Home আন্তর্জাতিক কাশ্মীর রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেয়া ও নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি মোদির

কাশ্মীর রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেয়া ও নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি মোদির

89
0
SHARE

জম্মু ও কাশ্মীরে নির্বাচন আয়োজনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বৃহস্পতিবার তিনি অঞ্চলটির স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে রাজধানী দিল্লিতে বৈঠক করেন। এতে মোদি আশ্বাস দেন যে, তার সরকার কাশ্মীরকে সংঘাতের এলাকা থেকে শান্তিপূর্ণ অঞ্চলে পরিণত করতে চায়। এরপরই তিনি জম্মু ও কাশ্মীরের রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।

তবে মোদি নির্দিষ্ট করে জানাননি ঠিক কবে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে রাজ্যে পরিণত করা হবে জম্মু ও কাশ্মীরকে। তিনি বলেছেন, এটি করা হবে উপযুক্ত সময়ে। নরেন্দ্র মোদি বলেন, কাশ্মীরের সঙ্গে দিল্লির মনের দূরত্ব কমাতে হবে।

তিনি কাশ্মীরে নির্বাচন আয়োজনের কথা বলেন। এর আগে নির্বাচনকেন্দ্রের সীমানা পুনরায় বিন্যাস করা হবে বলেও জানান তিনি। ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও একই কথা বলেছেন। তিনি বলেন, জম্মু ও কাশ্মীরকে রাজ্যের মর্যাদা দেয়া হবে। তবে এর আগে নির্বাচন আয়োজন প্রয়োজন। এ নিয়ে তিনি একটি টুইট বার্তা দিয়েছেন।

২০১৯ সালে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর এটিই কাশ্মীরি নেতাদের সঙ্গে সরকারের প্রথম বৈঠক। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দিল্লি ও মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কাশ্মীর উপত্যকার সম্পর্ক খারাপ হচ্ছে। এর আগে এই অঞ্চলটি একটি রাজ্য ছিল এবং স্বশাসনের অধিকার ছিল। এখন অঞ্চলটির নেতাদের দাবি, কাশ্মীরের রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেয়া হোক এবং নির্বাচনা আয়োজন করা হোক।

বৃহস্পতিবারের বৈঠকে অংশ নেন অঞ্চলটির সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আব্দুল্লাহ, ওমর আব্দুল্লাহ, মেহবুবা মুফতি ও গুলাম নবী আজাদসহ আরো বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী নেতা। নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, জম্মু-কাশ্মীরের উপরাজ্যপাল মনোজ সিনহা, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সদস্য জম্মুুর বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র সিং। লোক কল্যাণ মার্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাসভবনে স্থানীয় সময় তিনটায় এই বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকের আলোচ্যসূচি আগে থেকে জানানো হয়নি।

বৈঠকে ডিলিমিটেশনের সময় নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লা। তিনি প্রশ্ন করেন, ডিলিমিটেশন কেনো শুধু কাশ্মীরেই হবে? কোনো দলই কাশ্মীরে ডিলিমিটেশন নিয়ে খুশি নয়। অন্য রাজ্যে ডিলিমিটেশন হবে ২০২৬ সালে কিন্তু কাশ্মীরে এখনই করার কথা বলা হচ্ছে। প্রায় সব রাজনৈতিক দলই জানিয়ে দিয়েছে, কাশ্মীরে এখন ডিলিমিটেশন দরকার নেই। আগে কেন্দ্রীয় সরকার ও কাশ্মীরের মধ্যে আস্থা ফেরানো দরকার। এ জন্য জম্মু ও কাশ্মীরকে পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা দিতে হবে। দিল্লির মতো কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করে রেখে বিধানসভা নির্বাচন করালে হবে না। আর প্রশাসনে কাশ্মীর ক্যাডার আবারও ফিরিয়ে আনতে হবে।

কাশ্মীরের আরেক প্রভাবশালী নেত্রী ও সাবেক মুখ্যমন্ত্রী পিডিপি নেতা মেহবুবা মুফতিও সরকারি পদক্ষেপ নিয়ে অসন্তোষ জানান। তিনি বলেন, তারা ৩৭০ ধারা ফেরত চান। এ জন্য প্রয়োজনে শান্তিপূর্ণভাবে লড়াই করবেন। তাতে কয়েক মাস লাগতে পারে, কয়েক বছরও লাগতে পারে। কিন্তু তারা লড়াই চালিয়ে যাবেন। এছাড়া রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তির বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। এ নিয়ে একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয় বৈঠকে। উপরাজ্যপাল মনোজ সিনহার নেতৃত্বে এই কমিটি বন্দিদের মুক্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।