Home জেলা সংবাদ বেনাপোল কাষ্টমে স্বর্ণচুরি

বেনাপোল কাষ্টমে স্বর্ণচুরি

135
0
SHARE

যশোর বেনাপোল কাস্টমস হাউজের ভোল্ট ভেঙে প্রায় ২০ কেজি সোনা চুরি মামলায় কাস্টমসের সাবেক সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা ও ভোল্ট ইনচার্জ বিশ্বনাথ কুন্ডু আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। ভোল্টের দায়িত্ব বুঝে দেয়ার সময় তিনি সকল নিয়ম মেনে দায়িত্ব হস্তান্তর করেছিলেন। চুরি ঘটনার পর আটক ভোল্ট ইনচার্জ সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা শাহিবুল সরদার ও অপর দুইজনের সাথে কথা বলে তারা জড়িত থাকতে পারে বলে বিশ্বনাথ কুন্ডুর সন্দেহ হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার দুপুরে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মামুনুর রহমান আসামির এ জবানবন্দি গ্রহণ শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। আটক বিশ্বনাথ কুন্ডু খুলনা বটিয়াঘাটার জয়পুর গ্রামের রনজিৎ কুমার কুন্ডুর ছেলে। এর আগে বিশ্বনাথ কুন্ডু বেনাপোল কাস্টমসের ওই একই পদে কর্মরত ছিলেন।

বিশ্বনাথ কুন্ডু জানিয়েছেন, বেনাপোল কাস্টমস হাউজের পুরাতন ভবনের ২য় তলার গোডাউনের দায়িত্বে ছিলেন বেশ কয়েক বছর আগে। এ গোডাউনের বিভিন্ন ভোল্টে স্বর্ণ ও বিদেশি মুদ্রা সংরক্ষিত ছিল। ভোল্টের দায়িত্ব বুঝে নেয়ার সময় যাবতীয় কাগজপত্রের সাথে নিয়ম অনুযায়ী মিল করে নিয়েছিলেন।

দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পাওয়ার পর যথাযথ নিয়মে পরবর্তী দায়িত্বশীলের কাছে বুঝে দিয়েছিলেন। এরপর তিনি ঢাকায় বদলি হয়ে চলে যান। শাহিবুল সরদার দায়িত্ব পালনকালে ভোল্টে চুরি হয়। এরপর তার সাথে কথা হয়েছে। এ চুরির সাথে শাহিবুলসহ আরও দুইজন জড়িত থাকতে পারে বলে তিনি সন্দেহ করেন।

মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ৭ নভেম্বর রাত ৮টা থেকে ১১ নভেম্বর সকাল ৮টার মধ্যে যে কোনো সময় বেনাপোল কাস্টমস হাউজের পুরাতন ভবনের ২য় তলার গোডাউনের তালা ভেঙে চোরের দল ভোল্টের তালা খুলে ১৯ কেজি ৩শ’ ১৮ দশমিক ৩ গ্রাম সোনা চুরি করে নিয়ে যায়। যার মূল্য ১০ কোটি ৪৩ লাখ ১৭ হাজার ৩শ’ ৬২ টাকা। এই ভোল্টের চাবি শাহিবুলের কাছেই থাকতো।

এ ছাড়া গোডাউনের বিভিন্ন লকারে স্বর্ণসহ মূল্যবান জিনিসপত্র ছিল। সেগুলো অক্ষত ছিলো। ঘটনার সময় সিসি ক্যামেরা বন্ধ ছিলো। বিষয়টি জানাজানি হলে কাস্টম হাউজের রাজস্ব কর্মকর্তা এমদাদুল হক বাদী হয়ে অপরিচিত ব্যক্তিদের আসামি করে পোর্ট থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ গোডাউনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহিবুলকে সাময়িক বরখাস্ত করেন। এরপর পুলিশ তাকে এ মামলায় আটক করে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক হাসান ইমান গত ৬ ডিসেম্বর আটক আসামির ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করেন। একদিন রিমান্ড শেষে শাহিবুলকে আদালতে সোপর্দ করা হলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তার দেয়া জবানবন্দির তথ্য অনুযায়ী ঢাকা থেকে বিশ্বনাথ কুন্ডুকে আটক করে পুলিশ। বুধবার তাকে আদালতে সোপর্দ করা হলে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

এ বিষয়টি নিশ্চিত করে সিআইডি যশোর জোনের পুলিশ সুপার জাকির হোসেন বলেন, বেনাপোল কাস্টমসের বিপুল পরিমাণ সোনা চুরির মামলাটি তারা গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছেন। ইতিমধ্যে তারা চুরির রহস্য ভেদ করতে পেরেছেন। দ্রুতই প্রকৃত আসামিরা শনাক্ত হবে।