Home Blog Page 3541

লন্ডনের এই ব্লগারের প্রেমে পড়েছেন শাহরুখের ছেলে আরিয়ান

0

বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খানের ছেলে এখনো সিনে জগতে পা রাখেননি। তবে এরই মধ্যে আরিয়ান খান শিরোনামে এসেছেন ‘দ্য লায়ন কিং’-এর হিন্দি ভার্সনে সিম্বার গলায় ডাবিং করে।

পাশাপাশি মুফাসার ভূমিকায় ছিল শাহরুখ খানের কণ্ঠ। সব মিলিয়ে মুগ্ধ হয়ে গেছে দর্শকরা। সেসবের বাইরে গুঞ্জন ছড়িয়েছে আরেকটি বিষয়ে। যদিও আগে থেকেই অনেকের কৌতূহল ছিল যে, আরিয়ান খান কার সঙ্গে প্রেম করছেন। এখন পর্যন্ত জানা যায়নি শাহরুখ পুত্রের বিশেষ বান্ধবীর নাম।

এর আগে শোনা গিয়েছিল, বোন সুহানার বেস্ট ফ্রেন্ড এবং অভিনেত্রী অনন্যা পাণ্ডেই আরিয়ানের বিশেষ বান্ধবী। কিন্তু এখন আবার নতুন এক গুঞ্জন উঠে এসেছে।

লন্ডনের এক ব্লগারে প্রেমে মজেছেন আরিয়ান খান। ইন্টারনেটে ঘুরছে সেই তরুণীর সঙ্গে আরিয়ানের ছবি। সেখানে দু’জনের অন্তরঙ্গ মুহূর্ত দেখে ‘বিশেষ সম্পর্ক’-ই ভেবে নিচ্ছেন নেটিজেনরা। কালো জ্যাকেটে আরিয়ান আর লাল পোশাকে ওই তরুণীকে দেখে ‘কাপল’ মনে না হয়ে উপায় নেই।

শাহরুখ ভক্তরা অনেকদিন ধরেই অপেক্ষায় আছেন, আরিয়ানকে বড় পর্দায় দেখার। সেই ব্যাপারে ঘোষণা আসার আগে আরিয়ান চমক দিলেন সিম্বার ভূমিকায় ডাবিং করে।

এতে প্রত্যাশার পারদ আরো গেল, সে ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। পাশাপাশি আরো গভীর হলো জল্পনা, কোন রহস্যময়ীতে মজেছে আরিয়ানের মন? আপাতত লন্ডনের ব্লগারের নাম, পরিচয় জানতে উন্মুখ অনুরাগীরা। তবে সেসবের কিছুই জানা যায়নি এখনো।

অল্পের জন্য অপহরণকারীদের হাত থেকে রক্ষা পেল শিহাব

0

নাটোরের বড়াইগ্রামে নিজের চেষ্টায় অপহরণকারীদের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে শিহাব নামে এক মাদরাসাছাত্র। তবে অপহরণকারীদের ছুরির আঘাতে জখম হয়েছে সে। তাকে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।

আহত শিহাব ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বড়াইগ্রাম উপজেলার রাজাপুর হাফেজিয়া মাদরাসার ছাত্র শিহাব উদ্দিন মঙ্গলবার দুপুরে মাদরাসা থেকে পালিয়ে বনপাড়ায় যায়। সেখানে ঘোরাফেরা করে বিকেলে মাদরাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য বনপাড়া বাসস্ট্যান্ড থেকে একটি সিএনজি অটোরিকশায় ওঠে। আগে থেকে অটোতে থাকা ব্যাক্তিরা তাকে গলায় ছুরি ধরে তাদের সাথে যেতে বলে। এ সময় শিহাব আটো থেকে লাফ দিলে ছুরির আঘাতে তার গলার কিছু অংশ কেটে যায়। জখম হয় হাতেও।

বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলিপ কুমার দাস জানান, বিষয়টি রহস্যজনক। সবকিছু খতিয়ে দেখা।

রাজবাড়ীতে বাবার সাথে গোসল করতে নেমে স্কুলছাত্র নিখোঁজ

0

জবাড়ী সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নের গঙ্গপ্রাসাদপুরের পদ্মার শাখা সুতা নদীতে বাবার সাথে গোসল করতে গিয়ে আলিফ শেখ (৭) নামে প্রথম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক শিশু নিখোঁজ হয়েছে।

আলিফ একই ইউনিয়নের বড়লক্ষিপুর গ্রামের মিলন শেখের ছেলে। সে স্থানীয় চরনারায়নপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্র। এদিকে নিখোঁজ শিশুটি উদ্ধারে স্থানীয়দের সহযোগিতায় কাজ শুরু করেছে রাজবাড়ী ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। তবে বুধবার বিকেল পর্যন্ত নিখোঁজ শিশুটির সন্ধান পাওয়া যায়নি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার দুপুর ১টার দিকে মিলন তার শিশু ছেলে আলিফকে নিয়ে গঙ্গপ্রসাদপুরের সুতা নদীতে গোসল করতে যান। ওই সময় শিশু আলিফ লাফ দিয়ে নদীতে গোসল করতে নামে। তারপর থেকেই আলিফকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

রাজবাড়ী ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক শওকত আলী জোয়ার্দার জানান, তার নেতৃত্বে ফায়ার সার্ভিসের ১০ জনের একটি টিম নিখোঁজ শিশুটির উদ্ধারে কাজ করছেন।

ক্রিকেট নিয়ে পিএইচডি করতে চান ‘মিস্টার ডিপেন্ডেবল’ মুশফিক

0

বাংলাদেশ ক্রিকেটের পঞ্চপাণ্ডবের একজন মুশফিকুর রহিম। তিনি বর্তমানে বাংলাদেশের স্টার ক্রিকেটার। ব্যাটিংয়ে যেমন ঝড় তুলেন, উইকেটকিপিংয়েও তিনি পাখি উয়ে উড়েন। এদিকে ক্রিকেট, সংসার আর পড়াশোনা এক সঙ্গে চালিয়ে যাওয়া কোনো সহজ ব্যাপার নয়। কিন্তু টাইগারদের ‘মিস্টার ডিপেন্ডেবল’ খ্যাত মুশফিক এবার পিএইচডি (ডক্টর অব ফিলোসফি) করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

এর আগে ইতিহাস নিয়ে স্নাতোকত্তর করে এখন এমফিল (মাস্টার অব ফিলোসফি) করছেন মুশফিক। ইচ্ছা রয়েছে এরপর পিএইচডি করার। ইতিহাসের এই ছাত্র ক্রিকেট নিয়েই পড়াশোনা করতে চান। থাকতে চান বাইশ গজের ইতিহাসের সঙ্গেই।

মুশফিক জানান, তিনি ‘সাউথ এশিয়ান ক্রিকেট হিস্ট্রি’ নিয়ে পিএইচডি করতে ইচ্ছুক। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘মাঠে ক্রিকেট খেলার বাস্তব অভিজ্ঞতা রয়েছে আমার। আশা করি এটা আমার পড়াশোনায় অনেকটা সাহায্য করবে। সেজন্যই এই বিষয়টা পছন্দ করেছি। সাধারণত দুই থেকে আড়াই বছর সময় লাগে থিসিস জমা দিতে। দেখি কী করতে পারি!’

আইরিশ বোলিং তোপে ৮৫ রানেই গুটিয়ে গেল ইংল্যান্ড

0

সম্প্রতি লর্ডসে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ জয় করেছে ইংল্যান্ড। সেই জয়ের আমেজ এখনো ইতিউতি ছড়িয়ে রয়েছে ক্রিকেটের মক্কায়। আর বিশ্বজেয়র সেই মঞ্চেই সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতেই আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে লর্ডস টেস্টের নিজেদের যাচাই করে নিতে চেয়েছিল ইংল্যান্ড। কিন্তু তাদের এমনভাবে লাঞ্ছিত হতে হবে ব্রিটিশদেরস সেটা বোধহয় স্বপ্নেও কেউ ভাবতে পারেননি।

১ আগস্ট থেকে এজবাস্টনে শুরু হবে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে অ্যাসেজ সিরিজের প্রথম টেস্ট। তার আগে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে বিশ্বকাপ জয়ী ইংল্যান্ড। আর অ্যাসেজের সেই প্রস্তুতি মঞ্চেই মুখ থুবড়ে পড়ল বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। লর্ডসে টস ভাগ্য সঙ্গ দেয় ইংল্যান্ডকে। আয়ারল্যান্ডের ঘাড়ে বড় রানের বোঝা চাপিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে টস জিতে জো রুট প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন। টস হারলেও হতাশ হননি আয়ারল্যান্ড দলনায়ক উইলিয়াম পটারফিল্ড। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছিলেন যে, প্রথম ঘণ্টায় লর্ডসের পিচের আদ্রতা ব্যবহার করে ধাক্কা দিতে চান ইংল্যান্ডের ব্যাটিং লাইনআপে।

ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে মাঠে নেমে নিজেদের পরিকল্পনায় চূড়ান্ত সফল আয়ারল্যান্ড। শুরু থেকেই ধারাবাহিকভাবে উইকেট তুলতে থাকা আয়ারল্যান্ড একসময় ইংল্যান্ডকে সব থেকে কম রানে বেঁধে রাখার উপক্রম করেছিল। জো ডেনলি ও স্যাম কারান সেই লজ্জা থেকে আপাতত রক্ষা করেন ব্রিটিশদের। তবে দলকে নিরাপদ লক্ষ্যে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়নি তাদের পক্ষেও।

ইংল্যান্ড মাত্র ৪৩ রানের মধ্যে সাত জন ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে ধুঁকতে থাকে। ডেনলি ২৩ রান করে আউট হন। স্যাম কারান পৌঁছন দু’অঙ্কে। বাকিদের ব্যক্তিগত রানসংখ্যা উল্লেখ করার মতো নয়। অভিষেককারী জেসন রয় ৫ রান করে আউট হন। ররি বার্নস ৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন। জো রুটের সংগ্রহ ২ রান। বেয়ারস্টো, মঈন আলি ও ক্রিস ওকস খাতা খুলতে পারেননি। স্টুয়ার্ট ব্রডকে নিয়ে লড়েই করতে থাকেন কারান। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি তাদের। মাত্র ৮৫ রানে গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ডের ব্যাটিং লাইনআপ।

এদিকে আইরিশ পেসার টিম মারটঘ ৯ ওভার বল করে দুই মেডেনসহ মাত্র ১৩ রানে পাঁচটি উইকেট তুলে নেন। মার্ক অ্যাডাইর তিনটি ও বয়েড র‌্যানকিন দুটি উইকেট লাভ করেন।

নির্বাচক প্যানেলে পরিবর্তনের আভাস

0

বিসিবির বর্তমান নির্বাচক প্যানেলের দুই সদস্য মিনহাজুল আবেদীন নান্নু ও হাবিবুর বাশার সুমনকে আগামীতে নির্বাচক হিসাবে নাও দেখা যেতে পারে। কারণ এই প্যানেলের অধীনে বাংলাদেশ দল যেমন সাফল্য পেয়েছে, তেমনি ব্যর্থতাও আছে। এমনকি সদ্য শেষ হওয়া বিশ্বকাপ দল বা আয়ারল্যান্ড সফরে কিছু খেলোয়াড়ের অন্তর্ভুক্তি নিয়েও কম আলোচনা হয়নি। সর্বশেষ শ্রীলঙ্কা সফরের দল নিয়ে অসন্তুষ্টি আছে টিম ম্যানেজমেন্টের। যেমন হঠাৎ করে শফিউল ইসলামকে দলে নেওয়া হয়েছে। এমতাবস্থায় নির্বাচক প্যানেলে পরিবর্তন আনতে চাচ্ছে বোর্ড। তাই তাদের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর সম্ভাবনা ক্ষীণ বলে বিসিবি সূত্রে জানা গেছে। আগামী ২৭ জুলাই বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।

চলমান শ্রীলঙ্কা সফরে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নুর দলের সঙ্গে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিসিবি সূত্রে জানা গেছে, মিনহাজুল যদি প্রধান নির্বাচক হিসেবে নাই থাকেন তাহলে তাঁকে শ্রীলঙ্কায় পাঠিয়ে কী হবে! এ কারণে তার টিকেট বাতিল করা হয়েছে।

তবে বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান আকরাম খান বলেছেন, টিকিট বাতিলের সঙ্গে প্রধান নির্বাচকের মেয়াদ শেষ হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই। দেশে ‘এ’ দলের খেলা চলছে। বিসিবি চাইছে তিনি এই খেলার দিকে চোখ রাখুন। তবে হ্যাঁ, নির্বাচকদের পারফরমেন্স নিয়ে এই বোর্ড সভায় আলোচনা হবে। তাঁদের মেয়াদ বাড়বে কি বাড়বে না, সেটির সিদ্ধান্ত বোর্ড সভাতেই চূড়ান্ত হবে। তার আগে কিছু বলার উপায় নেই।

অপরদিকে বিসিবির একজন পরিচালক জানান, বোর্ড চাইছে নির্বাচক প্যানেলে একটা পরিবর্তন আনতে। মিনহাজুল নির্বাচক হিসেবে আছেন অর্ধযুগের বেশি সময় হয়ে গেছে। ২০১৬ সালে ফারুক আহমেদ সরে দাঁড়ালে প্রধান নির্বাচক হন মিনহাজুল। হাবিবুলও অর্ধযুগের বেশি সময় নির্বাচক হিসেবে কাজ করছেন।

অবশ্য কাজ চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। তিনি মনে করেন, ‘এ’ দলের পারফরমেন্সে সামগ্রিক অবস্থার প্রতিফলন ঘটৈনি। কারণ একই সময়ে ভারতে বিসিবি একাদশে কয়েকজন ভালো ক্রিকেটার চলে যান। যে কারণে ‘এ’ দলটা পরিপূর্ণ শক্তির ছিল না।

নান্নু বলেন, আমি এই প্যানেলে তিন বছর ধরে আছি। আমি মনে করি যথেষ্ট ভালো করেছি। হাইপারফরমেন্স টিমের সঙ্গে কাজ করেছি, তারাও বেশ ভালো। ‘এ’ দলের সঙ্গেও কাজ করেছি। তারা বেশ কিছু ম্যাচ খেলেছে। জাতীয় দলও অনেক ভালো খেলেছে। যদি গত বছরের পারফরমেন্স দেখেন তবে আমরা ৫২ শতাংশ ম্যাচ জিতেছি। এটা বিরাট অর্জন। আমরা র‌্যাঙ্কিংয়েও উন্নতি করেছি। লঙ্গার ভার্সনেও আমরা ভালো করছি। যদি আমাকে আরেকটি সুযোগ দেওয়া হয়, তাহলে আমি অবশ্যই ভালো কিছু করার চেষ্টা করব।

তিনি আরো বলেন, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা বোর্ডের। (আমি থাকব কি না) সেটা বোর্ডের সিদ্ধান্ত। এটা তাদের ওপর নির্ভর করছে। যদি আমাকে রাখা হয় তবে অবশ্যই ভালো কিছু করার চেষ্টা করব।

আজ মহানায়ক উত্তম কুমারের প্রয়াণ দিবস

0

বাংলা চলচ্চিত্র জগতে তাঁকে ‘মহানায়ক’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে। চলচ্চিত্রে অভিনয় ছাড়াও তিনি সফলভাবে মঞ্চেও অভিনয় করেছিলেন । উত্তম কুমারের প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র ছিল দৃষ্টিদান। এই ছবির পরিচালক ছিলেন নিতীন বসু। এর আগে উত্তম কুমার মায়াডোর নামে একটি চলচ্চিত্রে কাজ করেছিলেন কিন্তু সেটি মুক্তিলাভ করেনি। বসু পরিবার চলচ্চিত্রে তিনি প্রথম দৃষ্টি আকর্ষন করেন। এরপর সাড়ে চুয়াত্তর মুক্তি পাবার পরে তিনি চলচ্চিত্র জগতে স্থায়ী আসন লাভ করেন। সাড়ে চুয়াত্তর ছবিতে তিনি প্রথম অভিনেত্রী সুচিত্রা সেনের বিপরীতে অভিনয় করেন। এই ছবির মাধ্যমে বাংলা চলচ্চিত্র জগতের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং সফল উত্তম-সুচিত্রা জুটির সূত্রপাত হয়।

উত্তমকুমার এবং সুচিত্রা সেন বাংলা চলচ্চিত্রে পঞ্চাশ ও ষাটের দশকে অনেকগুলি ব্যবসায়িকভাবে সফল এবং একই সাথে প্রশংসিত চলচ্চিত্রে মুখ্য ভূমিকায় একসাথে অভিনয় করেছিলেন। এগুলির মধ্যে প্রধান হল – হারানো সুর, পথে হল দেরী, সপ্তপদী, চাওয়া পাওয়া, বিপাশা, জীবন তৃষ্ণা এবং সাগরিকা। উত্তম কুমার বহু সফল বাংলা চলচ্চিত্রের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি হিন্দি চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছিলেন। তাঁর অভিনীত হিন্দি চলচ্চিত্রের মধ্যে ছোটিসি মুলাকাত, অমানুষ এবং আনন্দ আশ্রম অন্যতম। তিনি সত্যজিৎ রায়ের পরিচালনায় দু’টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন। প্রথমটি নায়ক এবং দ্বিতীয়টি চিড়িয়াখানা। চিড়িয়াখানা চলচ্চিত্রে তিনি শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় সৃষ্ট বিখ্যাত গোয়েন্দা চরিত্র ব্যোমকেশ বক্সীর ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। রোমান্টিক ছবির ফাঁকে দু’একটা ভিন্ন সাদের ছবিতেও অভিনয় করছেন তিনি। এর মধ্যে একদিন সত্যজিৎ রায়ের কাছ থেকে ডাক পেলেন উত্তম ‘নায়ক’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য।

পাড়ার অভিনেতা থেকে অরিন্দমের নায়ক হওয়ার গল্প নিয়ে ছবিতে উত্তম অভিনয় করতে গিয়ে খুঁজে পেয়েছিলেন নিজেকে। তবে উত্তম কুমার নিজেকে সু-অভিনেতা হিসেবে প্রমাণ করেন ‘এ্যান্টনি ফিরিঙ্গি’ ছবিতে স্বভাবসুলভ অভিনয়ের মধ্য দিয়ে। কারণ এই ছবিতে উত্তম কুমার তার পরিচিত ইমেজ থেকে সরে আসার চেষ্টা করেছিলেন। এতে তিনি সফলও হয়েছিলেন। উত্তমের সেই ভুবন ভোলানো হাসি, প্রেমিকসুলভ আচার-আচরণ বা ব্যবহারের বাইরেও যে থাকতে পারে অভিনয় এবং অভিনয়ের নানা ধরন, মূলত সেটাই তিনি দেখিয়ে দিয়েছিলেন।১৯৬৭ সালে ‘এ্যান্টনি ফিরিঙ্গি’ ও ‘চিড়িয়াখানা’ ছবির জন্য জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন (তখন এই পুরস্কারের নাম ছিল ‘ভরত’)। অবশ্য এর আগে ১৯৫৭ সালে অজয় কর পরিচালিত হারানো সুর ছবিতে অভিনয় করে প্রশংসিত হয়েছিলেন সমগ্র ভারতজুড়ে। সেই বছর ‘হারানো সুর’ পেয়েছিল রাষ্ট্রপতির সার্টিফিকেট অফ মেরিট।
ইংরেজি উপন্যাস ‘রানডম হারভেস্ট’ অবলম্বনে ছবিটি নির্মাণ করা হয়। প্রযোজক ছিলেন উত্তম কুমার নিজেই। কমেডি চরিত্রেও তিনি ছিলেন সমান পারদর্শী। ‘দেয়া নেয়া’ ছবিতে হৃদয়হরণ চরিত্রে অভিনয় করে সেই প্রতিভার বিরল স্বাক্ষরও রেখে গেছেন। এক গানপাগল ধনীপুত্র অভিজিৎ চৌধুরীর বাবা কমল মিত্রের সঙ্গে রাগারাগি করে বন্ধু তরুণ কুমারের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেন। বাবা গান পছন্দ করেন না, কিন্তু অভিজিৎ চৌধুরীর লক্ষ্য ছিল অনেক বড় শিল্পী হওয়া। নায়িকা তনুজার মামা পাহাড়ি স্যানালের বাড়িতে হৃদয়হরণ নামে ড্রাইভারের কাজ নেয়। সাবলীল অভিনয় দিয়ে ফুটিয়ে তোলেন হৃদয়হরণ চরিত্রটি। ছবিটির একটি আকর্ষণীয় সংলাপ ছিল “টাকাই জীবনের সবকিছু নয়”। এছাড়াও, অত্যন্ত চমকপ্রদ একটি গানও রয়েছে – “জীবন খাতার প্রতি পাতায়, যতোই করো হিসাবনিকাশ, পূর্ণ হবে না”। আজ ২৪ জুলাই এই মহানায়কের প্রয়াণ দিবস।

শিল্পা শেঠির ‘মেরিলিন মনরো মুহূর্ত

0

প্রয়াত হলিউড অভিনেত্রী মেরিলিন মনরোর সেই বিখ্যাত মুহূর্তের মতো নিজের একটি ভিডিও স্যোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন বলিউড অভিনেত্রী শিল্পা শেঠি। যাতে মেরিলিন মনরোর মতোই মোহময়ী ভঙ্গিমায় শিল্পশেঠিকেও বাতাসে পোশাক উড়ে যাওয়ায় তার অনাবৃত হয়ে পড়া উরু ঢাকতে দেখা যাচ্ছে।

১৯৫৫ সালের ‘দ্য সেভেন ইয়ার ইচ’ ছবিতে মেরিলিন মনরোর ওই দৃশ্যটি বিশ্বব্যাপী কোটি কোটি মানুষের দৃষ্টি কেড়েছিলো। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, শিল্পা একটি লাল কাফতান পরে আছেন। শিল্পা যখন পোজ দিচ্ছিলেন, তখন বাতাস বাড়ছিলো। এবং একটা সময়ে তার কাফতান উড়ে যাচ্ছিলো। শিল্পা দ্রুত তার কাপড় নিচের দিকে টেনে ধরছেন।

গ্রিস ও লন্ডন ভ্রমণে গিয়ে শিল্পা প্রচুর ছবি শেয়ার করছেন। শিল্পার মেরিলিন মনরো মুহূর্তটি সৃষ্টি হয়েছিলো গ্রিস ভ্রমণের সময়।

নতুন একটি সিনেমায় লেখকের চরিত্রে অভিনয় দিয়ে বলিউডে ফিরছেন শিল্পাশেঠি। আগস্টের প্রথম সপ্তাহে তিনি ভারতের ফিরে আসবেন।

সিটি করপোরেশনের সহযোগিতায় নারায়ণগঞ্জে আধুনিক সিনেমা হল

0

সারা দেশে সিনেমা হল বন্ধের মিছিলের বিপরীতে নারায়ণগঞ্জে চালু হতে যাচ্ছে সীমিত আসনের আধুনিক সিনেমা থিয়েটার ‘সিনেস্কোপ।’ ফোর কে সিলভারস্ক্রিনের এই থিয়েটারে থাকছে ৭.১ ডলবি ডিজিটাল অডিও সিস্টেম, থ্রি-ডি সিনেমা দেখার ব্যবস্থা। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাথে যৌথভাবে এই সিনেমা থিয়েটার পরিচালনা করবে চলচ্চিত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ‘সিনেমাকার।’ সবকিছু ঠিক থাকলে আগস্ট মাসেই একটি চলচ্চিত্র উৎসবের মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জ শহরের ‘আলী আহাম্মদ চুনকা নগর পাঠাগার ও মিলনায়তন’ ভবনে যাত্রা শুরু করছে ‘সিনেস্কোপ।’

এই পাঠাগারের বেজমেন্টে চালু হচ্ছে সিনেস্কোপ

সুস্থ ধারার চলচ্চিত্র ও রুচিশীল নতুন দর্শকদের কথা স্মরণে রেখে হলটি তৈরি করা হয়েছে। বিশেষত যে দর্শকেরা গতানুগতিক হলগুলোতে নিরাপত্তা ও পরিবেশজনিত কারণে ছবি দেখতে নিরুৎসাহিত বোধ করেন, ‘সিনেমাস্কোপ’ তাদের প্রতি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে। দর্শকদের স্ন্যাকস এর জন্য একটি কফিশপও রয়েছে হলটিতে। যে তরুণ চলচ্চিত্র নির্মাতারা বাংলাদেশকে নতুনভাবে বিশ্বের কাছে তুলে ধরার চেষ্টা করছেন তাদের চলচ্চিত্র এখানে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রদর্শিত হবে। এছাড়াও বিভিন্ন সময় বিভিন্ন চলচ্চিত্রকার, অভিনয় শিল্পী কিংবা কলাকুশলীকে উৎসর্গ করে তাদের সেরা কাজগুলোর প্রদর্শণীও চলবে এখানে। প্রতিদিন একটি শো কেবল শিশুদের জন্য বরাদ্দ থাকবে যেখানে তারা দেশ-বিদেশের সেরা শিশুতোষ চলচ্চিত্রের সাথে পরিচিত হতে পারবে, সুনির্বাচিত থ্রি-ডি মুভিগুলো তাদের সৃজনশীলতা উস্কে দেবে।

‘সিনেস্কোপ’ কেবল ব্যবসা নয়, একটি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকেই চালু হতে যাচ্ছে। প্রকল্পটির উদ্যোগ নিয়েছেন স্থপতি ও চলচ্চিত্র নির্মাতা মোহাম্মদ নূরুজ্জামান।

ব্যাংকারদের সক্ষমতা বাড়ানোর পরামর্শ

0

নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সঠিকভাবে বাংলাদেশ ব্যাংকে চাহিদামাফিক প্রতিবেদন বা তথ্য দেওয়ার জন্য বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কর্মকর্তাদের এসংক্রান্ত সক্ষমতা বাড়ানো জরুরি। ব্যাংকিংয়ে নতুন কমপ্লায়েন্স পরিপালন এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনামাফিক তথ্য দক্ষ ব্যাংকার ছাড়া দেওয়া সম্ভব নয়। এ কারণে বাংলাদেশ ব্যাংক ট্রেনিং একাডেমি এবং বিআইবিএমকে উদ্যোগ নিতে হবে। একই সঙ্গে ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তা এবং বোর্ড সদস্যদেরও এসংক্রান্ত বিষয়ে সক্ষমতা বাড়ানো জরুরি।

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) এক গবেষণা প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে। গতকাল সোমবার রাজধানীর মিরপুরে বিআইবিএম অডিটরিয়ামে ‘রেগুলেটরি রিপোর্টিং রিকয়ারমেন্টস ফর ব্যাংকস’ শীর্ষক বার্ষিক পর্যালোচনা কর্মশালায় এ প্রতিবেদন উপস্থাপিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এবং বিআইবিএম নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান এস এম মনিরুজ্জামান। আরো উপস্থিত ছিলেন পূবালী ব্যাংকের সাবেক এমডি এবং বিআইবিএমের সুপারনিউমারারি অধ্যাপক হেলাল আহমদ চৌধুরী ও সীমান্ত ব্যাংকের এমডি মোখলেসুর রহমান। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন বিআইবিএমের চেয়ার প্রফেসর এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. বরকত-এ-খোদা। স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক এবং বিআইবিএমের মহাপরিচালক মহা. নাজিমুদ্দিন। কর্মশালায় গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন বিআইবিএমের অধ্যাপক এবং পরিচালক (প্রশিক্ষণ) ড. শাহ মো. আহসান হাবীব।

কর্মশালার উদ্বোধন করে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস এম মনিরুজ্জামান বলেন, বিভিন্ন উদ্দেশ্যে রেগুলেটরি রিপোর্ট চায় বাংলাদেশ ব্যাংক। এসব রিপোর্ট বাংলাদেশ ব্যাংক বিশ্লেষণ করে। ব্যাংকিং খাতের সমস্যা চিহ্নিত করার পাশাপাশি এসব ব্যাংকিং খাতের নজরদারিতে ভূমিকা রাখে। তিনি বলেন, বিভিন্ন দিক বিবেচনায় রেগুলেটরি রিপোর্টিং খুব গুরুত্বপূর্ণ। গবেষণার মধ্য দিয়ে যেসব সমস্যা চিহ্নিত হবে তা পরবর্তী সময়ে বিবেচনা করা হয়।

বিআইবিএমের চেয়ার প্রফেসর অধ্যাপক ড. বরকত-এ-খোদা বলেন, ব্যাংকিং খাতে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ আসছে। এ জন্য দক্ষ কর্মী গড়ে তোলা প্রয়োজন। ব্যাংককর্মীদের প্রশিক্ষণের ওপর সর্বোচ্চ জোর দিতে হবে। তিনি আরো বলেন, তথ্য ব্যবস্থাপনা সহজ হতে হবে। প্রত্যেক কর্মীকে স্বচ্ছতার সঙ্গে তথ্য ব্যবস্থাপনা করতে হবে।

হেলাল আহমদ চৌধুরী বলেন, রিপোর্টিংয়ের সত্যতা বজায় রাখা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সঠিকভাবে প্রতিটি ব্যাংককে দক্ষতা এবং সক্ষমতা বাড়াতে হবে। ব্যাংকগুলো যেন কোনোভাবেই কমপ্লায়েন্সে ছাড় না দেয়। কমপ্লায়েন্স পরিপূরণে বিনিয়োগ হিসেবে বিবেচনা করতে হবে।