Home জাতীয় জামালপুরের সেই ডিসি বরখাস্ত

জামালপুরের সেই ডিসি বরখাস্ত

499
0
SHARE

এক নারী সহকর্মীর সঙ্গে আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল হওয়ার ঘটনায় জামালপুরের ওএসডি হওয়া জেলা প্রশাসক (ডিসি) আহমেদ কবীরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বুধবার তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলে প্রকাশ পায় শুক্রবার।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (শৃঙ্খলা ও তদন্ত অনুবিভাগ) মো. মনির উদ্দিন শুক্রবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮’ অনুযায়ী জামালপুরের সাবেক ডিসি আহমেদ কবীরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এর মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া শুরু হয়ে গেছে। এর পর বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গত মাসে ফেসবুকে আপলোড করা একটি ভিডিওতে জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীরের খাস কামরায় যে নারীকে দেখা যায় তিনি ওই অফিসের গোপনীয় শাখার কর্মচারী বলে স্থানীয়রা শনাক্ত করেছেন।
এই ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা সৃষ্টির পর ২৬ আগস্ট জেলা প্রশাসককে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ওএসডি করা হয়।
ভিডিওটিতে ডিসি আহমেদ কবীরের সঙ্গে তার অফিসের গোপনীয় শাখার এক নারীকর্মীকে অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখা যায়। খন্দকার সোহেল আহমেদ নামে একটি ফেসবুক আইডি থেকে জেলা প্রশাসকের আপত্তিকর ভিডিওটি পোস্ট করা হয়। ভিডিও মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়। জানা যায়, ওই নারীকে সঙ্গ দেয়ার শর্তেই নিয়োগ দিয়েছিলেন আহমেদ কবির। দীর্ঘদিন ধরে স্বামী পরিত্যাক্তা ওই নারীর সঙ্গে গোপন সম্পর্ক বজায় রাখেন তিনি। যদিও বিষয়টি অস্বীকার করে ঘটনাটি ‘সাজানো’ বলে দাবি করেন ডিসি আহমেদ কবীর। ওই ঘটনায় জামালপুরসহ সারা দেশের মানুষের মাঝে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
এ ঘটনায় গত ২৫ আগস্ট মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম সচিব (জেলা ও মাঠ প্রশাসন অধিশাখা) মুশফিকুর রহমানকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। পরে ১০ দিন করে দুই দফায় কমিটির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল। ২২ সেপ্টেম্বর তদন্ত কমিটি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়।
তদন্ত কমিটি জামালপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে গিয়ে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে।
কমিটিকে প্রকাশিত ভিডিওটির যথার্থতা যাচাই করে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছিল। এ ছাড়া প্রয়োজনে সরেজমিন পরিদর্শন এবং ভিডিওটির যথার্থতা যাচাইয়ের বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে কমিটিকে প্রতিবেদনে সুষ্পষ্ট মতামত দিতে বলা হয়েছিল।