বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের(বিসিবি) প্রধান হিসাবে নিজের মেয়াদ শেষ করতে চান আজই যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পাওয়া নাজমুল হাসান পাপন। চলতি বছরই বিসিবি সভাপদি হিসেবে বর্তমান মেয়াদ শেষ হবে পাপনের। মূলত নতুন দায়িত্ব পাওয়ায় কাজের পরিধি আরও বেড়ে যাবে বিসিবি সভাপতির।
এবারই প্রথম বোর্ড থেকে সরে দাঁড়ানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেননি অভিজ্ঞ এই ক্রিকেট সংগঠক। দুই মাস আগে তিনি ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, আগামী বছর বর্তমান মেয়াদ শেষ হবে, বিসিবি সভাপতি হিসেবে এটিই তার শেষ হতে পারে।
আইসিসির নিয়ম অনুসারে, যেকোনো দেশের যেকোনো বোর্ড সভাপতিকে নির্বাচিত হতে হবে।
আজ পাপন বলেন, আমি আগেই বলেছি, এই মেয়াদের পর বিসিবিতে যুক্ত থাকবো না। । এখন পর্যন্ত আমি আমার সিদ্বান্তে অটল। তবে আমি এই বছরের মধ্যে এটি শেষ করার জন্য চেষ্টা করব।
মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগের পর বিসিবির সঙ্গে তার সর্ম্পক নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। বিসিবি ও আইসিসির গঠনতন্ত্রে এ বিষয়ে কোনো বাধা না থাকলেও, মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পেলে বিসিবি সভাপতি পদে থাকতে পারবেন না বলে আলোচনার জন্ম দেয়।
অবশ্য আলোচনাকে থামাতে পাপন বলেন, প্রথম কথা হল বিসিবি থেকে পদত্যাগের সাথে এর কোন সম্পর্ক নেই। এর আগে আমাদের অনেক মন্ত্রী ছিলেন, যারা বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। বিদেশেও এমন অনেক উদাহরণও আছে। এটা কোন বিষয় নয়।
তিনি আরও বলেন, আমি আগেও বলেছি, এটাই আমার শেষ মেয়াদ হবে। আগামী বছর নতুন মেয়াদ শুরু হবে। এ বছর মেয়াদ শেষ করার চেষ্টা করবো। আইসিসিরও কিছু নিয়ম আছে। আমি আইসিসির বেশ কয়েকটি কমিটিতে ছিলাম এবং কিছু কমিটিতেও আমি চেয়ারম্যান। সাধারণত তারা (আইসিসি) এটি পরিবর্তন করে না। নতুন কাউকে তারা দায়িত্ব দেয় না । এমন কিছু করার ফলে কি ধরনের পরিস্থিতির মুখোমুখি শ্রীলংকাকে হতে হয়েছে, সেটি ইতোমধ্যেই দেখেছেন। আমাকে তাদের (আইসিসি) মেয়াদও শেষ করতে হবে।