Home খেলা ফাইনালে যেতে সহজ লক্ষ্য কুমিল্লার

ফাইনালে যেতে সহজ লক্ষ্য কুমিল্লার

45
0
SHARE

বিপিএলের অষ্টম আসরে ফাইনাল নিশ্চিতের ম্যাচে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করতে নামে ফরচুন বরিশাল। নির্ধারিত ওভার শেষে তাদের সংগ্রহ ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রান। দুই ওপেনার ছাড়া জ্বলে উঠতে পারেননি অন্য কোনো ব্যাটার। টানা পাঁচ ম্যাচে সেরা নির্বাচিত হওয়া সাকিবও ছিলেন নিষ্প্রভ, সাজঘরে ফিরেছেন মাত্র এক রান করে।

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে শহিদুল ইসলাম ২৫ রান খরচায় ৩ উইকেট শিকার করেন। বল হাতে এদিন দ্যুতি ছড়াতে পারেননি মুস্তাফিজুর রহমান।

এর আগে এলিমিনেটর রাউন্ডে দিনের প্রথম ম্যাচে সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে খুলনা টাইগার্সকে ৭ রানের ব্যবধানে হারিয়ে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে জায়গা করে নিয়েছে তরুণ নেতৃত্বাধীন চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। বিপিএলের অষ্টম আসরেও শিরোপা অধরা রয়ে গেল মুশফিকুর রহিমের জন্য।

এদিকে প্লে অফের প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচে বিকেলে মিরপুরে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামে ফরচুন বরিশাল। এই ম্যাচে যারা জিতবে তারা পৌঁছে যাবে সরাসরি আসরের ফাইনালে। অন্যদিকে পরাজিত দলকে লড়াই করতে হবে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে। এমন সমীকরণে ব্যাট হাতে মিরপুরে ওপেনিংয়ে ঝড় তোলেন বরিশালের দুই ওপেনার ক্রিস গেইল ও মুনিম শাহরিয়ার।

দুজনের ৫৮ রানের জুটি ভেঙে দেন পেসার শহিদুল ইসলাম। ১৯ বলে ২২ রান করে ফিরে যান গেইল। তবে একপ্রান্তে দাঁড়িয়ে তখনো তাণ্ডব চালাতে থাকেন মুনিম। তানভীরের বলে লেগ বিফোরে ফাঁদে পড়ার আগে ৪ ছক্কা ও ২ চারের মারে তিনি ৩০ বল মোকাবিলা করে খেলেন ৪৪ রানের ঝড়ো ইনিংস। এরপরই তাসের ঘরে মতো ভাঙতে থাকে বরিশালের ব্যাটিং লাইন আপ। পাহাড়সম লক্ষ্য দাঁড় করানোর আভাস দিয়ে হঠাতই ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় বরিশাল।

ক্রিজে নেমে নিজের উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসেন সাকিব। আইপিএলে হতাশার পরদিন মাত্র এক রান করে ফিরে যান তিনি। ক্রিজের অপরপ্রান্তে দাঁড়ানো শান্তর সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে হন রান আউট। এরপর পরের ওভারেই মঈন আলীর বলে কট বিহাইন্ড হন শান্ত। ১২ বল মোকাবিলা করে তার ব্যাট থেকে আসে ১৩ রান।

৮৮ রান তুলতে দলের চার টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে বিপদে পড়ে বরিশাল। দলের খাতায় আর মাত্র ৬ রান যোগ হতেই বিদায় নেন তৌহিদ হৃদয়। জ্বলে উঠতে গিয়েও পারেননি ডোয়াইন ব্রাভো ও জিয়াউর রহমান। দুজনেই সমান ১৭ রান করে মাঠ ছাড়েন। শেষ ভরসা নুরুল হাসানও ফিরে যান মাত্র ১১ রান করে।