চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য যুদ্ধ ক্রমশ বেড়েই চলেছে। চীন যেমন করে মার্কিন পণ্যে শুল্ক আরোপ করছে, ওয়াশিংটনও চীনা পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করছে।
এদিকে নতুন করে আবারও শুরু হয়েছে শুল্ক আরোপের খেল। গতকাল শুক্রবার সাড়ে সাত হাজার কোটি ডলারের মার্কিন আমদানি পণ্যে শুল্ক বসানোর সিদ্ধান্ত নেয় বেইজিং। এরই প্রেক্ষিতে চীন থেকে আমদানি হওয়া ৫৫ হাজার কোটি ডলারের পণ্যে অতিরিক্ত আরো পাঁচ শতাংশ শুল্ক আরোপ করল মার্কিন প্রশাসন। শুধু তাই নয়, টুইটারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট তার দেশের কম্পানিগুলোকে চীন থেকে সমস্ত কাজ গুটিয়ে নেওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন।
আমেরিকা প্রাথমিকভাবে চীনের যে ২৫ হাজার কোটি ডলারের পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্ক করেছিল, তা ১ অক্টোবর থেকে বেড়ে ৩০ শতাংশ হবে বলে জানান এই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট। বাকি ৩০ হাজার কোটি ডলারের পণ্যে শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বেড়ে হবে ১৫ শতাংশ। এই সমস্ত পণ্যের অর্ধেকে শুল্ক বসবে ১ সেপ্টেম্বর থেকে, ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে কার্যকর হবে পরের অর্ধেকে।
ট্রাম্পের ঘোষণার পর মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধির অফিস থেকেও চীনের আমদানি হওয়া পণ্যে আরো শুল্ক আরোপের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। ২৫ হাজার কোটি ডলারের পণ্যে অক্টোবর থেকে ৩০ শতাংশ শুল্ক কার্যকর করার আগে জনমত যাচাইয়ের কথাও জানান তারা।
চলতি সপ্তাহে ফ্রান্সে হতে যাওয়া জি-৭ সম্মেলনে ট্রাম্পের সঙ্গে বিশ্বের বেশ কয়েকটি শীর্ষ অর্থনীতির দেশের শীর্ষ নেতৃত্বের দেখা হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানেও এই বাণিজ্য উত্তেজনা উত্তাপ ছড়াতে পারে বলে ধারণা পর্যবেক্ষকদের। যদিও বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ কমিউনিস্ট চীন অবশ্য জি-৭ এর এই জোটে নেই।