জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীকে সামনে রেখে নৌ পথে যাত্রীসেবায় গুণগত পরিবর্তন আনার ঘোষণা দিয়েছেন নৌ প্রতিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, আগামী বছরটি বাঙালির জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী। এ বছরটি জীবনে আর আসবে না। তাই এ বছরে নৌ সেক্টরের যাত্রীসেবায় একটা পরিবর্তন আনতে চাই।
সোমবার (২৬ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে শসানঘাট, নারায়ণগঞ্জ, চাঁদপুর ও বরিশাল- এর যাত্রী টার্মিনাল নির্মাণ সংক্রান্ত ফিজিবিলিটি স্টাডি বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা এখন বিশ্বায়নের সঙ্গে যুক্ত। তাই নৌ সেক্টরকে একটা মানসম্পন্ন জায়গায় নিয়ে যেতে হবে। যাত্রীরা এখন অনেক সচেতন। তারা সারা পৃথিবীর যাত্রীসেবার খোঁজ রাখে। এজন্য সামগ্রিক যোগাযোগ ব্যবস্থায় আমাদের বৈপ্লবিক পরিবর্তন হচ্ছে। এজন্য আমরা যাত্রী পরিবহন ও নৌ সেবা বাড়াতে চাই। যাত্রীরা চায় আমরা আরো এগিয়ে যাই। তিনি বলেন, আমাদের অর্থনীতির আকার বাড়ছে, আমাদের ব্যবসা বাণিজ্য ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ছে। তাই সবক্ষেত্রেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের যাত্রীদের চাপ বেড়েছে। সদরঘাটসহ এ চারটি ঘাটে আরো টার্মিনাল নির্মাণ করা ইমার্জেন্সি। টার্মিনাল বাড়াতে হবে।
নদী খনন ও নাব্যতার বিষয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে ছিল ১০ হাজার কি.মি. নৌপথ তৈরি করা। ইতিমধ্যে আমাদের বর্ষাকালে তা ৬ হাজার কি.মি হয়ে গেছে। শুষ্ক মৌসুমে তা কমে চার থেকে সাড়ে চার হাজার কি.মি হয়। এজন্য আমাদের নদী খননও খুব গুরুত্বপূর্ণ। প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা শতবর্ষী ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন। পানি ধরে রাখার জন্যই প্রধানমন্ত্রী এ পরিকল্পনা নিয়েছেন। নদীতে নাব্যতা আনতে না পারলে পানি ধরে রাখা যাবে না।
খালিদ বলেন, মানুষ নদী থেকে দূরে সরে গিয়েছিল। বর্তমান সরকার নদীর চোখ খুলে দিয়েছে। মানুষ নদী নিয়ে এখন নতুন করে ভাবতে শুরু করেছে। সারাদেশ থেকে নদীর আদি চ্যানেল দখল হয়ে যাওয়ার অভিযোগ আসছে। আমরা কাজ করছি। প্রত্যেকে যার যার দায়িত্ব পালন করবেন ।
বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর এম মাহবুব-উল ইসলাম কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ।