Home Blog Page 3543

কাশ্মীরে ১০ দিন ফোন বন্ধ থাকলে থাকুক: সত্যপাল

0

জম্মু ও কাশ্মীরের গভর্নর সত্য পাল মালিক দাবি করেছেন, রাজ্যে প্রয়োজনীয় পণ্য ও ওষুধের কোনো ঘাটতি নেই। তিনি বলেন, কর্তৃপক্ষের মূল উদ্দেশ্য প্রাণহানি ঠেকানো। সে জন্য যদি ১০ দিন টেলিফোন বন্ধ থাকে, থাকুক। তবে শিগগিরই এসব যোগাযোগব্যবস্থা ফিরিয়ে আনবেন বলে আশ্বাসও দেন তিনি।
এএনআইয়ের খবরে জানা যায়, সত্য পাল বলেন, এখনো কাশ্মীর থেকে কোনো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। কর্তৃপক্ষ বলছে, রাজ্যে কেবল বিক্ষিপ্ত সহিংসতা হয়েছে।
সাবেক অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দিতে গতকাল রোববার দিল্লিতে যান সত্য পাল মালিক। সেখানে তিনি এসব কথা বলেন।
জম্মু-কাশ্মীরকে দ্বিখণ্ডিত করা ও সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করার পর টানা ২১ দিন ধরে কাশ্মীর যোগাযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন। সরকার বলছে, বিশেষ মর্যাদার অবসান ঘটিয়ে রাজ্যটিকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করার সিদ্ধান্তের পর যেকোনো ঝামেলা এড়াতে ফোন এবং ইন্টারনেট সেবা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।
কাশ্মীর নিয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত ঘোষণার আগেই এ মাসের শুরুর দিকে ফোন এবং ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ হয়ে যায়। কমপক্ষে ৫০ হাজার অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করা হয়। বৃহত্তর সমাবেশে নিষেধাজ্ঞার আদেশ জারি করা হয়। সরকার বলেছে, পরিস্থিতি দেখে এসব বিধিনিষেধ তুলে নেবে সরকার।
তিন সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও জম্মুর কিছু অংশ এবং কাশ্মীরের বড় এলাকাজুড়ে টেলিফোন সংযোগ বহাল হয়নি। নিষেধাজ্ঞাগুলো এখনো বলবৎ। অনেক স্কুল খোলা হয়নি।রাজ্য প্রশাসন জানিয়েছে, ৯৭টি টেলিফোন এক্সচেঞ্জের মধ্যে ২৫টি কাজ করছে।
সত্য পাল মালিক অবশ্য বলছেন, ‘কাশ্মীরে প্রয়োজনীয় পণ্য ও ওষুধের কোনো ঘাটতি নেই। বরং ঈদ উপলক্ষে আমরা মানুষের ঘরে মাংস, শাকসবজি ও ডিম পৌঁছে দিয়েছিলাম। ১০-১৫ দিনের মধ্যে কাশ্মীর নিয়ে মতামত বদলে যাবে।’
সেনা মোতায়েন এবং সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের চ্যালেঞ্জের জবাবে সরকার বলেছে, কাশ্মীরে জানমাল রক্ষাই তাঁদের উদ্দেশ্য ছিল।

চুক্তি চাইলে যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড় দিতে হবে: বরিস

0

যুক্তরাজ্যের সঙ্গে কোনো বাণিজ্যচুক্তিতে যেতে চাইলে দেশটির ব্যবসায়ের ওপর থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই বিধিনিষেধ তুলে নিতে হবে। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এই মন্তব্য করেছেন।
বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়, জি-৭ সম্মেলনে অংশ নিতে এখন ফ্রান্সে অবস্থান করছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী। সেখানে গতকাল শনিবার ওই মন্তব্য করেন তিনি।
বরিস জনসন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে যুক্তরাজ্যের ব্যবসার ক্ষেত্রে যথেষ্ট বাধা রয়েছে। এ বিষয়ে তিনি ইতিমধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলেছেন। আজ রোববার ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে বিষয়টি আবার তুলবেন তিনি।
এ ছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাউন্সিল প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টাস্কের সঙ্গে বৈঠক করবেন বরিস জনসন।
বরিস জনসন বলেন, যুক্তরাজ্যের কোম্পানিগুলোর জন্য মার্কিন বাজারে বড় ধরনের সুযোগ রয়েছে। সেই সুযোগ তাঁরা ধরতে চান। তবে তার জন্য মার্কিন বন্ধুদের একটু আপস করতে হবে। তাদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের প্রয়োজন হবে। কারণ, বর্তমানে অনেক বাধা রয়েছে।
গত মাসে ট্রাম্প বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য খুবই টেকসই একটি বাণিজ্যচুক্তি করতে যাচ্ছে

জি-৭–এ হঠাৎ হাজির ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

0

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফ শিল্পোন্নত সাতটি দেশের জোট জি-৭ সম্মেলনে হঠাৎ হাজির হয়ে চমক সৃষ্টি করেছেন। গতকাল রোববার ফ্রান্সের সাগরঘেঁষা শহর বিয়ারিটজে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে অপ্রত্যাশিতভাবে উপস্থিত হন তিনি। সেখানে তিনি এক পার্শ্ববৈঠকে মিলিত হন। ওই সম্মেলনে উপস্থিত রয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পসহ বিশ্বনেতারা।
আজ সোমবার বিবিসি অনলাইনের খবরে বলা হয়েছে, ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অনির্ধারিত ও সংক্ষিপ্ত এই সফর চমকে দিয়েছে মার্কিন প্রতিনিধিদলকে। ইরানের পারমাণবিক কর্মকাণ্ড সীমিত করার লক্ষ্যে ২০১৫ সালের করা চুক্তি থেকে গত বছর যুক্তরাষ্ট্র নাম প্রত্যাহার করে নেয়। এরপর থেকেই দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটতে থাকে। এর মধ্যে মার্কিন গোয়েন্দা প্রতিবেদন, উপসাগরীয় এলাকায় তেল ট্যাংকারে হামলা, ড্রোন ভূপাতিত করাসহ বিভিন্ন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র-ইরান সম্পর্কে এখন চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
টুইটারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জারিফ বৈঠকের সময়ের এক ছবি প্রকাশ করেন। তিনি জানান, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর ‘গঠনমূলক’ আলোচনা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘সামনের পথ কঠিন। এর মধ্যেও চেষ্টা চালানো হচ্ছে।’ তিনি জার্মান ও ব্রিটিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গেও এক যৌথ বৈঠকে মিলিত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
এর আগে মোহাম্মদ জাভেদ জারিফ গত শুক্রবার সম্মেলনের দিন সন্ধ্যায় প্যারিসে ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তিতে অংশগ্রহণকারী ফ্রান্সসহ অন্য পাঁচটি দেশ এখনো চুক্তিটি বহাল রাখার পক্ষে। তবে ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র কঠোর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার প্রতিক্রিয়ায় ইরান চুক্তি লঙ্ঘন করে পারমাণবিক কর্মকাণ্ডের অংশ হিসেবে ইউরেনিয়ামের উৎপাদন বাড়িয়ে দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে উত্তেজনা কমাতে এবং চুক্তি বাঁচাতে প্রেসিডেন্ট মাখোঁ বেশ সক্রিয়।
কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে উপসাগরীয় এলাকায় তেল ট্যাংকার হামলা ও ট্যাংকার জব্দ করা নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে ইরানের সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে। ব্রিটিশ ট্যাংকার জব্দ করা নিয়ে ইরানের ওপর ক্ষুব্ধ রয়েছে যুক্তরাজ্য।
ইরানের যেসব নেতার ওপর অবরোধ আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র, তাঁদের মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জারিফও একজন। মার্কিন কর্তৃপক্ষের ভাষায়, ইরানের নেতাদের ‘বেপরোয়া এজেন্ডা’ বাস্তবায়ন করেন জারিফ।
এদিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এভাবে হঠাৎ হাজির হওয়াকে ঘিরে ভিন্ন ভিন্ন তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। ফ্রান্স কর্তৃপক্ষ সাংবাদিকদের জানায়, মার্কিন প্রতিনিধিদলের সম্মতিতেই পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, তাঁরা এ ঘটনায় বিস্মিত হয়েছেন।
এর আগে গতকাল সকালে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে উত্তেজনা প্রশমনে ফ্রান্সের মধ্যস্থতার চেষ্টাকে নাকচ করে দেন। তিনি বলেন, ‘যা করার তা আমরা নিজেরাই করব। কিন্তু আপনারা জানেন, লোকজনকে কথা বলা থেকে বিরত রাখা যায় না। যারা কথা বলতে চায়, বলুক।’
সপ্তাহজুড়ে চলমান জি-৭–এর ৪৫তম সম্মেলনে অংশ নিয়েছে যুক্তরাজ্য, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান ও যুক্তরাষ্ট্র। শীর্ষ সম্মেলনের আলোচ্যসূচির মধ্যে গুরুত্ব পাচ্ছে পারমাণবিক চুক্তি ও ব্রেক্সিট ইস্যু।

সরকার প্লট দিলে চির কৃতজ্ঞ থাকবেন বিএনপি এমপি রুমিন ফারহানা

0

বিএনপির সাংসদ রুমিন ফারহানা আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের কাছে ১০ কাঠার একটি প্লট চেয়েছেন। রুমিন ফারহানা গত ৯ জুন সাংসদ হিসেবে শপথ নেন। আর প্লটের জন্য আবেদন করেন ৩ আগস্ট। রুমিন ফারহানা বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ–আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক। বিএনপির মনোনয়নে এবারই প্রথমবারের মতো সাংসদ হন তিনি। সরকার প্লট দিলে ‘চিরকৃতজ্ঞ’ থাকবেন বলেও উল্লেখ করেছেন বিএনপি থেকে মনোনীত সংরক্ষিত নারী আসনের এই সাংসদ।

গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের বরাবর পাঠানো চিঠিতে রুমিন ফারহানা লিখেছেন, আপনার সদয় অবগতির ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জানানো যাচ্ছে যে, ঢাকাস্থ পূর্বাচল আবাসিক এরঅকায় ১০ (দশ) কাটা প্লট এর প্রয়োজন। ঢাকা শহরে আমার কোনো জায়গা/ফ্ল্যাট, জমি নাই। ওকালতি ছাড়া আমার অন্য কোনো ব্যবসা/পেশা নাই। আমার নামে ১০(দশ) কাঠা প্লট বরাদ্দের জন্য সুব্যবস্থা করে দিতে আপনার মর্জি হয়।

এমতাবস্থায় আপনার নিকট আবেদন, আমার নামে ১০(দশ) কাঠা প্লট বরাদ্দ করলে আমি আপনার নিকট চির কৃতজ্ঞ থাকব।আপনার সদয় অবগতির ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জানানো যাচ্ছে যে, ঢাকাস্থ পূর্বাচল আবাসিক এরঅকায় ১০ (দশ) কাটা প্লট এর প্রয়োজন। ঢাকা শহরে আমার কোনো জায়গা/ফ্ল্যাট, জমি নাই। ওকালতি ছাড়া আমার অন্য কোনো ব্যবসা/পেশা নাই। আমার নামে ১০(দশ) কাঠা প্লট বরাদ্দের জন্য সুব্যবস্থা করে দিতে আপনার মর্জি হয়। এমতাবস্থায় আপনার নিকট আবেদন, আমার নামে ১০(দশ) কাঠা প্লট বরাদ্দ করলে আমি আপনার নিকট চির কৃতজ্ঞ থাকব।

চিঠি প্রাপ্তির বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। তিনি বলেছেন, আইন অনুযায়ী এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উল্লেখ্য, সংসদকে ‘অবৈধ’ বলে আসা এবং বর্তমান সরকারের তীব্র সমালোচক হিসেবে পরিচিত রুমিন ফারহানা সাংসদ হিসেবে শপথ নিয়ে আলোচনার সৃষ্টি করেন। এবার তার প্লট চাওয়া নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মহলে সমালোচনা শুরু হয়েছে।

রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকগুলোকে সরকারি কোষাগার থেকে কোনো মূলধন দেওয়া হবে না

0

এখন থেকে রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকগুলোকে সরকারি কোষাগার থেকে কোনো মূলধন দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। আগারগাঁওয়ে এনইসি সম্মেলনকক্ষে আজ রোববার রাষ্ট্রমালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের (এমডি) সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকের পর এক ব্রিফিংয়ে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ঘাটতি পূরণের জন্য ব্যাংকগুলোকে এত দিন টাকা দেওয়া হলেও এখন তা অতীত। তাদের আয় করতে হবে এবং দেশের মানুষকে দেখাশোনা করেই বেতন নিতে হবে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ১০ বছরে সোনালী, অগ্রণী, জনতা, রূপালী, বেসিক ও বিডিবিএল মূলধন ঘাটতি পূরণে সরকারি কোষাগার থেকে ১৫ হাজার কোটি টাকার মতো নিয়েছে।

সুদের হার এক অঙ্কে নামানোর বিষয়ে কয়েক দিন আগে বাংলাদেশ ব্যাংককে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী। বাজার অর্থনীতিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে দিয়ে এভাবে প্রজ্ঞাপন জারি করানো যায় কি না, জানতে চাইলে মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের বলেন, ‘যায়। কারণ, বাজার অর্থনীতির বড় প্রবক্তা হলো যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু আমরা কী দেখলাম? যুক্তরাষ্ট্রও জরুরি প্রয়োজনে ডলার ছাপিয়েছে। এটা তাহলে কোন বাজার অর্থনীতির মধ্যে পড়ে?’

অর্থমন্ত্রী হিসেবে গত জানুয়ারিতে দায়িত্ব নেওয়ার পর মুস্তফা কামাল ঘোষণা দিয়েছিলেন, খেলাপি ঋণ এক টাকাও আর বাড়বে না। অর্থমন্ত্রীর কাছে সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিল, এর পরও যে খেলাপি ঋণ বেড়েছে, একে তিনি তাঁর বলে ব্যর্থতা স্বীকার করবেন কি না? জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘যদি বলেন বেড়েছে, আমি স্বীকার করব না। আমি চাই আপনারাও স্বীকার করেন যে এটা বাড়েনি।’

তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ছয় মাসে (জানুয়ারি-জুন) ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১৮ হাজার ৫১৪ কোটি টাকা। জুন পর্যন্ত হিসাবে খেলাপি ঋণ ১ লাখ ১২ হাজার ৪২৫ কোটি টাকা। অবলোপন করা ঋণের অঙ্ক যোগ করলে খেলাপি ঋণ দেড় লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে।
অথচ অর্থমন্ত্রী যখন ঘোষণা দিয়েছিলেন এক টাকাও বাড়বে না, তখন খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ৯৩ হাজার ৯১১ কোটি টাকা।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘যেদিন আমি বলেছিলাম খেলাপি ঋণ আর বাড়বে না, সেদিন একটি পরিকল্পনা করার কথাও বলেছিলাম। অর্থবিলে সে পরিকল্পনার কিছু বিষয় আছে। কিন্তু কার্যকর করতে পারছি না। কার্যকর করতে না পারলে কীভাবে মূল্যায়ন করবেন যে খেলাপি ঋণ বেড়েছে কি বাড়েনি?’

বঙ্গবন্ধু বিশ্বের অবিসংবাদিত নেতা

0

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে আজ রবিবার সকাল ১০টায় আইসিটি টাওয়ারের অডিটোরিয়ামে এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আইসিটি বিভাগের পক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ।

আইসিটি বিভাগের সচিব এন এম জিয়াউল আলমের সভাপতিত্বে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ হবে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা’ শীর্ষক এই আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, এমপি। বঙ্গবন্ধুর সাথে শহীদ কর্ণেল জামিলের কন্যা বেগম আফরোজা জামিল কঙ্কা আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ. কে. এম. রহমতুল্লাহ, এমপি এবং সাবেক সচিব ও বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের কিউরেটর নজরুল ইসলাম খান আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসিবে উপস্থিত ছিলেন।

পবিত্র ধর্মগ্রন্থ হতে পাঠ, ১৫ ও ২১ আগস্টে শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের উদ্দেশ্যে এক মিনিট নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। স্বাগত বক্তব্যে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (সচিব) হোসনে আরা বেগম এনডিসি মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের অবদান, বঙ্গবন্ধুর রাষ্ট্র দর্শন ও সোনার বাংলা বিনির্মাণে পরিকল্পনা সম্পর্কে আলোচনা করেন। দেশের প্রতি বর্তমান প্রজন্মের দায়বদ্ধতার কথা তিনি স্মরণ করিয়ে দেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, মুক্তিযুদ্ধের অব্যবহিত পরেই একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে পুনর্গঠনে যখন বঙ্গবন্ধু হাত দিয়েছিলেন, তখন থেকেই তার বিরুদ্ধে শুরু হয় ষড়যন্ত্র। এসব ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করেই তিনি দেশকে এগিয়ে নিতে বদ্ধপরিকর ছিলেন। ১৯৭৪ সালেই তার দূরদর্শী সিদ্ধান্তে বাংলাদেশ যোগ দেয় আন্তর্জাতিক টেলিকেমিউনিকেশন ইউনিয়নে (আইটিইউ)। তারই সিদ্ধান্তে বেতবুনিয়ায় স্থাপন করা হয় ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র। বর্তমানে বঙ্গবন্ধুর কন্যা তার অসমাপ্ত কাজগুলো শেষ করার জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন।

তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু কোনো নির্দিষ্ট দল, গোষ্ঠী বা দেশের নন, তিনি বিশ্বের একজন অবিসংবাদিত নেতা।

প্রধান আলোচকের বক্তব্যে বেগম আফরোজা জামিল কঙ্কা বলেন, দেশের মানুষের প্রতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ছিলে অপার আস্থা। তার ডাকে সাড়া দিয়ে সবাই স্বতস্ফূর্তভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলে। আবার তার ডাকেই হামলার খবরে যখন সেনাপ্রধানসহ প্রভাবশালী অনেক কর্মকর্তাই খেই হারিয়ে ফেলেন, তখন নিজের কর্তব্যের ডাকে বঙ্গবন্ধুকে বাঁচাতে ছুটে যান তৎকালীন রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব আমার বাবা কর্নেল জামিল আহমেদ। বাবা সিভিল ড্রেসেই বঙ্গবন্ধুর বাসভবনের দিকে রওনা হন। মা একটু ইতস্তত করছিলেন। বাবা বললেন, ‘বঙ্গবন্ধুর বিপদ, আমাকে যেতেই হবে।’ কিন্তু বাবা যেতে পারেননি, ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর বাসায় পৌঁছানোর আগেই বাবাকে সোবহানবাগ মসজিদের কাছে গুলি করে হত্যা করা হয়

৭২ ঘণ্টার মধ্যেই মিলবে ১০ বছর মেয়াদি ইলেকট্রনিক্স পাসপোর্ট

0

ইলেকট্রনিক্স পাসপোর্ট (ই-পাসপোর্ট) পেতে অতি জরুরি ফি জমা দিলে ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই তা হাতে পাবেন গ্রাহক। এর মেয়াদ করা হয়েছে ১০ বছর। এই ই পাসপোর্টে সত্যায়ন পদ্ধতি থাকছে না। তবে আগের নিয়ম অনুযায়ী পুলিশ ভেরিফিকেশনের পরই গ্রাহক তার পাসপোর্ট হাতে পাবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ইলেকট্রনিক্স পাসপোর্টের মেয়াদ, আবেদন ফরম ও ফি নির্ধারণ-সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করা হয়েছে। পরিপত্র থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা জানান, দ্রুতই ই-পাসপোর্ট চালুর জন্য সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জারি করা পরিপত্র এবং পাসপোর্ট অধিদপ্তর সূত্র জানায়, ই-পাসপোর্ট ৪৮ ও ৬৪ পৃষ্ঠার হবে। ৪৮ পৃষ্ঠার ই-পাসপোর্টে ভ্যাট ছাড়া সাধারণ ফি নির্ধারণ করা হয়েছে পাঁচ বছর মেয়াদের জন্য সাড়ে তিন হাজার টাকা এবং ১০ বছরের জন্য পাঁচ হাজার টাকা। পাঁচ বছরের জন্য জরুরি ফি সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা এবং ১০ বছরের জন্য সাত হাজার টাকা। পাঁচ বছরের অতি জরুরি আবেদনের ক্ষেত্রে সাড়ে সাত হাজার টাকা এবং ১০ বছরের জন্য নয় হাজার টাকা ফি দিতে হবে।

এদিকে পাঁচ বছর মেয়াদের ৬৪ পৃষ্ঠার পাসপোর্টের জন্য ভ্যাট ছাড়া সাধারণ ফি নির্ধারণ করা হয়েছে সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা এবং ১০ বছর মেয়াদের জন্য সাত হাজার টাকা। একই পৃষ্ঠার পাসপোর্টে জরুরি ফি পাঁচ বছরের জন্য সাড়ে সাত হাজার টাকা এবং ১০ বছরের জন্য নয় হাজার টাকা। ৬৪ পৃষ্ঠার পাঁচ বছর মেয়াদি অতি জরুরি পাসপোর্ট পেতে হলে গ্রাহককে ফি দিতে হবে সাড়ে ১০ হাজার টাকা এবং ১০ বছর মেয়াদের পাসপোর্ট পেতে হলে ফি লাগবে ১২ হাজার টাকা।

এদিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের বহিরাগমন শাখা-১ থেকে গত ১ আগস্ট জারি করা পরিপত্রে বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি নাগরিকদের ই-পাসপোর্ট পেতে ‘সাধারণ আবেদনকারী’ এবং ‘শ্রমিক ও শিক্ষার্থী’ নামে দুই ক্যাটেগরিতে ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি নাগরিকরা সাধারণ ও জরুরি পাসপোর্ট পেলেও তারা অতি জরুরি আবেদন করতে পারবেন না।

সাধারণ আবেদনকারীকে পাঁচ বছর মেয়াদের ৪৮ পৃষ্ঠার পাসপোর্ট পেতে ১০০ মার্কিন ডলার এবং জরুরি পাসপোর্ট পেতে দেড়শ ডলার ফি দিতে হবে। একই পৃষ্ঠার ১০ বছর মেয়াদি পাসপোর্ট পেতে খরচ করতে হবে ১২৫ মার্কিন ডলার ও ১৭৫ মার্কিন ডলার বা সমমূল্যের মুদ্রা। ৬৪ পৃষ্ঠার পাঁচ বছর মেয়াদি পাসপোর্টের জন্য সাধারণ ফি ১৫০ ডলার এবং জরুরি ফি ২০০ ডলার। একই পৃষ্ঠার ১০ বছর মেয়াদি পাসপোর্টের জন্য বিদেশে বসবাসকারী বাংলাদেশি নাগরিককে সাধারণ ফি বাবদ ১৭৫ ডলার এবং জরুরি পাসপোর্ট বাবদ ২২৫ মার্কিন ডলার বা সমমূল্যের মুদ্রা দিতে হবে। তবে বিদেশে অবস্থানরত শ্রমিক ও শিক্ষার্থীদের জন্য এই ফি কমানো হয়েছে।

বিদেশে অবস্থানরত শ্রমিক বা শিক্ষার্থীদের পাঁচ বছর মেয়াদি ৪৮ পৃষ্ঠার পাসপোর্ট পেতে সাধারণ আবেদনে ৩০ ডলার ও জরুরি ক্ষেত্রে ৪৫ ডলার এবং ১০ বছর মেয়াদে ৫০ ডলার ও ৭৫ ডলার ফি দিতে হবে। ৬৪ পৃষ্ঠার পাসপোর্ট পেতে এ ফি নির্ধারণ করা হয়েছে পাঁচ বছরের জন্য ১৫০ ডলার ও ২০০ ডলার এবং ১০ বছরের জন্য ১৭৫ ডলার এবং ২২৫ ডলার বা সমমূল্যের মুদ্রা। তবে সাধারণ বসবাসকারী, শ্রমিক বা শিক্ষার্থীদের এসব ফির সঙ্গে দূতাবাস প্রদত্ত সারচার্জও যুক্ত হবে।

পরিপত্রে বলা হয়েছে, ই-পাসপোর্ট আবেদনের ক্ষেত্রে কোনো কাগজপত্র সত্যায়ন করা লাগবে না। অত্যাধুনিক এই পাসপোর্টের ফরমে প্রার্থীর কোনো ছবি সংযোজনও করতে হবে না। অপ্রাপ্তবয়স্ক আবেদনকারী অর্থাৎ যার জাতীয় পরিচয়পত্র নেই, তার বাবা এবং মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর সংযুক্ত করতে হবে। ১৮ বছরের নিচের আবেদনকারীদের জন্ম নিবন্ধন সনদ জমা দেওয়া গেলেও ১৮ বছরের হলে জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা জন্ম নিবন্ধন সনদ দিয়ে আবেদন করা যাবে। কিন্তু ১৮ বছরের ওপরের আবেদনকারীদের অবশ্যই জাতীয় পরিচয়পত্র লাগবে।

মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট ফরমের ব্যক্তিগত তথ্য অংশে শুধু বাবা, মা, অভিভাবক, নির্ভরশীলের নাম, পেশা ও জাতীয়তার তথ্য চাওয়া হতো। তবে ই-পাসপোর্টের জন্য নির্ধারণ করা আবেদন ফরমে দেখা যায়, এ ক্ষেত্রে প্রত্যেকের জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বরও চাওয়া হয়েছে।

বঙ্গবন্ধুর ও রেড ক্রিসেন্টের দর্শনের মাঝে অসাধারণ মিল

0

বঙ্গবন্ধুর দর্শন, মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং রেড ক্রিসেন্টের দর্শনের মাঝে এক অসাধারণ মিল পাওয়া যায়। বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকলের জন্য কাজ করে। আপনাদের মধ্যে একটি বিশেষ চেতনা রয়েছে। সেটি হচ্ছে মানবতাবাদী চেতনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর দর্শনও তাই ছিল।

আজ রবিবার সকালে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির উদ্যোগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৪তম শাহাদৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আখতারুজ্জামান এসব কথা বলেন।

সকাল সাড়ে ১০ টায় বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির মগবাজারস্থ জাতীয় সদর দপ্তর প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত আলোচনাসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আখতারুজ্জামান। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির মাননীয় চেয়ারম্যান জনাব হাফিজ আহমদ মজুমদার এমপি।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সম্মানিত ট্রেজারার অ্যাডভোকেট তৌহিদুর রহমান, সোসাইটির ম্যানেজিং বোর্ডের সম্মানিত সদস্য জনাব লুৎফুর রহমান চৌধুরী হেলাল, অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীন, জনাব রবীন্দ্র মোহন সাহা ও শেখ রইসুল আলম ময়না।

স্বাগত বক্তব্যে রাখেন সোসাইটির মহাসচিব মো. ফিরোজ সালাহ্ উদ্দিন (প্রাক্তন সচিব, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার)। অনুষ্ঠানে সোসাইটির সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

সঞ্চালনায় ছিলেন অনুষ্ঠান উদ্যাপন কমিটির আহ্বায়ক ও পরিচালক (অপারেশন) দুর্যোগ প্রস্তুতি কর্মসুচি (সিপিপি) মো. নুর ইসলাম খান। আলোচনাসভা শেষে বাদ জোহর দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধান অতিথি বলেন, বঙ্গবন্ধু আমদের মাঝে বেঁচে আছেন এবং থাকবেন, তিনি শুধু বঙ্গবন্ধু নন তিনি বিশ্ববন্ধুও। তিনি বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিকে একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করে জনগণ এবং মানবতাবাদের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করেন।

বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান হাফিজ আহমদ মজুমদার এমপি বলেন, বঙ্গবন্ধু চলে গেছেন কিন্তু রেখে গেছেন আদর্শকে। যার ওপর ভর করে আমরা পথ চলছি।

বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির মহাসচিব মো. ফিরোজ সালাহ উদ্দিন বলেন, আমরা গর্বিত যে, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া একটি প্রতিষ্ঠান। বঙ্গবন্ধু মানবিক সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিকে কার্যালয় তৈরিতে স্থায়ীভাবে জমিও বরাদ্দ দিয়েছিলেন। আমরা যত বেশি মানুষকে মানবিক সহায়তা দিতে পারব বঙ্গবন্ধুর আত্মা তত বেশি শান্তি পাবে।

বোলিংয়ে কারা এগিয়ে?

0

বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সময়ে টেস্টে যা সাফল্য, সবই এসেছে স্পিনের বিষমাখা উইকেট বানিয়ে। কিন্তু আফগানদের বিপক্ষে চোখ বুজে স্পিনের বধ্যভূমি বানানোর সাহস কি দেখাতে পারবে বাংলাদেশ? এই সময়ে বিশ্বের সেরা স্পিনারটি যে আফগানিস্তান দলেই। শুধু কি স্পিন? পুরো বোলিং ইউনিট হিসেবে বাংলাদেশ আর আফগানিস্তানের মধ্যে কারা এগিয়ে—এ নিয়ে বিতর্ক হতেই পারে।

কিন্তু মেহেদী মিরাজের মনে কোনো সন্দেহ নেই, বোলিং আক্রমণে এগিয়ে থাকবে বাংলাদেশই। কারণ? অভিজ্ঞতা। মিরাজ বলেছেন, ‘আমাদের বোলারদের অভিজ্ঞতা অনেক বেশি। বিশেষ করে আমাদের দলে সাকিব ভাইয়ের মতো বোলার আছেন। যিনি প্রায় ১৩-১৪ বছর ক্রিকেট খেলে ফেলেছেন। খেলোয়াড় হিসেবেও সফল। বিশ্বসেরা বোলিং, ব্যাটিং নিয়েই তিনি অলরাউন্ডার।’

এক সাকিবই পার্থক্য গড়ে দেয়, এ আর নতুন কী। তবে শুধু সাকিবের বলে নয়, মিরাজ নিজেদের সামগ্রিকভাবেই অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ ভাবছেন, ‘তাইজুল ভাইয়ের আর একটা উইকেট পেলে টেস্টে ১০০ উইকেট হবে। আমার অভিজ্ঞতাও ৩-৪ বছরের হয়ে গেল। ওদের থেকে আমার টেস্ট ক্রিকেটের অভিজ্ঞতায় অনেক ভালো।’

টেস্টে অভিজ্ঞতা কেন বেশি জরুরি, সেটিও বললেন মিরাজ, ‘ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের চাইতে টেস্ট ক্রিকেট একেবারেই আলাদা একটা ফরম্যাট। ওদের স্পিনাররা যেটা করে, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে রান বাঁচাতে ওরা বিভিন্ন জায়গা বল করে থাকে। এটার জন্য ব্যাটসম্যান রান তুলতে বাড়তি আক্রমণাত্মক হয়, টেস্ট ক্রিকেটে কিন্তু ওই রকম কিছু নেই যে জোর করে মারা বা চার্জ করে খেলা। যতক্ষণ ভালো করবে ততক্ষণ ব্যাটসম্যান টিকে থাকবে। একটা ডেলিভারি খারাপ করলে ওটাই মারবে। এ কারণে ধৈর্য নিয়ে বল করতে পারাটাই এখানে বোলারদের আসল মেজাজের পরীক্ষা।’

আফগানিস্তান টেস্ট খেলেছেই মাত্র দুটি। ২ টেস্টে ৯ উইকেট রশিদ খানের। ইয়ামিন আহমেদজাইয়েরও উইকেট ৯টি। এমন আহামরি কিছু নয়। ক্রিকেটের দৈর্ঘ্য যত বড় হয়, আফগানদের সম্ভাবনাও তেমন কমে আসে। মিরাজ আত্মবিশ্বাসী, ‘ওরা কতটুকু করবে বা কতটুকু প্রস্তুতি নিয়ে আসবে সেটা ওরাই ভালো জানে। তবে আমি মনে করি ওদের থেকে টেস্ট ক্রিকেটে আমরা অনেক এগিয়ে আছি। আমরা শতভাগ দিতে পারলে ফলাফল আমাদের দিকেই আসবে।’

দ্বিতীয় গোলরক্ষক হিসেবে পেপে রেইনাকে দলে চাইছে রিয়াল মাদ্রিদ

0

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের দলবদলের সময়সীমা শেষ হয়ে গেলেও অন্যান্য লিগের দলবদল চলছে পুরোদমে। জুনের শুরু থেকে দলবদলের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হওয়ার পর এর মধ্যেই অনেক খেলোয়াড় দলবদল করে ফেলেছেন। আসুন একনজরে দেখে নেওয়া যাক এই গ্রীষ্মে ঘটে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ কিছু দলবদল সম্পর্কে!
আদৌ কি নেইমার বার্সেলোনায় আসবেন? গ্যারেথ বেল কি রিয়াল মাদ্রিদ ছাড়তে পারবেন? হামেস রদ্রিগেজ রিয়াল ছেড়ে কোথায় যাবেন? পল পগবা কি রিয়ালে আসবেন? এমন সব আলোচনার মাঝেই বার্সেলোনা ছেড়ে বায়ার্ন মিউনিখে চলে গেছেন কুতিনহো। এই দলবদলে এক মৌসুমের জন্য ৮.৫ মিলিয়ন ইউরো পাবে বার্সেলোনা। লুকাকু ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ছেড়ে পাড়ি জমিয়েছেন ইন্টার মিলানে।

এ রকম হাজারো প্রশ্নের উত্তর নিশ্চিত হয়ে যাবে আর কিছুদিনের মধ্যেই। ইউরোপীয় ফুটবলে গ্রীষ্মকালীন দলবদলের আর বেশি দিন বাকি নেই। প্রিমিয়ার লিগের দলবদল শেষ হয়ে গিয়েছে এর মধ্যেই, যেখানে স্প্যানিশ-ইতালিয়ান ও ফরাসি লিগগুলোর দলবদল থামবে আগামী মাসের ২ তারিখে। এ পর্যন্ত কোন কোন খেলোয়াড় দল পরিবর্তন করলেন? কে কে এখনো করেননি কিন্তু করতে পারেন? কার কোন ক্লাবে যাওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই নেই? আসুন একনজরে দেখে নেওয়া যাক!

গতকালের দলবদল
গিলের্মো মারিপান (আলাভেস থেকে মোনাকো, ১৬ মিলিয়ন পাউন্ড)

গতকালের আগ পর্যন্ত দলবদল
রেনাতো সানচেস (বায়ার্ন মিউনিখ থেকে লিল, ২৩ মিলিয়ন পাউন্ড)
হারভিং লোজানো (পিএসভি থেকে নাপোলি, ৩৪.৪ মিলিয়ন পাউন্ড)
অ্যাশলি উইলিয়ামস (এভারটন থেকে ব্রিস্টল সিটি, ফ্রি)
ফ্রেজার ফরস্টার (সাউদাম্পটন থেকে সেল্টিক, ধার)
তাকেফুসা কুবো (রিয়াল মাদ্রিদ থেকে রিয়াল মায়োর্কা, ধার)
জর্জেস কেভিন এনকদু (টটেনহাম থেকে বেসিকতাস, ৪.৫ মিলিয়ন পাউন্ড)
ড্যানিয়েল স্টারিজ (ত্রাবজোনস্পোর, ফ্রি)
আদ্রিয়েন সিলভা (লেস্টার সিটি থেকে মোনাকো, ধার)
ক্যাসপার ডলবার্গ (আয়াক্স থেকে নিস, ১৮ মিলিয়ন পাউন্ড)

ডেভিডে জাপাকস্তা (চেলসি থেকে এএস রোমা, ধার)
ফ্রাঙ্ক রিবেরি (ফিওরেন্টিনা, ফ্রি)
ইসলাম সিলমানি (লেস্টার সিটি থেকে মোনাকো, ধার)
স্টেফান লিখস্টাইনার (আর্সেনাল থেকে অগসবুর্গ, ফ্রি)
লুকা পেলেগ্রিনি (জুভেন্টাস থেকে ক্যালিয়ারি, ধার)
ফিলিপে কুতিনহো (বার্সেলোনা থেকে বায়ার্ন মিউনিখ, ধার)
মারিও বালোতেল্লি (ব্রেসিয়া, ফ্রি)
লিয়াম মরিসন (সেল্টিক থেকে বায়ার্ন মিউনিখ)
মিকায়েল কুইসাঞ্চ (বরুশিয়া মনশেনগ্লাডবাখ থেকে বায়ার্ন মিউনিখ, ৮ মিলিয়ন পাউন্ড)
স্টিভেন এনজনজি (এএস রোমা থেকে গ্যালাতাসারাই, ধার)
দিয়াদিয়ে সামাসাকু (রেড বুল সালজবুর্গ থেকে হফেনহেইম, ১২.৯ মিলিয়ন পাউন্ড)
বোর্হা ইগলেসিয়াস (এসপানিওল থেকে রিয়াল বেতিস, ২৫ মিলিয়ন পাউন্ড)
উইসাম বেন ইয়েদের (সেভিয়া থেকে মোনাকো, ৩৭ মিলিয়ন পাউন্ড)

রনি লোপেস (মোনাকো থেকে সেভিয়া, ১৮.৫ মিলিয়ন পাউন্ড)
জেফ রেনে অ্যাডেলেড (অ্যাঙ্গার্স থেকে লিওঁ, ২৩ মিলিয়ন পাউন্ড)
ইভান পেরিসিচ (ইন্টার মিলান থেকে বায়ার্ন মিউনিখ, ধার)
আন্দ্রে লুনিন (রিয়াল মাদ্রিদ থেকে রিয়াল ভায়াদোলিদ, ধার)
কেনেথ ওমেরুও (চেলসি থেকে লেগানেস, ৪.৬ মিলিয়ন পাউন্ড)
জোয়েল পেরেইরা (ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে হার্টস, ধার)
ম্যাক্সিমিলিয়ান ফিলিপ (বরুশিয়া ডর্টমুন্ড থেকে ডায়নামো মস্কো, ১৮.৫ মিলিয়ন পাউন্ড)
শিনজি কাগাওয়া (বরুশিয়া ডর্টমুন্ড থেকে রিয়াল জারাগোজা, ১.৫ মিলিয়ন পাউন্ড)
লাসে শোনে (আয়াক্স থেকে জেনোয়া, ১.৪ মিলিয়ন পাউন্ড)
মার্টিন স্কার্টেল (ফেনেরবাচে থেকে আটালান্টা, ফ্রি)

নাহিতান নান্দেস (বোকা জুনিয়র্স থেকে ক্যালিয়ারি, ১৬.২ মিলিয়ন পাউন্ড)
এরিক পুলগার (বোলোনিয়া থেকে ফিওরেন্টিনা, ৯ মিলিয়ন পাউন্ড)
ওমর তোপরাক (বরুশিয়া ডর্টমুন্ড থেকে ওয়ের্ডার ব্রেমেন, ধার)
নাসের শাদলি (মোনাকো থেকে আন্ডারলেখট, ধার)
জিরোনিমো রুইয়ি (রিয়াল সোসিয়েদাদ থেকে মঁপেলিয়ের, ধার)
হেনরি ওনিয়েকুরু (এভারটন থেকে মোনাকো, ১২.৫ মিলিয়ন পাউন্ড)
সার্জিও গোমেজ (বরুশিয়া ডর্টমুন্ড থেকে হুয়েস্কা, ধার)
এলিয়াকিম মাঙ্গালা (ম্যানচেস্টার সিটি থেকে ভ্যালেন্সিয়া, ফ্রি)

হ্যানিবাল মেজব্রি (মোনাকো থেকে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, ৪.৭ মিলিয়ন পাউন্ড)
পেদ্রো পোরো (জিরোনা থেকে ম্যানচেস্টার সিটি, ১০.৫ মিলিয়ন পাউন্ড)
দেনিস প্রায়েত (সাম্পদোরিয়া থেক লেস্টার সিটি, ১৮ মিলিয়ন পাউন্ড)
ড্যানি ড্রিঙ্কওয়াটার (চেলসি থেকে বার্নলি, ধার)
আলবিয়ান আয়েতি (বাসেল থেকে ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেড, ৮ মিলিয়ন পাউন্ড)
রিক কার্সদর্প (রোমা থেকে ফেইনুর্দ, ধার)
লিও দুয়ার্তে (ফ্লামেঙ্গো থেকে এসি মিলান, ৮ মিলিয়ন পাউন্ড)
ড্যানি ওয়েলবেক (আর্সেনাল থেকে ওয়াটফোর্ড, ফ্রি)

জিব্রিল সিদিবে (মোনাকো থেকে এভারটন, ধার)
ইসমাইলা সার (রেনেঁ থেকে ওয়াটফোর্ড, ৩০ মিলিয়ন পাউন্ড)
অ্যান্ডি ক্যারল (ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেড থেকে নিউক্যাসল ইউনাইটেড, ফ্রি)
রোমেলু লুকাকু (ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে ইন্টার মিলান, ৭৪ মিলিয়ন পাউন্ড)
রায়ান সেসেনিয়ন (ফুলহাম থেকে টটেনহাম, ২৫ মিলিয়ন পাউন্ড)
কিয়েরান টিয়ের্নি (সেল্টিক থেকে আর্সেনাল, ২৫ মিলিয়ন পাউন্ড)
এমিল ক্রাফট (এমিয়েন্স থেকে নিউক্যাসল, ৫ মিলিয়ন পাউন্ড)

ইসমাইলা সার (রেনে থেকে ওয়াটফোর্ড, ২৫ মিলিয়ন পাউন্ড)
জোয়াও কানসেলো (জুভেন্টাস থেকে ম্যানচেস্টার সিটি, দানিলো + ৩৪.১ মিলিয়ন পাউন্ড)
দানিলো (ম্যানচেস্টার সিটি থেকে জুভেন্টাস, ক্যানসেলোর দলবদলের অংশ)
ডেভিড লুইজ (চেলসি থেকে আর্সেনাল, ৮ মিলিয়ন পাউন্ড)
অ্যালেক্স আইওবি (আর্সেনাল থেকে এভারটন, ৪০ মিলিয়ন পাউন্ড)
লরাঁ কসিয়েলনি (আর্সেনাল থেকে বোর্দো, ৪.৬ মিলিয়ন পাউন্ড)
রুবেন আগিলার (মঁপেলিয়ের থেকে মোনাকো, ৯ মিলিয়ন পাউন্ড)
ইউসুফ ইয়াজিকি (ত্রাবজোনস্পোর থেকে লিল, ১৫ মিলিয়ন পাউন্ড)
হ্যারি ম্যাগুয়ার (লেস্টার সিটি থেকে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, ৮০ মিলিয়ন পাউন্ড)

আদ্রিয়ান (ওয়েস্ট হাম থেকে লিভারপুল, ফ্রি)
মিলান বাদেল (লাজিও থেকে ফিওরেন্টিনা, ধার)
দারিও বেনেদেত্তো (বোকা জুনিয়র্স থেকে মার্শেই, ১৪.৭ মিলিয়ন ইউরো)
গ্যারি ক্যাহিল (চেলসি থেকে ক্রিস্টাল প্যালেস, ফ্রি)
জুনিয়র ফিরপো (রিয়াল বেতিস থেকে বার্সেলোনা, ১৬.২ মিলিয়ন পাউন্ড)
সিমোন মিনিওলেত (লিভারপুল থেকে ক্লাব ব্রুজেস, ৮ মিলিয়ন পাউন্ড)
ইসমাইল বেনেসার (এম্পোলি থেকে এসি মিলান, ১৪.৪ মিলিয়ন পাউন্ড)
মইস কিন (জুভেন্টাস থেকে এভারটন, ২৯ মিলিয়ন পাউন্ড)
হুয়ানফ্রান (অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ থেকে সাও পাওলো, ফ্রি)

জ্যাঁ ফিলিপ গোবামাঁ (মেইঞ্জ থেকে এভারটন, ২২.৫ মিলিয়ন পাউন্ড)
জেট্রো উইলেমস (আইনট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট থেকে নিউক্যাসল ইউনাইটেড, ধার)
আলান সাঁ-মাক্সিমাঁ (নিস থেকে নিউক্যাসল ইউনাইটেড, ১৬.৫ মিলিয়ন পাউন্ড)
মালকম (বার্সেলোনা থেকে জেনিত, ৩৬ মিলিয়ন পাউন্ড)
রাজ্জা নাইনগোলান (ইন্টার মিলান থেকে ক্যালিয়ারি, ধার)
দানি আলভেস (পিএসজি থেকে সাও পাওলো, ধার)
রাফায়েল লিয়াও (লিল থেকে এসি মিলান, ৩২ মিলিয়ন পাউন্ড)
নিকোলাস পেপে (লিল থেকে আর্সেনাল, ৭২ মিলিয়ন পাউন্ড)
আন্দ্রে শুরলা (বরুশিয়া ডর্টমুন্ড থেকে স্পার্তাক মস্কো)
কেভিন প্রিন্স বোয়াতেং (সাসসুয়োলো থেকে ফিওরেন্টিনা, শূন্য দশমিক ৮৯ মিলিয়ন পাউন্ড)
প্যাট্রিক কুত্রোনে (এসি মিলান থেকে উলভারহ্যাম্পটন, ১৬.২ মিলিয়ন পাউন্ড)
ইদ্রিসা গানা গেয়ে (এভারটন থেকে পিএসজি, ২৯ মিলিয়ন পাউন্ড)

গত মাসের দলবদল
ধার
বোরহা মায়োরাল (রিয়াল মাদ্রিদ থেকে লেভান্তে)
হেসুস ভায়েহো (রিয়াল মাদ্রিদ থেকে উলভারহ্যাম্পটন)
দানি সেবায়োস (রিয়াল মাদ্রিদ থেকে আর্সেনাল)
জর্দান ভেরতু (ফিওরেন্টিনা থেকে রোমা)
মার্কো কুকুরেয়া (বার্সেলোনা থেকে গেটাফে)
সার্জিও রেগিলন (রিয়াল মাদ্রিদ থেকে সেভিয়া)
জিয়ানলুকা মানচিনি (আটালান্টা থেকে রোমা)
নিকোলো বারেলা (ক্যালিয়ারি থেকে ইন্টার মিলান)
লুকা জিদান (রিয়াল মাদ্রিদ থেকে রেসিং সান্তানদার)

ফ্রি
সামির নাসরি (ওয়েস্ট হাম থেকে আন্ডারলেখট)
অ্যান্ডার হেরেরা (ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে পিএসজি)
জিয়ানলুইজি বুফন (পিএসজি থেকে জুভেন্টাস)
হেক্তর হেরেরা (পোর্তো থেকে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ)
ডিয়েগো গডিন (অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ থেকে ইন্টার মিলান)
অ্যারন র‍্যামসি (আর্সেনাল থেকে জুভেন্টাস)
আদ্রিয়েন রাবিও (পিএসজি থেকে জুভেন্টাস)
জোয়াও মিরান্দা (ইন্টার মিলান থেকে জিয়ানসু সুনিং)
হাভি সিমন্স (বার্সেলোনা থেকে পিএসজি, ফ্রি)
ফিলিপে লুইস (অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ থেকে ফ্লামেঙ্গো)
আলবার্তো মোরেনো (লিভারপুল থেকে ভিয়ারিয়াল)
টমাস ভারমেইলেন (বার্সেলোনা থেকে ভিসেল কোবে)

৩০ মিলিয়ন পাউন্ড বা তার নিচে

আয়োজে পেরেজ (নিউক্যাসল ইউনাইটেড থেকে লেস্টার সিটি, ৩০ মিলিয়ন পাউন্ড)
আবদু দিয়ালো (বরুশিয়া ডর্টমুন্ড থেকে পিএসজি, ২৯ মিলিয়ন পাউন্ড)
উইলিয়াম সালিবা (সেইন্ট এতিয়েঁ থেকে আর্সেনাল, ২৭ মিলিয়ন পাউন্ড)
পাউ লোপেজ (রিয়াল বেতিস থেকে রোমা, ২৩.৫ মিলিয়ন পাউন্ড)
মার্কো আরনাউতোভিচ (ওয়েস্ট হাম থেকে সাংহাই এসআইপিজি, ২২.৬ মিলিয়ন পাউন্ড)
আদেমোলা লুকমান (এভারটন থেকে আরবি লাইপজিগ, ২২.৫ মিলিয়ন পাউন্ড)
মারিও এরমোসো (এসপানিওল থেকে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ, ২২.৫ মিলিয়ন পাউন্ড)
রেনান লোদি (অ্যাটলেটিকো প্যারানায়েন্সে থেকে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ, ২২.৪ মিলিয়ন পাউন্ড)
ক্রিস্টিয়ান রোমেরো (জেনোয়া থেকে জুভেন্টাস, ২২ মিলিয়ন পাউন্ড)
হোয়াকিম আন্ডারসেন (সাম্পদোরিয়া থেকে লিওঁ, ২১ মিলিয়ন পাউন্ড)
কিয়েরান ট্রিপিয়ের (টটেনহাম থেকে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ, ২০ মিলিয়ন পাউন্ড)
ভ্যালেন্টিনো লাজারো (হার্থা বার্লিন থেকে ইন্টার মিলান, ১৯ মিলিয়ন পাউন্ড)
আমাদু দিয়াওয়ারা (নাপোলি থেকে রোমা, ১৮ মিলিয়ন পাউন্ড)
ফেলিপে (পোর্তো থেকে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ, ১৮ মিলিয়ন পাউন্ড)
থিও হার্নান্দেজ (রিয়াল মাদ্রিদ থেকে এসি মিলান, ১৮ মিলিয়ন পাউন্ড)
নাবিল ফেকির (লিওঁ থেকে রিয়াল বেতিস, ১৭.৮ মিলিয়ন পাউন্ড)

মেরিহ দেমিরাল (সাসসুয়োলো থেকে জুভেন্টাস, ১৬.১ মিলিয়ন পাউন্ড)
পাবলো সারাবিয়া (সেভিয়া থেকে পিএসজি, ১৬.১ মিলিয়ন পাউন্ড)
এলয়িফ এলমাস (ফেনেরবাচে থেকে নাপোলি, ১৪.৪ মিলিয়ন পাউন্ড)
ম্যাক্সি গোমেজ (সেল্টা ভিগো থেকে ভ্যালেন্সিয়া, ১৩ মিলিয়ন পাউন্ড)
ক্রিস্টোফার এনকুনকু (পিএসজি থেকে আরবি লাইপজিগ, ১১.৭ মিলিয়ন পাউন্ড)
ফাবিয়ান ডেলফ (ম্যানচেস্টার সিটি থেকে এভারটন, ৮.৫ মিলিয়ন পাউন্ড)
রাদে ক্রুনিচ (এম্পোলি থেকে এসি মিলান, ৭.২ মিলিয়ন পাউন্ড)
ইভান সাপোনয়িচ (পার্টিজান বেলগ্রেড থেকে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ, ৬.৭ মিলিয়ন পাউন্ড)
ভিনসেন্ট ইয়ানসেন (টটেনহাম থেকে মন্তেরে, ৬.৩ মিলিয়ন পাউন্ড)
গাব্রিয়েল মার্তিনেল্লি (ইতুয়ানো থেকে আর্সেনাল, ৬ মিলিয়ন পাউন্ড)
ডেনিস চেরিশেভ (ভিয়ারিয়াল থেকে ভ্যালেন্সিয়া, ৫.৪ মিলিয়ন পাউন্ড)
আনহেলিনিও (পিএসভি থেকে ম্যানচেস্টার সিটি, ৫.৩ মিলিয়ন পাউন্ড)
ফার্নান্দো রেজেস (গ্যালাতাসারাই থেকে সেভিয়া, ৪ মিলিয়ন পাউন্ড)

৩০ মিলিয়ন পাউন্ডের ওপরের দলবদল

বেঞ্জামিন পাভার (স্টুটগার্ট থেকে বায়ার্ন, ৩১.৪ মিলিয়ন পাউন্ড)
কস্তাস মানোলাস (রোমা থেকে নাপোলি, ৩২.২ মিলিয়ন পাউন্ড)
সেবাস্তিয়ান হলার (আইনট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট থেকে ওয়েস্ট হাম, ৪০ মিলিয়ন পাউন্ড)
স্তেফান এল শারাউই (রোমা থেকে সাংহাই শেনহুয়া, ৪০ মিলিয়ন পাউন্ড)
জোয়েলিনটন (হফেনহেইম থেকে নিউক্যাসল, ৪০ মিলিয়ন পাউন্ড)
এদার মিলিতাও (পোর্তো থেকে রিয়াল মাদ্রিদ, ৪৪ মিলিয়ন পাউন্ড)
লুকা ইয়োভিচ (আইনট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট থেকে রিয়াল মাদ্রিদ, ৫৫ মিলিয়ন পাউন্ড)

তাঙ্গুয়ে এনদোম্বলে (লিওঁ থেকে টটেনহাম, ৫৫.৫ মিলিয়ন পাউন্ড)
ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ং (আয়াক্স থেকে বার্সেলোনা, ৬৫.৩ মিলিয়ন পাউন্ড)
রদ্রি (অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ থেকে ম্যানচেস্টার সিটি, ৬৩ মিলিয়ন পাউন্ড)
ম্যাটাইস ডি লিখট (আয়াক্স থেকে জুভেন্টাস, ৬৭.৮ মিলিয়ন পাউন্ড)
লুকাস হার্নান্দেজ (অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ থেকে বায়ার্ন মিউনিখ, ৬৮ মিলিয়ন পাউন্ড)
এডেন হ্যাজার্ড (চেলসি থেকে রিয়াল মাদ্রিদ, ৯৮ মিলিয়ন পাউন্ড)
জোয়াও ফেলিক্স (বেনফিকা থেকে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ, ১১৩ মিলিয়ন পাউন্ড)
আঁতোয়ান গ্রিজমান (অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ থেকে বার্সেলোনা, ১১৪ মিলিয়ন পাউন্ড)

দলবদলের আগামী দিনগুলোয় যেসব খেলোয়াড় ক্লাব বদল করতে পারেন

নেইমার (পিএসজি থেকে বার্সেলোনা)
রদ্রিগো বেনতাংকুর (জুভেন্টাস থেকে বার্সেলোনা)
আর্তুরো ভিদাল (বার্সেলোনা থেকে ইন্টার মিলান)
রদ্রিগো দি পল (উদিনেসে থেকে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ)
মার্ক রোকা (এসপানিওল থেকে বায়ার্ন মিউনিখ)
অ্যালেক্সিস সানচেজ (ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে ইন্টার মিলান)
মেসুত ওজিল (আর্সেনাল থেকে ডিসি ইউনাইটেড)
মারিও মানজুকিচ (জুভেন্টাস থেকে বায়ার্ন মিউনিখ)
দেয়ান লভরেন (লিভারপুল থেকে বেয়ার লেভারকুসেন)
তিমুইয়ে বাকায়োকো (চেলসি থেকে মোনাকো)
রাদামেল ফালকাও (মোনাকো থেকে গ্যালাতাসারাই)
ফার্নান্দো ইয়োরেন্তে (টটেনহাম থেকে লাজিও)

রদ্রিগো মোরেনো (ভ্যালেন্সিয়া থেকে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ)
পেপে রেইনা (এসি মিলান থেকে রিয়াল মাদ্রিদ)
রদ্রিগো গোয়েস (রিয়াল মাদ্রিদ থেকে এসপানিওল)
ভাসিল ক্রাভেতস (লেগানেস থেকে বার্সেলোনা)
নাচো মনরেয়াল (আর্সেনাল থেকে রিয়াল সোসিয়েদাদ)
ভিক্টর ওয়ানিয়ামা (টটেনহাম থেকে ক্লাব ব্রুজেস)
ড্যানিয়েলে রুগানি (জুভেন্টাস থেকে এএস রোমা)
পল পগবা (ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে রিয়াল মাদ্রিদ)
আনহেল কোরেয়া (অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ থেকে এসি মিলান)
ডনি ফন ডি বিক (আয়াক্স থেকে রিয়াল মাদ্রিদ)
হামেস রদ্রিগেজ (রিয়াল মাদ্রিদ থেকে নাপোলি/অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ)

যেসব দলবদল হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই

সাদিও মানে (লিভারপুল থেকে রিয়াল মাদ্রিদ)
মোহাম্মদ সালাহ (লিভারপুল থেকে জুভেন্টাস)
এডিন জেকো (এএস রোমা থেকে ইন্টার মিলান)
দেয়ান লভরেন (লিভারপুল থেকে এএস রোমা)
ক্রিস্টিয়ান এরিকসেন (টটেনহাম থেকে রিয়াল মাদ্রিদ)
কিলিয়ান এমবাপ্পে (পিএসজি থেকে রিয়াল মাদ্রিদ)
ক্রিস্টিয়ান স্টুয়ানি (জিরোনা থেকে বার্সেলোনা)
গ্যারেথ বেল (রিয়াল মাদ্রিদ থেকে ইন্টার মিলান)
মেরিহ দেমিরাল (জুভেন্টাস থেকে এসি মিলান)
নিকোলো জানিওলো (এএস রোমা থেকে জুভেন্টাস)