Home জাতীয় সরকার শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধিতে কাজ করছে : মতিয়া চৌধুরী

সরকার শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধিতে কাজ করছে : মতিয়া চৌধুরী

20
0
SHARE

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, একটি জাতির সমৃদ্ধি অর্জন করতে হলে প্রথমে যা প্রয়োজন তা হল মানসম্পন্ন শিক্ষা। এরই লক্ষ্যে সরকার শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধিতে কাজ করছে। আর মানসম্পন্ন শিক্ষাই পারে অন্ধকার দূরীভূত করে আমাদেরকে আলোর পথ দেখাতে। তিনি ১৫ জুন শনিবার তাঁর নির্বাচনী এলাকা শেরপুরের নকলা উপজেলায় মুজিব শতবর্ষ মুক্তমঞ্চে শিক্ষার্থীদের মাঝে আর্থিক প্রণোদনা বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, দেশে শিক্ষিতের হার বাড়াতে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মানসম্পন্ন শিক্ষা প্রদানের জন্য আওয়ামী লীগ সরকার সবকিছুই করছে। শিক্ষার্থীদের মেধাবী ও সুশিক্ষায় শিক্ষিত করতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মেধাবী শিক্ষক নিয়োগের পাশাপাশি তাদেরকে পাঠদান বিষয়ে যুগোপযোগী করে গড়ে তুলতে নিয়মিত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। নারীশিক্ষাকে অবৈতনিক করা হয়েছে। বছরে শুরুতে শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে নতুন বই দেওয়ার পাশাপাশি ধর্মীয় উৎসবগুলোতে আর্থিক প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছ। দেশে যেন কেউ অশিক্ষিত না থাকে এবং সকলের জন্য যেন সুশিক্ষা নিশ্চিত করা যায় সে জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবকিছুই করছেন।

প্রণোদনা বিতরণকালে শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. সাইদুর রহমান, নালিতাবাড়ী উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান হাজী মোশারফ হোসেন, নকলা উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট মো. মাহবুবুল আলম সোহাগ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া উম্মুল বানিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আম্বিয়া খাতুন, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম জিন্নাহ, পৌর মেয়র হাফিজুর রহমান লিটন, উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান আবু হামযা কনক, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহরিয়ার মোরসালিন মেহেদী, নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল কাদের মিয়াসহ জনপ্রতিনিধি ও দলীয় নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

মতিয়া চৌধুরী উপজেলার সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও এবতেদায়ী মাদ্রাসার মেধাক্রমানুসারে দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির প্রথম ১০ জন শিক্ষার্থী এবং সকল নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং দাখিল মাদ্রাসার মেধাক্রমানুসারে ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম ও নবম শ্রেণির প্রথম ১০ জন শিক্ষার্থীর মাঝে পবিত্র ঈদুল আযহা’র উপহার হিসেবে আর্থিক প্রণোদনা বিতরণ করেন।