Home Blog Page 3540

রোহিঙ্গা শোডাউন : দেশ অস্থির করার ষড়যন্ত্র

0

রোহিঙ্গাদের শোডাউন বাংলাদেশের জনগণকে জিম্মি করে দাবি আদায়ের চেষ্টা বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা। তারা বলেছেন, দেশি ও বিদেশি চক্র রোহিঙ্গাদের মদদ দিয়ে বাংলাদেশকে অস্থির করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এই মহাসমাবেশ করিয়েছে।

বিশ্লেষকরা এসব উসকানিদাতাকে আশ্রয় শিবির থেকে বিচ্ছিন্ন করে দূরে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন। তারা বলেন, এটা একটা অশনিসংকেত। পাশাপাশি এ চক্রান্ত নস্যাৎ করতে দ্রুত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন বলেছেন, ভবিষ্যতে এমন পরিস্থিতির ব্যাপারে সব অংশীদারের সঙ্গে আলোচনা করে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেবে সরকার। রোহিঙ্গারা যে সমাবেশ করেছে সে ব্যাপারে আমাদের আগে জানানো হয়নি।

রোহিঙ্গাদের শোডাউনের ব্যাপারে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. শাহ কামাল বলেছেন, ‘কীভাবে রোহিঙ্গারা এমন শোডাউন করল, সেটা আমরা আরআরআরসি কমিশনারের কাছে প্রতিবেদন চেয়েছি। প্রতিবেদন পাওয়ার পর এ ব্যাপারে বিস্তারিত বলা যাবে।’

এদিকে সরকারের ত্রাণ, পুনর্বাসন ও প্রত্যাবাসন (আরআরআরসি) কমিশনার আবুল কালামের কাছে জানতে চাইলে তিনি যুগান্তরকে বলেন, রোহিঙ্গারা কোনো আইনের অধীনে বাংলাদেশে আছে, এমন নয়। তাদের বাংলাদেশ মানবিক কারণে আশ্রয় দিয়েছে।

তারা রোহিঙ্গা শিবিরের ভেতরে সমাবেশ করেছে। গত বছরও তারা বার্ষিকী উপলক্ষে মোনাজাতের আয়োজন করেছিল। এবারও তারা মোনাজাতের কথা বলেছিল।

অপরদিকে প্রত্যাবাসন শুরুর দিনক্ষণের আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশ ও মিয়ানমার উভয়েই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে প্রস্তুত। কিন্তু কতিপয় এনজিও ও রোহিঙ্গা নেতা তা ভণ্ডুল করতে চাইছে।

রোববার কক্সবাজারের কুতুপালং ক্যাম্পে মহাসমাবেশের আয়োজন করে রোহিঙ্গারা। তারা সংকটের দু’বছর উপলক্ষে এ শোডাউন করে। তবে এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের কোনো অনুমতি নেয়া হয়নি। কোনো শরণার্থী কিংবা অভিবাসী শিবিরে এমন শোডাউন নজিরবিহীন।

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে হত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনায় বিতাড়িত হওয়ায় মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু বিগত দু’বছরে তাদের ভয়ভীতি অনেকটা কেটে গেছে।

গতবার এমন দিনে তারা মোনাজাতের আয়োজন করেছিল। এবার কোনো অনুমতি ছাড়াই আইনকানুনের তোয়াক্কা না করে মহাসমাবেশ করেছে।

রাজধানীতে সোমবার জাতীয় শোক দিবসের এক আলোচনায় অংশ নেয়ার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, সমাবেশের ব্যাপারে মিডিয়ায় জানার পরপরই আমরা বিষয়টি নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলেছি।

এ ধরনের পরিস্থিতির জন্য তারা যেন একটা উপায় বের করে। সরকার বাধা দেয়নি, কারণ তারা দোয়ার আয়োজন করছে বলে জানিয়েছিল।

এটা একটা বিরাট সমাবেশ। অনেক দাবি তারা করেছে। এই ঘটনার পর আমরা এমন পরিস্থিতির ব্যাপারে নতুন করে চিন্তাভাবনা করছি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মহাসমাবেশের পর আমরা বসে নেই। জিনিসটা দিনে দিনে জটিল হয়ে পড়েছে। পৃথিবীর কোথাও এমন নজির নেই। সুন্দর সুন্দর ইংরেজিতে লেখা প্ল্যাকার্ড বহন করেছে।

নিশ্চয়ই এটা পরিকল্পিতভাবে করা হয়েছে। তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার ব্যাপারে বোঝানোর দায়িত্ব মিয়ানমারের। মিয়ানমার তাদের আশ্বস্ত করতে ব্যর্থ হয়েছে। এখনও আস্থার সংকট রয়েছে।

শোডাউনের সময় রোহিঙ্গারা পূর্বপ্রস্তুতি নিয়ে এ সমাবেশ করেছে বলে দৃশ্যমান হয়েছে। তাদের পরনে ছিল ধবধবে সাদা পাঞ্জাবি। রোহিঙ্গা নেতা মহিবুল্লাহর পরনে ছিল গেরুয়া রঙের পোশাক।

অনেকটা রাজনৈতিক সমাবেশের মতোই রোহিঙ্গা নেতারা সেখানে বক্তৃতা করে তাদের দাবি পেশ করেছেন। এসব দাবির মধ্যে মিয়ানমারে তাদের নাগরিকত্ব প্রদান, নিরাপত্তা নিশ্চিত করার শর্ত রয়েছে।

এসব শর্ত পূরণ করলে রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফিরে যাবেন বলে ঘোষণা করেন। এটা তারা করতে পারেন না। কোনো আইনেও এ ধরনের কাজ করার অনুমতি নেই। কিন্তু তারা সব উপেক্ষা করে একটি চক্রের মদদে কাজটি করেছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।

পুলিশের সাবেক আইজি নূর মোহাম্মদ এমপি যুগান্তরকে বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের শোডাউন একটি অশনিসংকেত। তারা দেখাচ্ছে যে তাড়াতাড়ি তাদের জন্য কিছু করতে হবে। রোহিঙ্গা সংকট- পুরো ব্যাপারটাই একটা অশনিসংকেত। এটা আমাদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি।’

তিনি বলেন, ভূ-রাজনীতির কারণে যারা আমাদের নিয়ন্ত্রণ করতে চায়, তারা একটা বিষফোঁড়া হিসেবে এটা সৃষ্টি করেছে। এ ধরনের ক্ষেত্রে যারা আমাদের শত্রু, তারা রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করতে চাইবে।

এ নিয়ে তারা খেলাধুলা করতে চাইবে। রোহিঙ্গারা খুবই ক্ষুব্ধ প্রকৃতির। কারণ তারা নির্যাতিত হয়ে এসেছে। ফলে তারা অপরাধে জড়িয়ে যেতে পারে। এটা মোকাবেলায় আমরা কতটা প্রস্তুত, তার ওপর সবকিছু নির্ভর করছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের মতিগতি বোঝার জন্য আমাদের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো নিশ্চয়ই কাজ করছে। এখনই সিরিয়াস কিছু হয়নি। ভবিষ্যতে সিরিয়াস হতে পারে।’

জানতে চাইলে বিশিষ্ট নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) আবদুর রশিদ সোমবার যুগান্তরকে বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের শোডাউন ছিল বাংলাদেশের জনগণকে জিম্মি করে দাবি আদায়ের চেষ্টা। রোহিঙ্গা সংকট হল বৈশ্বিক ভূ-রাজনীতি এবং আঞ্চলিক ভূ-রাজনীতির সংঘাতের ফসল। স্বভাবতই তারা নিজ নিজ স্বার্থ হাসিল করতে চায়। রোহিঙ্গা দিয়ে বাংলাদেশকে অস্থির করতে দেশি-বিদেশি চক্র মদদ দিচ্ছে। যতদিন রোহিঙ্গারা এদেশে থাকবে, ততদিন এই ষড়যন্ত্র চলতে থাকবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরের পরই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে গতিলাভ করেছে। চীনের মধ্যস্থতায় প্রত্যাবাসন শুরুর তারিখ নির্ধারণের পর রোহিঙ্গারা বেঁকে বসেছে। রোহিঙ্গাদের এই বেঁকে বসার পেছনে দেশি-বিদেশি উসকানি রয়েছে।’

অবসরপ্রাপ্ত এই সেনা কর্মকর্তা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের এবারের অগ্রগতিকে শুভসূচনা হিসেবে অভিহিত করে বলেন, ‘চীনের সহযোগিতায় রোহিঙ্গারা যাতে আগামী দিনে ফিরে যেতে পারে, সেই চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান রাতারাতি হবে না। সমাধানে সময় লাগবে। সেজন্য মিয়ানমারের ওপর কূটনৈতিক চাপ বৃদ্ধি করতে হবে।’

মেজর জেনারেল (অব.) আবদুর রশিদ বলেন, রোহিঙ্গাদের মধ্যে যারা নেতা, তাদের বলে মাঝি। রোহিঙ্গাদের ফিরে না যাওয়ার জন্য যারা উসকানি দেয়, তারা মূলত মাঝিদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখে। ফলে উসকানিদাতাদের মাঝিদের থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলতে হবে।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের ফেরত নেয়ার জন্য মিয়ানমারের ওপর চাপ অব্যাহত রাখতে হবে। রোহিঙ্গাদের নিরাপদে থাকার পরিবেশ যেন বজায় রাখে, সেজন্য মিয়ানমারের ওপর চাপ রাখতে হবে। সর্বোপরি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।

দ্বিতীয় দফায় রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর জন্য নির্ধারিত দিনে প্রত্যাবাসন শুরু না হওয়ার পর পরই তারা এ শোডাউনের আয়োজন করে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য প্রথম দফায় গত বছরের ১৫ নভেম্বর দিনক্ষণ নির্ধারিত ছিল।

ওই সময় মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার জন্য কোনো রোহিঙ্গা উপস্থিত হয়নি। ফলে প্রথম উদ্যোগ ভেস্তে যায়। তারপর ২২ আগস্ট দ্বিতীয়বারের মতো প্রত্যাবাসন শুরুর লক্ষ্যে তারিখ নির্ধারণ হলেও কোনো রোহিঙ্গাই মিয়ানমারে ফিরে যেতে রাজি হয়নি।

দ্বিতীয় দফায়ও প্রত্যাবাসন শুরু না হওয়ায় বাংলাদেশ ও মিয়ানমার পরস্পরকে দোষারোপ করছে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে বাংলাদেশের আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে মিয়ানমার।

দেশটি এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে বিভিন্ন পর্যায়ে ৩ হাজার ৪৫০ জন রোহিঙ্গার তালিকা বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করেছে।

কিন্তু জাতিসংঘ উদ্বাস্তু সংস্থা ইউএনএইচসিআর তাদের সাক্ষাৎকার নেয়া শুরু করেছে প্রত্যাবাসন শুরুর জন্য নির্ধারিত সময়ের দু’দিন আগে ২০ আগস্ট।

তার জবাবে বাংলাদেশ বলেছে, রোহিঙ্গারা ফিরে যেতে চায়নি বলেই তাদের প্রত্যাবাসন শুরু করা যায়নি। এতে বাংলাদেশের কোনো গাফিলতি নেই।

তাছাড়া রোহিঙ্গাদের ফিরে যাওয়ার উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করা মিয়ানমারের দায়িত্ব। রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের প্রতি আস্থা রাখতে পারছে না।

বাংলাদেশে বর্তমানে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা থাকলেও বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মিয়ানমারের কাছে প্রায় ৫০ হাজার রোহিঙ্গার তালিকা হস্তান্তর করা হয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ইতিমধ্যে ১১ লাখ রোহিঙ্গার তালিকাই মিয়ানমারের কাছে হস্তান্তর করার উচিত ছিল।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের এবারের প্রক্রিয়ায় চীন মধ্যস্থতা করছে। জাপানও মিয়ানমারকে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার অনুরোধ করেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতেই মিয়ানমার ফিরিয়ে নিতে রাজি হয়।

আমাজন রক্ষায় লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও, দিচ্ছেন ৫০ লাখ ডলার

0

সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া ‘ওয়ান্স আপন অ্যা টাইম ইন হলিউড’ বিশ্বজুড়ে দারুণ সাফল্য পেয়েছে। এখনও বক্স অফিসে সিনেমাটি শীর্ষে। তবে এই সাফল্যে ভেসে যাননি এর নন্দিত অভিনেতা লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও। তার পরিবেশচেতনা ঠিকই জাগ্রত আছে।

দাবানলে ক্ষতিগ্রস্ত ‘পৃথিবীর ফুসফুস’খ্যাত আমাজনের সংরক্ষণে তার প্রতিষ্ঠান আর্থ অ্যালায়েন্স এগিয়ে এসেছে। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষে তিনি ৫০ লাখ ডলার সাহায্যের অঙ্গিকার করেছেন।

জুলাই মাসে দ্য লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও ফাউন্ডেশন সংযুক্ত হয়ে যায় আর্থ অ্যালায়েন্স’র সঙ্গে। পৃথিবীর জলবায়ু ও পরিবেশ পরির্তন মোকাবিলায় জরুরী ভিত্তিতে কাজ করাই এই প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য।

হলিউড তারকা লিওনার্দো তার দুই বন্ধু লরিন পাওয়েল জবস এবং ব্রিয়ান শেথকে সঙ্গে নিয়ে এই প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। আর্থ অ্যালায়েন্স’র ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী এই অর্থ আমাজন সংরক্ষণের জন্য স্থানীয় ৫টি প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হবে।

সানিয়া মির্জা হতে চান শ্রদ্ধা

0

ভারতের তারকা ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় সাইনা নেহওয়ালের বায়োপিকে অভিনয়ের কথা ছিল শ্রদ্ধা কাপুরের। সে জন্য দুই বছর ধরে ব্যাডমিন্টনের প্রশিক্ষণও নিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ছবিটিতে অভিনয় করা হয়নি তাঁর। বদলে সাইনার চরিত্রে অভিনয় করছেন পরিণীতি চোপড়া। অথচ শ্রদ্ধার ছিমছাম শারীরিক গঠন খেলোয়াড়ের চরিত্রে অভিনয়ের জন্য একদম মানানসই। এসব মিলিয়ে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, অন্য কোনো নারী খেলোয়াড়ের চরিত্রে অভিনয়ের আগ্রহ আছে কি না। উত্তরে সানিয়া মির্জার নাম বলেছেন ‘বাঘি’ তারকা।

তাঁকে বেছে নেওয়ার কারণ হিসেবে বলেছেন, ‘সানিয়া টেনিস চ্যাম্পিয়ন বলেই শুধু নয়। তাঁর জীবনের গল্পটা আমার কাছে ভীষণ আগ্রহোদ্দীপক বলে মনে হয়।’ সাক্ষাৎকারে শ্রদ্ধা কথা বলেছেন সাইনার বায়োপিক হাতছাড়া হওয়ার ব্যাপারেও। বলেন, “সাইনার বায়োপিকের শুটিংয়ের প্রথম দিনই আমি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম। তারপর ছবির কাজ পিছিয়ে গেল। এর মধ্যে রেমো [ডি সুজা] ‘এবিসিডি ২’-এ অভিনয়ের প্রস্তাব করলেন। তাঁকে না বলা আমার পক্ষে সম্ভব না। ফলে সাইনার বায়োপিকটা ছাড়তে হয়।”

এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে সানিয়া মির্জার বায়োপিক নির্মাণের উদ্যোগের কথা শোনা গিয়েছিল। ব্যাডমিন্টন তারকা নিজেই জানিয়েছিলেন, ছবিটি প্রযোজনা করছে রনি স্ক্রুওয়ালার প্রযোজনা সংস্থা ‘আরএসভিপি ফিল্মস’। তবে তাঁর চরিত্র কে করবেন, সেটা জানাননি। পরে আর ছবিটির কথা শোনা যায়নি।

তিন মাসের মধ্যে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে হটলাইন চালু করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট

0

আজ মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এ বিষয়ে ১৫ অক্টোবর অগ্রগতি জানাতে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এ জন্য কোনো ধরনের অজুহাত ছাড়াই বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও অর্থ মন্ত্রণালয় বাজেট বরাদ্দের ব্যবস্থা করবে বলে নির্দেশে উল্লেখ করা হয়েছে।

এর আগে হটলাইন চালু করতে ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ চাওয়ার বিষয়ে জানতে তলবে হাইকোর্টে হাজির হয়েছিলেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ বিভাগ) শামীম আল মামুন। আদালতে হটলাইন বিষয়ে বিশেষজ্ঞ মতামত দিয়েছিলেন একটি বেসরকারি সফটওয়্যার কম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রাফসান জানি সামি।

বিশেষজ্ঞ মতে তিনি জানান, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) থেকে লাইসেন্স নিয়ে মাসিক ভিত্তিতে প্রয়োজন অনুসারে খরচের ওপর নির্ভর করে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে হটলাইন চালু করা যেতে পারে। এরপর আদালত শামীম আল মামুনের কাছে বাজেটের বিষয়ে জানতে চান। জবাবে তিনি বলেন, কমিটির আলোচনায় আউটসোর্সিংয়ের বিষয়টি আসেনি।

এ সময় আদালত উষ্মা প্রকাশ করে বলেন, বিষয়টি আপনাদের নজরে কেন আসেনি? আগে বলেছেন আপনাদের লোকবল কম। তাহলে আপনারা কীভাবে এটি স্থাপন করবেন? এ সময় শামীম আল মামুন ক্ষমা প্রার্থনা করে বলেন, আপনারা যেভাবে নির্দেশনা দেবেন সেভাবে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে স্থাপন করবো।

আদালত বলেন, আউটসোর্সিংয়ে করতে কত দিন লাগবে? জবাবে তিনি বলেন, বাজেট পাওয়ার পর তিন মাস লাগবে। কারণ ব্যুরোক্রেটিং প্রসেসটা ম্যান্টেইন করতে হবে। এরপর আদালত আদেশ দেন।

গত ২০ আগস্ট তাকে হটলাইনে স্থাপনের জন্য ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ চাওয়ার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে তলব করেন হাইকোর্ট। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান। আর নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের পক্ষে ব্যারিস্টার মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম ও ভোক্তা অধিকারের পক্ষে ছিলেন কামরুজ্জামান কচি।

শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় কাজী নজরুলের মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হচ্ছে

0

সাম্য মানবতাবাদ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে সমৃদ্ধশালী দেশ ও সমাজ বিনির্মাণে সবাইকে এগিয়ে আসার আহবান জানানোর মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে সাম্যের কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী।

১৯৭৬ সালের আগস্ট মাসের এদিনে শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (সাবেক পিজি হাসপাতাল) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন জাতীয় কবি নজরুল ইসলাম। কবিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হয়। এখানেই তিনি চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন।

এ উপলক্ষ্যে আজ বাদ ফজর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদুল জামিয়া’য় কোরানখানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ৭টায় কলাভবন প্রাঙ্গনস্থ অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ জমায়েত হন। সেখান থেকে তাঁরা সকাল সোয়া ৭টায় শোভাযাত্রা সহকারে কবির সমাধিতে গমন, পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করেন।

পরে কবির সমাধি প্রাঙ্গণে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা ও সংগীতানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন নজরুল গবেষক ও জাতীয় অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দীন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল।

উপাচার্য জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, তিনি ছিলেন মানবতার কবি, সাম্যের কবি, অসাম্প্রদায়িক চেতনার কবি, জগরণের কবি। তাঁর বহুমাত্রিক সাহিত্য প্রতিভার মর্মমূলে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রস্ফুটিত হয়েছে। বাঙালি সমাজ ও সংস্কৃতি বিনির্মাণে তাঁর সৃষ্টিকর্ম সবসময় আমাদের প্রেরণার উৎস।

তিনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কবিকে ভীষণ ভালবাসতেন। তাই বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার পরে কবি নজরুল ইসলামকে ভারত থেকে বাংলাদেশে এনে জাতীয় কবির সম্মানে ভূষিত করেন এবং তাঁর চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।

বাংলা একাডেমি কবির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে একক বত্তৃতার আয়োজন করে । বিকাল ৪টায় এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান।

আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ সকাল ৮ টা ৩০ মিনিটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে কবির সমাধিসৌধে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন করে কবির প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এসময় তারা ফাতেহা পাঠ ও দোয়া অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহন করেন।

বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের নেতৃবৃন্দ সকালে কবির সমাধিসৌধে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন করেন। পরে সংগঠনের গুলশান কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সারাহ বেগম কবরী’র সভাপতিত্বে আলোচনা সভা, নজরুল সঙ্গীত, কবিতা আবৃত্তি অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলা সাহিত্যে বিদ্রোহী কবি হিসেবে পরিচিত হলেও কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন একাধারে কবি, সংগীতজ্ঞ, ঔপন্যাসিক, গল্পকার, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক, সাংবাদিক, চলচ্চিত্রকার, গায়ক ও অভিনেতা। তিনি বৈচিত্র্যময় অসংখ্য রাগ-রাগিনী সৃষ্টি করে বাংলা সঙ্গীত জগতকে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেছেন।

প্রেম, দ্রোহ, সাম্যবাদ ও জাগরণের কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা ও গান শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে সংগ্রামে জাতিকে উদ্বুদ্ধ করেছে। মুক্তিযুদ্ধে তাঁর গান ও কবিতা ছিল প্রেরণার উৎস।

নজরুলের কবিতা, গান ও সাহিত্য কর্ম বাংলা সাহিত্যে নবজাগরণ সৃষ্টি করেছিল। তিনি ছিলেন অসাম্প্রদায়িক চেতনার পথিকৃৎ লেখক। তাঁর লেখনি জাতীয় জীবনে অসাম্প্রদায়িক চেতনা বিকাশে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে। তাঁর কবিতা ও গান মানুষকে যুগে যুগে শোষণ ও বঞ্চনা থেকে মুক্তির পথ দেখিয়ে চলছে।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর পরই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে স্বপরিবারে সদ্যস্বাধীন বাংলাদেশে নিয়ে আসেন। রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বাংলাদেশে তাঁর বসবাসের ব্যবস্থা করেন। ধানমন্ডিতে কবির জন্য একটি বাড়ি প্রদান করেন।

চিকিৎসকদের প্রতি আবারও ক্ষোভ, বিরক্তি ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

0

রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এসব অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। একনেক সভা শেষে প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন তুলে ধরতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর এ অভিব্যক্তির কথা জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

একনেক সভায় ‘কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ ও ৫০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল স্থাপন, মানিকগঞ্জ’ প্রকল্পের প্রসঙ্গ আসলে প্রধানমন্ত্রীকে জানানো হয়, সেখানেও চিকিৎসকরা যেতে চান না।

সভায় বলা প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘ডাক্তার আমরা দিই, কিন্তু ডাক্তার যেতে চায় না। এজন্য প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এটা তো আমাদের চেষ্টা করতে হবে মিটমাট করার জন্য। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) মনে করেন, ডাক্তাররা যেখানে চাকরি করেন, সেখানে প্রাইভেট প্র্যাক্টিস করলে তবুও হয়তো কিছুটা ভালো হতো। যখন চাকরি করেন এক জায়গায়, প্রাইভেট প্র্যাক্টিস করেন আরেক জায়গায় বা পার্টটাইম পড়ান আরেক জায়গায়, তখন তারা হাসপাতালে থাকতে পারেন না। এইগুলা দুঃখের সঙ্গে, বিরক্তির সঙ্গে, ক্ষোভের সঙ্গে, অভিমানের সঙ্গে কথাগুলো বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।’

প্রধানমন্ত্রী এর আগেও কথাগুলো বলেছিলেন, আজকে আবার পুনরাবৃত্তি করেছেন বলেও মন্ত্রী জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘ড্রেন ওয়াটার সংরক্ষণের ব্যবস্থা করেন। নিজেরা করেন, বাড়ির আশপাশে খাল-বিল, পুকুর থাকে, সেগুলো পরিষ্কার করে তাতে পানি সংরক্ষণ করেন। কাজে লাগবে। বিশেষ করে আগুন লাগলে দমকলরা পানি পায় না। এটা খুব বেশি দরকার।’

শ্রমিক, চালক, হেলপারদের প্রতি মানবিক সুবিধা, সহযোগী হওয়ার আহ্বানও জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘রাস্তার পাশে সব জায়গায় গাছপালা রাখার বিধান রাখতে হবে।’

ওভারলোডিংয়ের (মাত্রাতিরিক্ত চাপ) বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের এখানে গ্রোয়িং ইকোনমি, ওভারলোডিং হয়। ওভারলোডিং সম্পর্কে আমরা সচেতন। ওভারলোডিং কমানোর জেনারেল ইন্সট্রাকশন এসেছে যে, আপনারা যান, খোঁজ-খবর নেন। আমরা স্বীকার করি, গ্রোয়িং ইকোনমির এই পর্যায়ে ওভারলোডিং পুরোপুরি এভয়েড করতে পারব না। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে জায়গা হচ্ছে না, হাসপাতালে জায়গা হচ্ছে না–সবকিছুই ওভারলোডিং। এগুলোকে সহ্য করে মনিটরিং করতে বলেছেন তিনি।’

‘নানা সংস্থা কাজ করছে। আপনারা একে অন্যের গায়ে ঠোকর মারবেন না’- দেশে কাজ করা বিভিন্ন সংস্থার প্রতি এ আহ্বান রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী বলেও যোগ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী।

ঢাবিতে জাতীয় কবির মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

0

যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর ৪৩ তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। দিবসটি উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) বাদ ফজর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে কোরানখানির আয়োজন করা হয়। সকাল ৭টায় অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ জমায়েত হন। সেখান থেকে সকাল সোয়া ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে শোভাযাত্রা বের হয়ে কবির সমাধিতে গিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করা হয়।

পরে কবির সমাধি প্রাঙ্গণে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. ভীষ্মদেব চৌধুরীর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, নজরুল গবেষক ও জাতীয় অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দীন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল।

এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. এনামউজ্জামান, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী, সংগীত বিভাগের চেয়ারপার্সন টুম্পা সমদ্দার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সভাপতির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, তিনি ছিলেন মানবতার কবি, সাম্যের কবি, অসাম্প্রদায়িক চেতনার কবি, জগরণের কবি। তাঁর বহুমাত্রিক সাহিত্য প্রতিভার মর্মমূলে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রস্ফুটিত হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কবিকে ভীষণ ভালবাসতেন। তাই বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার পরে কবি নজরুল ইসলামকে ভারত থেকে বাংলাদেশে এনে জাতীয় কবির সম্মানে ভূষিত করেন এবং তাঁর চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। বাঙালি সমাজ ও সংস্কৃতি বিনির্মাণে তাঁর সৃষ্টিকর্ম সবসময় আমাদের প্রেরণার উৎস বলে উপাচার্য উল্লেখ করেন।

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা নজরুল সংগীত পরিবেশন করেন।

কর্মের মাধ্যমে কাজী নজরুল ইসলামকে ধারণ করাই গুরুত্বপূর্ণ ;ওবায়দুল কাদের

0

জাতীয় ও রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন আয়োজনে কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবি হিসেবে উল্লেখ করা হয়। তবে তাকে জাতীয় কবি ঘোষণা করা সংক্রান্ত সরকারি কোনো প্রজ্ঞাপন বা দলিল নেই। এ কারণে বহুদিন ধরে নজরুলকে গেজেটের মাধ্যমে এ স্বীকৃতি দেয়ার আহ্বান জানিয়ে আসছেন নজরুলের পরিবারের সদস্য ও বিশিষ্টজনরা।
এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ওবায়দুল কাদের বলেন, কাজী নজরুল জাতীয় কবি হিসেবে গ্রহণযোগ্য ও সমাদৃত। এটি শুধু মুখের কথা নয়। এটা আমাদের বিশ্বাসে, আমাদের প্রতিটি কর্মে প্রমাণ করছি। আমরা প্রত্যেকে কর্মে জাতীয় কবি হিসেবে তার চেতনাকে ধারণ করছি। তার স্বপ্নকে ধারণ করছি এটাই বড় কথা। জাতীয় কবি হিসেবে তাকে সম্মান করছি, শ্রদ্ধা করছি, এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

মন্ত্রী বলেন, একজন বিদ্রোহী কবি, যৌবনের কবি, মানবতার কবি, প্রেমের কবি, প্রতিবাদের কবি, অগ্নিবীণার কবি, আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধিতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আমাদের নেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করতে এসেছি। কবির আদর্শটাই আজকে বড়। তিনি ছিলেন অসম্প্রদায়িক, মানবতাবাদী চেতনায় উদ্বুদ্ধ। তার প্রতিটি লেখায়, প্রতিটি কবিতায় অসাম্প্রদায়িক মানবতার ধ্বনি উচ্চারিত হয়েছে বারবার। আমরা আজ কবির এ সমাধির পাশে দাঁড়িয়ে অসাম্প্রদায়িক, মানবতাবোধের চেতনায় সাম্প্রদায়িকতার যে বিষবৃক্ষ ছড়িয়ে পড়েছে সেটিকে উৎপাটন করে কবির স্বপ্নের অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার শপথ নেব আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে।
এ সময় ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আবদুর রহমান, দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ প্রমুখ।
এর আগে কবির সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। তার সঙ্গে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মাদ সামাদ, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল প্রমুখ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল, হল সংসদ, বাংলা একাডেমি, জাতীয় জাদুঘর, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, জাতীয় কবিতা পরিষদ, নজরুলসংগীতশিল্পী পরিষদ, জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস), বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা কবির সমাধিতে ইতোমধ্যে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। দলে দলে কবিকে শ্রদ্ধা জানাতে আসছেন বিভিন্ন স্তরের মানুষ।

জাতীয় কবি কাজী নজরুলের ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

0

জ্যৈষ্ঠে এসেছিলেন তিনি। ভাদ্রে বিদায় নিয়েছেন। শোষিত-নিপীড়িত মানুষের বঞ্চনার ক্ষোভ দীপ্ত শিখার মতো জ্বলে উঠেছিল তাঁর কণ্ঠে। সাম্প্রদায়িকতার বিষকে দূর করে তুলে এনেছিলেন ধর্মনিরপেক্ষ মানবতার অমৃত বাণী। আবার তিনিই কোমল সুকুমার হৃদয়ানুভবে আবেগে থরথর। তিনি বিদ্রোহী, তিনিই গানের পাখি বুলবুল। জাতীয় কবি হিসেবে পরিচিতি তাঁর, তিনি কাজী নজরুল ইসলাম। আজ ১২ ভাদ্র তাঁর ৪৩তম প্রয়াণ দিবস।
১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠ অবিভক্ত বাংলার বর্ধমান জেলার চুরুলিয়ায় যে কবির আবির্ভাব ঘটেছিল ‘জ্যৈষ্ঠের ঝড়’ হয়ে, সে ঝড় চিরতরে থেমে গিয়েছিল ঢাকার পিজি হাসপাতালের (বর্তমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়) কেবিনে, ১৩৮৩ বঙ্গাব্দের ১২ ভাদ্রে। অঙ্কের হিসাবে তাঁর জীবনকাল ৭৭ বছরের; তবে সৃষ্টিশীল ছিলেন মাত্র ২৩ বছর। নজরুলের এই ২৩ বছরের সাহিত্যজীবনের সৃষ্টিকর্ম বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের অমূল্য সম্পদ। যে কারণে জাতি আজ যথাযোগ্য মর্যাদায় গভীর শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় স্মরণ করবে জাতীয় কবিকে। সারা দেশে কবির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দিনটি পালিত হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত কবির সমাধি ছেয়ে যাবে বিনম্র শ্রদ্ধা ও গভীর ভালোবাসার ফুলে ফুলে। যেমনটি প্রতিবার হয়।
জাতীয় কবি মাথানত করেননি লোভ–লালসা–খ্যাতি ও অর্থবিত্তের বৈভবের কাছে। ‘চির উন্নত মম শির’ বলে আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন শোষিত–বঞ্চিত মানুষের মুক্তির জন্য। মানবতার মুক্তির পাশাপাশি সাম্প্রদায়িকতা, ধর্মান্ধতা, কুসংস্কার, কূপমণ্ডূপকতার বিরুদ্ধেও ছিলেন সোচ্চার। মুক্তবুদ্ধি ও চিন্তার পক্ষে কলম ধরেছেন নির্ভীক চিত্তে। তাঁর রচিত ‘চল্ চল্ চল্’ গানটি আমাদের রণসংগীত।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দীপ্তিতে ভাস্বর বাংলা সাহিত্যের ভুবনে স্বতন্ত্র ভাষা রীতি ও শব্দের প্রয়োগে এক নতুন কাব্যধারার সংযোগ করেছিলেন নজরুল। যা তাঁকে যেমন বিপুলভাবে জনপ্রিয় করে তুলেছিল, তেমনি বাংলা কবিতাকেও সমৃদ্ধ করেছিল। উত্তর ভারতীয় রাগসংগীতের দৃঢ় ভিত্তির ওপর রচনা করেছিলেন আধুনিক বাংলা গানের সৌধ। প্রবর্তন করেছিলেন বাংলা গজল।
কর্মসূচি
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৩তম প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক–সামাজিক এবং রাজনৈতিক সংগঠন-প্রতিষ্ঠান নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। এ ছাড়া সরকারি-বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল, রেডিও স্টেশন দিনব্যাপী স্মরণ করবে বিদ্রোহী কবিকে।
নজরুল ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে কুমিল্লা নজরুল ইনস্টিটিউটের কেন্দ্রে আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। বিকেল চারটায় বাংলা একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে একক বক্তৃতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। ‘নজরুলের বিদ্রোহ: রাজনীতি, অর্থনীতি ও ধর্মে’ শীর্ষক বক্তব্য দেবেন অধ্যাপক মোহীত উল আলম। সভাপতিত্ব করবেন বাংলা একাডেমির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান।

ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট ফ্রান্সের ফার্স্ট লেডিকে নিয়ে উপহাস করেছেন

0

সম্প্রতি ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারো ফ্রান্সের ফার্স্ট লেডি ব্রিজিত ম্যাঁক্রোকে নিয়ে উপহাস করেছেন। এক ফেসবুক পোস্টে ফরাসি ফার্স্ট লেডিকে নিয়ে ‘অভদ্র’ মন্তব্য করেন তিনি। এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁক্রো।

জানা গেছে, বলসোনারোর এক সমর্থক ফেসবুক পোস্টে ফরাসি ফার্স্ট লেডি ব্রিজিত ম্যাঁক্রোর পাশাপাশি ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টের স্ত্রী মিশেল বলসোনারোর (৩৭) ছবি পোস্ট করে লেখেন, ‘এখন আপনারা বুঝতে পারছেন ম্যাঁক্রো কেন বলসোনারোকে পীড়ন করছে’ ওই পোস্টের নিচে নিজে এসে মন্তব্য করেন বলসোনারো। তিনি লেখেন, ‘তাকে হেনস্তা করো না… হা হা হা’

১৫ আগস্ট থেকে জ্বলছে ‘ পৃথিবীর ফুসফুস’ খ্যাত ব্রাজিলের আমাজন জঙ্গল। আগুন ছড়িয়ে পড়ার ঘটনায় ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারো-র নীতিকে দায়ী করছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। এদিকে, আমাজন জঙ্গলে আগুনের ঘটনা সামনে আসার পর থেকেই বাকযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন ম্যাঁক্রো ও বলসোনারো। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান বলছে, এই বাকযুদ্ধ গত ৪০ বছরের মধ্যে ব্রাজিল ও ফ্রান্সের মধ্যে সবচেয়ে তীব্র কূটনৈতিক সংকট তৈরি করেছে।

আমাজনের আগুনকে আন্তর্জাতিক সংকট আখ্যা দিয়ে এই বনাঞ্চল রক্ষায় বিশ্বনেতাদের করণীয় ঠিক করার আহ্বান জানিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁক্রো। জবাবে ম্যাঁক্রোর বিরুদ্ধে উপনিবেশিক মানসিকতা ধারণের অভিযোগ তোলেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট।

এক পর্যায়ে ফেসবুক পোষ্টে ফ্রান্সের ফার্স্ট লেডি ব্রিজিত ম্যাঁক্রোকে নিয়ে ওই মন্তব্য করেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট

এ বিষয়ে জি সেভেন শীর্ষ সম্মেলনের সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁক্রো বলেন, বলসোনারো আমার স্ত্রী সম্পর্কে অতিমাত্রায় অভদ্র মন্তব্য করেছেন। এটা দুঃখজনক। প্রথমত এটা তার জন্য দুঃখজনক, ব্রাজিলের জনগণের জন্যও দুঃখজনক’।

সোমবার জি সেভেন গ্রুপের সম্মেলন শেষে সংবাদ সম্মেলনে বলসোনারোর মন্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট বলেন, তিনি আমার স্ত্রীকে নিয়ে খুবই অসম্মানজনক কথা বলেছেন। ব্রাজিলের জনগণের জন্য বিপুল সম্মান রয়েছে আর শুধু আশা করতে পারি তারা শিগগিরই এমন একজন প্রেসিডেন্ট পাবেন যিনি এর যোগ্য।

প্রসঙ্গত, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারোর বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন থেকেই নারী, কৃষ্ণাঙ্গ এবং সংখ্যালঘুদের বিষয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করার অভিযোগ রয়েছে। ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে পার্লামেন্টে এক উত্তপ্ত বিতর্কের সময় বামপন্থী নারী কংগ্রেস সদস্য মারিয়া দো রোসারিওকে অসম্মানজকভাবে আক্রমণ করেন বলসোনারো। তিনি বলেন, আমি তোমাকে ধর্ষণও করবো না কারণ তুমি এর যোগ্যও না’।