Home Blog Page 3582

এবারও ঈদের বাজারে ছাড়া হয়েছে লাখ লাখ টাকার জাল নোট

0

আরো নোট ছাড়ার জন্য রাজধানীতে অন্তত ১০টি চক্র সক্রিয় বলে তথ্য পাওয়া গেছে। তারা ৫০০ টাকার চেয়ে এক হাজার টাকার নোট জাল করে বাজারে ছড়িয়ে দেওয়ার দিকেই নজর দিচ্ছে বেশি। গত ১১ জুলাই ১০ জন জাল নোট কারবারিকে গ্রেপ্তারের পর ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) এসব তথ্য জানতে পেরেছে।

শিগগিরই এসব চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর ডিবির এক কর্মকর্তা। তিনি বলেছেন, এসব চক্রকে ধরার জন্য গোয়েন্দা তত্পরতা বাড়ানো হয়েছে।

ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা জানিয়েছে, হুমায়ূন কবীর চক্রসহ রাজধানীতে অন্তত ১০টি চক্র ঈদের বাজারে জাল নোট ছড়াতে সক্রিয়। তারা আরো জানিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে তারা বাংলাদেশি জাল নোট তৈরি করে তা বাজারজাত করে আসছিল। এই জাল টাকা পলাতক আসামিদের সহযোগিতায় ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় বাজারজাত করা হয়।

গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, চক্রগুলো জাল নোট তৈরি করে নির্দিষ্ট কয়েকজন সদস্য দিয়ে আসল টাকার সঙ্গে মিলিয়ে দিয়ে বাজারে ছাড়ে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজধানীতে যে ১০টি জাল টাকা চক্র কাজ করছে তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সক্রিয় হুমায়ূন কবীর চক্র। এই হুমায়ূন কবীর একসময় পুলিশে কনস্টেবল পদে চাকরি করতেন। ১৯৯৪ সালে চাকরি পাওয়ার পর তিনি বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়েন। অবশেষে ২০০৩ সালে তাঁকে চাকরিচ্যুত করা হয়। এরপর নানা ব্যবসা করতেন হুমায়ূন। একপর্যায়ে রাজশাহী এলাকার একটি জাল নোট তৈরির চক্রের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন তিনি। শুধু তা-ই নয়, এরপর গড়ে তোলেন জাল নোট তৈরির চক্র। ওই সময় থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত হুমায়ূন কবীরকে পুলিশ, র্যাব ও ডিবি পাঁচবার গ্রেপ্তার করেছে। প্রতিবারই তিনি জামিনে বেরিয়ে এসে আবারও জাল নোটের কারবারে জড়িত হন। সর্বশেষ ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে তাঁকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। কিন্তু চার মাস পর জামিনে কারাগার থেকে বেরিয়ে এসে আবারও জাল নোটের কারবার চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর রয়েছে ৮-১০ জনের একটি দল, যারা টাকা বানানো ও বিক্রির সঙ্গে জড়িত।

জানতে চাইলে দীর্ঘদিন ধরে জাল নোট কারবারে জড়িত অপরাধীদের বিষয়ে কাজ করা ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার উপকমিশনার মশিউর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘কোরবানির ঈদ এলেই জাল টাকা চক্রের সদস্যরা সক্রিয় হয়ে ওঠে। আমাদের কাছে খবর আছে যে কয়েকটি চক্র কাজ করছে জাল নোট ছড়াতে। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হচ্ছে।’

হুমায়ূন কবীর সম্পর্কে জানতে চাইলে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘হুমায়ূনকে এর আগেও আমরা গ্রেপ্তার করেছি, কিন্তু জামিন নিয়ে বেরিয়ে গিয়ে সে আবারও একই কাজ করে আসছে। তাকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এ পর্যন্ত তিন ধরনের জাল নোটের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ‘ওয়াশ নোট’ নামের জাল নোট বেশি টাকায় বিক্রি করা হয়। এটি বানাতে ব্যবহার করা হয় প্রকৃত ১০০ টাকার নোট। ওই নোটকে রাসায়নিক দিয়ে সাদা করে প্রিন্টারের মাধ্যমে ৫০০ টাকার নোট জাল করা হয়। এক লাখ টাকা মূল্যমানের জাল ‘ওয়াশ নোট’ বিক্রি হয় ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকায়। আর্ট পেপারে তৈরি জাল ১০০টি এক হাজার টাকার নোট তারা চক্রের সদস্যদের কাছে ২৪-২৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে। খসখসে কাগজে তৈরি এক লাখ টাকা মূল্যমানের জাল নোট ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়।

মালয়েশিয়া মাই সেকেন্ড হোমে’ বাংলাদেশির সংখ্যা চার হাজার ছাড়িয়েছে

0

মালয়েশিয়ার ব্যাংকে টাকা রেখে দ্বিতীয় নিবাস গড়ার প্রকল্প ‘মালয়েশিয়া মাই সেকেন্ড হোমে’ বাংলাদেশির সংখ্যা চার হাজার ছাড়িয়েছে। মালয়েশিয়া সরকারের তথ্য অনুযায়ী, ২০০৩ সাল থেকে গত বছর পর্যন্ত মোট চার হাজার ১৩৫ জন বাংলাদেশি ওই প্রকল্পে অংশ নিয়েছেন। প্রকল্পে অংশ নেওয়ার জন্য নির্বাচিত হওয়া ব্যক্তির বয়স ৫০ বছরের কম হলে তাদের মালয়েশিয়ায় পৌঁছার পর ব্যাংকে তিন লাখ মালয়েশীয় রিঙ্গিতের (প্রায় ৬০ লাখ টাকা) স্থায়ী আমানতের হিসাব খুলতে হয়। অন্যদিকে ৫০ বছর বা তার চেয়ে বেশি বয়সী আবেদনকারীদের ক্ষেত্রে ব্যাংকে খুলতে হয় দেড় লাখ মালয়েশীয় রিঙ্গিত (প্রায় ৩০ লাখ টাকা) স্থায়ী আমানতের হিসাব।

বাংলাদেশিদের মধ্যে যারা এই সুযোগ নিয়েছে তাদের পরিচয় ও বয়স সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায় না। তবে ‘মালয়েশিয়া মাই সেকেন্ড হোমে’ অংশ নেওয়া সবার বয়স যদি ৫০ বছরের কম হয় তাহলে মালয়েশিয়ার ব্যাংকে তাদের টাকার পরিমাণ দাঁড়ায় অন্তত দুই হাজার ৪৮১ কোটি টাকা। আর তাদের সবার বয়সই যদি ৫০ বছরের বেশি হয় তবে মালয়েশিয়ার ব্যাংকে তাদের জমা টাকার পরিমাণ হবে অন্তত এক হাজার ২৪০ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

প্রকল্পের জন্য নির্বাচিত হওয়ার আগেই পর্যাপ্ত সম্পদ দেখানো, ফাইল প্রসেসিং ও সম্পদের পরিমাণ মূল্যায়নসহ বিভিন্ন খাতে আবেদনপত্রপ্রতি আরো কয়েক লাখ টাকা খরচ হয় বলে জানা গেছে। সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রে জানা যায়, মালয়েশিয়ার ওই প্রকল্পে অংশ নিতে সব মিলিয়ে এক থেকে দেড় কোটি টাকা খরচ হয়। বাংলাদেশ থেকে এই প্রকল্পে সুবিধা নেওয়ার জন্য যেকোনো ব্যক্তিকে যে অর্থমূল্য দিতে হয় বা বিনিয়োগ করতে হয় তার জন্য বাংলাদেশ সরকারের অনুমোদিত কোনো পদ্ধতি নেই। কাজেই এ বিষয়টি আইনের লঙ্ঘন, ক্ষমতার অপব্যবহার ও মানি লন্ডারিং করে হচ্ছে। বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া—দুই দেশই সন্দেহজনক ও অবৈধ লেনদেন মোকাবেলায় এগমন্ট গ্রুপের সদস্য হলেও এ ক্ষেত্রে সহযোগিতা মিলছে না।

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ মিশনের সাবেক এক শীর্ষস্থানীয় কূটনীতিক গত বৃহস্পতিবার কালের কণ্ঠকে বলেন, তিনি যখন মালয়েশিয়ায় ছিলেন তখনো সেকেন্ড হোম প্রকল্প ছিল, কিন্তু বাংলাদেশির সংখ্যা এত বেশি ছিল না। বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন সময় এ বিষয়ে জানতে চেয়েছে। কারো কারো মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম প্রকল্পের সুযোগ নিয়ে সেখানে বাড়ি কেনার খবর আলোচনায় এসেছে। কিন্তু মালয়েশিয়া এ বিষয়ে কোনো তথ্য দেয় না। তখন মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে ঢাকায় বলা হয়েছিল, মালয়েশিয়া সরকার বা হাইকমিশনের কাছে তালিকা না চেয়ে বরং এ দেশের ইমিগ্রেশন বিভাগের মাধ্যমে ওই ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা সম্ভব। কারণ মালয়েশিয়া মাই সেকেন্ড হোমে যারা অংশ নিয়েছে তাদের ভিসা অন্যান্য ক্যাটাগরির ভিসার চেয়ে আলাদা। সেটি ১০ বছর মেয়াদি ভিসা এবং সেকেন্ড হোমের কথা লেখা থাকে।

সাবেক ওই কূটনীতিক বলেন, তাঁরা ধারণা করতেন এবং এখনো মনে করেন যে যারা মালয়েশিয়ার ব্যাংকে টাকা রেখে সেকেন্ড হোমের সুযোগ নিচ্ছে তারা সেই টাকা বৈধভাবে নেয়নি। কারণ বৈধভাবে অর্থ নিলে বাংলাদেশ ব্যাংক জানত। তা ছাড়া বাংলাদেশের আইনে এখান থেকে বাইরে জমি বা বাড়ি কেনা কিংবা বিনিয়োগ করা আইনত নিষিদ্ধ। তিনি বলেন, মালয়েশিয়ায় যখন বাংলাদেশিরা কাজের জন্য যাচ্ছে তখন এ দেশেরই কিছু লোক মালয়েশিয়ায় অবৈধভাবে বিনিয়োগ করছে। ওই অর্থ এ দেশে কাজে লাগালে অনেক লোকের কর্মসংস্থান হতো।

জানা গেছে, গত কয়েক বছরে বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও সংস্থাগুলো মালয়েশিয়ায় সন্দেহভাজন অর্থপাচারকারী হিসেবে বেশ কয়েকজনকে চিহ্নিত করেছে। তাদের মধ্যে রাজনৈতিক দলের সদস্য ও কয়েকজন ভিআইপিও আছেন। এ বিষয়ে কাজ চলছে। তবে এর পরও মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোমে বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণ অব্যাহত রয়েছে। ওই প্রকল্পে শীর্ষ অংশগ্রহণকারীদের তালিকায় চীন ও জাপানের পরই বাংলাদেশের অবস্থান থাকায় এজেন্ট ও সাব-এজেন্টরা বাংলাদেশ থেকে সম্ভাব্য অংশগ্রহণকারীদের খুঁজছে।

বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সিনিয়র রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান কালের কণ্ঠকে বলেন, সাধারণত বাংলাদেশ থেকে বাইরে টাকা পাঠানোর নিয়ম নেই। বৈধভাবে পাঠাতে হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতির প্রয়োজন হয়। এই ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক অনুমতি দিচ্ছে কি না সে বিষয়ে সুস্পষ্ট তথ্য নেই। দিলেও হয়তো সংখ্যাটা এত বেশি হবে না। তিনি বলেন, ‘বিদেশে অনেক বাংলাদেশি থাকে। তাদের টাকাও বিদেশে আছে। সেটি যদি তারা মালয়েশিয়ায় নিয়ে যায় সেটি বৈধ। কিন্তু তার পরও সংখ্যাটা এত বেশি হবে কি না তা নিয়ে সন্দেহ থাকবেই। আমি সেই সন্দেহ পোষণ করি।’

তৌফিকুল ইসলাম খান বলেন, এ বিষয়টাতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা জরুরি। কারা কিভাবে সেখানে বিনিয়োগ করছে বা পাঠাচ্ছে সেটি সরকারের জানার উদ্যোগ নেওয়া দরকার।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘এর বেশ কিছু মাত্রা আছে। এটি মোটামুটি ওপেন সিক্রেট ও ব্যাপকভাবে আলোচিত। মালয়েশিয়ার ওই প্রকল্পে বাংলাদেশের যে অবস্থান তা আমাদের জন্য বেশ বিব্রতকর।’ তিনি বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে অর্থপাচার বিভিন্ন মাধ্যমে হতে পারে। ব্যাগ ভর্তি টাকা নিয়ে যেতে পারে কেউ কেউ। হুন্ডির মাধ্যমে হতে পারে অথবা ‘মিস ইনভয়েসের’ মাধ্যমে হতে পারে। কাজেই পুরো বিষয়গুলো অবারিতভাবে হচ্ছে। সরকারের দিক থেকে কোনো ধরনের উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ আমরা দেখিনি। যে কারণে এটি ঘটেই চলেছে এবং এই প্রকল্পের গ্রাহক হিসেবে র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশ শীর্ষ স্থান অধিকার করে চলেছে। এর মূল কারণটিই হলো যারা এর সঙ্গে জড়িত তাদের কোনো ধরনের প্রতিকূলতা বা জবাবদিহির মুখোমুখি হতে হয় না।”

ড. ইফতেখারুজ্জামান আরো বলেন, ‘যারা এ সুবিধা নিচ্ছে তারা কিভাবে কোন প্রক্রিয়ায় অর্থ পাচার করছে ও সুবিধা নিচ্ছে সেগুলো সরকারের মাধ্যমেই শুধু জানা সম্ভব। এ কারণে সরকারের মাধ্যমেই তথ্যগুলো নেওয়ার উদ্যোগ নিতে হবে। এরপর আমাদের দেশীয় আইন অনুযায়ী কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। মালয়েশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক আছে। এ ক্ষেত্রে অবৈধ অর্থের ব্যাপারে আন্তর্জাতিক আইনি যে কাঠামো আছে তা কাজে লাগিয়েও এই অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও অপরাধীদের জবাবদিহির আওতায় আনা সম্ভব।’

মানুষ পাখির মতো এক জায়গা থেকে উড়তে উড়তে আরেক জায়গায় চলে যাবে

0

পায়ের নিচে ছোট্ট একটি বোর্ড লাগিয়ে মানুষ পাখির মতো এক জায়গা থেকে উড়তে উড়তে আরেক জায়গায় চলে যাবে – এর আগে এমন দৃশ্য বর্ণনা করা হয়েছে শুধু বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীতে। কিন্তু সেটা যেন এখন বাস্তব হতে চলেছে।

ফরাসী একজন উদ্ভাবক সেরকমটাই করে দেখিয়েছেন। পিঠে জ্বালানী-ভর্তি একটি ব্যাগ নিয়ে ছোট্ট একটি বোর্ডের ওপর দাঁড়িয়ে গোটা ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে তিনি এক দেশ থেকে চলে গেছেন আরেক দেশে।

তার নাম ফ্র্যাঙ্কি জাপাটা। বয়স ৪০। পাখিও না আবার বিমানও নয় এরকম যে বোর্ডের উপর দাঁড়িয়ে তিনি উড়ে গেছেন তার নাম ফ্লাইবোর্ড বা উড়ন্ত বোর্ড।

ফ্রান্সের ক্যালে শহরের কাছে সেনগাত থেকে রবিবার সকাল ৬টা ১৭ মিনিটে উড়ান শুরু করেন তিনি। ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে তিনি ব্রিটেনে ডোভারের সেন্ট মার্গারেট বে-তে এসে নামেন। এসময় বহু মানুষ তাকে করতালি দিয়ে স্বাগত জানায়।

কেরোসিন-ভর্তি একটি ব্যাক-প্যাক দিয়ে চালিত এই ফ্লাইবোর্ডে করে ২২ মাইল পথ পাড়ি দিতে তার সময় লেগেছে ২২ মিনিট।

এর আগে গত ২৫শে জুলাই তারিখেও তিনি আরেকবার এভাবে চ্যানেল পাড়ি দিতে চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। তার কারণ ছিল ব্যাক-প্যাকের জ্বালানী শেষ হয়ে যাওয়া।

এবার আর সেই সমস্যা ছিল না। সমুদ্রের মাঝখানে একটি নৌকায় নেমে সেখানে নতুন করে জ্বালানী নিয়ে তিনি বাকিটা পথ উড়ে যেতে সক্ষম হয়েছেন।

আগের বার জ্বালানী সংগ্রহের জন্যে নৌকায় নামতে গিয়ে তিনি সমুদ্রে পড়ে গিয়েছিলেন।

বলা হচ্ছে, এই উদ্ভাবন হতে পারে একটি যুগান্তকারী ঘটনা।

‘তিন বছর আগে আমরা একটি যন্ত্র বানিয়েছিলাম। আর এখন আমরা ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিতে সক্ষম হলাম। এটা ঐতিহাসিক ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হবে কীনা সেবিষয়ে আমি সিদ্ধান্ত নেওয়ার কেউ নই। একমাত্র সময়ই সেটা বলে দিতে পারবে,’ বলেন ফ্র্যাঙ্কি জাপাটা। এসময় আনন্দে কেঁদে ফেলেন তিনি।

জাপাটা ডোভারে নেমে বলেছেন, উড়তে থাকার সময় তার গতি ছিল ঘণ্টায় ১৬০ থেকে ১৭০ কিলোমিটার পর্যন্ত।

আকাশ দিয়ে উড়ে আসার সময় তাকে তিনটি হেলিকপ্টার পাহারা দিচ্ছিল।

এর আগে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে বাস্তিল দিবসের কুচকাওয়াজের সময় এধরনের ফ্লাইবোর্ড ব্যবহার করে আকাশে নানা ধরনের কসরৎ দেখিয়ে তিনি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন।

ফরাসী সামরিক বাহিনীও এধরনের প্রযুক্তি উদ্ভাবন করার কথা বিবেচনা করছে এবং এজন্যে জাপাটার কম্পানি জেড-এয়ারকে তারা প্রায় ১৫ লাখ ডলার দিয়েছে।

ফরাসী রেডিওকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ফ্রান্সের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ফ্লোরেন্স পার্লি বলেছেন, এই ফ্লাইবোর্ড দিয়ে নানা কিছু করা সম্ভব। ‘এর মধ্যে রয়েছে প্রয়োজনীয় উপকরণ এক জায়গা থেকে দ্রুত আরেক জায়গায় নিয়ে যাওয়া,’ বলেন তিনি।

এবার কলেজছাত্রীর মৃত্যু পশ্চিমবঙ্গে ডেঙ্গুতে

0

ডেঙ্গুতে প্রাথমিক শিক্ষকের মৃত্যুর ২৪ ঘণ্টা পরেই এবার এক কলেজ ছাত্রীর মৃত্যু হলো পশ্চিমবঙ্গের হাবড়াতে। মৃত ছাত্রীর নাম অঙ্কিতা শিকদার ( ১৭ )। হাবড়া পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের আক্রমপুর এলাকার বাসিন্দা অঙ্কিতা হাবড়া চৈতন্য কলেজে ইংরেজিতে অনার্স নিয়ে প্রথম বর্ষে পড়াশোনা করছিল।

পরিবার সূত্রে খবর, গত বুধবার কলেজ থেকে ফেরার সময় জ্বর জ্বর লাগছিল অঙ্কিতার। তাই নিজেই দোকান থেকে ওষুধ কিনে বাড়ি নিয়ে আসে সে। বাড়ি ফেরার পর থেকে শরীর আরও খারাপ হয়ে যায়। জ্বর বাড়তে থাকে। অঙ্কিতার বাবা অপূর্ব শিকদার ব্যাঙ্কের কর্মী। তবে অন্য রাজ্যে কর্মরত তিনি। মেয়ের শরীর খারাপের খবর শুনে বৃহস্পতিবারই তিনি বাড়ি ফিরে আসেন।

প্রথমে এক প্রাইভেট ডাক্তারকে দেখায় অঙ্কিতার পরিবার। তিনি ওষুধও দেন। তবে জ্বর কমেনি। শুক্রবার রাত থেকে বমি করতে শুরু করে অঙ্কিতা। শনিবার সকালে তাকে হাবড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখান থেকে তাকে বারাসাত স্টেট জেনারেল হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেখানেই চিকিৎসা চলছিল তার। প্রাথমিক লক্ষ্মণ দেখে সেখানে ডাক্তাররা জানান, ডেঙ্গু হয়েছে অঙ্কিতার।

হাসপাতাল সূত্রে খবর, প্লেটলেট সাংঘাতিকভাবে কমে গিয়েছিল অঙ্কিতার। আগে থেকে ডেঙ্গু ধরা না পড়ায় ঠিকভাবে চিকিৎসা করা যায়নি। অবশেষে শনিবার রাত ৮টা নাগাদ মৃত্যু হয় তার। অঙ্কিতার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবারে।

অঙ্কিতার আগে বিরা এলাকার একটি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক ধীমান কান্তি মল্লিকের ( ৪১ ) রক্ত পরীক্ষায় ডেঙ্গু ধরা পড়ার পরে মঙ্গলবার বারাসাতের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয় তাঁকে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে নিয়ে আসা হয় বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানেই শুক্রবার বিকেলে মৃত্যু হয় তাঁর।

পরপর ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে দুজনের মৃত্যুর পর ক্ষোভে ফুটছেন হাবড়ার বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, এলাকার নিকাশি ব্যবস্থা খারাপ। পুরসভার পক্ষ থেকে ঠিকমতো ব্লিচিং পাউডার বা মশা মারার স্প্রে ছড়ানো হয় না। গোটা এলাকায় ঝোপজঙ্গল। সাফাই অভিযান না হওয়ায় মশার দাপট বাড়ছে প্রতিদিন। কিন্ত নির্বিকার স্থানীয় প্রশাসন। এর ফলেই এলাকায় অনেকেই জ্বরে আক্রান্ত। দিনদিন সেই সংখ্যা বাড়ছে বলেই অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী।

রূপালী ব্যাংকের সাবেক এমডিসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

0

দুর্নীতির অভিযোগে রূপালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি), উপব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (ডিএমডি) সাত জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ও তিন ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ রোববার সংস্থার ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ মামলাটি করেছেন সহকারী পরিচালক এস এম রাশেদুর রেজা।

দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য প্রথম আলোকে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণা ও জালিয়াতির এবং অপরাধজনক বিশ্বাস ভঙ্গের মাধ্যমে রেলওয়ের ১১৭ শতাংশ জমি বন্ধকি দলিলের মাধ্যমে রূপালী ব্যাংকে বন্ধক রেখেছেন। এর মাধ্যমে ব্যাংকের মেয়াদি প্রকল্প ঋণের বিপরীতে বন্ধক রেখে মোট ১৬১ কোটি ৯১ লাখ ৬৫ হাজার ২৪৫ টাকা আত্মসাতের চেষ্টা করেছেন।

মামলার আসামিরা হলেন রূপালী ব্যাংকের সাবেক এমডি এম ফরিদ উদ্দিন, সাবেক ডিএমডি কাজী মো. নেয়ামত উল্লাহ, রূপালী সদন করপোরেট শাখার সাবেক শাখা প্রধান মো. সিরাজ উদ্দিন, একই শাখার সাবেক প্রিন্সিপাল অফিসার মো. কামাল উদ্দিন, ব্যাংকের শিল্পঋণ বিভাগের সাবেক ডিজিএম সৈয়দ আবুল মনসুর, একই বিভাগের এজিএম মনোরঞ্জন দাস, শিল্প ঋণ বিভাগের সাবেক প্রিন্সিপাল অফিসার (বর্তমানে স্থানীয় কার্যালয়ের এজিএম) আবু নাছের মো. রিয়াজুল হক, এইচ আর স্পিনিং মিলের এমডি মো. হাবিবুর রহমান, চেয়ারম্যান শাহিন রহমান ও পরিচালক মো. মাসুদুর রহমান।

অবৈধ, নকল ও ক্লোন মুঠোফোন সেট এর সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়া নিয়ে বিটিআরসি কিছু বিষয় পরিষ্কার করেছে

0

অবৈধ, নকল ও ক্লোন মুঠোফোন সেট এর সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়া নিয়ে গ্রাহক পর্যায়ে উদ্বেগ দেখা দেওয়ায় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) কিছু বিষয় পরিষ্কার করেছে। আজ রোববার এক বিজ্ঞপ্তিতে বিটিআরসি জানিয়েছে ১ আগস্ট ২০১৯ এর আগে কেনা মুঠোফোন সেটের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে না।

গত ২৯ জুলাই এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিটিআরসি জানিয়েছিল, ১ আগস্ট থেকে নকল ও ক্লোন আইএমইআই সংবলিত মুঠোফোন অপারেটরদের নেটওয়ার্কে সংযুক্ত হলে পরবর্তীতে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্ট্রারের (এনইআইআর) মাধ্যমে তা নেটওয়ার্ক থেকে বিচ্ছিন্ন করা হবে। এ বিজ্ঞপ্তির পর থেকে গ্রাহকদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দেয়। গ্রাহকদের উদ্বেগ দূর করতে সংস্থাটি কিছু বিষয় স্পষ্ট করেছে।

বিটিআরসির আইএমইআই (ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি) ডেটাবেইসে ২০১৮ থেকে বাংলাদেশে উৎপাদিত ও আমদানি করা সব মুঠোফোনের তথ্য সংরক্ষিত আছে। অবৈধ পথে আনা বিদেশ থেকে কেনা কোনো মুঠোফোনের তথ্য তাদের কাছে নেই।

মুঠোফোনের আইএমইআই বিটিআরসির ডেটাবেইসে নেই—এমন এসএমএস পাওয়া প্রসঙ্গে বিটিআরসির জানিয়েছে, এই ধরনের মেসেজ পাওয়া মানেই মুঠোফোন সেট অবৈধ নয়। ১ আগস্ট ২০১৯ এর পর কেনা মুঠোফোনে এ ধরনের মেসেজ পেলে তা অবৈধ এবং সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে।

বিটিআরসিতে শিগগিরই এনইআইআর সিস্টেম স্থাপন করা হবে। তখন থেকে অবৈধ সেটের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে।

পুরোনো মুঠোফোন সেটের বিটিআরসির ডেটাবেইসে রেজিস্ট্রেশনের প্রয়োজনীয়তা ও উপায় নিয়ে বিটিআরসি জানায়, ২০১৮ সাল থেকে বৈধ মুঠোফোন সেটের তথ্য বিটিআরসির ডেটাবেইসে থাকায় আপাতত কোনো রেজিস্ট্রেশন লাগছে না। তবে এনইআইআর স্থাপন হলে ১ আগস্ট ২০১৯ এর আগের সব এবং পরে কেনা বৈধ সেটের রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া শুরু হবে। এ ছাড়া এখন কোনো মুঠোফোন সেট কেনা হলে তার রশিদ সংরক্ষণের আহ্বান জানিয়ে বিটিআরসি বলেছে রেজিস্ট্রেশনের সময় তা কাজে লাগবে।

দেশের বাইরে থেকে আসা মুঠোফোন বিষয়ে বিটিআরসি বলেছে, উপযুক্ত দলিলাদি দাখিল সাপেক্ষে এনইআইআর ব্যবস্থায় রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ পাবে এবং ব্যবহার করতে পারবে।

“সুন্দর” সঙ্গী পেয়ে গেছেন দেশের ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি

0

ক্রিকেটে রেকর্ডের অভাব নেই। শ্রীলঙ্কার পেসার শামিন্দা এরাঙ্গার কথাই ধরুন, তিন সংস্করণেই অভিষেক ম্যাচে উইকেট পেয়েছেন প্রথম ওভারে! কিংবা মাশরাফি বিন মুর্তজা, আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচে স্কোরকার্ডের একটি জায়গায় এত দিন একাই ছিলেন। এত দিন—কথাটা বলতে হচ্ছে কারণ কাল সেখানে ‘সুন্দর’ সঙ্গী পেয়ে গেছেন দেশের ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি।

লাউডারহিলে কাল সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখোমুখি হয়েছিল ভারত। বিরাট কোহলির দল ৪ উইকেটে জিতেছে তা সবাই জানে, কিন্তু লো-স্কোরিং এ ম্যাচে একটি ঘটনা কি সবাই খেয়াল করেছে? ওয়েস্ট ইন্ডিজ ইনিংসের প্রথম ওভারে উইকেট পেয়েছেন স্পিনার ওয়াশিংটন সুন্দর। দ্বিতীয় বলেই জন ক্যাম্পবেলকে তুলে নেন। এরপর ভারতের ইনিংসে জয়সূচক রান এসেছে সুন্দরের ব্যাট থেকেই।

এসব কোনো রেকর্ড নয়। তবে ক্রিকেটে যেহেতু বিচিত্র সব ঘটনার জন্ম হয় তাই ভক্তদের জন্য সুন্দরের এমন বিচিত্র ব্যাপারও চিন্তার খোরাক হতে পারে। কেউ হয়তো এভাবেও ভাবতে পারেন, একই ম্যাচে প্রতিপক্ষের ইনিংসে প্রথম ওভারে উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি দলের জয়সূচক রানও নিয়েছেন—আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এমন ঘটনা কতবার দেখা গেছে? আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ব্যাপারটা বিরলই। এ সংস্করণের আন্তর্জাতিক মঞ্চে এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন মাত্র দুজন ক্রিকেটার।

ঠিক ধরেছেন। মাশরাফি ও ওয়াশিংটন সুন্দর। ভারতের স্পিনার কাল ভাগ্যচক্রে বসেছেন মাশরাফির পাশে। তার আগ পর্যন্ত এত দিন মাশরাফিই ছিলেন একমাত্র ‘ভাগ্যবান’ ক্রিকেটার, আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে যিনি একই ম্যাচে প্রথম ওভারে উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি দলের জয়সূচক রানও করেছেন। সেটি ২০১৫ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঘরের মাঠে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে। আগে ব্যাটিংয়ে নামা জিম্বাবুয়ের ইনিংসে পঞ্চম বলে সিকান্দার রাজাকে তুলে নিয়েছিলেন মাশরাফি। এরপর রান তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ জয়সূচক রান পেয়েছিল মাশরাফির ছক্কায়। কাল ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচটা দেখে থাকলে নিশ্চয়ই আরও একটি মিল খুঁজে পেয়েছেন—হ্যাঁ, সুন্দরও ভারতকে জিতিয়েছেন ছক্কা মেরে।

বিপিএলে সাকিব কোন দলে খেলবেন?

0

বেশ ঘটা করে বিপিএলের দল বদল করেছেন সাকিব আল হাসান। ঢাকা ডায়নামাইটসের সঙ্গে সম্পর্ক চুকিয়ে গিয়েছেন রংপুর রাইডার্সে। তাঁর ফ্র্যাঞ্চাইজি বদলের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেনি বোর্ড সভাপতিসহ কয়েকজন প্রভাবশালী বিসিবি পরিচালকের আশীর্বাদপুষ্ট ঢাকা ডায়নামাইটস। আজ বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের মিটিং শেষে বোঝা গেলে এত ঢাক ঢোল পেটানোর পরও এ মৌসুমে সাকিবের রংপুর রাইডার্সে খেলা নিশ্চিত নয়।

না, শুধু সাকিবের দলবদলই অনিশ্চয়তায় নেই। দলবদলের বাজারে জোর গুঞ্জন তামিম ইকবাল যাচ্ছেন খুলনা টাইটানসে, মুশফিকুর রহিম যাচ্ছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসে। এ ছাড়া ঢাকা ডায়নামাইটস দলে টেনেছে এউইন মরগানকে। রাজশাহী কিংস জেপি ডুমিনি, খুলনা টাইটানস এনেছে শেন ওয়াটসনকে। এসব চুক্তিও সব বাতিল বলেই গণ্য করতে হচ্ছে। কারণ, বিপিএল পরিচালনা কমিটি বলেই দিয়েছে, ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর সঙ্গে চুক্তি ছিল ষষ্ঠ বিপিএল পর্যন্ত। এরপর নতুন চুক্তি করতে হবে সবাকে। আর নতুন চুক্তির আগপর্যন্ত কোনো দলই কোনো খেলোয়াড় টানার অধিকার রাখে না।

বিপিএলে এর আগে আইকন খেলোয়াড়েরা নিজেদের ইচ্ছেমতো দল বদল করে নিয়েছেন। টানা তিন বছর ঢাকা ডায়নামাইটসে ছিলেন সাকিব। এবার অন্যদের মতো সাকিবও ফ্র্যাঞ্চাইজি বদলেছেন। সাকিবের দলবদলের পর ঢাকা দাবি করেছিল, তারা তো খেলোয়াড় ধরে রাখার (রিটেইন) সুযোগও নিতে পারতেন। তাদের সে সুযোগ দেওয়া হয়নি। এ যুক্তিতে সাকিবের রংপুরে যাওয়া আটকাতে চেয়েছিল ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। তবে বিপিএল কমিটি আজ যে ব্যাখ্যা দিয়েছে, তাতে সাকিবকে ধরে রাখার সুযোগ নেই ঢাকারও।

আজ পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ছয় বছরের চুক্তি শেষ হয়ে যাওয়ায় সবাইকে নতুন করতে চুক্তি করতে হবে। আগামী দুইদিনের মধ্যে ছয় ফ্র্যাঞ্চাইজিকে (চিটাগাং ভাইকিংস না খেলার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছে) নতুন চুক্তির জন্য আমন্ত্রণ জানানো হবে। আরও নতুন দুই দল আনা হবে বিপিএলে। সব দলের সঙ্গে চুক্তিপত্র সাক্ষরের পরই খেলোয়াড় কেনাবেচার প্রক্রিয়া শুরু হবে। ডিসেম্বরের এ টুর্নামেন্টের দুই মাস আগেই প্লেয়ার ড্রাফট বা নিলাম ডাকা হবে। তখনই কেবলই দেশি বা বিদেশি খেলোয়াড়দের দলে টানার সুযোগ পাবে দলগুলো। এর আগে কোনো দলের সঙ্গে কোনো খেলোয়াড়ের চুক্তিই আমলে নেবে না বিপিএল। যদি নিলাম বা ড্রাফটে লটারি পদ্ধতি থাকে সে ক্ষেত্রে যেকোনো নির্দিষ্ট খেলোয়াড়কে যেকোনো ফ্র্যাঞ্চাইজিই টেনে নিতে পারবে। খেলোয়াড় ধরে রাখার নীতি শুধু হবে আগামী (অষ্টম) বিপিএল থেকে।

বিপিএলের আজকের আলোচনা থেকেটা অন্তত পরিষ্কার, এবারের বিপিএলে কে কোন দলে যাচ্ছেন সেটা বলার ঝুঁকি নেওয়াটা ঠিক হবে না!

সাতজন আলাদা বউয়ের গল্প নিয়ে ‘বউ কাহিনি’

0

সাতজন আলাদা বউয়ের গল্প নিয়ে তৈরি হচ্ছে সাতটি একক নাটক। থিমটির নাম ‘বউ কাহিনি’। বউ কাহিনির সাতটি নাটক হলো রুপা ভাবি, রোবটের বউ, আমার মিস্টার পরিষ্কার, চিহ্ন, স্বর্ণলতা, দরজার ওপাশে ও বিউটি পারলার।

নাটকগুলোতে বউয়ের চরিত্রে অভিনয় করছেন ছোট পর্দার ছয় তারকা তারিন জাহান, অপি করিম, নুসরাত ইমরোজ তিশা, জাকিয়া বারী মম, সোহানা সাবা ও মাসুমা রহমান নাবিলা। বিউটি পারলার ও আমার মিস্টার পরিষ্কার—এই দুই নাটকে বউ হিসেবে দেখা যাবে নুসরাত ইমরোজ তিশাকে। অন্যরা একটি করে নাটকে বউয়ের চরিত্রে অভিনয় করবেন।
ঈদের সাত দিন এই সাতটি নাটক আরটিভিতে প্রচারিত হবে। নাটকগুলো প্রযোজনা করছে আলফা আই প্রোডাকশন। এর প্রযোজক শাহরিয়ার শাকিল বলেন, ‘সব সময়ই ঈদ উত্সবে ভিন্ন কিছু করার চেষ্টা করি। এবারও করছি। তবে ভিন্ন কিছু দিতে গেলে বড় বাজেট লাগে।’

প্রতিটি নাটকই ভিন্ন ভিন্ন পরিচালক পরিচালনা করছেন। রুপা ভাবি আবু হায়াত মাহমুদ, রোবটের বউ অঞ্জন আইচ, আমার মিস্টার পরিষ্কার মাবরুর রশীদ বান্না, স্বর্ণলতা তৌকীর আহমেদ, দরজার ওপাশে তানিম রহমান অংশু, বিউটি পারলার গৌতম কৈরী ও চিহ্ন নাটকটি পরিচালনা করছেন মিজানুর আরিয়ান। মিজানুর বলেন, ‘আমার নাটকের গল্পটি আমার নিজেরই লেখা। নতুন ঘরানার গল্প। গল্পে নাটকীয়তা আছে। ঈদ উত্সবে দর্শকের কাছে নাটকটি খারাপ লাগবে না।’

এদিকে এই আয়োজনে দুটি নাটকে অভিনয় করছেন নুসরাত ইমরোজ তিশা। তিনি বলেন, ‘যেসব বউ গৃহিণী বা চাকরি করেন, তাঁদের জীবনের নতুন নতুন মুহূর্তগুলো গল্পে দেখা যাবে। এই মুহূর্তগুলোতে ধরা দিয়েছে আনন্দ, খুশি এবং কষ্টও। এই সব বিষয় নিয়ে ঈদের জন্য বিশেষ কিছু হচ্ছে। পুরো আয়োজনটির মধ্যে নতুনত্ব আছে।’
নাটকগুলোতে আরও অভিনয় করছেন জাহিদ হাসান, তৌকীর আহমেদ, চঞ্চল চৌধুরী, তাহসান, আফরান নিশো প্রমুখ।

৩৯ বছর বয়সী প্রভাস নাকি এবার গাঁটছড়া বাঁধবেন

0

ভারতীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসের অন্যতম সর্বোচ্চ অর্থ উপার্জনকারী চলচ্চিত্রের নাম কী? হ্যাঁ, ‘বাহুবলী: দ্য বিগিনিং’ (২০১৫)। আর এই চলচ্চিত্রের অন্যতম প্রধান অভিনয়শিল্পী প্রভাস বা প্রভাস রাজু। তিনিই দক্ষিণ ভারতের প্রথম অভিনয়শিল্পী, যাঁর মোমের মূর্তি স্থান পেয়েছে মাদাম তুসোর জাদুঘরে। ২০০২ সালে তেলেগু ‘ঈশ্বর’ ছবিতে বড় পর্দায় অভিষেক হয় এই তারকার। প্রভাস অভিনীত ‘সাহো’ ছবিটি মুক্তি পাবে ৩০ আগস্ট। আর সেই ছবি মুক্তিকে সামনে রেখে এল নতুন খবর, ৩৯ বছর বয়সী প্রভাস নাকি এবার গাঁটছড়া বাঁধবেন। কনে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ী।

প্রভাস তিন ভাইবোনের মধ্যে সবার ছোট। বাহুবলী সিরিজের আগে ‘ছাত্রপতি’, ‘মিস্টার পারফেক্ট’, ‘ডার্লিং’, ‘মির্চি’ ছবি তাঁকে তারকার আসনে বসিয়েছে। পিঙ্কভিলার এক প্রতিবেদন অনুসারে, প্রভাসের পরিবার এবার তাঁকে বিয়ে দেওয়ার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। বিয়ের দিন–তারিখ যদিও ঠিক হয়নি এখনো। ‘সাহো’ মুক্তি পেলেই এই ‘বড় কাজ’ সারবেন প্রভাস। তবে এখন পর্যন্ত সবই শোনা কথা। কারও পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি।

অসংখ্যবার গুঞ্জন উঠেছে যে তাঁরা নাকি ডুবে ডুবে জল খাচ্ছেন। কিন্তু গণমাধ্যমকে বরাবরই হতাশ করেছেন তাঁরা। প্রতিবার মুখের ওপর বলে দিয়েছেন, প্রেম করছেন না তাঁরা। প্রভাসের সঙ্গে কবে বিয়ের প্রশ্নে আনুশকার ঝটপট উত্তর দিয়েছিলেন, ‘আমরা খুব ভালো বন্ধু। কিন্তু আমরা বিয়ে করছি না। এই মুহূর্তে আমার বিয়ে করার কোনো তাড়া নেই।’ আর এখন তো মনে হচ্ছে, যতটা গোপনে তাঁরা মন দেওয়া–নেওয়া করেছেন, তার চেয়েও গোপনে দেওয়া মন ফিরিয়ে নিয়েছেন।
বাহুবলী টু: দ্য কনক্লুশন’–এর (২০১৭) পর গণমাধ্যম যখন প্রভাসের বিয়ের কোনো খবর পাচ্ছিল না, তখন নিরুপায় হয়ে ছুটে গিয়েছিল জ্যোতিষীর কাছে। সেই জ্যোতিষী ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, ‘বাহুবলী’খ্যাত এই তারকা ২০১৮ সালে বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন বলে। কিন্তু সেই ভবিষ্যদ্বাণীতে পানি ঢেলে ক্যালেন্ডারের পাতায় পার হয়ে গেল ২০১৯ সালের প্রথম ছয় মাস। গত বছর প্রভাসের চাচা কৃষ্ণম রাজু জানিয়েছিলেন, এই বছরেই বিয়ে করবেন প্রভাস। আর শোনা যাচ্ছিল, ‘বাহুবলী’ তারকার পাত্রী নাকি ‘দেবসেনা’, মানে আনুশকা শেঠি।

কিন্তু ‘বাহুবলী’ তারকার পাত্রী নন ‘দেবসেনা’! কারণ প্রভাস জানিয়েছেন, তিনি ও আনুশকা শুধুই বন্ধু। তিনি এমন একজনকে বিয়ে করবেন, যাঁকে পরিবারের লোকজন পছন্দ করবেন। আর পরিবার নাকি তাঁর জন্য এক মার্কিন ব্যবসায়ীকে পাত্রী হিসেবে পছন্দ করেছে।

প্রভাস এই মুহূর্তে তেলেগু ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সব থেকে যোগ্য অবিবাহিত পুরুষ। তাই তাঁর বিয়ে নিয়ে গুঞ্জনও ‘টক অব দ্য টাউন’। অবশ্য প্রভাস সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, এই বিষয়ে কিছুই বলবেন না তিনি। বলেছেন, ‘এটা আমার ব্যক্তিগত বিষয়। আমি এই বিষয়ে গণমাধ্যমকে কিছুই বলতে চাই না।’ অবশ্য প্রভাস বরাবরই এ রকম। তিনি ব্যক্তি প্রভাসকে সব সময় মিডিয়া থেকে আড়ালে রাখতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন।

প্রভাসের বিয়ে নিয়ে যে কানাঘুষা চলছে, তা একেবারে বিনা কারণে বা ভিত্তিহীন নয়। পিঙ্কভিলার ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রভাসের বোন প্রগতিই দেশের প্রথম সারির এক গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘ও (প্রভাস) আমাদের পরিবারের খুব কাছের। আর মানুষ হিসেবে খুবই সাধারণ। ও যখন শুটিংয়ে থাকে না, তখন আমরা একসঙ্গে প্রচুর সময় কাটাই। আমরা ওকে খুবই ভালোবাসি। ও প্রায়ই আমাদের উপহার দিয়ে সারপ্রাইজ দেয়।’

প্রভাসের বোন আরও বলেন, ‘আমরা পরিবারের সবাই ওর বিয়ের বাদ্য বাজার জন্য অপেক্ষা করছি। যেহেতু ও ছবি নিয়ে ব্যস্ত, তাই আমরা বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক করতে পারিনি। কিন্তু আমি নিশ্চিত, ওর বিয়েতে অনেক শোরগোল, হাঙ্গামা হবে। আর আমরা অনেক মজা করব। আমাদের ভাইও বিয়ে করে জীবনে থিতু হতে চায়। ও খুব ভালো মনের মানুষ। ওর মতো ভাই পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার।’