Home Blog Page 3588

ঈদের তারিখ নির্ধারণ আজ

0

আজ বাদ মাগরিব জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে দেশে পবিত্র ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ কবে অনুষ্ঠিত হবে।

আজ শুক্রবার আয়োজিত চাঁদ দেখা কমিটির সভায় ১৪৪০ হিজরি সনের জিলহজ মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা করে ঈদের তারিখ নির্ধারণ করা হবে।

কমিটির আজকের সভায় সভাপতিত্ব করবেন জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভাপতি ও ধর্ম প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শেখ মো. আব্দুল্লাহ।

বাংলাদেশের আকাশে কোথাও পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেলে তা কিছু টেলিফোন নম্বরে জানানোর কথা বলেছে ইফা। নম্বরগুলো হলো : ৯৫৫৯৬৪৩, ৯৫৫৫৯৪৭, ৯৫৫৬৪০৭ ও ৯৫৫৮৩৩৭, ৯৫৫৯৪৯৩ ও ফ্যাক্স নম্বর ৯৫৬৩৩৯৭ ও ৯৫৫৫৯৫১। এ ছাড়া চাঁদ দেখার তথ্য সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসক অথবা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানালেও হবে।

সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যে পবিত্র ঈদুল আজহার প্রথম দিন উদযাপিত হবে আগামী ১১ আগস্ট। সাধারণত সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর একদিন পরই বাংলাদেশে ঈদ ও কোরবানি উৎসব পালন করা হয়ে থাকে। সে হিসাবে বাংলাদেশে ১২ আগস্ট ঈদুল আজহা হতে পারে বলে ধারণা করছেন অনেকেই।

বলিউড তারকা দিয়া মির্জা ও তাঁর স্বামীর দাম্পত্য সম্পর্কের অবসান

0

বলিউড তারকা দিয়া মির্জা তাঁর স্বামী সাহিল সংঘ থেকে আলাদা হয়ে গেলেন। দিয়া তাঁর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে খবরটি জানিয়েছেন।

দিয়া মির্জা ও সাহিল সংঘ ২০১৪ সালের ১৮ অক্টোবর বিয়ে করেন। তাঁরা বিয়ের আগে ও পরে ১১ বছর ধরে একে অপরকে চিনতেন। বিয়ের আগে দিয়া আর সাহিল একই ব্যবসার অংশীদার ছিলেন। বিয়ের পাঁচ বছর পর পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে পরস্পর থেকে আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

দিয়া তাঁর ইনস্টাগ্রাম পোস্টে লিখেছেন, ‘১১ বছর ধরে আমরা একসঙ্গে ছিলাম। এখন আমরা নিজেরাই আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমরা একে অপরের বন্ধু হয়ে থাকব। আর যখন প্রয়োজন হবে, আমরা পরস্পরের পাশে এসে দাঁড়াব। আমাদের পথ আলাদা হলেও আমরা একে অপরকে সবকিছু জানাব।’

দিয়া তাঁর পরিবার কাছের মানুষদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘আমি আমার পরিবার আর বন্ধুদের কাছে কৃতজ্ঞ, কারণ তাঁরা আমাদের ভাবনাকে অনুভব করেছেন। আমাদের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছেন। আমরা এ ব্যাপারে আর কোনো মন্তব্য বা কথা বলতে চাই না। ধন্যবাদ।’

দিয়া বলিউডের জনপ্রিয় তারকাদের মধ্যে অন্যতম। গত বছর মুক্তি পাওয়া ‘সঞ্জু’ ছবিতে অভিনয় করেন তিনি। দিয়া ‘মিস এশিয়া প্যাসিফিক’ নির্বাচিত হয়েছিলেন। ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে দিয়া ‘রেহনা হ্যায় তেরে দিল মে’ ছবিতে অভিনয়ে করে রাতারাতি জনপ্রিয় হন। এই ছবিতে তাঁর সঙ্গে ছিলেন আর মাধবন ও সাইফ আলী খান। এ ছাড়া ‘লাগে রহো মুন্নাভাই’ ও ‘তুম কো না ভুল পায়েঙ্গে’ ছবিতে তাঁকে দেখা গেছে। আর সাহিল সংঘ খুব পরিচিত নির্দেশক ও সহপরিচালক।

নেটফ্লিক্সে এবার মনীষা কৈরালা

0

তরুণদের ক্রেজের তালিকায় সর্বশেষ যে প্ল্যাটফর্মটি যুক্ত হয়ে হৃদয় জয় করেছে, নাম তার নেটফ্লিক্স। পরিচালক আর প্রযোজকেরাও সেই ফায়দা লুটতে ঝুঁকছেন নেটফ্লিক্সের দিকে। একের পর এক নেটফ্লিক্সের নতুন নতুন কনটেন্টের জনপ্রিয়তা ছাড়িয়ে যাচ্ছে আগেরটাকে। তাই অভিনয়শিল্পীরাও আটঘাট বেঁধে ঝাঁপিয়ে পড়ছেন নেটফ্লিক্সের কনটেন্টে। কারিশমা কাপুর, জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ, রাভিনা টেন্ডনের পর সেই তালিকার সর্বশেষ সংযোজন নেপালের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সম্মাননা ‘কিংডম অব নেপালে’ ভূষিত জনপ্রিয় বলিউড তারকা মনীষা কৈরালা।

গত শতকের নব্বইয়ের দশকে তিনি ছিলেন ভারতীয় তরুণদের কাছে ভিনগ্রহ থেকে আসা খোলা হাওয়ার মতো। তিনি ক্যানসারকে জয় করে ফেরা মনীষা কৈরালা। বলিউডে তাঁর জাদুকরি যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৯৯১ সালে, ‘সওদাগর’ ছবি দিয়ে। আর সর্বশেষ দেখা গেছে রাজকুমার হিরানি পরিচালিত ‘সঞ্জু’ (২০১৮) ছবিতে, সঞ্জয় দত্তের মা নার্গিস দত্তের ভূমিকায়। এবার তাঁকে দেখা যাবে ‘লাস্ট স্টোরিজ’ (২০১৮)-এর পর নেটফ্লিক্স অরিজিনালের দ্বিতীয় ছবিতে।

এই ছবির নাম ‘মস্ক’। নীরাজ উধওয়ানি পরিচালিত এই ছবি আরও কিছু কারণে বিশেষ। এই ছবি দিয়েই স্বপ্নপূরণের যাত্রা শুরু করবেন বর্তমান প্রজন্মের তরুণদের ক্রাশ শার্লি শেঠিয়া। তিনি মূলত কিউই গায়িকা। তিনি একের পর এক বলিউডের গান গেয়ে সেই গানগুলোকে দিয়েছেন এক ভিন্ন মাত্রা। সেই সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সদ্ব্যবহার করে নিজেকে তুমুল জনপ্রিয় করেছেন তরুণদের কাছে। আর এবার বাক্সপেটরা গুটিয়ে নিউজিল্যান্ড থেকে উড়াল দিয়ে ল্যান্ড করেছেন বলিউডে, গায়িকার পর নায়িকা হতে।

এ ছাড়া আরও দুজন তরুণ ‘মস্ক’ দিয়ে তাঁদের চলচ্চিত্রযাত্রার খাতা খুলবেন। তাঁরা হলেন প্রীত কামানি ও নিকিতা দত্ত। অর্থাৎ এই ছবির চার প্রধান চরিত্রের তিনজনই চলচ্চিত্রে একেবারে নতুন মুখ। তবে শার্লি শেঠিয়া এরই মধ্যে ‘হিরোপান্তি’ (২০১৪), ‘বাঘি’ (২০১৬), ‘মুন্না মাইকেল’ (২০১৭) ছবির পরিচালক সাব্বির খানের নতুন প্রজেক্ট ‘নিকম্মা’ ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন।

‘মস্ক’ নামের এই ছবিতে জীবন ও ভালোবাসার চমৎকার মেলবন্ধন দেখা যাবে। ছবির ভাবনাকে এক লাইনে তুলে ধরা হয়েছে এভাবে, যারা স্বপ্ন দেখতে সাহস করে, সাফল্য তাদের জড়িয়ে ধরে।

শিগগিরই শুরু হবে এই ছবির শুটিং। জীবন নিয়ে বিভ্রান্ত এক ধনী তরুণ বড় পর্দার তারকা হওয়ায় স্বপ্নে বিভোর। গ্রীষ্মের উষ্ণ এক দিনে তার দেখা হয় এক তরুণীর সঙ্গে। মেয়েটি তাকে ভ্রম আর স্বপ্নের পার্থক্য বোঝায়। আর হাতে–কলমে পরিচয় করিয়ে দেয় বাস্তবতার সঙ্গে। এমন দুই পৃথিবীর দুই তরুণ-তরুণীর প্রেম হলে কেমন হয়?

নেদারল্যান্ডসে বোরকা নিষিদ্ধ আজ থেকেই

0

ইউরোপীয় দেশ নেদারল্যান্ডসের স্কুল, হাসপাতাল, সরকারি স্থাপনা ও গণপরিবহনে ‘মুখ ঢাকা’ পোশাকের ওপর নিষেধাজ্ঞা আজ বৃহস্পতিবার থেকে কার্যকর করা হয়েছে। অবশ্য শুধু বোরকা নয়, পুরো মুখ ঢাকা হেলমেট বা বালাক্লাভার ক্ষেত্রেও এ নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে। এর আগে ২০০৫ সালে প্রথম এই আইনের প্রস্তাব করা হয়। ব্যাপক তর্ক-বিতর্ক ও আলোচনার পর ২০১৫ সালে এই আইন পাস করা হয়। পরে ২০১৮ সালের জুন মাসে দেশটির সিনেট এ আইনের অনুমোদন দেয়।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, কেউ বোরকা পরে স্কল, হাসপাতাল, সরকারি স্থাপনা ও গণপরিবহনে ঢুকতে চাইলে কর্তৃপক্ষ তাদেরকে মুখ দেখাতে বলতে পারবেন। কেউ এতে আপত্তি জানালে তাদের সেসেব স্থানে ঢুকতে দিতে অস্বীকৃতি জানাতে পারবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এ নির্দেশ অমান্য করলে ১৫০ ইউরো (প্রায় ১৫ হাজার টাকা) জরিমানা করা হতে পারে।

এই আইন কার্যকরের আগেই ব্যাপক বিরোধীতার মুখোমুখি হয়েছে দেশটির সরকার। বেশ কয়েকটি শহর কর্তৃপক্ষ, হাসপাতাল, গণপরিবহন সংস্থা এমনকি পুলিশও এই আইন বাস্তবায়নে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।

এদিকে ইউরোপের প্রথম দেশ হিসেবে ফ্রান্স প্রায় ১০ বছর আগে মুখ ঢাকা পোশাক নিষিদ্ধ করে। এরপর ফ্রান্সের অনুসরণে অনেক দেশেই চালু করা হয়েছে এমন আইন। ব্যাপক বিরোধীতা সত্ত্বেও ডেনমার্কে এক বছর ধরে চালু রয়েছে এমন নিষেধাজ্ঞা। চলতি বছরের শুরুতে অস্ট্রিয়া প্রাইমারি স্কুলে মুসলিম মেয়েদের মাথা ঢাকার স্কার্ফ নিষিদ্ধ করে আইন পাস করে। ২০১৭ সাল থেকে দেশটিতে মুখ ঢাকা পোশাকে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। সরকারি চাকরিতে কর্মরত অবস্থায় এমন পোশাক পরায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে জার্মান রাজ্য হেসেতেও।

সূত্র: ডিডব্লিউ

ভারতে আবরো শিরোনাম তিন তালাক

0

গত বুধবার দেশটির রায়গঞ্জের গৌরী গ্রাম পঞ্চায়েতে এক বধূকে মারধর করে তিন তালাক দেন তার স্বামী। পরে আজ বৃহস্পতিবার সকালে নুরবানুর (২৫) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

গত মঙ্গলবারই দেশের সংসদে পাশ হয়েছে তিন তালাক বিল। তার ঠিক একদিনের মধ্যেই এই ঘটনা ঘটল। ধারণা করা হচ্ছে, ওই গৃহবধূর স্বামী তিন তালাক বলাতেই অভিমান করে আত্মহত্যা করেছেন। তবে খুনের সন্দেহও গাঢ় হচ্ছে। কারণ বুধবারই নাকি তিন তালাকের হুমকি পেয়ে কাতর হয়ে ওই গৃহবধূ ফোন করেছিলেন তারা মাকে। তাকে মেরে ফেলা হতে পারে এমনই আশঙ্কার কথা জানিয়েছিলেন।

ভারতীয় স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, দক্ষিণ বিষ্ণপুর গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ সুন্দরলাল। তাস (প্লেয়িং কার্ড) খেলা নিয়ে প্রায় দিনই স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া লেগে থাকতো। স্ত্রী তাস খেলার বাধা দেওয়ায় বুধবার রাতে স্ত্রীকে মারধর করে সুন্দরলাল। পাশাপাশি গ্রামবাসীদের সামনেই স্ত্রীকে তিন তালাক দেন। পরে বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ির পাশের একটি গাছ থেকে তার স্ত্রী নুরবানুর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এদিকে প্রতিবেশীদের অভিযোগ, মারধরের পর শ্বাসরোধ করে নুরবানুকে খুন করে সুন্দরলাল ও তার বাবা-মা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। ঘটনার পর থেকেই পলাতক ওই বধূর স্বামী শ্বশুর ও শাশুড়ি।

স্থানীয় পুলিশ জানায়, নুরকে হত্যা করা হয়েছে, নাকি সর্বসমক্ষে স্বামী তিন তালাক দেওয়ায় সে অভিমানে আত্মঘাতী হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আমরা দু’রকম অভিযোগই পেয়েছি।

বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র গাছ লাগাবেন গাছ লাগাবেন যত ভোটে জয়, সমান সংখ্যক

0

ভারতের বিভিন্ন স্থানে পানির তীব্র সঙ্কট দেখা দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গেও বৃষ্টির দেখা নেই। বৃষ্টির অপেক্ষায় চাতক পাখির মতো চেয়ে আছে বাঁকুড়াও। আর এরই মধ্যে অভিনব পন্থা অবলম্বন করলেন বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুর কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ।

তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন সৌমিত্র। তাতেও বিষ্ণুপুর কেন্দ্র থেকে তার জয় আটকে থাকেনি। বিষ্ণুপুর কেন্দ্র থেকে এবার ৭৮ হাজার ৪৭ ভোটে জিতেছেন তিনি।

ভোটে জেতার পর নিজ এলাকায় সমান সংখ্যক গাছ লাগানোর প্রতিশ্রুতি দিলেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ। ঘটনাচক্রে দীর্ঘ সাত মাস পর আদালতের অনুমতিতে বাঁকুড়ায় প্রবেশ করতে পেরেছেন তিনি।

বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে একটি দলীয় সভায় যোগ দেন বিজেপির এই সাংসদ। তার পর আদিবাসী এক পরিবারে মধ্যাহ্নভোজ সারেন তিনি। তার সঙ্গে ছিলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়।

মধ্যাহ্নভোজ সেরে গ্রামে চারা গাছ রোপণ করেন বিষ্ণুপুরের এই সাংসদ। কোদাল হাতে মাটি খুড়ে নিজেই গাছ লাগান। বিজেপি নেতা মুকুল রায়ও গাছ লাগান।

এর পরই গাছ লাগানোর ব্যাপারে অভিনব প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। যত ভোটে জিতেছেন, সমান সংখ্যক গাছ লাগিয়ে তিনি নিজের সাংসদ এলাকার মানুষের ঋণ শোধ করতে চান বলে মন্তব্য করেন সৌমিত্র।

ছয় মাসের মধ্যে তিনি নিজের লোকসভা এলাকায় এই কাজ করবেন বলে জানান। বেশি করে গাছ লাগানো এবং পানির অপচয় বন্ধ করারও আবেদন জানান বিজেপি সাংসদ।

তিনি বলেন, বিষ্ণুপুরের ১৬ লাখ মানুষ ভালো থাকবেন, এটাই আমার অঙ্গীকার। গাছ থাকলে আমরা থাকব। গাছকে ভালোবাসলেই তা আমাকে ভালোবাসা হবে।

রাজনৈতিক মতাদর্শ নিয়ে পার্থক্য থাকতেই পারে। কিন্তু বিষ্ণুপুরের সাংসদের এই উদ্যোগকে অনুসরণ করতে পারেন ভারতের অন্য সাংসদরাও।

ক্যামব্রিজের ছাত্রীর ঝাঁপ ৩,৫০০ ফুট ওপর থেকে

0

ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী প্লেনের দরজা খুলে ঝাঁপিয়ে পড়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। মাদাগাস্কার ভ্রমণের সময় তিনি প্লেন থেকে ঝাঁপিয়ে পড়েন।

১৯ বছর বয়সী ওই ছাত্রীর নাম আলানা কাটল্যান্ড। তিনি ব্রিটেনের নাগরিক। একটি সেসনা প্লেনে ভ্রমণ করার সময় ৩,৫০০ ফুট ওপরে থেকে নীচে ঝাঁপিয়ে পড়েন আলানা কাটল্যান্ড।

তদন্তকারীরা বলছেন, ছাত্রীটি ৫ বার প্যারানোইয়াতে আক্রান্ত হয়েছিলেন।

জানা গেছে, আলানা প্লেনটি থেকে লাফিয়ে পড়ার আগে সহযাত্রী ব্রিটিশ পর্যটক রুথ জনসনের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করেছিলেন। তিনি বেশ কয়েক মিনিটের জন্য আলানাকে প্লেনে আটকে রাখার চেষ্টা করেছিলেন।

সে সময় ছোট্ট প্লেনটি বাতাসে কাঁপছিল। জনসনে এবং পাইলট আলানার পায়ে জড়িয়ে ধরে তাকে ঝাঁপিয়ে পড়া থেকে আটকাতে চেয়েছিলেন ।

স্থানীয় পুলিশরা জানিয়েছেন, মেয়েটি তাকে মুক্ত করে প্লেন থেকে ভারত মহাসাগরের একটি দ্বীপের ওপরে ঝাঁপিয়ে পড়তে সমর্থ হয়েছে।

পুলিশ এবং স্থানীয়রা প্রত্যন্ত আনালালভা অঞ্চলে তার মরদেহের সন্ধানে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে।

তবে তারা আশঙ্কা করছেন, প্রত্যন্ত এলাকা হওয়ার কারণে তাকে আর কখনও খুঁজে পাওয়া সম্ভব হবে না।

পুলিশ জানায়, সেসনা সি-১৬৮ প্লেনটি অঞ্জাজবি থেকে জনসন, আলানা এবং পাইলটসহ তিনজনকে নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল। প্লেনটি উড্ডয়নের ১০ মিনিট পরে আলানা তার সিটবেল্টটি সরিয়ে ফেলেন। এরপর তিনি প্লেনের ডান পাশের দরজাটি খুলে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।

পুলিশ বলছে, জনসন তাকে ধরে রাখার চেষ্টা করে পাঁচ মিনিট ধরে লড়াই করেছিলেন। কিন্তু যখন ক্লান্ত হয়ে দম ফুরিয়ে গেল তখন আর বাধা দিতে পারেন নি।

আলানা তখন ইচ্ছাকৃতভাবে প্লেনটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১১৩০ মিটার ওপরে থাকা অবস্থায় ঝাঁপিয়ে পড়েন। তিনি এমন এক জায়গায় ঝাঁপিয়ে পড়েছেন যা ‘কার্নিভোরাস ফোস্সা’ অঞ্চল হিসেবে পরিচিত।

আলানার গবেষণা সংক্রান্ত ৬ সপ্তাহব্যাপী একটি প্রোগ্রামে অংশ নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এই ঘটনার ৮ দিন পর তার বাবা আলিসন এবং মা নেইল কাটল্যান্ডের কথামতো তা বন্ধ করে দেওয়া হয়।

গতকাল এক বিবৃতিতে আলানার বাবা-মা তাদের মেয়ের উদ্দেশে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।

এক বিবৃতিতে তারা বলেছেন, আমাদের কন্যা আলানা একজন উজ্জ্বল ও স্বাধীনচেতা তরুণী ছিল। আলানাকে যারা চিনতো সবাই তাকে ভালোবাসে ও সম্মান করে।

ওই বিবৃতিতে তারা জানান, আলানা সর্বদা তার পরিবার ও বন্ধুদের প্রতি অত্যন্ত সদয় ও সহায়ক ছিল। যার ফলস্বরূপ তার জীবনে বিভিন্ন স্তরের মানুষের বিস্তৃত যোগাযোগ ছিল।

বাবা-মা বলেছেন, আলানা তার অ্যাডভেঞ্চারের অনুভূতি দিয়ে প্রতিটি সুযোগকে উপলব্ধি করেছিল। সর্বদা সর্বোত্তম উপায়ে তার জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা প্রসারিত করার চেষ্টা করেছিল সে।

তারা বলেন, আলানা প্রতিভাবান নৃত্যশিল্পী ছিল। সে দারুণ প্রতিভাধর এবং সৃজনশীল ছিল। বিশ্বের বিভিন্নস্থানে অনুসন্ধানের জন্য তার প্রবল আকাংখা ছিল। জীবনের প্রতিটি সেকেন্ডের সর্বাধিক ব্যবহার করেছে সে।

আলানার বাবা-মা বলেছেন, আমাদের অপূর্ব সুন্দর মেয়েটিকে হারিয়ে আমাদের হৃদয় ক্ষতবিক্ষত হয়ে পড়েছে।

জানা গেছে, আলানা প্রাণী জীববিজ্ঞান প্রকল্পে উপকূলের কাঁকড়া সংক্রান্ত বিষয়ে গবেষণারত ছিলেন। এই গবেষণার খরচ নিজেই যুগিয়েছিলেন তিনি। তবে তিনি ৫ বার প্যারানোইয়া নামে রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন।

সূত্র : দ্য সান

বিশেষজ্ঞ আনা হচ্ছে ভারত থেকে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে

0

ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ভারত থেকে বিশেষজ্ঞ আনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।

আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের মেয়র ও বিশিষ্ট চিকিৎসকদের নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

আতিকুল ইসলাম বলেন, কলকাতায় ডেঙ্গু নিয়ে যিনি কাজ করেছেন, তার নাম অনিক ঘোষ। আমি তাকে ফোন করেছিলাম। তিনি বলেছিলেন, আমাকে আমন্ত্রণপত্র পাঠান। আমি বুধবার রাত ১০ টায় আমন্ত্রণপত্র পাঠিয়েছি। আগামী রোববার অনিক ঘোষ বাংলাদেশে আসবেন বলে কথা দিয়েছেন।

যত দ্রুত সম্ভব কার্যকর মশক নিধন নতুন ওষুধ আনা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আমাদের সততার কমতি নেই। তবে, অভিজ্ঞতার ঘাটতি আছে। আমি মনে করি, ডেঙ্গু রোগের জন্য অবশ্যই ৩৬৫ দিনই গবেষণা করতে হবে। এটা সিজনাল না, যেকোনো সময় আসতে পারে। তাই এটি নিয়ে জাতীয়ভাবে একটি গবেষণা কেন্দ্র তৈরি করা দরকার।

বৈঠকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মূখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাচিপ সভাপতি ডা. ইকবাল আর্সনাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

চারজনের মৃত্যু ডেঙ্গুতে

0

ডেঙ্গু নিরাপদ সর্বশেষ জেলাটি ছিল নেত্রকোনা। গতকাল বুধবার ছোট্ট এ জেলা শহর থেকেও এসেছে দুঃসংবাদ। দেরিতে হলেও নেত্রকোনায় মিলেছে পাঁচ ডেঙ্গু রোগী। এর ফলে দেশের ৬৪ জেলার সব কটিতেই ঢুকে পড়ল ডেঙ্গু। গতকাল সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, সারা দেশে ১৭ হাজার ১৮৩ জন মানুষ ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়েছে।

গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় আরো এক হাজার ৪৭৭ জন নতুন ডেঙ্গু রোগী দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে, এর মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ভর্তি হয়েছে ৯২৮ জন।

তবে মৃত্যুর হিসাব গণনায় এখনো লুকোচুরি করছে অধিদপ্তরটি। তাদের কাগজ-কলমের হিসাব ১৪ জনের মৃত্যু মেনে নিলেও বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবর বলছে, এ মৌসুমে ডেঙ্গুতে মৃত্যু ৫০ ছাড়িয়েছে। গতকালও রাজধানী ঢাকা ও বরিশালে তিন নারীসহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে একজন নারী পুলিশ কর্মকর্তাও রয়েছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, এডিস মশার প্রজনন স্থানগুলো ধ্বংসে সফলতা পাওয়া না গেলে ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব আরো বাড়তে পারে।

এদিকে এ রোগের এমন ভয়ানক বিস্তারের প্রেক্ষাপটে ডেঙ্গু পরীক্ষা বিনা মূল্যে করতে হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

ঢাকা ও বরিশালে আরো চারজনের মৃত্যু : ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা ও বরিশালে আরো চারজনের মৃত্যু হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর লালমাটিয়ার সিটি হাসপাতালে মারা যান পুলিশের এসআই কোহিনুর আক্তার (৩২)। তিনি পুলিশের বিশেষ শাখায় (এসবি) কর্মরত ছিলেন। এসবির ডিআইজি (পলিটিক্যাল) মাহবুব হোসেন জানান, কোহিনুর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে কয়েক দিন আগে রাজারবাগ পুলিশ লাইনস হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। পরে গত সোমবার রাতে তাঁকে লালমাটিয়ার সিটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। মঙ্গলবার রাত ১টার দিকে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। কোহিনুরের বাড়ি টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে।

এদিকে ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল থেকে গতকাল বুধবার দুপুরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রবিউল ইসলাম রাব্বিকে (২২) ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ঢাকা মেডিক্যাল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আব্দুর রহমান খান জানান, রাব্বির বাসা রাজধানীর শেওড়াপাড়ায়। তিনি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। সেখান থেকে গতকাল দুপুরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আনার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়।

গৌরনদী (বরিশাল) প্রতিনিধি জানান, গৌরনদীতে গত মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আলেয়া বেগম (৫০) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি আশোকাঠি গ্রামের মান্নান ফকিরের স্ত্রী। আলেয়ার স্বজনরা জানায়, ঢাকার খিলগাঁও এলাকায় আলেয়া তাঁর এক আত্মীয়র বাসায় বেড়াতে যান। ঢাকা থেকে গত সোমবার তিনি যখন এলাকায় আসেন তখন তাঁর প্রচণ্ড জ্বর ছিল। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে পরীক্ষা করানো হলে তাঁর ডেঙ্গু ধরা পড়ে। পরে রাত ১০টার দিকে গৌরনদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক মাহাবুবুল আলম মির্জা জানান, আলেয়া বেগমকে হাসপাতালে আনার আগেই মারা গেছেন।

এদিকে শরীয়তপুর প্রতিনিধি জানান, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে শরীয়তপুরের জাজিরার জব্বার আকনকান্দি গ্রামের বর্ষা আক্তার (২৮) নামের এক নারী গত মঙ্গলবার রাতে ঢাকার একটি হাসপাতালে মারা গেছেন। তিনি জাজিরার শাহেদ আলী মাদবরকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ছিলেন। বর্ষা আক্তার গত ১৮ জুলাই জ্বরে আক্রান্ত হন। প্রথম দিকে তিনি তেমন গুরুত্ব দেননি। জ্বর নিয়েই বিদ্যালয়ে যেতেন। বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে গত ২৫ জুলাই পরিবারের সদস্যরা তাঁকে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। সেখানে চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে তাঁর শরীরে ডেঙ্গুর আলামত পান। তাঁরা তাঁকে ঢাকায় নিয়ে উন্নত চিকিৎসা দেওয়ার পরামর্শ দেন। পরের দিন তাঁকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু সেখানে তাঁকে ভর্তি করানো সম্ভব হয়নি। স্বজনরা গত শনিবার তাঁকে ঢাকার সাইনবোর্ড এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে তাঁকে কয়েক দফায় ১০ ব্যাগ রক্ত দেওয়া হয়। তাঁর অবস্থার ক্রমেই অবনতি হতে থাকে। গত মঙ্গলবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

নেত্রকোনাও বাদ রইল না : আমাদের নেত্রকোনা প্রতিনিধি জানান, এত দিন নিরাপদে থাকা নেত্রকোনায়ও ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। নেত্রকোনার সিভিল সার্জন ডা. তাজুল ইসলাম জানান, গত মঙ্গলবার ঢাকায় বসবাসকারী পাঁচজন নেত্রকোনায় আসে। গতকাল বুধবার শহরের বিভিন্ন প্রাইভেট হাসপাতাল ও ক্লিনিকে পরীক্ষা শেষে তাদের পাঁচজনেরই ডেঙ্গু ধরা পড়ে। আক্রান্তরা হলো নেত্রকোনার সাতপাই এলাকার কামাল মিয়ার ছেলে মামুন (১৩), কুরপাড় এলাকার সুরুজ আলীর ছেলে মফিজুল ইসলাম (৩৭), নেত্রকোনা সদর উপজেলার সুকন্দিয়া গ্রামের মতি মিয়ার ছেলে শাহজাহান (২৬), কলমাকান্দার চান মিয়ার ছেলে ওয়াজিব (১৮) এবং মোহনগঞ্জের দৌলতপুর গ্রামের আব্দুল হেকিমের মেয়ে রিমু আক্তার (১৭)।

সরকারি হিসাবেও মৃত্যু বেড়েছে : কয়েক দিন ধরেই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত মানুষের মৃত্যু নিয়ে সরকারি ও বেসরকারি তথ্যে কয়েক গুণ ব্যবধান চলছে। সরকারি হিসাবে মৃত্যু আটজনেই আটকে ছিল কয়েক দিন, তবে গতকাল বুধবার ওই সংখ্যা বেড়ে ১৪ জনে উঠেছে। এর মধ্যে ১৩ জনেরই মৃত্যু হয়েছে বেসরকারি হাসপাতালে আর মাত্র একজনের মৃত্যু হয়েছে একটি সরকারি হাসপাতালে। অন্যদিকে এই ১৪ জনের মধ্যে ১০ জনই মারা গেছে জুলাই মাসে। তবে সরকারি কন্ট্রোল রুমের এ তথ্যের বাইরে শুধু ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেই ১০ জনের মৃত্যুর তথ্য রয়েছে ওই হাসপাতালের তালিকায়। এ ছাড়া বরিশালে গত দুই দিনে তিনজন মারা গেছে। এ ছাড়া ঢাকা শিশু হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, মিটফোর্ড হাসপাতাল, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, ঢাকার বেসরকারি স্কয়ার হাসপাতালে কয়েকজন করে মৃত্যুর তথ্য রয়েছে ওই হাসপাতালগুলোর নিজস্ব তথ্য তালিকায়। সব মিলিয়ে গতকাল পর্যন্ত ওই সংখ্যা ৫৫ জনে দাঁড়িয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্র দাবি করেছে।

ডেঙ্গু রোগের পরীক্ষা বিনা মূল্যে করার আহ্বান : এদিকে ডেঙ্গু রোগের পরীক্ষা হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে বিনা মূল্যে করার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। গতকাল বুধবার রাজধানীর ধানমণ্ডি লেক পারে আওয়ামী লীগের মশা নিধন ও সচেতনতামূলক প্রচার অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘গরিব মানুষের পক্ষে পাঁচশ-হাজার টাকা দিয়ে এই রোগের রক্ত পরীক্ষা করার অবস্থা নেই। তাই চিকিৎসকদের বলব মানবতার স্বার্থে নামমাত্র ১০০ টাকা অথবা বিনা পয়সায় রক্ত পরীক্ষা করুন। রক্ত পরীক্ষার কাজটি স্বাচিপ ও বিএমএ বিনা পয়সায় করার ব্যবস্থা করবে বলে আশা করছি।’ তিনি আরো বলেন, ‘আজ পুরো জাতি ডেঙ্গুর ভয়ংকর বিস্তারে উদ্বিগ্ন। এই প্রাণঘাতী ডেঙ্গুকে আমরা চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি।’ ওবায়দুল কাদের মানবিক প্রয়োজনে ডেঙ্গু রোগীদের রক্ত দিতে সবাইকে এগিয়ে আসারও অনুরোধ করেন।

এদিকে ‘শেখ হাসিনার নির্দেশ ডেঙ্গুমুক্ত বাংলাদেশ’, ‘শেখ হাসিনার নির্দেশ পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ’ স্লোগান নিয়ে গতকাল বুধবার থেকে ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের তিন দিনের কর্মসূচি শুরু হয়েছে। সারা দেশে একযোগে সব জেলা, মহানগর, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে তিন দিনব্যাপী এই কর্মসূচি চলবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ সম্মেলন : মশার প্রজননস্থল নির্মূলে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক সেব্রিনা ফ্লোরা। গতকাল বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান জানান। সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, ‘যত রকম ওষুধই ব্যবহার করি না কেন যদি সোর্স রিডাকশন না হয় এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ করা অসম্ভব। যদি সোর্স রিডাকশনে আমরা সবাই মিলে কাজ না করি তাহলে ট্রেন্ড থামানো যাবে না। সেদিক থেকে প্রত্যেক নাগরিককে সচেতন করার দায়িত্ব আমাদের সবার। সেটা না হলে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়বে। পরে আস্তে আস্তে কমে আসবে।’

ডেঙ্গু পরীক্ষায় প্রয়োজনীয় রি-এজেন্টের সংকট দেখা দেওয়ায় জরুরি ভিত্তিতে ৫০ হাজার এনএসওয়ান কিট আমদানি করা হচ্ছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক সানিয়া তহমিনা, জাতীয় ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির ডেপুটি প্রগ্রাম ম্যানেজার এম এম আক্তারুজ্জামান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আয়েশা আক্তার প্রমুখ।

ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে হবে গবেষণা কেন্দ্র : ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে একটি কেন্দ্রীয় গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম। রাজধানীর নর্থ সাউথ ইউনির্ভাসিটিতে গতকাল বুধবার ‘বাংলাদেশে ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ’ শীর্ষক সভায় এ কথা জানান তিনি। সভায় মেয়র বলেন, ‘ডেঙ্গু এখন জাতীয় সমস্যা। এ সমস্যা সমাধানে সবাইকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। সরকার ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে একটি কেন্দ্রীয় গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন করছে; যার মাধ্যমে স্থায়ীভাবে এ সমস্যার সমাধানের চেষ্টা চালানো হবে।’

সম্মিলিত উদ্যোগের বিকল্প নেই : ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন বলেছেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে সম্মিলিত উদ্যোগের বিকল্প নেই। ডেঙ্গু সারা দেশে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে। দিন দিন পরিস্থিতি জটিল হচ্ছে। গতকাল বুধবার ঢাকা মহানগর মহিলা কলেজের আয়োজনে ডেঙ্গু প্রতিরোধ সমাবেশ ও শোভাযাত্রায় তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। নগর কর্তৃপক্ষ সর্বশক্তি দিয়ে এ রোগ মোকাবেলায় ঝাঁপিয়ে পড়েছে। জনগণও ধীরে ধীরে এ বিষয়ে সচেতন হচ্ছে।

মাঠে নামছে মেডিক্যাল শিক্ষার্থীরা : ডেঙ্গু রোগ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে বিভিন্ন ধরনের প্রচারণা নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার থেকে মাঠে নামছে সব মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থীরা। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উদ্যোগে এ কমর্সূচি হাতে নেওয়া হয়েছে বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার নিয়মিত ব্রিফিংয়ে জানানো হয়েছে।

শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ দেবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর : ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার উৎপত্তিস্থল ধ্বংসে প্রশিক্ষণ দিতে ঢাকা শহরের সব প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের দুই লাখ শিক্ষার্থীর কাছে যাবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ৪০০ কর্মী। তারা ডেঙ্গুর উৎসস্থল নির্মূল কিভাবে করা যায় সে বিষয়ে শিশুদের প্রশিক্ষণ দেবে।

ঢামেক হাসপাতালের উদ্যোগ : ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা আরো বাড়লে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের নির্মাণাধীন ভবনে একটি ইউনিট খুলে চিকিৎসা দেওয়া হবে। প্রয়োজনে হাসপাতালের পুরনো ভবনও ব্যবহার করা হবে। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন গতকাল বুধবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান।

ব্যাংকগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান : ডেঙ্গু আক্রান্ত দরিদ্র ও অসহায় রোগীদের চিকিৎসা সহায়তায় ব্যাংকগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গতকাল বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের এক সার্কুলারে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।

লঞ্চের টিকিট বিক্রি হচ্ছে কাউন্টার ছাড়াই

0

ঈদযাত্রায় বিভিন্ন লঞ্চের অগ্রিম টিকিট বিক্রির জন্য বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিওটিএ) লঞ্চ মালিকদের কাউন্টার থেকে অগ্রীম টিকিট বিক্রির জন্য বলেছিল। তবে বাস্তবে কাউন্টারে না বসেই অন্যান্য উপায়ে টিকিট বিক্রি করছে বিভিন্ন লঞ্চ কর্তৃপক্ষ। ফলে যাত্রীদের বিভ্রান্তি কাটছে না। এতে অনেক লঞ্চ কর্তৃপক্ষ অনিয়ম করলেও তা প্রকাশ্যে আসছে না।

এবার ঈদ সামনে রেখে বিআইডব্লিওটিএ ও ঢাকা নদীবন্দর কর্তৃপক্ষ লঞ্চ মালিকদের অনুরোধ করে নতুন টার্মিনালে (বরিশালগামী লঞ্চের টার্মিনাল) অবস্থিত স্থায়ী টিকিট কাউন্টারে বসে লঞ্চের আগাম টিকিট বিক্রি করতে। তবে প্রতি বছরের মতো এবারও কাউন্টারে বসেননি তারা।

বাস্তবে দেখা যায়, এবারো বসছে না কাউন্টারে অগ্রিম টিকিট বিক্রির কোনো কার্যক্রম। তাই প্রচলিত নিয়মে লঞ্চের পাটাতনে নিজস্ব ভঙ্গিমায় বিক্রি চলবে ঈদের অগ্রিম টিকিট।

এবার সব লঞ্চ কোম্পানিই নিজেদের টিকিটের অন্তত ৩০ শতাংশ টিকিট অনলাইনে বিক্রি করবে বলে বিআইডব্লিওটিএকে জানিয়েছে।

দুই বছর আগে সদরঘাটের নতুন টার্মিনাল নির্মাণের পর সেখানে টিকিট কাউন্টার স্থাপন করা হয়েছে। তবে সেখানে টিকিট বিক্রি করে না লঞ্চ কোম্পানিগুলো। ফলে টিকিট কাউন্টারও অব্যবহৃত রয়ে গেছে।