Home রাজনীতি ‘প্রতিক্রিয়াশীলতা এখন বিএনপির রাজনৈতিক চরিত্রের অংশ’

‘প্রতিক্রিয়াশীলতা এখন বিএনপির রাজনৈতিক চরিত্রের অংশ’

92
0
SHARE

প্রতিক্রিয়াশীলতা এখন বিএনপির রাজনৈতিক চরিত্রের অংশ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আজ বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। সরকারি বাসভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি অনুষ্ঠানে সংযুক্ত হন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

তিনি বলেন, ধর্মের দোহাই ও সাম্প্রদায়িকতার বিষ ছড়িয়ে মানুষকে আর বোকা বানানো যাবে না। বিএনপি মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও তাদের মুখোশের আড়ালে লুকিয়ে আছে জুলুম আর লুটপাটতন্ত্র। তাই তারা টিকা আসার আগেই লুটপাটের মিথ্যা অভিযোগ করছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি বিপদে মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে শুধু সমালোচনার তীর ছুড়ছে। প্রকারান্তরে আওয়ামী লীগ যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে, যা আওয়ামী লীগের গত সাত দশকের ঐতিহ্য।

সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি প্রোঅ্যাকটিভ নয়, তাদের রাজনীতি হচ্ছে রিঅ্যাকটিভ। বিএনপি নেতারা চারদিকে শুধু ধ্বংস দেখতে পায়, তারা সরকারের কোনো উন্নয়ন ও অর্জন দেখতে পায় না। আসলে তাদের সৃষ্টিশীলতাকে গ্রাস করেছে দুর্ভেদ্য নেতিবাচকতা। কারণ বিএনপির দৃষ্টিশক্তিতে এখন শীতের ঘনকুয়াশা জমেছে। শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো তো দূরের কথা, তারা নিজেরাই শীতে কাতর।

করোনা টিকা নিয়ে বিএনপি আবারও অপপ্রচার শুরু করেছে উল্লেখ করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, জনকল্যাণে নিবেদিত সরকারের যে কোনো প্রশংসনীয় উদ্যোগকে বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ করা তাদের অপরাজনীতির অংশ। তারা টিকা আসার আগেই লুটপাটের মিথ্যা অভিযোগের কলের গান অবিরাম বাজিয়ে যাচ্ছে। আমরা বলতে চাই, বিএনপি নামক গুজব পার্টির অপপ্রচারে জনগণ বিভ্রান্ত হবে না। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে টিকা সংগ্রহ ও টিকা প্রদান কাজ স্বচ্ছতা এবং সফলতার সাথে শেষ হবে ইনশাআল্লাহ।

পৌরসভা নির্বাচন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, তৃতীয় ও চতুর্থ ধাপের নির্বাচন সামনে। যারা নৌকার বিপক্ষে গিয়ে বিদ্রোহ করবে এবং জনপ্রতিনিধি বিদ্রোহে উস্কানি দেবে তাদের ভবিষ্যতে মনোনয়ন ও গুরুত্বপূর্ণ দলীয় কোনো পদ পাওয়া থেকে বঞ্চিত হতে হবে।

তিনি বলেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের প্রতিটি ওয়ার্ড ও থানায় যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সম্মেলন করতে হবে। সম্মেলন করতে গিয়ে অতীত থেকে শিক্ষা নিতে হবে। পকেট কমিটি কোনোভাবেই করা যাবে না, দলের ত্যাগী নেতাদের কমিটিতে সুযোগ করে দিতে হবে।