Home Blog Page 3581

অনার্স বোর্ডেই জায়গা করে নিয়েছেন সাকিব

0

২০১০-১১ কাউন্টি মৌসুমে উস্টারশায়ারের হয়ে খেলে গিয়েছিলেন দেশসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। উস্টারশায়ার যে তাঁর অবদান ভুলে যায়নি, তারই জ্বলন্ত প্রমাণ দেখা গেল ক্লাব মাঠের অনার্স বোর্ডে।

গ্রায়েম হিক প্যাভিলিয়ন উস্টারশায়ার কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাবের খুব অভিজাত জায়গা। সাধারণত, সম্মানিত অতিথিরাই এই প্যাভিলিয়নে বসে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচগুলো উপভোগ করেন। এই কাউন্টি দলে বহু গ্রেট ক্রিকেটার খেলে গেছেন। যে দলে আছেন বাসিল ডি’ অলিভিয়েরা, আবদুল হাফিজ কারদার থেকে শুরু করে গ্লেন ম্যাকগ্রা, শোয়েব আখতার। খেলেছেন গ্লেন টার্নার, ইমরান খান কিংবা কপিল দেবের মতো গ্রেট। কিন্তু সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ প্যাভিলিয়নের নাম হিকের নামে কেন! ১৩৬টি প্রথম শ্রেণির সেঞ্চুরি যার দখলে; যে রেকর্ড দেখলে ক্রিকেটের ‘সবকিছু’ ডব্লু জি গ্রেসও খানিকটা ঈর্ষা অনুভব করতেন, উস্টারশায়ার কাউন্টি নিজেদের এই সেরা সন্তানের নামে তো অভিজাত প্যাভিলিয়নের নাম দেবেই। কিন্তু তাই বলে উস্টারশায়ার কিন্তু তাঁর কোনো সন্তানকেই ভুলে যায়নি। যেমন ভুলে যায়নি এক বঙ্গসন্তানকে—সাকিব আল হাসান।

২০১০-১১ মৌসুমে সাকিব উস্টারশায়ারের পক্ষে খেলেছিলেন। বাংলাদেশের ক্রিকেটে অনেক কিছুরই ‘প্রথম’ তিনি, ঠিক তেমনি ইংলিশ কাউন্টিতেও। হালে আইপিএল চালু হয়ে কিছুটা ফিকে হয়েছে, কিন্তু একটা সময় ক্রিকেটারদের মোটা আয় রোজগারের পথটা তো এই কাউন্টি ক্রিকেটই করে দিত। এমন কোনো গ্রেট নেই, যিনি একবার অন্তত ইংলিশ কাউন্টিতে ঢুঁ মারেননি। ক্রিকেটীয় উৎকর্ষের জন্য একটা সময় এই ইংলিশ কাউন্টিকেই শেষ কথা হিসেবে ধরে নেওয়া হতো, সাকিবও ইংলিশ কাউন্টিতে গিয়েছিলেন নিজেকে ভবিষ্যতের জন্য আরও ধারালো করে তৈরি করতে। কে জানে, আজকের সাকিবের পেছনে হয়তো ইংল্যান্ডের উস্টারশায়ার কাউন্টির হয়ে খেলার একটা বড় অবদান আছে।

উস্টারশায়ার সাকিবের নামটি তাদের অনার্স বোর্ডে যত্নের সঙ্গে রেখে দিয়েছে। যেখানে আবদুল হাফিজ কারদার, গ্লেন টার্নার, বাসিল ডি অলিভিয়েরা, ইমরান, কপিলদের সঙ্গে শোভা পাচ্ছে তাঁর নাম। উস্টারশায়ার কাউন্টির নিজেদের মাঠ ব্ল্যাকফিঞ্চ নিউরোডের ঠিক বাইরে দেশের জাতীয় পতাকার একমাত্র প্রতিনিধি হয়ে আছেন তিনি। অনার্স বোর্ডে সাকিবের নামের পাশে লাল-সবুজ পতাকাটাও যে আঁকা আছে!

সাকিব যেদিন উস্টারশায়ারে যোগ দিলেন, তখন ইংল্যান্ডের বিখ্যাত দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকার সঙ্গে উস্টারের মুখপাত্র হয়ে কথা বলেছিলেন বাংলাদেশের ক্রিকেটে সদ্যই ‘অতীত’ হয়ে যাওয়া কোচ স্টিভ রোডস। তিনি তখন উস্টারশায়ারের ক্রিকেট পরিচালক। তিনি সাকিবকে স্বাগত জানিয়ে বলেছিলেন, ‘আমরা সাকিব আল হাসানকে পেয়ে আনন্দিত। আমরা তাঁর কাছ থেকে আগুনঝরা কিছু পারফরম্যান্সই প্রত্যাশা করছি।’

সাকিব আগুনই ঝরিয়েছিলেন। ৮টি কাউন্টি ম্যাচে খেলে তিনি তুলে নিয়েছিলেন ৩৫ উইকেট। ব্যাট হাতেও তাঁর ছিল মনে রাখার মতো পারফরম্যান্স। তবে সবচেয়ে গর্বের যে পারফরম্যান্স ছিল, সেটি লর্ডসে মিডলসেক্সের বিপক্ষে একটি ম্যাচে। সেটিতে সাকিব ৩২ রানে ৭ উইকেট নিয়েছিলেন। মিডলসেক্স ক্রিকেটের তীর্থভূমিতে গুটিয়ে গিয়েছিল ৬৬ রানে!

উস্টারশায়ার কাউন্টি সাকিবকে আরও একটা বিশেষ রেকর্ডের কারণে আলাদা মর্যাদা দেয়। তিনি হচ্ছেন তৃতীয় উস্টারশায়ার সাবেক যিনি টেস্ট ক্রিকেটে একই ম্যাচে সেঞ্চুরি ও ১০ উইকেট নিয়ে প্রতিপক্ষকে গুঁড়িয়ে দিয়েছিলেন। ২০১৪ সালের নভেম্বরে খুলনায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সাকিব দুই ইনিংসে যথাক্রমে ৮০ ও ৪৪ রান দিয়ে ৫টি করে ১০টি উইকেট নিয়েছিলেন। করেছিলেন একটু সেঞ্চুরি। এ দলে প্রথম দুই ক্রিকেটার হচ্ছেন ইয়ান বোথাম ও ইমরান খান। বোথাম ১৯৮৭ থেকে ১৯৯১ পর্যন্ত উস্টারশায়ারের পক্ষে খেলেছিলেন। তিনি ১৯৮০ সালে মু্ম্বাইয়ে ভারতের বিপক্ষে সেঞ্চুরি ও ১০ উইকেট পেয়েছিলেন। সত্তরের দশকে কিছুদিন এ কাউন্টিতে খেলা ইমরান এমন কীর্তি গড়েছিলেন ১৯৮৩ সালে ফয়সালাবাদে, ভারতের বিপক্ষে।

উস্টারশায়ারের জন্য সাকিব তো এক মধুর অনুভূতি আর স্মৃতির নাম। তাঁর নাম ক্লাবের অনার্স বোর্ড থাকবে—এ আর এমন কী!

অ্যাশেজের শুরুতেই রাঙালেন স্মিথ

0

এজবাস্টনে দুই ইনিংসে দুর্দান্ত দুটি সেঞ্চুরি পেয়েছেন স্টিভ স্মিথ। দলের বিপদের মুখে বারবার তাঁর এমন লড়াই মুগ্ধ করেছে সাবেক খেলোয়াড়দের

সিরিশ কাগজ নিয়ে প্রস্তুত ছিল বার্মি আর্মি। দুয়ো ধ্বনি শোনা যাচ্ছিল গ্যালারি থেকেও। নিষেধাজ্ঞা থেকে ফেরার পর টেস্টে প্রত্যাবর্তন হচ্ছে অ্যাশেজেই। সেখানে প্রথম দিন দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি করে আবেগে লাফ দেওয়া স্টিভ স্মিথের কানে তালির সঙ্গে কিছুটা শ্লেষাত্মক বাণীও শুনতে হয়েছিল। কিন্তু গতকাল যখন আরেকবার ব্যাট ওঠালেন স্মিথ, এবার অনেকটাই সৌম্য-শান্ত ভঙ্গিতে; তখন আর বিদ্রূপ ছিল না ইংলিশ সমর্থকদের মুখে। তাদের চোখে মুখে তখন বিস্ময় আর অবিশ্বাস্য এক ব্যাটিং কীর্তির দেখার প্রশস্তি।

হবে নাই-বা কেন? অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক স্টিভ ওয়াহর ক্যারিয়ার কম লম্বা ছিল না। দুটি বিশ্বকাপজয় করেছেন, ১৯ বছরের ক্যারিয়ারের শেষ ১৫ বছর অ্যাশেজে হার কী সেটাই জানতেন না। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সঙ্গে ৩৪ বছর জড়িয়ে থাকা সেই ওয়াহ পর্যন্ত বলতে বাধ্য হচ্ছেন স্মিথের মতো কাউকে দেখেননি। স্টিভ ওয়াহর মতো ঠান্ডা মাথার এক ব্যক্তির আবেগে ভেসে কোনো কিছু বলার সম্ভাবনা এতটাই কম যে কথাটিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখতেই হচ্ছে!

২০০১ সালের পর থেকে ইংল্যান্ডের মাটিতে অ্যাশেজ জেতা হচ্ছে না অস্ট্রেলিয়ার। দেড় যুগ পুরোনো সে স্বাদ ফিরে পেতে প্রতিপক্ষের মাটিতে সর্বশেষ অ্যাশেজ জেতা অধিনায়কের শরণাপন্ন হয়েছে অস্ট্রেলিয়া। স্টিভ ওয়াহকে দলের মেন্টর হিসেবে ডেকে আনা হয়েছে। সে দায়িত্ব পালন করার ফাঁকেই ওয়াহ কাল মধ্যাহ্ন বিরতিতে কথা বলেছেন চ্যানেল নাইনের সঙ্গে। তখনো এজবাস্টন টেস্টের নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি পাননি স্মিথ, অপরাজিত ছিলেন ৯৮ রানে। তাতেও ওয়াহর স্তুতিতে কম পড়েনি, ‘আমি ওর মতো কাউকে দেখেনি। সে যেভাবে প্রস্তুতি নেয়, সেটা অসাধারণ। সে আগে থেকেই সব ভেবে রাখে। আমার দেখা যে কারও চেয়ে বেশিবার বলে ব্যাট চালায়। সে যখন ব্যাট করতে নামে তখন অনেকটা ঘোরের মধ্যে থাকে।’

স্মিথের প্রশংসায় এখানেই থামেননি ওয়াহ। মাত্র পঞ্চম অস্ট্রেলিয়ান হিসেবে অ্যাশেজে টেস্টের দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি পেয়েছেন স্মিথ। ১৯৯৭ সালে সর্বশেষ ইংল্যান্ডের মাটিতে এ কীর্তি করা ওয়াহ স্মিথকে বিশ্বের অন্য সব ব্যাটসম্যানের চেয়ে আলাদা চোখে দেখতে শুরু করেছেন, ‘সে জানে সে কী করবে। সে জানে প্রতিপক্ষ কী করবে, তাকে কীভাবে আউট করার চেষ্টা করবে। ওকে দেখে মনে হয়, সব উত্তর ওর জানা। সে অসাধারণ এক খেলোয়াড়। আমার মনে হয় না এমন কাউকে আমি দেখেছি এবং রানের জন্য ওর যে ক্ষুধা এটা কারও নেই। ওর টেকনিক দুর্দান্ত, অনন্য। সে জানে কী করছে এবং কীভাবে রান করতে হয়। সে প্রত্যেকটা বল বিশ্লেষণ করে। সে অনেকটা কম্পিউটারের মতো, প্রত্যেক প্রশ্নের উত্তর দেয়।’

স্মিথের ১৪৪ ও ১৪২ রানের সুবাদেই জয় দিয়ে অ্যাশেজ শুরু করার আশা করতে পারছে অস্ট্রেলিয়া। অথচ প্রথম দিন ১২২ রান তুলতে ৮ উইকেট হারিয়ে বসেছিল দলটি। আর আজ পঞ্চম দিনের খেলা যখন শুরু হবে, তখন ইংল্যান্ডই পিছিয়ে থাকবে। সারা দিন ব্যাট করে জয়ের জন্য আরও ৩৮৫ রান করতে হবে ইংল্যান্ডকে। সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক মাইকেল ভন টুইটারে তাই কালই ঘোষণা দিয়েছেন, ‘আমি যত দিন ধরে খেলেছি এবং খেলা দেখেছি, তাতে আমার দেখা সেরা টেস্ট ব্যাটসম্যান হলো স্টিভ স্মিথ। এই লোক একটা জিনিয়াস!’

ভারতের সামনে কালও অসহায় দেখাচ্ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজকে

0

ঝড় তোলার অপেক্ষায় ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তার আগেই এসে হাজির হলো বজ্রপাত। দুর্ঘটনার আশঙ্কায় ২৭ বল আগেই ম্যাচ থামিয়ে দিলেন আম্পায়াররা। এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ হারা নিশ্চিত হয়ে গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজের। কাল তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতের কাছে ডিএল পদ্ধতিতে ২২ রানে হেরে গেছে উইন্ডিজ।

ঝড়ের আগেও খুব একটা ভালো অবস্থায় ছিল না ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ভারতের দেওয়া ১৬৮ রানের লক্ষ্যে খেলা থামার আগে ৪ উইকেট হারিয়ে ৯৮ রান তুলেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। উইকেটসংখ্যা দুশ্চিন্তা না জাগালেও স্কোর বোর্ডের ডান প্রান্তে থাকা ওভারের সংখ্যা ভ্রু কুঁচকানোর জন্য যথেষ্ট ছিল। ৯৮ রান তুলতেই যে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৫ ওভার ৩ বল খেলে ফেলেছিল। বিশ্বের সব টি-টোয়েন্টি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে যে দলের খেলোয়াড়দের এত হাঁকডাক, যারা বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন, সে দলই কিনা টানা দুই ম্যাচে এভাবে ব্যর্থ। প্রথম ম্যাচে পুরো ২০ ওভার খেলেও ৯৫ রানের বেশি করতে পারেনি উইন্ডিজ, কালও ব্যর্থ পুরান-লুইসরা।

প্রথম ম্যাচের উইকেট ব্যাটিং–সহায়ক ছিল না। উইন্ডিজের ৯৫ রানের পর সে রান তাড়া করতে ভারতের ৬ উইকেট খুইয়ে ফেলায় তার প্রমাণ মিলেছে। গতকাল কিন্তু উইকেটের দোহাইও দেওয়া যাবে না। টপ অর্ডারের রোহিত (৬৭), ধাওয়ান (২৩) ও কোহলির (২৮) তিন ইনিংসেই ১৬৭ রান তুলতে পেরেছিল ভারত। মিডল অর্ডার হতাশ না করলে স্কোরটা আরও বড় হতে পারত। সেই উইকেটেই প্রথম তিন ওভারের মধ্যে দুই উইন্ডিজ ওপেনার বিদায় নিয়েছেন। নিকোলাস পুরান ও রোভমান পাওয়েল মিলে দলকে থিতু করেছেন এর পর। কিন্তু থিতু করার প্রক্রিয়াটি ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। ৭৬ রানের জুটি গড়তে ৬২ বল খেলেছে এ জুটি। তাতে অবশ্য পাওয়েলের দায় নেই।

৩৪ বলে ৫৪ রান করা পাওয়েলকে অন্য প্রান্ত থেকে কোনো সহযোগিতাই করেননি পুরান। পাওয়েলের সমান ৩৪ বল খেলে মাত্র ১৯ রান বিদায় নিয়েছেন ১৪তম ওভারের শুরুতে। দুই বল বিরতি দিয়ে পাওয়েলও তাঁকে অনুসরণ করলে ৪ উইকেটে ৮৫ রানে দাঁড়ায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ফলে, ৬ ওভারে ৮৩ রানের কঠিন দায়িত্ব এসে পড়ে কাইরন পোলার্ড ও শিমরন হেটমায়ারের কাঁধে। সে দায়িত্ব পালনের চেষ্টা শুরুর আগেই অবশ্য বৃষ্টি আর বজ্রপাতে খেলা থেমে গেছে।

টানা দুই হারে ক্যারিবীয় অঞ্চলে ফেরার আগেই টি-টোয়েন্টি সিরিজের মীমাংসা হয়ে গেল। এরপর থেকে লডারহিলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ খেলতে নামার আগে হিসাব কষেই নামবে। এ নিয়ে এই মাঠে টানা চার ম্যাচ হারল দলটি। ভারতের কাছে টানা দুই হারের আগেই বাংলাদেশের কাছে হেরেছিল তারা।

ঢাকায় এডিস মশার ঘনত্ব বেড়েছে ১৩ গুনের বেশি

0

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় বর্ষা শুরুর আগে এডিস মশার সংখ্যা যা ছিল, এখন তা বেড়েছে ১৩ গুনের বেশি। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ঢাকায় ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বেড়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ জরিপে উঠে এসেছে এই তথ্য। জরিপ বলছে, বর্ষা শুরুর আগে ঢাকায় প্রাপ্তবয়স্ক এডিস মশার ঘনত্ব ছিল ৩৬টি। এখন তা বেড়ে হয়েছে ৪৮৭টি। বর্ষার আগে ৩ মার্চ থেকে ১২ মার্চ পর্যন্ত পরিচালিত জরিপে সেই ঘনত্ব ছিল ৩৬টি। আর সর্বশেষ জরিপটি হয় ১৭ জুলাই থেকে ২৭ জুলাই পর্যন্ত। ঢাকা দুই সিটির ৯৮টি ওয়ার্ডের ১০০টি স্থান থেকে এই জরিপের নমুনা নেওয়া হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর পরিচালিত জরিপে দেখা যাচ্ছে-শুধু এডিস মশার সংখ্যাই নয়, মশার লার্ভার ঘনত্ব তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি। অর্থাৎ এসব লার্ভা থেকে মশা বের হলে আগামী দিনগুলোতে মশার সংখ্যা আরও অনেক বেড়ে যাবে।

গবেষণায় অধিকাংশ এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে পরিত্যক্ত টায়ারে জমে থাকা পানিতে, প্লাস্টিকের ড্রামে, বালতি, খোলা ট্যাংক ও ফুলের টবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল (সিডিসি) বিভাগ বলছে, প্রাপ্তবয়স্ক মশা ও এডিস মশার লার্ভার সংখ্যা অনেক বেড়েছে। তাই ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যাও বেড়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, এডিস মশা বাড়ছে এটাই জরিপে দেখা যাচ্ছে। সাধারণত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এডিস মশার কারণে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব থাকে। এডিস মশা কতটা নিয়ন্ত্রণে আসবে তা নির্ভর করছে নিয়ন্ত্রণমূলক কর্মকাণ্ড, মানুষের সচেতনতা, ওষুধ ছিটানোর ওপর।

ডেঙ্গু পরিস্থিতি শুধু বাংলাদেশেই ভয়াবহ হয়নি, এশিয়ার বিভিন্ন দেশেও বেড়েছে ডেঙ্গুর প্রকোপ। ইউরোপিয়ান সেন্টার ফর ডিজিজ প্রিভেনশন অ্যান্ড কন্ট্রোলের হিসাবে, ডেঙ্গুর পরিস্থিতি খারাপ হয়েছে পাকিস্তান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া, লাওস, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর এবং ভিয়েতনামেও।

বিগত কয়েক বছরের হিসাবে দেখা গেছে, বছরের আগস্ট-সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি থাকে। এরই মধ্যে সরকারি হিসাবে এ বছর জুলাই মাসে আগের সব রেকর্ড ভেঙে হাসপাতালে ভর্তি রোগী ছিল ১৫ হাজার ৬৫০। ২০১৮ সালে সারা বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ছিল ১০ হাজার ১৪৮। মৃত্যুর সংখ্যাও গত বছরের তুলনায় বেশি। সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা ও রোগীর স্বজনদের কথা বলে প্রথম আলো এ বছর ৮৫ জনের মৃত্যুর খবর জেনেছে। যদিও সরকারি হিসাবে মৃত্যু ১৮ জনের।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশনস সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম বলছে, দুই দিনের ব্যবধানে সারা দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা আবারও বাড়ছে। গত বৃহস্পতিবার আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৭১২। পরদিন তা কমে ১ হাজার ৬৮৭ হয়। শনিবার কিছুটা কমে আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ১ হাজার ৬৪৯। গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে নতুন ভর্তি হয়েছে ১ হাজার ৮৭০ জন। সব মিলে এ পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ২৪ হাজার ৮০৪ জন। এর মধ্যে ৭ হাজার ৩৯৮ জন বর্তমানে ভর্তি আছে।

জম্মু ও কাশ্মীরে বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নিয়েছে ভারত

0

জম্মু ও কাশ্মীরে বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নিয়েছে ভারত। দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সোমবার রাজ্যসভায় এসংক্রান্ত নতুন বিলের প্রস্তাব করেন। বিল অনুসারে উপত্যকায় আর প্রযোজ্য হবে না ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ও ৩৫-এ ধারা।

ভারতীয় সংবিধানের ৩৫-এ ধারার আদ্যোপান্ত

১. ১৯৫৪ সালে রাষ্ট্রপতির নির্দেশে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা হয় এই ধারাটি।

২. এই ধারায় জম্মু-কাশ্মীরের বাসিন্দাদের বিশেষ অধিকার দেওয়া হয়।

৩. এই ধারা অনুযায়ী জম্মু ও কাশ্মীরের বিধানসভা স্থির করতে পারত রাজ্যের ‘স্থায়ী বাসিন্দা’ কারা এবং তাঁদের বিশেষ অধিকার কী হবে?

৪. কেবল স্থায়ী বাসিন্দারাই ওই রাজ্যে সম্পত্তির মালিকানা, সরকারি চাকরি বা স্থানীয় নির্বাচনে ভোট দেওয়ার অধিকার পেয়ে আসছিলেন।

৫. রাজ্যের বাসিন্দা কোনো নারী রাজ্যের বাইরের কাউকে বিয়ে করলে সম্পত্তির অধিকার থেকে বঞ্চিত হতেন। তাঁর উত্তরাধিকারীদেরও সম্পত্তির ওপর অধিকার থাকত না।

জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৫-এ ধারার গুরুত্ব কোথায়?
১৯২৭ ও ১৯৩২-এ করদ রাজ্য (প্রিন্সলি স্টেট) জম্মু ও কাশ্মীরে স্থায়ী বাসিন্দা আইন চালু হয়েছিল। চালু করেছিলেন তৎকালীন শাসক মহারাজা হরি সিং। ১৯৪৭-এর অক্টোবরে জম্মু ও কাশ্মীরকে ভারতের অংশ হিসেবে মেনে নিয়ে চুক্তি স্বাক্ষর করেন হরি সিং।

ডোগরার রাজাদের শাসনকালের মেয়াদ শেষে কাশ্মীরের আধিপত্য দখল করেন শেখ আবদুল্লাহ। ১৯৪৯-এ নয়াদিল্লির সঙ্গে আবদুল্লাহর আলোচনার মাধ্যমে জম্মু ও কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা (সংবিধানের ৩৭০) দেওয়া হয়।

বিশেষ মর্যাদার সুবাদে প্রতিরক্ষা, বিদেশ এবং যোগাযোগ- এই তিন ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় আইন প্রযোজ্য ছিল না উপত্যকায়।

তবে ১৯৫২ সালে প্রধানমন্ত্রী নেহরু ও আবদুল্লাহর মধ্যে চুক্তির ভিত্তিতে ভারতীয় সংবিধানের বহু আইনই সেখানে প্রযোজ্য হয় এবং ৩৫-এ ধারাও সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত হয়।

এর অনেক পরে ২০০২ সালে জম্মু ও কাশ্মীর হাইকোর্টের ঐতিহাসিক রায়ে বাতিল হয় ৩৫-এ ধারায় নারীদের সম্পত্তির অধিকার থেকে বঞ্চিত করার আইন। ওই ধারা অনুযায়ী, রাজ্যের বাসিন্দা কোনো নারী রাজ্যের বাইরের কাউকে বিয়ে করলে সম্পত্তির অধিকার থেকে বঞ্চিত হন। তাঁর উত্তরাধিকারীদেরও সম্পত্তির ওপর অধিকার থাকে না। তবে হাইকোর্টের নির্দেশে বিয়ের পরও অধিকার থেকে বঞ্চিত হবেন না নারীরা। তবে তাঁদের উত্তরাধিকারীদের সম্পত্তির ওপর অধিকার থাকবে না।

৩৫-এ ধারার বিরুদ্ধে ২০১৪ সালে শীর্ষ আদালতের শরণাপন্ন হন এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনসহ বেশ কয়েকজন আবেদনকারী।
সূত্র : এই সময়, ভারত

পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে আগামী শুক্রবার ও শনিবার (৯ ও ১০ আগস্ট) ব্যাংক খোলা

0

আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে আগামী শুক্রবার ও শনিবার (৯ ও ১০ আগস্ট) ব্যাংক খোলা রাখার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গতকাল রবিবার (৪ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংক এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। বাংলাদেশ ব্যাংকের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. সিরাজুল ইসলাম প্রজ্ঞাপনে স্বাক্ষর করেন।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে তৈরি পোশাক শিল্পে কর্মরত শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন ও অনান্য ভাতাদি পরিশোধের জন্য এবং রপ্তানি বাণিজ্য সচল রাখার স্বার্থে তফসিলি ব্যাংকসমূহ আগামী ৯ ও ১০ আগস্ট পূর্ণদিবস খোলা থাকবে।

এতে আরো বলা হয়- ঢাকা, ঢাকা মহানগরী, আশুলিয়া, টঙ্গী, গাজীপুর, সাভার, ভালুকা, নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামে অবস্থিত তফসিলি ব্যাংকের শাখাসমূহ শুক্রবার ও শনিবার পূর্ণদিবস খোলা রাখার বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া প্রজ্ঞাপনে উল্লেখিত এলাকার সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের শাখাসমূহকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার নিশ্চিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়।

উচ্চ আদালতের নির্দেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখালেন সমবায় মন্ত্রণালয়ের সচিব

0

দেশের উচ্চ আদালতের নির্দেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখালেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামাল উদ্দিন তালুকদার। সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই পল্লী দারিদ্র্য বিমোচন ফাউন্ডেশনের (পিডিবিএফ) বোর্ড সভা ডেকেছেন সচিব। সংস্থাটির আইন অনুযায়ী পদাধিকার বলে বোর্ডের চেয়ারম্যান হন সমবায়সচিব। বোর্ড চেয়ারম্যানের নির্দেশে সংস্থাটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) বোর্ড মিটিং ডাকার আইন থাকলেও সংস্থার আইন না মেনেই বোর্ড চেয়ারম্যান ও সচিব নিজেই বোর্ড সভা ডেকেছেন। একদিকে, হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞার আদেশ উপেক্ষা, অন্যদিকে, স্বায়ত্বশাসিত সংস্থা পিডিবিএফের নিজস্ব আইনকে উপেক্ষা করে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে তিনি বোর্ড সভা ডেকে নিজের ব্যক্তিস্বার্থ হাসিল করার চেষ্টা করছেন।

অভিযোগ উঠেছে, পিডিবিএফের চাকরিচ্যুত কিছু দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের বহাল করতেই একের পর এক আইন ভঙ্গ করে অন্যায়ভাবে হস্তক্ষেপ করে যাচ্ছেন পিডিবিএফের পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সমবায়সচিব মো. কামাল উদ্দিন তালুকদার।

খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত মন্ত্রণালয় থেকে প্রায় শতাধিক চিঠি পাঠিয়ে বিভিন্নভাবে দৈনন্দিন কাজে বাধাগ্রস্ত করেছেন এবং সচিব নিজেই বোর্ড মিটিং ডাকেন। শেষ পর্যন্ত নিরুপায় হয়ে গত ২৭ মে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের একটি বেঞ্চে রিট মামলা করেন সংস্থাটির ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মদন মোহন সাহা। উচ্চ আদালত শুনানির পর বোর্ড সভা বন্ধসহ বেআইনি হস্তক্ষেপের বিষয়ে একটি রুল জারিও করেন। এরপর হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে সচিব কামাল উদ্দিনের পক্ষে আপিলও করা হয়। উভয় পক্ষের শুনানির পর ১৬ জুন আপিল বিভাগ থেকে চেয়ারম্যানের পক্ষে করা আবেদনটি খারিজ করে দিয়ে হাইকোর্টেও আদেশটি বহাল রাখার নির্দেশনা দেন আপিল বিভাগ। কিন্তু হাইকোর্টেও সেই নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে সচিব এক দিনের নোটিশে বোর্ড মিটিং ডেকে শুধু হাইকোর্টের রায়কে অমান্য করলেন না, রাষ্ট্রের আইনকেও বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছেন বলে মনে করছেন আইনজ্ঞরা।

সমবায় মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ১ আগস্ট পিডিবিএফর বোর্ড অব গভর্নর্সের চেয়ারম্যান ও পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব কামাল উদ্দিন তালুকদার সই করা একটি নোটিশ জারি করেন। নোটিশে বলা হয়, পিডিবিএফের কার্যক্রম চলমান ও গতিশীল রাখার প্রয়োজনে কতিপয় অপরিহার্য জরুরি প্রয়োজনে ফাউন্ডেশনের বৃহত্তর স্বার্থে ৫ আগস্ট (আজ সোমবার) সকাল ১১টায় সমবায় বিভাগের সভাকক্ষে জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন সমবায়সচিব ও বোর্ডের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন তালুকদার।

ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মদন মোহন সাহা বলেন, দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায়কে উপেক্ষা করে যিনি একের পর এক আইন ভেঙেই চলছে, সেখানে আমরা কতটা অসহায় হয়ে পড়েছি সেটা ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না। বোর্ড চেয়ারম্যানের অন্যায়ভাবে ডাকা বোর্ড মিটিং করার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট করার পর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হলো, তারা আপিল করার পর খারিজ করে দিল তাদের আবেদন। কিন্তু এরপরও হাইকোর্টকে পাত্তা দিচ্ছেন না বোর্ড চেয়ারম্যান।

হাইকোর্টেও নিষেধাজ্ঞার পরও বোর্ড মিটিং ডাকতে পারেন কি-না? জানতে চাইলে সমবায়সচিব কামাল উদ্দিন বলেন, আদালতের নিষেদাজ্ঞার পরও বোর্ড মিটিং ডাকার সুযোগ আছে, সুযোগ না থাকলে আমি কিভাবে বোর্ড মিটিং ডাকলাম? সেই সুযোগটা কি ধরনের? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আপনাকে আমি ব্যাখ্যা দিতে পারব না। আমি ব্যস্ত আছি পরে কথা বলি বলেই লাইনটি কেটে দেন তিনি।

পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সাবেক সচিব ও সংস্থাটির সাবেক চেয়ারম্যান প্রশান্ত কুমার রায় বলেন, স্বশাষিত প্রতিষ্ঠানটিতে মন্ত্রণালয়ের সরাসরি হস্তক্ষেপ করার কোনো সুযোগ নেই। ব্যবস্থাপনা পরিচালকই নির্বাহী ক্ষমতার অধিকারী। নিয়োগ, পদোন্নতি ও চাকরি স্থায়ীকরণ বন্ধ করার চিঠি দেওয়া আর নিজেই বোর্ড মিটিং ডাকা কোনোভাবেই বোর্ডের চেয়ারম্যান করতে পারেন না, এটা এমডির মাধ্যমেই করবেন। একই কথা বললেন সংস্থাটির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ফজলুল হক খান। তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠানটিতে সকল ধরনের কাজের প্রধান নির্বাহী এমডি। পিডিবিএফ এর আইনে সেটা সুস্পষ্ট বলা আছে। হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা থাকার পর কিভাবে সভা ডাকেন?

জানা গেছে, ক্ষুদ্র ঋণের মাধ্যমে সারা দেশের দারিদ্র্যতা দূরীকরণের স্বপ্ন দেখেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাই কানাডিয়ান সিডা থেকে পরবর্তী সময়ে সংসদে আইনের মাধ্যমে ১৯৯৯ সালে পল্লী দারিদ্র্য বিমোচন ফাউন্ডেশনটি স্বশাষিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে সারা দেশে সুনামের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। সেই প্রতিষ্ঠানটিতে বর্তমানে ৬ হাজারের বেশি কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং প্রতিষ্ঠানের সুবিধাভোগী পরিবার আছে ১০ লক্ষাধিক।

ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর দুভাগে ভাগ হলো

0

জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিলো ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। বিতর্কিত ৩৭০ ধারা বাতিল করতে সংসদে প্রস্তাব পেশ করলেন ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সংসদের অনুমোদনের পরই রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ এই প্রস্তাবে সই করেছেন। রাষ্ট্রপতির সইয়ের সঙ্গে সঙ্গেই কাশ্মীরকে বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা দেওয়া ৩৭০ ধারা বিলুপ্ত হল। সেই সঙ্গে একটি স্বায়ত্বশাসিত রাজ্যের মর্যাদাও হারাল কাশ্মীর।

এ ছাড়া জম্মু ও কাশ্মীরকে দুভাগে ভাগ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীর মিলিয়ে একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। অন্যদিকে লাদাখকে পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

সোমবার, তুমুল জল্পনার শেষে ভারতের রাজ্যসভায় বিতর্কিত ৩৭০ ও ৩৫এ ধারা বাতিল করার প্রস্তাব করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী। বিরোধীদের প্রবল বিরোধিতা ও হট্টগোলের মধ্যে বিতর্কিত ধারাটিকে বাতিল করতে রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ করা হয়। প্রস্তাবটি কাশ্মীর সংরক্ষণ বিল নামে একটি বিল আকারে পেশ করা হয়। এই প্রস্তাবে রাষ্ট্রপতি সইও করেন।

এরপরই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঘোষণা করেন কাশ্মীরের অঙ্গরাজ্যের মর্যাদাও ছিনিয়ে নেওয়া হল। এবং উপত্যকাকে দুটি ভাগে ভাগ করে দেওয়া হল। নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী লাদাখে কোনও বিধানসভা থাকছে না। অন্যদিকে, জম্মু ও কাশ্মীরে পৃথক বিধানসভা থাকলেও, স্থানীয় সরকারের হাতে নিরাপত্তা বা আইনশৃঙ্খলার দায়িত্ব থাকবে কেন্দ্রের উপরই। ফলে, জম্মু ও কাশ্মীর সরকারের হাতে আর্থিক ক্ষমতা ছাড়া অন্য কোনও ক্ষমতাই কার্যত থাকবে না।

কদিন আগে থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় জল্পনা ছড়িয়েছিল কাশ্মীরকে ৩ ভাগে ভাগ করে দেওয়া হবে। সেই জল্পনাই কার্যত সত্যি হল। কাশ্মীরকে ৩ ভাগে ভাগ করা না হলেও দুটি পৃথকভাগে ভাগ করে দেওয়া হল।

ফলে, কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ সরাসরি নয়াদিল্লির হাতে থাকবে। যা এককথায় ঐতিহাসিক।

সীমান্তে উত্তেজনার পাশাপাশি এই সিদ্ধান্তের ফলে অভ্যন্তরের জঙ্গি কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণেও অনেকটাই সুবিধা হবে বলে ধারণা ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের। জঙ্গি নিয়ন্ত্রণের জন্য আর কাশ্মীর সরকারের মুখাপেক্ষী থাকতে হবে না।

সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন

আগস্ট এসেছে, আগস্টের বাতাসে ষড়যন্ত্রের গন্ধ

0

আগস্টে সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়। এই আগস্টে শেখ হাসিনাকে প্রাইম টার্গেট করে একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা হয়েছিল। তাই আমাদের সতর্ক থাকতে হবে, প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।’

আজ সোমবার (৫ আগস্ট) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র শেখ কামালের ৭০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বনানী কবরস্থানে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। পরে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আগস্ট এসেছে, আগস্টের বাতাসে ষড়যন্ত্রের গন্ধ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে আমি নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিচ্ছি- ডেঙ্গু মোকাবেলা, বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াতে এবং আগস্টের কর্মসূচিতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করতে। বন্যার্তদের সাহায্য-সহযোগিতা ও ১৫ আগস্টের কর্মসূচি পালনের পাশাপাশি আমাদের সতর্ক থাকতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে নির্দেশ পৌঁছে দিচ্ছি দলের নেতাকর্মীদের কাছে।

এক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আগস্টে সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছে। এই আগস্ট মাসের ১৭ তারিখ দেশের ৬৩ জেলায় একযোগে বোমা হামলা করা হয়েছিল। এমনকি গত বছর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে হামলার পরিকল্পনা ছিল, আমরা সতর্ক ছিলাম বলে কার্যকর করতে পারেনি।’

চুনারুঘাট ও ময়মনসিংহে দুই পৃথক ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুইজন নিহত

0

গতকাল রবিবার (৪ আগস্ট) দিবাগত রাত ৩টার দিকে হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার ডেউয়াতলী কালিনগর এলাকায় পুলিশের সঙ্গে ‘ডাকাতদলের’ এবং একই রাত সাড়ে ১২টার দিকে ময়মনসিংহ সদর উপজেলার চরপুলিয়ামারী এলাকায় গোয়েন্দা পুলিশের সঙ্গে ‘মাদক বিক্রেতাদের’ সঙ্গে এই ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটে।

হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে নিহত ব্যক্তির নাম সোলেমান মিয়া (৩০)। তিনি মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া এলাকার বাসিন্দা। পুলিশের দাবি, সোলেমান আন্তঃজেলা ডাকাতদলের সদস্য।

আর, ময়মনসিংহে নিহত ব্যক্তি নাম জনি মিয়া। গোয়েন্দা পুলিশের দাবি তিনি মাদক বিক্রেতা।

হবিগঞ্জের চুনারুঘাট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আল আমিনের ভাষ্যমতে, রবিবার রাতে উল্লেখিত এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল একদল ডাকাত-গোপন সূত্রে এমন খবর পেয়ে সেখানে অভিযান চালায় পুলিশের একটি দল। এ সময় পুলিশের সঙ্গে ডাকাতদলের গোলাগুলি হয়। একপর্যায়ে এক ডাকাতসহ তিন পুলিশ সদস্য আহত হন। ভোর সোয়া ৫টায় গুলিবিদ্ধ ডাকাতকে হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাকাত সোলেমানকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত পুলিশ সদস্যরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এর আগে রবিবার (৪ আগস্ট) গভীর রাতে চুনারুঘাট উপজেলার দেউন্দি চা বাগানের ডাক্তার বাংলোয় ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাতদল ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে প্রথমে দারোয়ান রবি মুণ্ডা ও সন্তোষকে জিম্মি করে রশি দিয়ে বেঁধে ফেলে। পরে বাংলোয় থাকা ডা. অনিমেষ গুলদার (৪৫), স্ত্রী সরমিস্ট কর্মকার ও চার বছরের ছেলে অরিত্র গুলদারের মাথায় পিস্তল টেকিয়ে পাঁচ লাখ টাকার মালামাল লুট করে।

খবর পেয়ে সিলেট বিভাগের ডিআইজি কামরুল ইসলাম, এডিশনাল ডিআইজি জয়দেব কুমার ভদ্র, হবিগঞ্জ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্লাহ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এসএম রাজু আহমেদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মইন উদ্দিন ইকবাল, চুনারুঘাট-মাধবপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার নাজিম উদ্দিন এবং চুনারুঘাট থানার ওসি নাজমুল হক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

অপরদিকে, ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দের ভাষ্যমতে, ময়মনসিংহ সদর উপজেলার চরপুলিয়ামারী এলাকায় মাদকবিক্রেতা ও ছিনতাইকারীরা অবস্থান করছে- এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই সেখানে অভিযান চালায় গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল। এ সময় ডিবির উপস্থিতি টের পেয়ে তারা গুলি চালায়। ডিবি সদস্যরাও পাল্টা গুলি চালান। একপর্যায়ে পালিয়ে যান মাদক বিক্রেতারা। পরে, ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় জনি নামের এক মাদক কারবারিকে উদ্ধার করা হয়।

ওসি বলেন, ‘ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক জনিকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত ডিবির দুই সদস্য আকরাম হোসেন ও মতিউর রহমানকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।’

নিহত জনির বিরুদ্ধে ১১টির মতো মামলা রয়েছে বলে উল্লেখ করেন ওসি।