Home আন্তর্জাতিক চীনের করোনা টিকার বিরুদ্ধে গোপন প্রচারণা চালিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র

চীনের করোনা টিকার বিরুদ্ধে গোপন প্রচারণা চালিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র

20
0
SHARE

করোনা মহামারিতে প্রাণ হারিয়েছে বিশ্বের লাখ লাখ মানুষ। তবে এ করোনাভাইরাস মোকাবিলায় চীনের প্রচেষ্টাকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করতে একটি গোপন প্রচারণা চালিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনের একজন মুখপাত্র বিষয়টি স্বীকার করেছেন।

রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, ২০২০ সালে করোনা মহামারি যখন ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছেছিল তখন যুক্তরাষ্ট্র চীনের বিরুদ্ধে এই ঘৃণ্য পন্থা অবলম্বন করেছিল। এর উদ্দেশ্য ছিল ফিলিপাইনে চীনের প্রভাব ঠেকানো।

করোনা মোকাবিলায় চীনের প্রচেষ্টাকে হেয় করতে এই প্রচারণার আশ্রয় নিয়েছিল মার্কিন সেনাবাহিনী। পেন্টাগনের একজন মুখপাত্র স্বীকার করেছেন, প্রচারণায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের একাধিক প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করা হয়েছিল। প্রচারণার উদ্দেশ্য ছিল চীনের সরবরাহ করা টিকা ও জীবন রক্ষাকারী অন্যান্য উপকরণের সুরক্ষা এবং কার্যকারিতা নিয়ে সন্দেহ ছড়িয়ে দেওয়া।

ওই কর্মকর্তার দাবি, যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে চীনা অপতৎপরতার পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে এই পলিসি গ্রহণ করা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালাতে ফিলিপাইনের নাগরিকের ছদ্মবেশে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কয়েক শ অ্যাকাউন্ট খোলা হয়। এসব অ্যাকাউন্ট থেকে চীনের তৈরি করোনার টিকা সিনোভ্যাকের গুণগত মান নিয়ে মিথ্যা তথ্য প্রচার করা হয়। কারণ, ফিলিপাইনে সিনোভ্যাকই সর্বপ্রথম কাজে লাগানো হচ্ছিল।

এক্সে (সাবেক টুইটার) অন্তত ৩০০টি অ্যাকাউন্ট শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছে রয়টার্স, যেগুলোর মাধ্যমে চীনবিরোধী প্রচারণা চালানো হচ্ছিল। চীনের ব্যাপারে মানুষের মনে সন্দেহ ঢুকিয়ে দেওয়াই এই প্রচারের অন্যতম লক্ষ্য ছিল। এসব অ্যাকাউন্টের অধিকাংশই ২০২০ সালের মাঝামাঝিতে খোলা হয়। প্রচারণার একটি স্লোগানই ছিল ‘#চায়নাঅ্যাংগভাইরাস’, যার অর্থ দাঁড়ায় চীনই ভাইরাস। তাছাড়া পোস্টে প্রচার করা হয়েছিল, ‘কোভিড এসেছে চীন থেকে, টিকাও এসেছে চীন থেকে। তাই চীনকে বিশ্বাস করা যায় না।’ আরেকটি প্রচার এমন ছিল, ‘চীনের পিপিই, মাস্ক ও টিকা ভুয়া, কিন্তু করোনাভাইরাস সত্যি।’

রয়টার্স এক্স-কে অ্যাকাউন্টগুলো সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছিল। এরপর সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানিটি প্রোফাইলগুলো সরিয়ে দেয়। রয়টার্সের দাবি, এতেই প্রমাণিত হয়, এটি একটি সমন্বিত প্রচারের অংশ ছিল। মার্কিন সামরিক বাহিনীর ‘অ্যান্টি-ভ্যাক্স’ প্রচেষ্টা ২০২০ সালে শুরু হয়েছিল এবং ২০২১ সালের মাঝামাঝি সময়ে এটি শেষ হওয়ার আগে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বাইরে ছড়িয়ে পড়েছিল।