওয়ান আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মো. ইউনুস ও হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি বীর মুক্তিযোদ্ধা অনিল কুমার দাস ও দোলা গুহসহ অন্যান্য ট্রাস্টি বক্তব্য দেন।

উল্লেখ্য, ধর্মীয় ও আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে পুরোহিত ও সেবাইতদের দক্ষতা বৃদ্ধিকরণ (২য় পর্যায়) প্রকল্পের আওতায় এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ প্রকল্পের অধীনে পুরোহিত ও সেবাইতদের নেতৃত্বদানের সক্ষমতা বৃদ্ধি, তাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ও আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি সংহত করতে উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়ে থাকে। এ ছাড়া আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল পুরোহিত ও সেবাইতকে ভাতা প্রদান করা হয়ে থাকে।