Home খেলা ল্যাথামের সেঞ্চুরিতে বড় স্কোরের পথে নিউ জিল্যান্ড

ল্যাথামের সেঞ্চুরিতে বড় স্কোরের পথে নিউ জিল্যান্ড

38
0
SHARE

নিউ জিল্যান্ড ১ম ইনিংস : ২০২/১ (৫৪.০ ওভারে)
(১ম দিন টি ব্রেকের সময়ে)

মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে টেস্টের চেয়েও বেশি সবুজ দেখাচ্ছে ক্রাইস্টচার্চের উইকেট। এই সবুজ উইকেটটা দেখে টসে জিতে নিয়েছেন মুমিনুল ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত। তবে এই পিচটাই ধাধাঁয় ফেলেছে বাংলাদেশ বোলারদের।

মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে বাংলাদেশের পেস ত্রয়ীর বোলিংয়ে যেখানে রানের জন্য ধুঁকেছে কিউই ব্যাটাররা, সেখানে ক্রাইস্টচার্চে প্রথম দুটি সেশনে বোলারদের অস্ত্র বড়ই ভোতা মনে হচ্ছে।

প্রথম দুটি সেশন নির্বিঘ্নে কাটিয়েছে নিউ জিল্যান্ড। টি ব্রেক পর্যন্ত তাদের স্কোর ২০২/১। ওপেনার টম ল্যাথাম ১১৮ এবং কনওয়ে ২৮ রানে ব্যাটিংয়ে আছেন। একমাত্র উইকেটটি পেয়েছেন শরিফুল (১/৩০)।
দিনের প্রথম সেশনে নিউ জিল্যান্ডের স্কোর ছিল ৯২/০। দ্বিতীয় সেশনে ওপেনার উইল ইয়ংকে হারিয়ে (৫০) নিউ জিল্যান্ড যোগ করেছে ১১০ রান। শুরু থেকেই বাংলাদেশ বোলারদের উপর চড়াও হয়েছেন কিউই ওপেনার ল্যাথাম। মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে টেস্টে ১ এবং ১৪ রানে থেমে যাওয়া ল্যাথাম মিরাজকে ডিপ স্কোয়ার লেগে সিঙ্গল নিয়ে ১৩৩ বলে পূর্ণ করেছেন টেস্ট ক্যারিয়ারে দ্বাদশ সেঞ্চুরি। যে ইনিংসে ছিল তার ১৭টি চার। ব্যাটিং দেখতে আসা স্ত্রীও শিশুর দিকে ব্যাট উচিয়েছেন সেঞ্চুরির পর।

ল্যাথামের ভাগ্যটা ভাল।দু’বার এলবিডাব্লুউর আপীলের বিপক্ষে রিভিউ নিয়ে দু’বারই জিতেছেন এই ওপেনার। দুইবারই এবাদতের এলবিডাব্লুউর আপীলে সাড়া দিয়েছিলেন আম্পায়ার। প্রথমটি এবাদতের দ্বিতীয় ডেলিভারিতে। দ্বিতীয়টি এবাদতের ৫ম ডেলিভারিতে। একটি ১৬ রানের মাথায়, অন্যটি ১৮ রানের মাথায়। প্রথমটি মিস করেছে লেগ স্ট্যাম্প, দ্বিতীয়টি ইনসাইড এজ।

শুধু ল্যাথাম একাই নন, ভাগ্যটা ভাল ইয়ংয়েরও। লাঞ্চের পর এবাদতের বলে দিয়েছিলেন স্লিপে ক্যাচ। সেই ক্যাচটি হাত থেকে ফসকে সেকেন্ড স্লিপের ফিল্ডার লিটনের হাত থেকে। ৩৩ রানের মাথায় লাইফ পাওয়া ইয়ং হাফ সেঞ্চুরি উদযাপন করে ফিরেছেন (৫৪)। যে পার্টনারশিপটি থামতে পারতো ৯৯ রানে, সেই ওপেনিং পার্টনারশিপ থেমেছে ১৪৮-এ। দিনের দ্বিতীয় ড্রিংকস ব্রেকের পূর্বক্ষনে বাঁ হাতি পেসার শরিফুলের বলে পয়েন্টে নাইমের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ইয়ং।