Home অর্থ-বাণিজ্য করোনায় লণ্ডভণ্ড অর্থনীতি, নিরাপত্তা বাড়াতে ৮ পরামর্শ

করোনায় লণ্ডভণ্ড অর্থনীতি, নিরাপত্তা বাড়াতে ৮ পরামর্শ

805
0
SHARE

প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের প্রভাবে টালমাটাল বিশ্ব অর্থনীতি। করোনাভাইরাসের সংক্রমণে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও রাজস্ব আদায়, প্রবাসী আয়, আমদানি-রপ্তানিসহ অর্থনীতির সব সূচকই স্থবির। কবে নাগাদ সব কিছু স্বাভাবিক হয়ে উঠে, তা বলা অনিশ্চিত। তাই আগামী ২০২৪ সালের মধ্যে বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উন্নীত হওয়ার যে পরিকল্পনা রয়েছে, সেই সময় বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে সেরকারি গবেষণা সংস্থা সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম)।

কমপক্ষে তিন বছরের জন্য এলডিসি থেকে উত্তরণের সময়কাল বিলম্বিত করার পরামর্শ দিয়েছে সানেম। স্থবির হয়ে যাওয়া অর্থনীতিকে আগের জায়গায় ফিরিয়ে নিতে দুই বছর মেয়াদি পুনরুদ্ধার পরিকল্পনা গ্রহণ করতেও সরকারের কাছে প্রস্তাব তুলে ধরেছে সানেম। সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান বর্তমান পরিস্থিতিতে অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার পরিবর্তে দুই বছর মেয়াদি পুনরুদ্ধার পরিকল্পনা গ্রহণ করার পরামর্শ দিয়েছেন।

তিনি সুনির্দিষ্টভাবে আট দফার কথা উল্লেখ করেছেন। প্রথম দফায় তিনি বলেছেন, আগামী জুলাই থেকে শুরু হতে যাওয়া অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার পরিবর্তে দুই বছর মেয়াদি পুনরুদ্ধার পরিকল্পনা নেওয়া যেখানে মূল উদ্দেশ্য হবে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসের অবস্থানে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া। দ্বিতীয় দফা হবে, অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার বাস্তবায়নের সময় দুই বছর পিছিয়ে ২০২২ সালে নিয়ে যাওয়া। অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা নতুনভাবে প্রণয়ন করা। এই পরিকল্পনার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রাসঙ্গিকতা হারিয়েছে।

তৃতীয় দফায় সেলিম রায়হান বলেন, তৈরি পোশাক খাতসহ অন্যান্য রপ্তানিমুখী শিল্প এবং অভ্যন্তরীণ বাজার-নির্ভর খাত ও এসএমই খাতে সহায়তা দেওয়ার জন্য রাজস্ব উদ্দীপক (ফিসক্যাল স্টিমুলাস) প্যাকেজ ও মুদ্রাবিষয়ক নীতি প্রণয়ন করা। চতুর্থ দফায় বলা হয়েছে, দরিদ্র, অতি দরিদ্র প্রান্তিক জনগোষ্ঠী এবং বর্তমান পরিস্থিতে আকস্মিকভাবে অসহায় হয়ে পড়া মানুষদের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতা ও পরিমাণ উলে­খযোগ্যভাবে বাড়ানো। পঞ্চম দফায় সানেম বলেছে, বাণিজ্য, কর কাঠামো এবং ব্যাংকিং খাতে ,রাজনৈতিকভাবে বাস্তবায়নযোগ্য’ কিছু নীতি সংশোধন করা। ষষ্ঠ দফা সেলিম রায়হান বলেন, রাজস্ব উদ্দীপনা (সরকারি ব্যয় বৃদ্ধি ও কর কমানো) বাস্তবায়ন এবং মুদ্রাবিষয়ক নীতিকে সহজ করার জন্য অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক উৎস থেকে অর্থ সংগ্রহের উপায় বের করা।

সপ্তম দফায় বলা হয়, কমপক্ষে তিন বছরের জন্য এলডিসি থেকে উত্তরণের সময়কাল বিলম্বিত করা। শেষ পরামর্শ হিসেবে সানেম টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বা এসডিজি অর্জনের সময়কাল ২০৩০ থেকে বাড়িয়ে ২০৩৫ এ নিয়ে যাওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক মহলে জোর প্রচেষ্টা চালানো কথা বলেছেন।