Home বিনোদন স্মিথের কাছেই সিরিজ হারল ভারত

স্মিথের কাছেই সিরিজ হারল ভারত

94
0
SHARE

শুক্রবার যেখানে থেমেছিলেন রবিবার ঠিক সেখান থেকেই যেন শুরু করেন স্টিভ স্মিথ। সিডনিতে প্রথম ওয়ানডেতে ১০৫ রানের পর এদিন তার চেয়ে এক রান কম করেছেন এই ব্যাটসম্যান। তবে দলীয় সংগ্রহে গত ম্যাচের চেয়ে স্কোরবোর্ডে ১৫ রান বেশি তুলেছিল অস্ট্রেলিয়া। স্মিথের ২৬তম ওয়ানডে সেঞ্চুরির দিনে স্বাগতিকরা স্কোরবোর্ডে যোগ করে ৪ উইকেটে ৩৮৯ রান।

প্রথম ম্যাচে উদ্বোধনী জুটিতে অস্ট্রেলিয়া পেয়েছিল ১৫৬ রান। রবিবার ডেভিড ওয়ার্নার-অ্যারন ফিঞ্চ মিলে তোলেন ১৪২ রান। গত ম্যাচে সেঞ্চুরি পাওয়া ফিঞ্চ এদিন ফিরেছেন ৬০ রানে মোহাম্মদ শামির বলে। দলীয় ১৫৬ রানে সময়ে ডেভিড ওয়ার্নার বিদায় নেন ৮০ রানে।

এরপরই শুরু হয় স্মিথের ম্যাজিক। গেল ম্যাচে ৬২ বলে সেঞ্চুরি পাওয়া এই ব্যাটসম্যান এদিনও একই সমান বল খেলে পৌঁছেছেন মাইলফলকে। আউট হওয়ার আগে মার্নাস ল্যাবুশেনের সঙ্গে যোগ করেন ৯৫ বলে ১৩৬ রান। এই নিয়ে টানা পাঁচ ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে ৫০ ঊর্ধ্ব ইনিংস খেললেন এই ব্যাটসম্যান।

১০৪ রানে স্মিথ ফিরলেও ঝড় তোলেন ম্যাক্সওয়েল এবং ল্যাবুশেন। ভারতের বোলারদের নাকানি-চুবানি খাইয়ে দুজন মিলে যোগ করেন ৪৫ বলে ৮০ রান। ৬১ বলে ৬০ করে ল্যাবুশেন ফিরলেও তাণ্ডব চালিয়ে যান ম্যাক্সওয়েল। গেল ম্যাচে ১৯ বলে ৪৫ করা এই ব্যাটসম্যান এদিন করেন ২৯ বলে ৬৩।

এই ম্যাচে ওয়ানডে ইতিহাসে তৃতীয়বারের মতো কোনো দলের টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের ৫জনই হাফ সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন। এর আগে যে রেকর্ডটি ছিল পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কার। ২০০৮ সালে সর্বপ্রথম জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এই রেকর্ড গড়েছিল পাকিস্তান।

৩৯০ রানের পাহাড় টপকাতে গিয়ে শিখর ধাওয়ান এবং মায়াঙ্ক আগারওয়ালের ব্যাটে ভালো শুরু পায় ভারত। তবে পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার আগেই ফেরেন দুই ওপেনার। ৩০ রানে ধাওয়ানকে ফেরান হ্যাজেলউড, ২৮ রানে কামিন্সের বলে ফেরেন মায়াঙ্ক।

এরপর বিরাট কোহলি এবং শ্রেয়াস আইয়ার মিলে হাল ধরেন ভারতের। এই জুটিতে ৮৮ বলে দুজন যোগ করেন ৯৩ রান। স্মিথের অসাধারণ ক্যাচে আউট হওয়ার আগে আইয়ারের ব্যাট থেকে আসে ৩৮ রান। পাঁচে নামা লোকেশ রাহুলকে নিয়ে তারপরও রানের চাকা সচল রাখেন কোহলি।

তুলে নেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৫৯তম হাফ সেঞ্চুরি। মাইলফলকে পৌঁছে থেমে যাননি এই ব্যাটসম্যান। এগোচ্ছিলেন সেঞ্চুরির পথেই। তবে কোহলিকে ৪৪তম সেঞ্চুরি করতে দেননি জশ হ্যাজেলউড। ৮৭ বলে ৮৯ করে ফেরেন ভারতের এই অধিনায়ক।

অপরপ্রান্তে থাকা রাহুল হাফ সেঞ্চুরি পূরণের পর অ্যাডাম জাম্পার বলে ৭৬ রানে ফিরলে শেষ ৩০ বলে সফরকারীদের প্রয়োজন হয় ৮৬ রান। সেখান থেকে আর দলকে জয়ের বন্দরে নিতে পারেননি হার্দিক পান্ডিয়া এবং রবীন্দ্র জাদেজা। ৪৭তম ওভারে কামিন্সের টানা দুই বলে ফেরেন এই দুই অলরাউন্ডার।

সে সময় ভারতের পরাজয়টা শুধু হয়ে দাঁড়ায় সময়ের ব্যাপার। নিচের দিকের ব্যাটসম্যানরা নিয়মিত আসা-যাওয়া করলে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ৩৩৮ রান স্কোরবোর্ডে তুলতে সক্ষম হয় ভারত। তাতে ৫১ রানের জয় পায় অস্ট্রেলিয়া।

এই ম্যাচে দিয়ে টানা ৫ ওয়ানডেতে হারের স্বাদ পেল বিরাট কোহলির দল। সেই সঙ্গে ওয়ানডে সিরিজও হারতে হল তাদের। এর আগে সর্বশেষ অস্ট্রেলিয়া সফরে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পরেও সিরিজ জিতেছিল ভারত। চলতি সিরিজের শেষ ওয়ানডেটি অনুষ্ঠিত হবে ২ ডিসেম্বর ক্যানবেরায়।

সক্ষিপ্ত স্কোর:

অস্ট্রেলিয়া- ৫০ ওভারে ৪/৩৮৯ (স্মিথ ১০৪, ওয়ার্নার ৮০) (হার্দিক ১-২৪)
ভারত- ৫০ ওভারে ৯/৩৩৮ (কোহলি ৮৯, রাহুল ৭৬) (কামিন্স ৩-৬৭)