Home আন্তর্জাতিক করোনার ভয়ে পাঁঠার মাংস ও মুরগি বিক্রি কমেছে পশ্চিমবঙ্গে

করোনার ভয়ে পাঁঠার মাংস ও মুরগি বিক্রি কমেছে পশ্চিমবঙ্গে

111
0
SHARE

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে গত তিন সপ্তাহে মুরগি বিক্রি কমেছে ৪০ শতাংশ। পোলট্রি ফেডারেশনের একজন কর্মকর্তা জানান, করোনা ও মরফিন ভাইরাসের নাম জুড়ে ও রুগ্ন মুরগিদের ছবি পোস্ট করে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার শুরু হতেই শঙ্কা বাড়তে থাকে। বাধ্য হয়ে ভুয়া প্রচার রুখতে সাংবাদিকদের ডাকতে বাধ্য হয় তেহট্টের পুলিশ প্রশাসন।

তিনি আরো বলেন, পাঁঠার মাংষ খেলে করোনা আক্রান্তের শঙ্কা রয়েছে বলেও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে সতর্কবার্তা ছড়াতে থাকে।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ সবই মানুষের রটানো ভয়। করোনাভাইরাসের যা প্রকৃতি, তাতে তা নির্দিষ্ট কিছু বাদুড় ও সাপের মাধ্যমে ছড়াতে পারে। কিন্তু কিছুতেই মুরগির মাংসে তা আসতে পারে না। ভারতীয় মুরগির শরীরে এই ভাইরাস-বিষ থাকা অসম্ভব। তবে অসুখ ছড়ালে কিছু বাড়তি সতর্কতা আমরা সব সময় নিতে বলি। তাই কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে।

‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা’ (ডাব্লিউএইচও) ভারতীয়দের মাংস খাওয়ায় কোনো সমস্যা দেখছে না। সেখানেও বিশেষজ্ঞদের মতে, মাংস থেকে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারার দাবি ভুয়া ও ভিত্তিহীন। এমন আতঙ্ক না ছড়াতেও অনুরোধ করেছে ডাব্লিউএইচও।

নিয়ম মেনে চলার কথা বলছেন ভায়ারোলজিস্টরা। তাদের মতে, মুরগির মাংসে বা খাসির মাংস থেকে এই রোগ ছড়িয়ে পড়ার কথা একেবারেই ভিত্তিহীন। ভারতীয়রা যে ভাবে মাংস রান্না করে, তাতে যে কোনো ভাইরাসই অত আঁচে বাঁচে না। তবে যে কোনো ভাইরাস থেকে বাঁচার সহজ উপায় হলো, রান্নার সময় কিছু নিয়ম মেনে চলা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাংস কেনার পর খুব ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। অসুস্থ মুরগি বুঝলে তা কিনবেন না। করোনাভাইরাস না ছড়ালেও অন্য অসুখ দানা বাঁধতে পারে এতে।

রান্নার সময় ভাল করে সেদ্ধ করে নিন। প্যাকেটজাত মাংস বা ফুড চেনে কিনতে পাওয়া যায় যে সব মাংস, সেসবে প্রিজারভেটিভ মেশানো থাকে। করোনার ভয়ে নয়, প্রিজারভেটিভ থেকে হওয়া ক্ষতি আটকাতেই এ সব খাবেন না। ​কাজেই ভালো করে সেদ্ধ করে নিশ্চিন্তে খান মাংস।