জম্মু ও কাশ্মীরের গভর্নর সত্য পাল মালিক দাবি করেছেন, রাজ্যে প্রয়োজনীয় পণ্য ও ওষুধের কোনো ঘাটতি নেই। তিনি বলেন, কর্তৃপক্ষের মূল উদ্দেশ্য প্রাণহানি ঠেকানো। সে জন্য যদি ১০ দিন টেলিফোন বন্ধ থাকে, থাকুক। তবে শিগগিরই এসব যোগাযোগব্যবস্থা ফিরিয়ে আনবেন বলে আশ্বাসও দেন তিনি।
এএনআইয়ের খবরে জানা যায়, সত্য পাল বলেন, এখনো কাশ্মীর থেকে কোনো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। কর্তৃপক্ষ বলছে, রাজ্যে কেবল বিক্ষিপ্ত সহিংসতা হয়েছে।
সাবেক অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দিতে গতকাল রোববার দিল্লিতে যান সত্য পাল মালিক। সেখানে তিনি এসব কথা বলেন।
জম্মু-কাশ্মীরকে দ্বিখণ্ডিত করা ও সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করার পর টানা ২১ দিন ধরে কাশ্মীর যোগাযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন। সরকার বলছে, বিশেষ মর্যাদার অবসান ঘটিয়ে রাজ্যটিকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করার সিদ্ধান্তের পর যেকোনো ঝামেলা এড়াতে ফোন এবং ইন্টারনেট সেবা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।
কাশ্মীর নিয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত ঘোষণার আগেই এ মাসের শুরুর দিকে ফোন এবং ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ হয়ে যায়। কমপক্ষে ৫০ হাজার অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করা হয়। বৃহত্তর সমাবেশে নিষেধাজ্ঞার আদেশ জারি করা হয়। সরকার বলেছে, পরিস্থিতি দেখে এসব বিধিনিষেধ তুলে নেবে সরকার।
তিন সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও জম্মুর কিছু অংশ এবং কাশ্মীরের বড় এলাকাজুড়ে টেলিফোন সংযোগ বহাল হয়নি। নিষেধাজ্ঞাগুলো এখনো বলবৎ। অনেক স্কুল খোলা হয়নি।রাজ্য প্রশাসন জানিয়েছে, ৯৭টি টেলিফোন এক্সচেঞ্জের মধ্যে ২৫টি কাজ করছে।
সত্য পাল মালিক অবশ্য বলছেন, ‘কাশ্মীরে প্রয়োজনীয় পণ্য ও ওষুধের কোনো ঘাটতি নেই। বরং ঈদ উপলক্ষে আমরা মানুষের ঘরে মাংস, শাকসবজি ও ডিম পৌঁছে দিয়েছিলাম। ১০-১৫ দিনের মধ্যে কাশ্মীর নিয়ে মতামত বদলে যাবে।’
সেনা মোতায়েন এবং সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের চ্যালেঞ্জের জবাবে সরকার বলেছে, কাশ্মীরে জানমাল রক্ষাই তাঁদের উদ্দেশ্য ছিল।