Home জাতীয় ডিএসসিসিতে দালালি-দখলবাজির সুযোগ নেই : তাপস

ডিএসসিসিতে দালালি-দখলবাজির সুযোগ নেই : তাপস

105
0
SHARE

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে (ডিএসসিসি) আর কোনো দালালি ও দখলবাজির সুযোগ হবে না বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।

বুধবার (২ জুন) দুপুরে নগর ভবনের ব্যাংক ফ্লোরে করপোরেশনের তেলেগু সম্প্রদায়ের পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের মধ্যে ‘পরিচ্ছন্নকর্মী নিবাস’-এর বরাদ্দপত্র ও চাবি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

তাপস বলেন, ‘তেলেগু সম্প্রদায়ের মধ্যে পরিচ্ছন্নকর্মী নিবাসের চাবি হস্তান্তরের মাধ্যমে, আজ থেকে দালাল চক্রের অবসান ঘটল। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে এখন থেকে আর দালালি করার সুযোগ পাওয়া যাবে না। যারা ন্যায্য দাবিদার, যারা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে কর্মরত পরিচ্ছন্নতাকর্মী, তারাই এ বাসার হকদার। তারাই এ বাসাগুলো পাবে। কোনো হকদার যেন বঞ্চিত না হয়, আমরা সেটা নিশ্চিত করব।’

ডিএসসিসি মেয়র আরও বলেন, ‘এরকম উদাহরণ আছে, বাসা বরাদ্দ পায় একজন, গিয়ে দখল করে আরেকজন। দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে এখন থেকে আর কোনো দখলবাজি চলবে না। যারা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে কর্মরত শুধু তারাই বাসা পাবে।’

গৃহ ছাড়া যেন কেউ না থাকে সেটাই মুজিববর্ষের অঙ্গীকার উল্লেখ করে শেখ তাপস বলেন, ‘আপনাদের একটি বিষয় উপলব্ধি করতে হবে, যেকোনো সংস্থা বা যেকোনো প্রতিষ্ঠান যখন আবাসনের ব্যবস্থা নেয়, বা উদ্যোগ গ্রহণ করে প্রথমে প্রাধিকার কিন্তু হলো ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। পরবর্তীতে অন্যান্য কর্মকর্তারা তারপরে আসে কর্মচারী। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমাদের অবহেলিত তেলেগু, হরিজন, দলিত সম্প্রদায়কে আগে আবাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। সেই উদ্যোগ সিটি করপোরেশন নিয়েছে।’

পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের জন্য আলাদা আলাদা সম্প্রদায়ভিত্তিক আবাসনের ব্যবস্থা যেমন করা হবে তেমনি করপোরেশনের কর্মকর্তাদের জন্য আবাসনের ব্যবস্থা করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসনের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করছে।’

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অনেক জায়গা উত্তর সিটি করপোরেশনের কর্মচারীরা দখল করে রেখেছেন জানিয়ে শেখ তাপস বলেন, ‘আমরা সেগুলো দখলমুক্ত করার কার্যক্রম গ্রহণ করব। যারা উত্তর সিটি করপোরেশনে চাকরি করেন তাদের উত্তর সিটি করপোরেশনের জায়গায় চলে যেতে হবে। যারা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে চাকরি করেন কেবল তারাই দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সুযোগ-সুবিধা পাবেন।’

অনুষ্ঠানে গতকালের (১ জুন) বৃষ্টিতে ঢাকায় জলজট প্রসঙ্গে মেয়র তাপস বলেন, ‘মঙ্গলবারের বৃষ্টিতে যেসব স্থানে জলজটের সৃষ্টি হয়েছে, সেখানে গতবারের চেয়ে কম জলাবদ্ধতা হয়েছে। তারপরেও আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করছি, আগামীতে যেন এসব স্থান থেকে দ্রুত জলাবদ্ধতা নিরসন করা যায়। আমরা আশাবাদী অচিরেই জলাবদ্ধতার সমস্যার সমাধান হবে। আমাদের লক্ষ্য সাধারণ মাত্রার বৃষ্টিপাত হলে, ঢাকা শহরে যেন পানি না জমে। অতি ভারি মাত্রার বৃষ্টিপাত হলে যেন তিন ঘণ্টার মধ্যে, ভারি বৃষ্টিপাত হলে যেন দুই ঘণ্টার মধ্যে এবং মাঝারি ভারি বৃষ্টি হলে যেন এক ঘণ্টার মধ্যেই পানি নিষ্কাশন হয়ে যায়, সেইভাবে আমরা আমাদের কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করছি।’

সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ উদ্দিন আহাম্মদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা-৫ আসনের সংসদ সদস্য কাজি মনিরুল ইসলাম, দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৪৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বাদল সরদার, ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর লাভলী চৌধুরী।

সভা শেষে মেয়র তেলেগু সম্প্রদায়ের ৯৫ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের মাঝে ‘শিমুল’ ও ‘মুকুল’ নামে পরিচ্ছন্নকর্মী নিবাসের বরাদ্দপত্র ও চাবি হস্তান্তর করেন।