Home Blog Page 3539

ভারতে আবরো শিরোনাম তিন তালাক

0

গত বুধবার দেশটির রায়গঞ্জের গৌরী গ্রাম পঞ্চায়েতে এক বধূকে মারধর করে তিন তালাক দেন তার স্বামী। পরে আজ বৃহস্পতিবার সকালে নুরবানুর (২৫) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

গত মঙ্গলবারই দেশের সংসদে পাশ হয়েছে তিন তালাক বিল। তার ঠিক একদিনের মধ্যেই এই ঘটনা ঘটল। ধারণা করা হচ্ছে, ওই গৃহবধূর স্বামী তিন তালাক বলাতেই অভিমান করে আত্মহত্যা করেছেন। তবে খুনের সন্দেহও গাঢ় হচ্ছে। কারণ বুধবারই নাকি তিন তালাকের হুমকি পেয়ে কাতর হয়ে ওই গৃহবধূ ফোন করেছিলেন তারা মাকে। তাকে মেরে ফেলা হতে পারে এমনই আশঙ্কার কথা জানিয়েছিলেন।

ভারতীয় স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, দক্ষিণ বিষ্ণপুর গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ সুন্দরলাল। তাস (প্লেয়িং কার্ড) খেলা নিয়ে প্রায় দিনই স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া লেগে থাকতো। স্ত্রী তাস খেলার বাধা দেওয়ায় বুধবার রাতে স্ত্রীকে মারধর করে সুন্দরলাল। পাশাপাশি গ্রামবাসীদের সামনেই স্ত্রীকে তিন তালাক দেন। পরে বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ির পাশের একটি গাছ থেকে তার স্ত্রী নুরবানুর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এদিকে প্রতিবেশীদের অভিযোগ, মারধরের পর শ্বাসরোধ করে নুরবানুকে খুন করে সুন্দরলাল ও তার বাবা-মা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। ঘটনার পর থেকেই পলাতক ওই বধূর স্বামী শ্বশুর ও শাশুড়ি।

স্থানীয় পুলিশ জানায়, নুরকে হত্যা করা হয়েছে, নাকি সর্বসমক্ষে স্বামী তিন তালাক দেওয়ায় সে অভিমানে আত্মঘাতী হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আমরা দু’রকম অভিযোগই পেয়েছি।

বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র গাছ লাগাবেন গাছ লাগাবেন যত ভোটে জয়, সমান সংখ্যক

0

ভারতের বিভিন্ন স্থানে পানির তীব্র সঙ্কট দেখা দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গেও বৃষ্টির দেখা নেই। বৃষ্টির অপেক্ষায় চাতক পাখির মতো চেয়ে আছে বাঁকুড়াও। আর এরই মধ্যে অভিনব পন্থা অবলম্বন করলেন বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুর কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ।

তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন সৌমিত্র। তাতেও বিষ্ণুপুর কেন্দ্র থেকে তার জয় আটকে থাকেনি। বিষ্ণুপুর কেন্দ্র থেকে এবার ৭৮ হাজার ৪৭ ভোটে জিতেছেন তিনি।

ভোটে জেতার পর নিজ এলাকায় সমান সংখ্যক গাছ লাগানোর প্রতিশ্রুতি দিলেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ। ঘটনাচক্রে দীর্ঘ সাত মাস পর আদালতের অনুমতিতে বাঁকুড়ায় প্রবেশ করতে পেরেছেন তিনি।

বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে একটি দলীয় সভায় যোগ দেন বিজেপির এই সাংসদ। তার পর আদিবাসী এক পরিবারে মধ্যাহ্নভোজ সারেন তিনি। তার সঙ্গে ছিলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়।

মধ্যাহ্নভোজ সেরে গ্রামে চারা গাছ রোপণ করেন বিষ্ণুপুরের এই সাংসদ। কোদাল হাতে মাটি খুড়ে নিজেই গাছ লাগান। বিজেপি নেতা মুকুল রায়ও গাছ লাগান।

এর পরই গাছ লাগানোর ব্যাপারে অভিনব প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। যত ভোটে জিতেছেন, সমান সংখ্যক গাছ লাগিয়ে তিনি নিজের সাংসদ এলাকার মানুষের ঋণ শোধ করতে চান বলে মন্তব্য করেন সৌমিত্র।

ছয় মাসের মধ্যে তিনি নিজের লোকসভা এলাকায় এই কাজ করবেন বলে জানান। বেশি করে গাছ লাগানো এবং পানির অপচয় বন্ধ করারও আবেদন জানান বিজেপি সাংসদ।

তিনি বলেন, বিষ্ণুপুরের ১৬ লাখ মানুষ ভালো থাকবেন, এটাই আমার অঙ্গীকার। গাছ থাকলে আমরা থাকব। গাছকে ভালোবাসলেই তা আমাকে ভালোবাসা হবে।

রাজনৈতিক মতাদর্শ নিয়ে পার্থক্য থাকতেই পারে। কিন্তু বিষ্ণুপুরের সাংসদের এই উদ্যোগকে অনুসরণ করতে পারেন ভারতের অন্য সাংসদরাও।

ক্যামব্রিজের ছাত্রীর ঝাঁপ ৩,৫০০ ফুট ওপর থেকে

0

ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী প্লেনের দরজা খুলে ঝাঁপিয়ে পড়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। মাদাগাস্কার ভ্রমণের সময় তিনি প্লেন থেকে ঝাঁপিয়ে পড়েন।

১৯ বছর বয়সী ওই ছাত্রীর নাম আলানা কাটল্যান্ড। তিনি ব্রিটেনের নাগরিক। একটি সেসনা প্লেনে ভ্রমণ করার সময় ৩,৫০০ ফুট ওপরে থেকে নীচে ঝাঁপিয়ে পড়েন আলানা কাটল্যান্ড।

তদন্তকারীরা বলছেন, ছাত্রীটি ৫ বার প্যারানোইয়াতে আক্রান্ত হয়েছিলেন।

জানা গেছে, আলানা প্লেনটি থেকে লাফিয়ে পড়ার আগে সহযাত্রী ব্রিটিশ পর্যটক রুথ জনসনের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করেছিলেন। তিনি বেশ কয়েক মিনিটের জন্য আলানাকে প্লেনে আটকে রাখার চেষ্টা করেছিলেন।

সে সময় ছোট্ট প্লেনটি বাতাসে কাঁপছিল। জনসনে এবং পাইলট আলানার পায়ে জড়িয়ে ধরে তাকে ঝাঁপিয়ে পড়া থেকে আটকাতে চেয়েছিলেন ।

স্থানীয় পুলিশরা জানিয়েছেন, মেয়েটি তাকে মুক্ত করে প্লেন থেকে ভারত মহাসাগরের একটি দ্বীপের ওপরে ঝাঁপিয়ে পড়তে সমর্থ হয়েছে।

পুলিশ এবং স্থানীয়রা প্রত্যন্ত আনালালভা অঞ্চলে তার মরদেহের সন্ধানে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে।

তবে তারা আশঙ্কা করছেন, প্রত্যন্ত এলাকা হওয়ার কারণে তাকে আর কখনও খুঁজে পাওয়া সম্ভব হবে না।

পুলিশ জানায়, সেসনা সি-১৬৮ প্লেনটি অঞ্জাজবি থেকে জনসন, আলানা এবং পাইলটসহ তিনজনকে নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল। প্লেনটি উড্ডয়নের ১০ মিনিট পরে আলানা তার সিটবেল্টটি সরিয়ে ফেলেন। এরপর তিনি প্লেনের ডান পাশের দরজাটি খুলে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।

পুলিশ বলছে, জনসন তাকে ধরে রাখার চেষ্টা করে পাঁচ মিনিট ধরে লড়াই করেছিলেন। কিন্তু যখন ক্লান্ত হয়ে দম ফুরিয়ে গেল তখন আর বাধা দিতে পারেন নি।

আলানা তখন ইচ্ছাকৃতভাবে প্লেনটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১১৩০ মিটার ওপরে থাকা অবস্থায় ঝাঁপিয়ে পড়েন। তিনি এমন এক জায়গায় ঝাঁপিয়ে পড়েছেন যা ‘কার্নিভোরাস ফোস্সা’ অঞ্চল হিসেবে পরিচিত।

আলানার গবেষণা সংক্রান্ত ৬ সপ্তাহব্যাপী একটি প্রোগ্রামে অংশ নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এই ঘটনার ৮ দিন পর তার বাবা আলিসন এবং মা নেইল কাটল্যান্ডের কথামতো তা বন্ধ করে দেওয়া হয়।

গতকাল এক বিবৃতিতে আলানার বাবা-মা তাদের মেয়ের উদ্দেশে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।

এক বিবৃতিতে তারা বলেছেন, আমাদের কন্যা আলানা একজন উজ্জ্বল ও স্বাধীনচেতা তরুণী ছিল। আলানাকে যারা চিনতো সবাই তাকে ভালোবাসে ও সম্মান করে।

ওই বিবৃতিতে তারা জানান, আলানা সর্বদা তার পরিবার ও বন্ধুদের প্রতি অত্যন্ত সদয় ও সহায়ক ছিল। যার ফলস্বরূপ তার জীবনে বিভিন্ন স্তরের মানুষের বিস্তৃত যোগাযোগ ছিল।

বাবা-মা বলেছেন, আলানা তার অ্যাডভেঞ্চারের অনুভূতি দিয়ে প্রতিটি সুযোগকে উপলব্ধি করেছিল। সর্বদা সর্বোত্তম উপায়ে তার জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা প্রসারিত করার চেষ্টা করেছিল সে।

তারা বলেন, আলানা প্রতিভাবান নৃত্যশিল্পী ছিল। সে দারুণ প্রতিভাধর এবং সৃজনশীল ছিল। বিশ্বের বিভিন্নস্থানে অনুসন্ধানের জন্য তার প্রবল আকাংখা ছিল। জীবনের প্রতিটি সেকেন্ডের সর্বাধিক ব্যবহার করেছে সে।

আলানার বাবা-মা বলেছেন, আমাদের অপূর্ব সুন্দর মেয়েটিকে হারিয়ে আমাদের হৃদয় ক্ষতবিক্ষত হয়ে পড়েছে।

জানা গেছে, আলানা প্রাণী জীববিজ্ঞান প্রকল্পে উপকূলের কাঁকড়া সংক্রান্ত বিষয়ে গবেষণারত ছিলেন। এই গবেষণার খরচ নিজেই যুগিয়েছিলেন তিনি। তবে তিনি ৫ বার প্যারানোইয়া নামে রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন।

সূত্র : দ্য সান

বিশেষজ্ঞ আনা হচ্ছে ভারত থেকে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে

0

ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ভারত থেকে বিশেষজ্ঞ আনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।

আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের মেয়র ও বিশিষ্ট চিকিৎসকদের নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

আতিকুল ইসলাম বলেন, কলকাতায় ডেঙ্গু নিয়ে যিনি কাজ করেছেন, তার নাম অনিক ঘোষ। আমি তাকে ফোন করেছিলাম। তিনি বলেছিলেন, আমাকে আমন্ত্রণপত্র পাঠান। আমি বুধবার রাত ১০ টায় আমন্ত্রণপত্র পাঠিয়েছি। আগামী রোববার অনিক ঘোষ বাংলাদেশে আসবেন বলে কথা দিয়েছেন।

যত দ্রুত সম্ভব কার্যকর মশক নিধন নতুন ওষুধ আনা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আমাদের সততার কমতি নেই। তবে, অভিজ্ঞতার ঘাটতি আছে। আমি মনে করি, ডেঙ্গু রোগের জন্য অবশ্যই ৩৬৫ দিনই গবেষণা করতে হবে। এটা সিজনাল না, যেকোনো সময় আসতে পারে। তাই এটি নিয়ে জাতীয়ভাবে একটি গবেষণা কেন্দ্র তৈরি করা দরকার।

বৈঠকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মূখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাচিপ সভাপতি ডা. ইকবাল আর্সনাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

চারজনের মৃত্যু ডেঙ্গুতে

0

ডেঙ্গু নিরাপদ সর্বশেষ জেলাটি ছিল নেত্রকোনা। গতকাল বুধবার ছোট্ট এ জেলা শহর থেকেও এসেছে দুঃসংবাদ। দেরিতে হলেও নেত্রকোনায় মিলেছে পাঁচ ডেঙ্গু রোগী। এর ফলে দেশের ৬৪ জেলার সব কটিতেই ঢুকে পড়ল ডেঙ্গু। গতকাল সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, সারা দেশে ১৭ হাজার ১৮৩ জন মানুষ ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়েছে।

গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় আরো এক হাজার ৪৭৭ জন নতুন ডেঙ্গু রোগী দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে, এর মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ভর্তি হয়েছে ৯২৮ জন।

তবে মৃত্যুর হিসাব গণনায় এখনো লুকোচুরি করছে অধিদপ্তরটি। তাদের কাগজ-কলমের হিসাব ১৪ জনের মৃত্যু মেনে নিলেও বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবর বলছে, এ মৌসুমে ডেঙ্গুতে মৃত্যু ৫০ ছাড়িয়েছে। গতকালও রাজধানী ঢাকা ও বরিশালে তিন নারীসহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে একজন নারী পুলিশ কর্মকর্তাও রয়েছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, এডিস মশার প্রজনন স্থানগুলো ধ্বংসে সফলতা পাওয়া না গেলে ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব আরো বাড়তে পারে।

এদিকে এ রোগের এমন ভয়ানক বিস্তারের প্রেক্ষাপটে ডেঙ্গু পরীক্ষা বিনা মূল্যে করতে হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

ঢাকা ও বরিশালে আরো চারজনের মৃত্যু : ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা ও বরিশালে আরো চারজনের মৃত্যু হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর লালমাটিয়ার সিটি হাসপাতালে মারা যান পুলিশের এসআই কোহিনুর আক্তার (৩২)। তিনি পুলিশের বিশেষ শাখায় (এসবি) কর্মরত ছিলেন। এসবির ডিআইজি (পলিটিক্যাল) মাহবুব হোসেন জানান, কোহিনুর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে কয়েক দিন আগে রাজারবাগ পুলিশ লাইনস হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। পরে গত সোমবার রাতে তাঁকে লালমাটিয়ার সিটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। মঙ্গলবার রাত ১টার দিকে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। কোহিনুরের বাড়ি টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে।

এদিকে ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল থেকে গতকাল বুধবার দুপুরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রবিউল ইসলাম রাব্বিকে (২২) ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ঢাকা মেডিক্যাল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আব্দুর রহমান খান জানান, রাব্বির বাসা রাজধানীর শেওড়াপাড়ায়। তিনি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। সেখান থেকে গতকাল দুপুরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আনার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়।

গৌরনদী (বরিশাল) প্রতিনিধি জানান, গৌরনদীতে গত মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আলেয়া বেগম (৫০) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি আশোকাঠি গ্রামের মান্নান ফকিরের স্ত্রী। আলেয়ার স্বজনরা জানায়, ঢাকার খিলগাঁও এলাকায় আলেয়া তাঁর এক আত্মীয়র বাসায় বেড়াতে যান। ঢাকা থেকে গত সোমবার তিনি যখন এলাকায় আসেন তখন তাঁর প্রচণ্ড জ্বর ছিল। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে পরীক্ষা করানো হলে তাঁর ডেঙ্গু ধরা পড়ে। পরে রাত ১০টার দিকে গৌরনদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক মাহাবুবুল আলম মির্জা জানান, আলেয়া বেগমকে হাসপাতালে আনার আগেই মারা গেছেন।

এদিকে শরীয়তপুর প্রতিনিধি জানান, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে শরীয়তপুরের জাজিরার জব্বার আকনকান্দি গ্রামের বর্ষা আক্তার (২৮) নামের এক নারী গত মঙ্গলবার রাতে ঢাকার একটি হাসপাতালে মারা গেছেন। তিনি জাজিরার শাহেদ আলী মাদবরকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ছিলেন। বর্ষা আক্তার গত ১৮ জুলাই জ্বরে আক্রান্ত হন। প্রথম দিকে তিনি তেমন গুরুত্ব দেননি। জ্বর নিয়েই বিদ্যালয়ে যেতেন। বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে গত ২৫ জুলাই পরিবারের সদস্যরা তাঁকে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। সেখানে চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে তাঁর শরীরে ডেঙ্গুর আলামত পান। তাঁরা তাঁকে ঢাকায় নিয়ে উন্নত চিকিৎসা দেওয়ার পরামর্শ দেন। পরের দিন তাঁকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু সেখানে তাঁকে ভর্তি করানো সম্ভব হয়নি। স্বজনরা গত শনিবার তাঁকে ঢাকার সাইনবোর্ড এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে তাঁকে কয়েক দফায় ১০ ব্যাগ রক্ত দেওয়া হয়। তাঁর অবস্থার ক্রমেই অবনতি হতে থাকে। গত মঙ্গলবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

নেত্রকোনাও বাদ রইল না : আমাদের নেত্রকোনা প্রতিনিধি জানান, এত দিন নিরাপদে থাকা নেত্রকোনায়ও ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। নেত্রকোনার সিভিল সার্জন ডা. তাজুল ইসলাম জানান, গত মঙ্গলবার ঢাকায় বসবাসকারী পাঁচজন নেত্রকোনায় আসে। গতকাল বুধবার শহরের বিভিন্ন প্রাইভেট হাসপাতাল ও ক্লিনিকে পরীক্ষা শেষে তাদের পাঁচজনেরই ডেঙ্গু ধরা পড়ে। আক্রান্তরা হলো নেত্রকোনার সাতপাই এলাকার কামাল মিয়ার ছেলে মামুন (১৩), কুরপাড় এলাকার সুরুজ আলীর ছেলে মফিজুল ইসলাম (৩৭), নেত্রকোনা সদর উপজেলার সুকন্দিয়া গ্রামের মতি মিয়ার ছেলে শাহজাহান (২৬), কলমাকান্দার চান মিয়ার ছেলে ওয়াজিব (১৮) এবং মোহনগঞ্জের দৌলতপুর গ্রামের আব্দুল হেকিমের মেয়ে রিমু আক্তার (১৭)।

সরকারি হিসাবেও মৃত্যু বেড়েছে : কয়েক দিন ধরেই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত মানুষের মৃত্যু নিয়ে সরকারি ও বেসরকারি তথ্যে কয়েক গুণ ব্যবধান চলছে। সরকারি হিসাবে মৃত্যু আটজনেই আটকে ছিল কয়েক দিন, তবে গতকাল বুধবার ওই সংখ্যা বেড়ে ১৪ জনে উঠেছে। এর মধ্যে ১৩ জনেরই মৃত্যু হয়েছে বেসরকারি হাসপাতালে আর মাত্র একজনের মৃত্যু হয়েছে একটি সরকারি হাসপাতালে। অন্যদিকে এই ১৪ জনের মধ্যে ১০ জনই মারা গেছে জুলাই মাসে। তবে সরকারি কন্ট্রোল রুমের এ তথ্যের বাইরে শুধু ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেই ১০ জনের মৃত্যুর তথ্য রয়েছে ওই হাসপাতালের তালিকায়। এ ছাড়া বরিশালে গত দুই দিনে তিনজন মারা গেছে। এ ছাড়া ঢাকা শিশু হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, মিটফোর্ড হাসপাতাল, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, ঢাকার বেসরকারি স্কয়ার হাসপাতালে কয়েকজন করে মৃত্যুর তথ্য রয়েছে ওই হাসপাতালগুলোর নিজস্ব তথ্য তালিকায়। সব মিলিয়ে গতকাল পর্যন্ত ওই সংখ্যা ৫৫ জনে দাঁড়িয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্র দাবি করেছে।

ডেঙ্গু রোগের পরীক্ষা বিনা মূল্যে করার আহ্বান : এদিকে ডেঙ্গু রোগের পরীক্ষা হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে বিনা মূল্যে করার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। গতকাল বুধবার রাজধানীর ধানমণ্ডি লেক পারে আওয়ামী লীগের মশা নিধন ও সচেতনতামূলক প্রচার অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘গরিব মানুষের পক্ষে পাঁচশ-হাজার টাকা দিয়ে এই রোগের রক্ত পরীক্ষা করার অবস্থা নেই। তাই চিকিৎসকদের বলব মানবতার স্বার্থে নামমাত্র ১০০ টাকা অথবা বিনা পয়সায় রক্ত পরীক্ষা করুন। রক্ত পরীক্ষার কাজটি স্বাচিপ ও বিএমএ বিনা পয়সায় করার ব্যবস্থা করবে বলে আশা করছি।’ তিনি আরো বলেন, ‘আজ পুরো জাতি ডেঙ্গুর ভয়ংকর বিস্তারে উদ্বিগ্ন। এই প্রাণঘাতী ডেঙ্গুকে আমরা চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি।’ ওবায়দুল কাদের মানবিক প্রয়োজনে ডেঙ্গু রোগীদের রক্ত দিতে সবাইকে এগিয়ে আসারও অনুরোধ করেন।

এদিকে ‘শেখ হাসিনার নির্দেশ ডেঙ্গুমুক্ত বাংলাদেশ’, ‘শেখ হাসিনার নির্দেশ পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ’ স্লোগান নিয়ে গতকাল বুধবার থেকে ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের তিন দিনের কর্মসূচি শুরু হয়েছে। সারা দেশে একযোগে সব জেলা, মহানগর, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে তিন দিনব্যাপী এই কর্মসূচি চলবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ সম্মেলন : মশার প্রজননস্থল নির্মূলে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক সেব্রিনা ফ্লোরা। গতকাল বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান জানান। সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, ‘যত রকম ওষুধই ব্যবহার করি না কেন যদি সোর্স রিডাকশন না হয় এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ করা অসম্ভব। যদি সোর্স রিডাকশনে আমরা সবাই মিলে কাজ না করি তাহলে ট্রেন্ড থামানো যাবে না। সেদিক থেকে প্রত্যেক নাগরিককে সচেতন করার দায়িত্ব আমাদের সবার। সেটা না হলে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়বে। পরে আস্তে আস্তে কমে আসবে।’

ডেঙ্গু পরীক্ষায় প্রয়োজনীয় রি-এজেন্টের সংকট দেখা দেওয়ায় জরুরি ভিত্তিতে ৫০ হাজার এনএসওয়ান কিট আমদানি করা হচ্ছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক সানিয়া তহমিনা, জাতীয় ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির ডেপুটি প্রগ্রাম ম্যানেজার এম এম আক্তারুজ্জামান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আয়েশা আক্তার প্রমুখ।

ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে হবে গবেষণা কেন্দ্র : ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে একটি কেন্দ্রীয় গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম। রাজধানীর নর্থ সাউথ ইউনির্ভাসিটিতে গতকাল বুধবার ‘বাংলাদেশে ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ’ শীর্ষক সভায় এ কথা জানান তিনি। সভায় মেয়র বলেন, ‘ডেঙ্গু এখন জাতীয় সমস্যা। এ সমস্যা সমাধানে সবাইকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। সরকার ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে একটি কেন্দ্রীয় গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন করছে; যার মাধ্যমে স্থায়ীভাবে এ সমস্যার সমাধানের চেষ্টা চালানো হবে।’

সম্মিলিত উদ্যোগের বিকল্প নেই : ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন বলেছেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে সম্মিলিত উদ্যোগের বিকল্প নেই। ডেঙ্গু সারা দেশে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে। দিন দিন পরিস্থিতি জটিল হচ্ছে। গতকাল বুধবার ঢাকা মহানগর মহিলা কলেজের আয়োজনে ডেঙ্গু প্রতিরোধ সমাবেশ ও শোভাযাত্রায় তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। নগর কর্তৃপক্ষ সর্বশক্তি দিয়ে এ রোগ মোকাবেলায় ঝাঁপিয়ে পড়েছে। জনগণও ধীরে ধীরে এ বিষয়ে সচেতন হচ্ছে।

মাঠে নামছে মেডিক্যাল শিক্ষার্থীরা : ডেঙ্গু রোগ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে বিভিন্ন ধরনের প্রচারণা নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার থেকে মাঠে নামছে সব মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থীরা। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উদ্যোগে এ কমর্সূচি হাতে নেওয়া হয়েছে বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার নিয়মিত ব্রিফিংয়ে জানানো হয়েছে।

শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ দেবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর : ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার উৎপত্তিস্থল ধ্বংসে প্রশিক্ষণ দিতে ঢাকা শহরের সব প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের দুই লাখ শিক্ষার্থীর কাছে যাবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ৪০০ কর্মী। তারা ডেঙ্গুর উৎসস্থল নির্মূল কিভাবে করা যায় সে বিষয়ে শিশুদের প্রশিক্ষণ দেবে।

ঢামেক হাসপাতালের উদ্যোগ : ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা আরো বাড়লে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের নির্মাণাধীন ভবনে একটি ইউনিট খুলে চিকিৎসা দেওয়া হবে। প্রয়োজনে হাসপাতালের পুরনো ভবনও ব্যবহার করা হবে। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন গতকাল বুধবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান।

ব্যাংকগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান : ডেঙ্গু আক্রান্ত দরিদ্র ও অসহায় রোগীদের চিকিৎসা সহায়তায় ব্যাংকগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গতকাল বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের এক সার্কুলারে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।

লঞ্চের টিকিট বিক্রি হচ্ছে কাউন্টার ছাড়াই

0

ঈদযাত্রায় বিভিন্ন লঞ্চের অগ্রিম টিকিট বিক্রির জন্য বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিওটিএ) লঞ্চ মালিকদের কাউন্টার থেকে অগ্রীম টিকিট বিক্রির জন্য বলেছিল। তবে বাস্তবে কাউন্টারে না বসেই অন্যান্য উপায়ে টিকিট বিক্রি করছে বিভিন্ন লঞ্চ কর্তৃপক্ষ। ফলে যাত্রীদের বিভ্রান্তি কাটছে না। এতে অনেক লঞ্চ কর্তৃপক্ষ অনিয়ম করলেও তা প্রকাশ্যে আসছে না।

এবার ঈদ সামনে রেখে বিআইডব্লিওটিএ ও ঢাকা নদীবন্দর কর্তৃপক্ষ লঞ্চ মালিকদের অনুরোধ করে নতুন টার্মিনালে (বরিশালগামী লঞ্চের টার্মিনাল) অবস্থিত স্থায়ী টিকিট কাউন্টারে বসে লঞ্চের আগাম টিকিট বিক্রি করতে। তবে প্রতি বছরের মতো এবারও কাউন্টারে বসেননি তারা।

বাস্তবে দেখা যায়, এবারো বসছে না কাউন্টারে অগ্রিম টিকিট বিক্রির কোনো কার্যক্রম। তাই প্রচলিত নিয়মে লঞ্চের পাটাতনে নিজস্ব ভঙ্গিমায় বিক্রি চলবে ঈদের অগ্রিম টিকিট।

এবার সব লঞ্চ কোম্পানিই নিজেদের টিকিটের অন্তত ৩০ শতাংশ টিকিট অনলাইনে বিক্রি করবে বলে বিআইডব্লিওটিএকে জানিয়েছে।

দুই বছর আগে সদরঘাটের নতুন টার্মিনাল নির্মাণের পর সেখানে টিকিট কাউন্টার স্থাপন করা হয়েছে। তবে সেখানে টিকিট বিক্রি করে না লঞ্চ কোম্পানিগুলো। ফলে টিকিট কাউন্টারও অব্যবহৃত রয়ে গেছে।

২১ জুয়াড়িকে কারাদণ্ড মিরপুরে

0

রাজধানীর মিরপুর-১ নম্বরে অভিযান চালিয়ে জুয়া খেলার সময় ২১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) ভ্রাম্যমাণ আদালত। তাদের প্রত্যেককে এক মাস করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

গতকাল বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় থেকে শুরু হয়ে রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলে অভিযান। অভিযানে নেতৃত্ব দেন র‌্যাব-৪ এর নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট নিজাম উদ্দিন আহমেদ।

আটকরা হলেন- মো. ইউসুফ, ইকবাল হোসেন, আব্দুস সালাম মৃধা, বাবুল মোল্লা, নজরুল ইসলাম শহীদ, ফরিদ উদ্দিন, সালেহ উদ্দিন, আক্কাস আলী, শামিম খাঁন, শাহ আলম, আনিসুর রহমান, নিজাম মৃধা, মো. আলী, দেলোয়ার হোসেন, সাইফুল আলম খাঁন, হানিফ তালুকদার, দিদার হোসেন চৌধুরী, গোলাম মাহফুজ, মিরাজ হাওলাদার, সামাদ মিয়া, মো. লতিফ। তাদের মুক্তিযোদ্ধা পুনর্বাসন সোসাইটি কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের অফিস প্রাঙ্গন থেকে আটক করা হয়।

র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, অভিযানে জুয়া খেলা অবস্থায় ২১ জনকে আটক করা হয়েছে। এ সময় জুয়া খেলার বিভিন্ন সরঞ্জামসহ জুয়ার বোর্ড থেকে ৭১ হাজার ৭শ ৫৭ টাকা জব্দ করা হয়। এছাড়াও প্রত্যেককে এক মাস করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

নিবন্ধনের আওতায় আসছে মোবাইল হ্যান্ডসেটও

0

মোবাইল সিমের পর এবার প্রতিটি হ্যান্ডসেটকে নিবন্ধনের আওতায় আনা হচ্ছে। এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (বিটিআরসি)।

বাংলাদেশে বছরে ২৫ থেকে ৩০ ভাগ মোবাইল হ্যান্ডসেট নানা অসাধু উপায়ে সরকারি কর ফাঁকি দিয়ে দেশের বাজারে আসছে। এতে প্রতিবছর ৮০০ থেকে এক হাজার কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। তাই অবৈধভাবে আমদানি ও নকল মোবাইল হ্যান্ডসেট চিহ্নিত করার পাশাপাশি বাংলাদেশের মোবাইল নেটওয়ার্কে যতগুলো রেডিও ডিভাইস অর্থাৎ মোবাইল হ্যান্ডসেট ব্যবহৃত হবে সেসব সেটকে নিবন্ধনের আওতায় আনতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানায় সংস্থাটি। এতে গ্রাহকদের সিমের মতো হ্যান্ড-সেটটিও নিবন্ধিত থাকবে।

বিটিআরসি স্পেকট্রাম বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসিম পারভেজ জানান, এতে অবৈধভাবে আমদানি, চুরি ও নকল হ্যান্ডসেট প্রতিরোধ করা যাবে, গ্রাহকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাবে, মোবাইল ফোনের হিসাব রাখা যাবে। সবশেষে সরকারি রাজস্বের ক্ষতি ঠেকানো সম্ভব হবে। তিনটি ধাপে এই প্রক্রিয়াটি শুরু করা হবে বলে জানান তিনি।

প্রথম ধাপ: বৈধ ফোন চিনে রাখুন
প্রথমত, বাংলাদেশে যতগুলো হ্যান্ডসেট বৈধভাবে আমদানি হচ্ছে এবং স্থানীয়ভাবে যেগুলো অ্যাসেমব্লিং করা হচ্ছে বা উৎপাদিত হচ্ছে সেগুলোর ১৫ ডিজিটের স্বতন্ত্র আইএমইআই নম্বর নিয়ে একটি বৈধ ফোনের ডাটাবেজ তৈরি করা হবে। এতে মানুষ যখন মোবাইল ফোন কিনতে যাবে তখন তারা সেই সেটটির আইএমইআই নম্বর দিয়ে জানতে পারবেন তাদের সেটটি বৈধ নাকি অবৈধ।

দ্বিতীয় ধাপ: হ্যান্ডসেট কীভাবে নিবন্ধন করবেন
দ্বিতীয় ধাপে বিটিআরসি তাদের ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্ট্রার (ইআইআর) খসড়া নির্দেশনা ইআইআর তৈরি করবে। এর আওতায় দেশের প্রতিটি সক্রিয় সেটকে নিবন্ধনের আওতায় আনা হবে। এরইমধ্যে বিশ্বের বড় বড় কম্পানির ইআইআর যাচাই করে বাংলাদেশের জন্য প্রযোজ্য ২৪ পাতার একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছে বিটিআরসি।

প্রতিবেদনটি যাচাইয়ের জন্য মোবাইল অপারেটরগুলোর কাছে পাঠানো হয়েছে। যদি সেখানে কোনো সংশোধনের প্রয়োজন হয় তবে তা সম্পন্ন করে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য প্রতিবেদনটি বিটিআরসির কমিশনে পাঠানো হবে।

খসড়া নির্দেশনাটিকে চূড়ান্ত হলে প্রত্যেক অপারেটরকে তাদের নেটওয়ার্কের আওতায় থাকা প্রতিটি সক্রিয় হ্যান্ড-সেটের ডাটাবেজ তৈরির সময় বেঁধে দেওয়া হবে। এখানে গ্রাহকদের হ্যান্ডসেট নিবন্ধনের জন্য কোথাও যেতে হবে না। তারা নিজেদের নিবন্ধিত সিমটি সেটে সক্রিয় করলেই সেটটি ওই নামে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধন হয়ে যাবে।

ওই সেটে যদি দ্বিতীয় সিম ব্যবহার করতে হয় তবে সেটিও অবশ্যই একই নামে নিবন্ধিত সিম হতে হবে। এ ছাড়া কারও যদি একাধিক সেট থাকে তাহলে তিনি দ্বিতীয় সেটটিতে যে নামের সিমটি সক্রিয় করবেন, সেই নামেই সেটটি নিবন্ধিত হয়ে যাবে। তখন ওই সেটে অন্য নামের কোন সিম চলবেনা। অর্থাৎ একটি সেট একজনের নামেই নিবন্ধিত হবে। এভাবে একেকটি অপারেটরের আলাদা ডাটাবেজ সম্পন্ন হবে।

আপনার হ্যান্ডসেটটি কোন ক্যাটাগরির?
এই ডাটাবেজকে ব্ল্যাক, হোয়াইট ও গ্রে- এই তিনটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হবে। খসড়া নির্দেশনায় ‘হোয়াইট’ বলতে বোঝানো হয়েছে বৈধভাবে আমদানি করা এবং দেশে বৈধভাবে তৈরি হ্যান্ডসেটগুলোকে। অর্থাৎ যে সেটগুলো বিটিআরসি নিবন্ধিত। ‘গ্রে’ ক্যাটাগরিতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

ক্লোন, অনুমোদনহীন নকল, অবৈধভাবে আমদানি হয়ে আসা সেটগুলোকে। এই সেটগুলো অবৈধ হলেও এবারের মতো সেগুলোকে অনুমোদন দেওয়া হবে। যারা এরইমধ্যে এগুলো ব্যবহার করছেন বা দেশের বাইরে থেকে আনিয়েছেন তাদেরকে একটি সময় বেঁধে দেওয়া হবে যেন তারমধ্যেই তারা নিবন্ধিত সিম দিয়ে সেটটিকে সক্রিয় করে নেন।

অন্যদিকে, চুরি হওয়া হ্যান্ড-সেটের আইএমইআই, মেয়াদ উত্তীর্ণ আইএমইআই যুক্ত সেট, নকল আইএমইআই সম্পন্ন হ্যান্ডসেটগুলোকে ‘ব্ল্যাক’ ক্যাটাগরিতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। যখন পূর্ণাঙ্গ ডাটাবেজ তৈরি হয়ে যাবে তখন সম্পন্ন করা হবে সর্বশেষ অর্থাৎ তৃতীয় ধাপের কার্যাদি।

তৃতীয় ধাপ: কমন সার্ভার
তৃতীয় ধাপে সরকার একটি প্রতিষ্ঠানকে নির্বাচিত করবে যারা বিটিআরসির জন্য এই কেন্দ্রীয় প্লাটফর্ম বা কমন সার্ভার তৈরি করবে। যেখানে প্রত্যেকটি অপারেটরের ডাটাবেজগুলো সিঙ্ক্রোনাইজ হবে। অর্থাৎ বাংলাদেশে সক্রিয় প্রতিটি হ্যান্ডসেট কেন্দ্রীয়ভাবে ব্যবস্থাপনার আওতায় আনা হবে। তখন এর নাম হবে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্ট্রার (এনইআইআর)। এতে ইআইআর এ নতুন কোনো ডেটা সংযুক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেটা এনইআইআরে চলে আসবে।

সেট বিক্রি করতে গেলে বা হারিয়ে গেলে কী করবেন?
কেউ যদি তার নিবন্ধিত সেট অন্য কাউকে দিতে চান বা বিক্রি করতে চান তবে সেটটি পুনরায় নিবন্ধন করতে হবে। সেক্ষেত্রে নিজের নাম অনিবন্ধিত করে যার কাছে সেট দেবেন তার নামে হ্যান্ডসেটটি নিবন্ধিত করতে হবে। সেটি কীভাবে করা হবে সেটি কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়ে জানিয়ে দেবে। তৃতীয় কোন প্রতিষ্ঠান বা মোবাইল ফোন অপারেটরদের এই দায়িত্ব দেয়া হতে পারে বলে জানান তিনি।

এ ছাড়া যদি আপনার ফোন হারিয়ে যায় বা চুরি যায় সেক্ষেত্রে ওই প্রতিষ্ঠানটি আমার পরিচয় শনাক্ত করে ফোনটি লক করে দেবে। যেন আপনার ফোনটি কেউ কোথাও ব্যবহার করতে না পারে।

ব্যতিক্রম:
করপোরেট সিম ও সেটের ক্ষেত্রে নিয়মটা কিছুটা ভিন্ন। যেমন আপনার অফিস যদি আপনাকে একটি সিম ও হ্যান্ডসেট দেয়। সেক্ষেত্রে আপনার ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বর দিয়ে ওই সেটটি আগে নিজের নামে নিবন্ধন করে নিতে হবে। তারপর তাতে কম্পানির সিম ব্যবহার করা যাবে। এ ছাড়া সরকার চাইলে তাদের বিশেষ নির্দেশনায় বিশিষ্ট তালিকাভুক্ত ব্যক্তিদের হ্যান্ডসেট ব্যবস্থাপনার বাইরে রাখতে পারবে।

মূলত পুরো প্রক্রিয়াটি চূড়ান্ত হওয়ার পর বিষয়টি গণমাধ্যমের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে বলে জানান নাসিম পারভেজ।

সূত্র : বিবিসি বাংলা

শেখ হাসিনার ব্যক্তিত্ব পুরোপুরি বঙ্গবন্ধুর মতোঃ এইচ টি ইমাম

0

শেখ হাসিনার ব্যক্তিত্ব পুরোপুরি বঙ্গবন্ধুর মতো বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম বলেছেন ‘পিতার সব গুণই তিনি পেয়েছেন। কিছু ক্ষেত্রে তিনি তার পিতাকেও ছাড়িয়ে গেছেন। তাই নিঃসন্দেহে বলা যায়, আমার নেত্রী একজন ক্যারিশমাটিক লিডার।’

গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা কমিটির উদ্যোগে ‘গৌরবের অভিযাত্রায় ৭০ বছর : তারুণ্যের ভাবনায় আওয়ামী লীগ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টাপরিষদের সদস্য এইচ টি ইমাম বলেন, ‘বাংলাদেশকে সবসময় সঠিকপথে পরিচালিত করেছে আওয়ামী লীগ। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে আসার পর থেকে সারাদেশ তিনি চষে বেড়িয়েছেন। তৃণমূল পর্যায়ে আওয়ামী লীগের শক্তি ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে। গণতন্ত্রে বিভিন্ন মতামত থাকবে। কিন্তু সবকিছুর ঊর্ধ্বে বাংলাদেশ।’

এইচ টি ইমাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিশন-২০২১, ২০৪১ এবং ২১০০, ডেল্টা প্ল্যান ঘোষণা করেছেন। তা বাস্তবায়নে তরুণ প্রজন্মকে যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে হবে।

জিয়াউর রহমান এবং এইচ এম এরশাদকে মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ বলে মন্তব্য করে এইচ টি ইমাম বলেন, ‘স্বাধীনতার পর দেশকে পেছনের দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য অনেক চক্রান্ত হয়েছিল। জিয়াউর রহমান এবং এরশাদ এরা আর কিছুই নয়, মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ এবং এরা ছিলেন পাকিস্তানের পক্ষের লোক। আমাদের জন্য কিছু করেননি। দেশের উন্নতি কিছু করেছেন এরশাদ সাহেব, কিন্তু তাদের মন ছিল অন্যদিকে।’

প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী শাহ আলী ফরহাদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন ও সংসদ সদস্য ওয়াসিকা আয়েশা খান প্রমুখ।

রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে মধ্যস্থতা করতে চায় জাপান

0

রোহিঙ্গা সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানে টোকিওতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে জাপান সক্রিয় ভূমিকা পালনের প্রস্তাব দিয়েছে।

মঙ্গলবার রাজধানীতে মেঘনা স্টেট গেস্ট হাউজে জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তারা কনোর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে জাপান যে রাজনৈতিক সদিচ্ছা দেখিয়েছে আমরা তা বিবেচনা করে দেখব।’

তিনি বলেন, জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে এবং রাখাইনে তাদের প্রত্যাবাসনে উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টির জন্য মিয়ানমারকে রাজি করানোর চেষ্টা করবেন। তিনি (কনো) আমাদের বার্তা নিয়ে ঢাকা থেকে মিয়ানমারের রাজধানী নেপিডোতে যাবেন।

জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন ও তাদের সঙ্গে আলোচনার পর এ বৈঠকে বসেন। কনো ১৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে সোমবার রাতে তিন দিনের সরকারি সফরে ঢাকা পৌঁছেন। তার এ সফরের মূল লক্ষ্য হচ্ছে- রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলোচনা করা।

জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মঙ্গলবার ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বুধবার মিয়ানমারের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন।