Home আইন আদালত কর্মসূচির নামে শান্তি-শৃঙ্খলা বিঘ্নের চেষ্টা করলে ব্যবস্থা : আইজিপি

কর্মসূচির নামে শান্তি-শৃঙ্খলা বিঘ্নের চেষ্টা করলে ব্যবস্থা : আইজিপি

29
0
SHARE

বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, কর্মসূচির নামে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির চেষ্টা যদি কেউ করেন, তাহলে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দায়িত্ব পালনকালে আহত পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসায় সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
আজ মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর এলাকায় জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইন্সটিটিউটে চিকিৎসাধীন হবিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অজয় চন্দ্র দেবের চিকিৎসা সংক্রান্ত খোঁজখবর নেওয়া শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
আইজিপি বলেন, গত ১৯ আগস্ট বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচি চলাকালে হবিগঞ্জে জনগণের স্বাভাবিক চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হলে হবিগঞ্জ থানা-পুলিশ বিনীতভাবে তাদের অনুরোধ করে রাস্তা খোলা রাখার জন্য। কিন্তু সে অনুরোধ রাখা হয়নি, বরং দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের ওপরে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়েছে। সে সময় নিক্ষিপ্ত ঢিলে আক্রান্ত হয়েছেন হবিগঞ্জ মডেল থানার ওসি অজয়। তিনি মারাত্মকভাবে বাঁ চোখে আক্রান্ত হয়েছেন, তার অবস্থা এখনো সংকটাপন্ন। তিনি এখন এখানে চিকিৎসাধীন, আমি এখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসকদের প্রতি কৃতজ্ঞ ওসি অজয়ের চিকিৎসায় সব ধরনের ব্যবস্থা করছেন।
চিকিৎসকদের বরাতে আইজিপি বলেন, তার (ওসি অজয়) অবস্থা এখনো সংকটাপন্ন, এজন্য তার চিকিৎসা নিশ্চিতে চিকিৎসকদের বোর্ড গঠন করা হয়েছে। যাতে করে দ্রুত সময়ের মধ্যে তার আরোগ্য নিশ্চিত করা যায়।
আইজিপি বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার ক্ষেত্রে বাহিনীর কোনো সদস্য যদি আক্রান্ত হন, আহত হন তাদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য আমরা সর্বাত্মক ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।
সামনে জাতীয় নির্বাচন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশের প্রস্তুতি বিষয়ে জানতে চাইলে আইজিপি বলেন, পুলিশ দেশের আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য পুলিশকে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ, লোকবল নিয়োগ, সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং ইক্যুপমেন্ট যা দরকার সবই আছে। যেকোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় আইনানুগভাবে ও সাহসিকতার সঙ্গে সে দায়িত্ব পালনের জন্য আমাদের পুলিশ সদস্যরা প্রস্তুত। যেকোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলার সক্ষমতা রয়েছে।

হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে আইজিপি বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির চেষ্টা যদি কেউ করেন তাহলে দেেেশ প্রচলিত আইন অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আগামী নির্বাচন সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিভিন্ন রাজনৈতিক বক্তব্য দিচ্ছেন। আর এই বক্তব্যকে ঘিরে বিএনপি নেতারা বিভিন্ন অভিযোগ করছেন। এমন বক্তব্য সমীচীন কি না জানতে চাইলে আইজিপি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর যে সব সদস্য আছেন আমার দৃষ্টিতে কারও রাজনৈতিক বক্তব্য পরিলক্ষিত হয়নি। আমি আইন ও বিধির অনুযায়ী, দায়িত্ব পালন করি। আইন অনুযায়ী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় যে দায়িত্ব ও চ্যালেঞ্জ আসবে সেটি মোকাবিলা করতে হবে সেটা আমার আইনি দায়িত্ব।
সম্প্রতি কিছু অস্ত্র উদ্ধার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। আর অস্ত্র উদ্ধারকে বিএনপির নেতারা অভিযোগ করছেন, পুলিশ পুরোনো ও অকেজো অস্ত্র দিয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করছে। এমন প্রশ্নের জবাবে পুলিশ প্রধান বলেন, এমন অভিযোগ সঠিক নয়। আমরা অভিযানে তাদের কাছে যে অস্ত্র পেয়েছি সেগুলো দিয়েই আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। এই অভিযোগ ভিত্তিহীন ও অমূলক।

এদিকে বিদেশে অবস্থানরত এক প্রবাসীর ফেসবুকে স্ট্যাটাসের অভিযোগে তার মাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এটি মানবাধিকার লঙ্ঘন কি না, জানতে চাইলে পুলিশ প্রধান বলেন, এই বিষয়টি আমি পরিষ্কার করতে চাই। আমরা গোয়েন্দা তথ্য পেয়েছি, খুলনার জামায়াতে ইসলামীর একজন নায়েবে আমিরের বাড়িতে নাশকতা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি করতে একটি ষড়যন্ত্র চলছে। অনেকে জড়ো হয়েছে এমন তথ্যে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের মধ্যে একজন নারী ও দুজন পুরুষ।
তিনি বলেন, পরে আমরা জানতে পেরেছি ওই নারীর ছেলে ফেসবুকে সাঈদীকে নিয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছে। তথ্য পেয়ে অভিযান চালানো হয়। সেখানে আমরা ডিজিটাল ডিভাইস, বই, মোবাইল পেয়েছি, মামলা নেওয়া হয়েছে। কোনোভাবেই কাউকে উদ্দেশ্য করে গ্রেপ্তার করা হয়নি।