Home জাতীয় হাজার হাজার মানুষ হত্যার জন্য আগে জাতির কাছে ক্ষমা চান

হাজার হাজার মানুষ হত্যার জন্য আগে জাতির কাছে ক্ষমা চান

135
0
SHARE

পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করে ঘুমন্ত বাসযাত্রী, থেমে থাকা গাড়ির ঘুমন্ত চালক, অন্তঃসত্ত্বা মা, স্কুলফেরত শিশু-কিশোর, ইজতেমার মুসল্লিদের পুড়িয়ে মারাসহ দু’বারের শাসনামলে সহস্রাধিক মানুষ হত্যা আর চার হাজার গাড়ি পোড়ানোর জন্য বিএনপিকে আগে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে বলেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

শনিবার দুপুরে ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যের শুরুতে জাতির পিতা ও তার পরিবার, জাতীয় চারনেতা ও মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি একথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘২০১৩-১৪-১৫ সালে অবরোধের নামে ও নির্বাচন বানচালের হীন চক্রান্তে পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করে ঘুমন্ত বাসযাত্রী, থেমে থাকা গাড়ির ঘুমন্ত চালক, অন্তঃসত্ত্বা মা, স্কুলফেরত শিশু-কিশোর, ইজতেমার মুসল্লীকে পুড়িয়ে হত্যাসহ দু’বারের শাসনামলে বিএনপি সহস্রাধিক মানুষকে হত্যা করে, তারা চার হাজার গাড়ি ও ত্রিশটি লঞ্চ পোড়ায়, ২০১৪ সালের নির্বাচনের সময় তারা কোমলমতি ছাত্রছাত্রীদের বইসমেত ৫০০ স্কুলঘর পুড়িয়ে দেয়, পোড়া মানুষ আর পোড়া বইয়ের জন্য আহাজারিতে বাতাস ভারি হয়েছিল। মীর্জা ফখরুল সাহেবদের বলবো, মীর্জা ফখরুলের ভারপ্রাপ্ত এবং পূর্ণ মহাসচিব দু’সময় মিলেই জাতির ওপর যে হত্যাযজ্ঞ তারা চালিয়েছেন, অন্যকথা বলার আগে এসব নির্মম অপরাধের জন্য বিএনপির উচিত আগে জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া।’

‘শুধু তাই নয়, বিএনপি দলটিই জনগণের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে আছে’ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান যেমন বঙ্গবন্ধুহত্যার কুশীলব, হত্যাকারীদের রক্ষক ও পুরস্কারদানকারী, তেমনি ক্ষমতায় থাকতে গিয়ে তিনি ১৬০০ সেনাসদস্যকে নির্বিচারে এমনকি কাউকে কাউকে ছুটি থেকে ডেকে এনে হত্যা করেছেন। তার স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াও ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে সহস্রাধিক আওয়ামী লীগ কর্মীহত্যা, ২০০৪ সালে প্রকাশ্য দিবালোকে বৃষ্টির মতো গ্রেনেড ছুঁড়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রাণনাশের অপচেষ্টা, জঙ্গিদের মদদ দিয়ে হত্যা-খুনের রাজনীতি কায়েম এবং পেট্রোলবোমা ছুঁড়ে মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছেন।’

‘যাদের রাজনীতির মূলমন্ত্র হচ্ছে মানুষ হত্যা, সরকারের সমালোচনা করার অধিকারই তো তাদের থাকেনা’ উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুহত্যার নেপথ্য কুশীলবদের বিচারের জন্য একটি কমিশন এবং পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ ও সন্ত্রাসের হুকুমদাতাদেরও বিচারের জন্য একটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করা উচিত।’

আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার জাকির আহমদের সভাপতিত্বে সাবেক মন্ত্রী অ্যাড মোঃ কামরুল ইসলাম এমপি, সাবেক প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু এমপি ও আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী বিশেষ অতিথি এবং আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাড বলরাম পোদ্দার, আকতার হোসেন, শাহাদাত হোসেন টয়েল, অরুণ সরকার রানা প্রমুখ আমন্ত্রিত অতিথির বক্তব্য রাখেন।