Home জাতীয় বাংলাদেশ-ভুটান বাণিজ্য: অবকাঠামো নির্মাণে জোর প্রধানমন্ত্রীর

বাংলাদেশ-ভুটান বাণিজ্য: অবকাঠামো নির্মাণে জোর প্রধানমন্ত্রীর

119
0
SHARE

বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে স্বাক্ষরিত অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তির (পিটিএ) সর্বোচ্চ সুবিধা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণের ওপর জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাত করতে গেলে তাদের আলোচনায় এ বিষয়টি আসে।

এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

প্রেস সচিব বলেন, বৈঠকে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী বাণিজ্য, কানেক্টিভিটিসহ বিভিন্ন সেক্টরে সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বেশি নৌ-বন্দর নির্মাণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

এছাড়া চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রুট ব্যবহার করে ভুটানের সঙ্গে রেল যোগাযোগের সম্ভাবনাও খতিয়ে দেখার কথা বলে বাংলাদেশ। এসময় প্রধানমন্ত্রী সহযোগিতামূলক জলবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে দ্বিপাক্ষিক অথবা ত্রিপাক্ষিক সমঝোতা স্মারক তৈরির কথা বলেন।

অন্যদিকে বাংলাদেশে পড়াশোনা করতে আসা ভুটানের শিক্ষার্থীদের এককালীন ফুলটার্ম ভিসা ও মাল্টিপল এন্ট্রি সুবিধা দেয়ার অনুরোধ করেন লোটে শেরিং। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বিষয়ে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একমত এবং সংশ্লিষ্টদের এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। পাশাপাশি পাঁচ বছরের ভিসা দিতে একমত হয় বাংলাদেশ।

তথ্যপ্রযুক্তি সেক্টরে সহযোগিতা করার আগ্রহ প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটসহ তথ্যপ্রযুক্তি সেক্টরে বাংলাদেশ ভুটানকে সহযোগিতা করতে পারে। জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক ফোরামগুলোতে বাংলাদেশ ও ভুটান একসঙ্গে কাজ করার বিষয়ে একমত হয়।

এর আগে দুই প্রধানমন্ত্রী প্রায় ৪৫ মিনিট একান্ত বৈঠক করেন।

বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন, মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং ভুটানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত একেএম শহীদুল করিম।

ভুটানের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভুটানের রাষ্ট্রদূত রিনচেন কুয়েন্টসিল এবং ভুটানের চিফ প্রটোকল অফিসার দাসো উগিয়ান গংফেল।

বৈঠকের আগে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী প্রায় ৫০ মিনিট একান্তে আলাপ করেন।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং ভুটানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত একেএম শহীদুল করিম বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

অন্যদিকে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশে ভুটানের রাষ্ট্রদূত রিঞ্চেন কুয়েন্সি এবং ভুটানের চিফ প্রটোকল অফিসার দাসো উগিয়েন গংফেল।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর উদযাপনে সঙ্গী হতে মঙ্গলবার সকালে ঢাকায় পৌঁছান ভুটানের প্রধানমন্ত্রী। ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তাকে ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানান।