Home Blog Page 3552

এ মুহূর্তে দেশে সবচেয়ে বেশী ঝুঁকিপূর্ণ জীবনযাপন করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

0

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘এ মুহূর্তে দেশে সবচেয়ে বেশী ঝুঁকিপূর্ণ জীবনযাপন করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর জীবনই এখন বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বারবার তাঁর (প্রধানমন্ত্রীর) জীবনের ওপরই বেশি আঘাত আসছে। বারবার তাঁকে হত্যার ষড়যন্ত্র হয়েছে।’

আজ শুক্রবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্যে এ কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়াও দলের কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য দেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, সবকিছু উপেক্ষা করে পিতা মুজিবের আদর্শ বুকে ধারণ করে তাঁর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা অসীম সাহসে এগিয়ে চলেছেন। তিনি দেশকে উন্নতির লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে চলেছেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, পৃথিবীতে অনেক মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। জুলিয়াস সিজার হত্যাকাণ্ড নিয়ে শেক্সপিয়ার লিখেছেন। শেক্সপিয়ার এ হত্যাকাণ্ডকে পৃথিবীর জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। শেক্সপিয়ার জীবিত থাকলে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডকেই পৃথিবীর জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড হিসেবে আখ্যায়িত করতেন। অনেক রাষ্ট্রনায়ক নিহত হলেও অন্তঃসত্ত্বা নারী ও শিশু খুন হয়নি। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তাঁর পরিবারের শিশু ও অন্তঃসত্ত্বা নারীদেরও খুন করা হয়েছে।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু আজীবন সততার সাথে দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়তে লড়াই করে গেছেন। তাঁর জীবন থেকে শিক্ষা নিয়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও দুর্নীতিমুক্ত একটি সুখী সমৃদ্ধশালী দেশ গড়তে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন। আমরাও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করে প্রধানমন্ত্রীর সাথে কাজ করব।

ওবায়দুল কাদের বলেন, সাম্প্রদায়িকতা আজ ডালপালা মেলে ছড়িয়ে পড়েছে। এই সাম্প্রদায়িকতার বিষবৃক্ষকে আমরা সমূলে উৎপাটন করেই ছাড়ব। বীরকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ দুর্বারগতিতে এগিয়ে চলেছে। বিশ্ব আজ বাংলাদেশকে অনুসরণ করছে। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে প্রধানমন্ত্রীর কাজকে এগিয়ে নিয়ে যাব। এই হোক জাতীয় শোক দিবসের অনুপ্রেরণা।

মন্তব্য

মিরপুর-৭ এর চলন্তিকা মোড়ে একটি বস্তিতে আগুন লেগেছে

0

রাজধানীর মিরপুর-৭ এর চলন্তিকা মোড়ে একটি বস্তিতে আগুন লেগেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ১৬ ইউনিট। শুক্রবার (১৬ আগস্ট) সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের কন্ট্রোলরুমে দায়িত্বরত কর্মকর্তা এরশাদ গণমাধ্যমকে জানান, মিরপুরে রুপনগর থানার পেছনের বস্তিতে আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১৬টি ইউনিট সেখানে গিয়ে তা নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে। সঙ্গে পুলিশ সদস্য ও এলাকাবাসী কাজ করছেন।

মিরপুরে বস্তির লাগা ভয়াবহ আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম

0

রাজধানীর মিরপুর-এর রুপনগর থানার পেছনের বস্তিতে লাগা ভয়াবহ আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের। আগুন ক্রমেই চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছে। দেখা দিয়েছে পানি সংকট।

শুক্রবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, আগুন লাগার পর ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়া হয়। কিন্তু তারা দেরিতে আসায় আগুনের তীব্রতা বেড়ে গেছে। ক্রমেই আগুন ছড়িয়ে পড়ছে চারদিকে। পর্যাপ্ত পানিও পাওয়া যাচ্ছে না এই এলাকায়।

ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের কন্ট্রোলরুমে দায়িত্বরত কর্মকর্তা এরশাদ জানান, মিরপুরে রূপনগর থানার পেছনের বস্তিতে আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১৯টি ইউনিট সেখানে গিয়ে তা নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে। সঙ্গে পুলিশ সদস্য ও এলাকাবাসী কাজ করছেন।

ঘটনাস্থল থেকে গণমাধ্যমকর্মীরা জানিয়েছেন, আগুনে পুরো বস্তিতেই আগুন জ্বলছে। বস্তির বেশিভাগ অংশ ইতোমধ্যে পুড়ে গেছে। বস্তির আশপাশের ভবন থেকে বাসিন্দারা মালামাল নিয়ে বের হয়ে আসছে। পাশের একটি ভবনেও আগুন ছড়িয়ে পড়েছে।

রাখি উৎসব পালন বলিউডে

0

গতকাল হয়ে গেল রাখি উৎসব। বলিউডের তারকারা বেশ ধুমধাম করে পালন করেছেন দিনটি। বলিউডের কাপুর, খান, বচ্চন পরিবারগুলো পুরো রীতিনীতি মেনে এই উৎসব উদযাপন করেছে। উদযাপনের ছবিগুলো তাঁরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তুলে ধরে ভক্তদের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করে নিয়েছেন।

পুরো পরিবার নিয়ে দিনটিকে উদযাপন করেছে বলিউডের বিখ্যাত বচ্চন পরিবার। এই দিনে বাড়ির গুরুজন অমিতাভ বচ্চন ও জয়া বচ্চনের উপস্থিতিতে অভিষেক বচ্চনের হাতে রাখি পরিয়ে দেন শ্বেতা বচ্চন। অভিষেকের চাচাতো বোন নয়না বচ্চনও এ দিন রাখি পরিয়ে দেন ভাইয়ের হাতে। অভিষেক দুই বোনের সঙ্গে তোলা ছবি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে সবাইকে রাখির শুভেচ্ছা জানান। অন্যদিকে বচ্চন বাড়ির বউ ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনও ছিলেন এই উৎসবে। মেয়ে আরাধ্যকে তিনি সাহায্য করেন ফুপাতো ভাই অগাস্ত্যা নন্দার হাতে রাখি পরিয়ে দিতে। পরে ঐশ্বরিয়া রাইও তাঁর একমাত্র ভাই আদিত্য রাইয়ের হাতে রাখি পরিয়ে দিয়ে দিনটি উদযাপন করেন।

বলিউডের আরেক নামীদামি কাপুর পরিবারও দিনটি ধুমধাম করে পালন করেছে। কাপুর পরিবারের সন্তানেরা অনেক ব্যস্ততার পরও সময় বের করে গত বৃহস্পতিবার এক হন এবং ভাইদের হাতে রাখি পরিয়ে দেন বোনেরা। অর্জুন কাপুর, হর্ষবর্ধন কাপুরকে রাখি পরিয়ে দেন বোন সোনম কাপুর, রিয়া কাপুর, অনশুলা কাপুর। কাজের কারণে শ্রীদেবী ও বনি কাপুরের দুই মেয়ে জাহ্নবী ও খুশি কাপুর অংশ নিতে পারেননি এই আয়োজনে।

কাজের চাপে পড়ে আরেক তরুণ বলিউড তারকারও রাখির মতো উপলক্ষ উদযাপন করা হয়নি এবার। সেই তারকার নাম সারা আলী খান। সারা এখন ব্যাংককে ডেভিড ধাওয়ান পরিচালিত ‘কুলি নাম্বার ওয়ান’ ছবির শুটিংয়ে ব্যস্ত। তাই ভাই ইব্রাহিম আলী খানের সঙ্গে ছোটবেলার ছবি পোস্ট করা অবধিই ছিল তাঁর রাখি উদযাপন। একই অবস্থা রণবীর সিংয়ের। তিনিও ‘৮৩’ ছবির শুটিংয়ের কারণে এখন লন্ডনে আছেন। তাই বোনের সঙ্গে রাখি উদযাপন করতে না পারার কষ্ট তিনি ঘুচিয়েছেন ইনস্টাগ্রামে ছবি দিয়ে। ইনস্টাগ্রামে ভাইয়ের সঙ্গে ছোটবেলার ছবি তুলে দিয়ে রাখি উদযাপন করেছেন আনুশকা শর্মা, শ্রদ্ধা কাপুর ও সোনাক্ষী সিনহা।

তবে অনেক দূরে থাকা সত্ত্বেও এবার জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ সুযোগ পেয়েছেন ভাই ওয়ারেন ফার্নান্দেজের সঙ্গে রাখি উদযাপনের। ইনস্টাগ্রামে এবার আরও দুই বলিউড তারকাকে দেখা গেছে রাখি উৎসব পালন করতে, যাঁরা আদতে ভাই-বোন নন, তবে রাখি বাঁধার মধ্য দিয়ে এবার নতুনভাবে পাওয়া গেল। তাঁরা হলেন অভিনেত্রী সানি লিওন ও অভিনেতা-মডেল-ভিডিও জকি রণবিজয় সিং। দুজনই নিজ নিজ ইনস্টাগ্রাম পাতায় রাখি উৎসবের ছবি পোস্ট করেছেন। সেই সঙ্গে সানি তাঁর তিন সন্তানের প্রথম রাখি উৎসবের ছবিও পোস্ট করেছেন ইনস্টাগ্রামে।
রক্তের সম্পর্ক নয়, সম্পর্কটা আত্মার—এই নীতিতে আলিয়া ভাট রাখি বেঁধে দিয়েছেন পরিচালক করণ জোহরের ছেলে যশের হাতে। ছোট্ট যশের সঙ্গে একান্ত মুহূর্তের ছবি পোস্ট করে আলিয়া ভাইয়ের প্রতি তাঁর ভালোবাসা প্রকাশ করেন।

বলিউডে সারা আলী খান ও কার্তিক আরিয়ানের প্রেম নিয়ে চর্চা চলছে

0

বলিউডে সারা আলী খান ও কার্তিক আরিয়ানের প্রেম নিয়ে চর্চা চলছে, আরও চলবে। কারণ, এই চর্চা মাঝেমধ্যে উসকে দেন সারা ও কার্তিক দুজনই। এই তো গত মার্চ মাসে কার্তিকের কাঁধে সারার মাথা রাখার ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। বলিউডে রই রই রব উঠল। প্রেমে তবে ভালোমতোই মজেছেন দুজন। পরে জানা গেল, আসলে ওটা সিনেমার শুটিংয়ের ছবি। দুজনের প্রেমের গুঞ্জনকে পুঁজি করে ইমতিয়াজ আলী তৈরি করছেন ‘লাভ আজ কাল’ ছবির সিকুয়েল। সে ছবিরই প্রথম ঝলক (ফার্স্ট লুক) ছিল এটি। এর মধ্যে বেশ ঝিমিয়ে যায় দুজনের প্রেমের গুঞ্জন। ফের চর্চা শুরু হলো সারার জন্মদিনকে ঘিরে। সারা জন্মদিন পালন করেছেন ব্যাংককে। সেখানেই তাঁকে সারপ্রাইজ দিতে স্বয়ং কার্তিক উপস্থিত। তা নিয়েই এখন চর্চা বলিউডে।

‘কুলি নাম্বার ওয়ান’ ছবির রিমেকে দেখা যাবে বরুণ ধাওয়ান ও সারাকে। ছবির পরিচালক বরুণের বাবা ডেভিড ধাওয়ান। ডেভিড সারাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, জন্মদিনের পর কি কাজ শুরু করতে চান? সারার উত্তর ছিল, না। শিডিউল অনুযায়ী কাজ শুরু হোক। সেটেই জন্মদিন পালন করবেন তিনি। এত পেশাদারি মনোভাব যাঁর, তাঁকে চমকে না দিলে হয়? তাই তো প্রেমিক কার্তিক উড়ে চলে এলেন ব্যাংককে। প্রেমিকার সঙ্গে বিশেষভাবে জন্মদিন পালন করলেন। শুটিং শেষে একসঙ্গে ডিনারও করেন তাঁরা। সে ছবি আবার ইনস্টাগ্রামেও দিয়েছেন কার্তিক। ছবির ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘শুভ জন্মদিন প্রিন্সেস ও ঈদ মোবারক।’ আর তাতে মাত পুরো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। গুঞ্জন, তবে কি দুজনই প্রেমের ইঙ্গিত দিতে চাইছেন এই ছবি দিয়ে? বলে রাখা ভালো, করণ জোহরের ‘কফি উইথ করণ’ শোতে কার্তিকের সঙ্গে সারার প্রেমের আগ্রহ থেকেই দুজনকে নিয়ে চর্চা শুরু হয় বলিউডে। এরপর আবার সেই আলোচনাকে উসকে দেন রণবীর সিং। এক অনুষ্ঠানে সারার সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে কার্তিকের পরিচয় করিয়ে দেন। সে সময় এই ঘটনা নিয়ে প্রচুর আলোচনা হয়েছিল।

তা ছাড়া একবার লুকিয়ে অবকাশ যাপনে যাওয়ার সময় বিমানবন্দরে গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে মুখ ফসকে সারা আলী খানের নাম নিয়ে নেন কার্তিক আরিয়ান। সেটা নিয়ে কানাকানি কম হয়নি। মোটকথা ‘কফি উইথ করণ’ থেকে যেই প্রেমের গুজবের ধোঁয়া ওঠা শুরু হয়েছিল, সেটা এখন রীতিমতো আগ্নেয়গিরি হয়ে উঠেছে।

এরই মধ্যে মাত্র ২টি ছবিতে অভিনয় করেই বলিউডে নিজের ছাপ ফেলেছেন সারা আলী খান। এই অভিনেত্রী যে শুরু রূপেই নয়, গুণে ও জ্ঞানেও অনেকের চেয়ে এগিয়ে, এর প্রমাণ সারা দিয়েছেন বিভিন্ন টক শো আর সাক্ষাৎকারে তাঁর বুদ্ধিদীপ্ত জবাব আর দৃঢ় ব্যক্তিত্ব তুলে ধরার মধ্য দিয়ে। অন্যদিকে কার্তিক আরিয়ানও এখন তরুণ বলিউড অভিনেতাদের মধ্যে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে নিজেকে তুলে ধরেছেন। একটু একটু করে ছোট ছোট ছবিতে অভিনয় করে কার্তিক প্রথম সারির নায়কদের তালিকায় নাম লেখাতে যাচ্ছেন। অনেকের মতে, এরই মধ্যে লিখিয়েও ফেলেছেন। তাই কার্তিক আর সারার জুটিকে বলিউড বিশেষজ্ঞরা বলছেন একেবারে সোনায় সোহাগা। একজন রূপে-গুণে অনন্য এক রাজকুমারী, আরেকজন অনেক যুদ্ধ আর সংগ্রাম পেরিয়ে সাফল্য জয় করে নেওয়া সাহসী যোদ্ধা। তার ওপর দুজনই এখন লাখো তরুণ-তরুণীর ‘হার্টথ্রব’। তাই এই দুজনের মধ্যে যদি প্রেমটা হয়েই যায়, তাহলে বলিউডপ্রেমীদের জন্য তো বিষয়টা আনন্দেরই হয়।

তবে বলিউডের ইতিহাস বলে আরেক কথা। এ ধরনের প্রেম শুধু একটি সিনেমার প্রচারের জন্যই তৈরি হয়ে থাকে। সিনেমা মুক্তি পেলেই ভেঙে যায় সম্পর্ক, দুজনার দুটি পথ বেঁকে যায় দুই দিকে। এর আগে যেমন হয়েছিল ‘তেরি মেরি কাহিনি’ ছবির শিল্পী শহীদ কাপুর ও প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার বেলায় কিংবা ‘কিসমত কানেকশন’ ছবির শহীদ কাপুর-বিদ্যা বালানের কথাই ধরা যাক, অথবা ‘রক অন টু’ ছবির সেটে ফারহান আখতার আর শ্রদ্ধা কাপুরের ক্ষণিকের প্রেমের গুঞ্জনের কথাই ধরা যাক। ‘লাভ আজ কাল টু’ (সম্ভাব্য নাম) ঘিরে সারা আর কার্তিকের প্রেমের গুঞ্জনও কি তবে সেই বলিউডের গতানুগতিক ধারার আরেকটি দৃষ্টান্ত হতে যাচ্ছে। এর জবাব পাওয়া যাবে ২০২০ সালে, ইমতিয়াজ আলীর প্রেমের ছবিটি মুক্তি পেলে। সূত্র: ডিএনএ।

গিটারের জাদুকরের আজ জন্মদিন

0

এক বছরও হয়নি। ১৮ অক্টোবর ২০১৮। সকাল থেকেই ছড়িয়ে পড়ল খবরটা—আইয়ুব বাচ্চু নেই! বেলা বাড়তেই হাসপাতাল লোকারণ্য। চট্টগ্রামের শেষযাত্রার আয়োজনে জনসমুদ্র। এত বিষণ্নতা নিকট অতীতে দেখেনি ব্যান্ড সংগীতের সাম্রাজ্য। শুধু কি সাম্রাজ্য? ফিকে হয়ে গেল এ প্রজন্মের ব্যান্ড সংগীত অনুরাগীদের ছেলেবেলা! চলে গেলেন ‘গিটারের জাদুকর’! এই শোক কতটা কাটিয়ে উঠতে পারবে দেশের ব্যান্ড সংগীতাঙ্গন? আপামর সংগীতপ্রেমীর দল? মাত্র ছাপ্পান্নতেই সব শেষ!

ক্যালেন্ডারের পাতায় যদি সেই দিনটি না থাকত, ১৮ অক্টোবর ২০১৮? তাহলে আজ তিনি পূর্ণ করতেন ৫৭, পড়তেন ৫৮তম বছরে। ১৯৬২ সালের ১৬ আগস্ট চট্টগ্রাম শহরে মাত্র ছাপ্পান্ন বছরের সময় হাতে নিয়ে এসেছিলেন তিনি। বাবা চেয়েছিলেন ছেলের এমন একটা নাম হবে, যা অন্য কারও নেই। যেমন আইয়ুব আলী, আইয়ুব হোসেন—এমন তো হয়-ই। দুটি নাম থেকে আলাদা অংশ নিয়ে রাখা হলো, আইয়ুব বাচ্চু। সেই থেকে তিনি হলেন ‘ওয়ান অ্যান্ড অনলি’।

মা-বাবার আদরের ছেলে। তাই বলে যে সংগীতচর্চার জন্য খুব একটা অনুকূল পরিবেশ তিনি পেয়েছিলেন, তা কিন্তু নয়। সেই ছোটবেলা থেকেই সংসারে থেকেও বোহেমিয়ান আইয়ুব বাচ্চু। বাউন্ডুলে স্বভাবের জন্য সংসারের কিছুই যেন স্পর্শ করতে পারছিল না তাঁকে। বাবার ব্যবসায় মন বসে না, লেখাপড়ায় মন বসে না। অনিশ্চিত এক ভবিষ্যৎ ছিল তাঁর।

তবে প্রতিভা, এমনকি তার চেয়েও বড় কোনো শব্দ দিয়ে যদি ব্যাখ্যা করা যায়, তবে আইয়ুব বাচ্চু তা-ই। মাত্র ৬০০ টাকা নিয়ে ১৯৮৩ সালে ঢাকায় এসেছিলেন আইয়ুব বাচ্চু। উঠেছিলেন এলিফ্যান্ট রোডের এক হোটেলে। এরপর বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের অপ্রতিদ্বন্দ্বী তারকা হয়ে উঠলেন প্রতিভা আর কঠোর পরিশ্রমে। গিটার হাতে মঞ্চে গাইলে অগুনতি দর্শক কণ্ঠ মেলাতেন তাঁর সঙ্গে। তাঁর গিটারের ঝংকারে বিদ্যুৎ বয়ে যেত তরুণ-তরুণীদের শিরা-উপশিরায়। ভক্তদের কাছে তিনি ছিলেন ‘বস’। কারও কাছে ‘স্যার’।

মূলত রক ঘরানার গান করতেন। শ্রোতাদের কাছে ইংরেজি গান, হার্ড রক, ব্লুজ, অলটারনেটিভ রক নিয়ে গেছেন শুরু থেকে। ব্যান্ড সংগীতের প্রতি তারুণ্যের জোয়ারের ধারা ধরে রেখেছিলেন আইয়ুব বাচ্চু। বিভিন্ন সময়ে সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁর অনুপ্রেরণা জিমি হেন্ডরিক্স, জো স্যাটরিনি, স্টিভ মুর—এমন অনেকেই।
কিন্তু শুধু রক বা ব্যান্ডের গানে সীমাবদ্ধ ছিলেন না। আধুনিক গান, লোকগীতি দিয়েও শ্রোতাদের মুগ্ধ করেছেন তিনি। লোকগান নিয়ে একটি অ্যালবাম রিমেক করেছেন তিনি এবং সেখানে শ্রোতাদের প্রচুর সাড়া মিলেছে। খুব অল্প গান করেছিলেন চলচ্চিত্রে। কিন্তু সেই অল্প কটি গানই তুমুল জনপ্রিয়তা পায়।
অথচ হাসতে দেখা, গাইতে দেখা আইয়ুব বাচ্চুর এক বুক ভরা বেদনা ছিল। যাঁরা তাঁর খুব কাছের ছিলেন, তাঁরা হয়তো কেউ কেউ জানেন। আর গানে গানে তো তিনি কতবারই বলেছেন, শ্রোতাদের সঙ্গে ভাগাভাগি করেছেন নিজের অপ্রকাশিত বেদনা। তাঁর গানের সুর ও গায়কিতে ছিল অভিমান! ‘…আর কত এভাবে আমাকে কাঁদাবে আর বেশি কাঁদালে উড়াল দেব আকাশে’—ঠিক যেন নিজের গানের এই কটি লাইনের মতোই ছিল তাঁর জীবন। আইয়ুব বাচ্চুর সঙ্গে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন, বন্ধুত্ব ছিল—এমন বেশ কয়েকজন গীতিকার, সুরকারের মতে, আইয়ুব বাচ্চু খুব অভিমানী মানুষ ছিলেন। ভেতরে-ভেতরে অভিমান পুষে রাখতেন। মাঝেমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও সেসব টের পাওয়া যেত। কখনো কখনো কেঁদেছেন। শিশুর মতো ছিলেন আইয়ুব বাচ্চু।

মায়ের আগে যদি আমি যেতে পারতাম!
গানে, গিটারে ব্যস্ত থাকা মানুষটি আর দশটা মানুষের মতো মায়ের মৃত্যুতে একেবারেই ভেঙে পড়েছিলেন। দীর্ঘদিন চিকিৎসার পর মারা গেছেন তাঁর মা। পল্টনের সেই বাসা থেকে মায়ের মরদেহ বের করা হয়। স্থানীয় মসজিদে নেওয়া হবে জানাজার জন্য। সেখান থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে। আইয়ুব বাচ্চু মায়ের শূন্য ঘরে গেলেন। মায়ের খাটে ঝাঁপিয়ে পড়ে হু হু করে কান্না শুরু করলেন। মায়ের চলে যাওয়াটাই আইয়ুব বাচ্চুর জন্য সবচেয়ে বড় বেদনার ছিল। বিভিন্ন সময়ে তিনি বলেছেন, মায়ের আগে যেতে পারলে তিনি সুখী হতেন। তাঁর ভাষায়, ‘ভালো হতো, মায়ের আগে যদি আমি যেতে পারতাম…। মা যতটুকু সহ্য করতে পারত, আমি তা পারছি না!’ কথায় কথায় তিনি বারবার বলেছিলেন, মা তাঁদের জন্য কতটা সংগ্রাম করেছেন, নিজে না খেয়ে সন্তানদের খাইয়েছেন।
আইয়ুব বাচ্চুর সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে কথা বলার, সময় কাটানোর সৌভাগ্য হয়েছিল। সে সুবাদে জেনেছি তাঁর পারিবারিক কিছু বেদনার কথা। একান্নবর্তী পরিবারে বড় হয়েছেন আইয়ুব বাচ্চু। একসময় তা আর থাকেনি। ছোট হতে হতে একক পরিবার হয়ে যায়। এটাও তাঁকে তিলে তিলে কষ্ট দিত। তাঁর মতে, সবাই মিলে একসঙ্গে থাকা, এক টেবিলে খাওয়ার মতো আনন্দ আর নেই।

সহশিল্পীদের সঙ্গে বিচ্ছেদের কষ্ট
ব্যান্ড গড়ে, ব্যান্ড ভাঙে—এটা একটা প্রচলিত রীতি। যুগে যুগে সব দেশের গানের দলে এমনটা ঘটতে থাকে। কিন্তু এটি আইয়ুব বাচ্চুকে ভীষণ পীড়া দিত। এ প্রজন্ম আইয়ুব বাচ্চুকে মূলত এলআরবি ব্যান্ডের দলনেতা হিসেবেই জানেন। কিন্তু এলআরবির আগে অন্য যেসব ব্যান্ডে ছিলেন, তা থেকে বারবারই তাঁকে বেরিয়ে আসতে হয়েছিল। সর্বশেষ এলআরবির আগে তিনি ছিলেন সোলস ব্যান্ডে। এই ব্যান্ড থেকেও একবার বেরিয়ে এসেছিলেন। শেষমেশ ছেড়েছিলেন অভিমান নিয়ে। সেই সময়ের গল্পটি গীতিকার শহীদ মাহমুদ জঙ্গীর কাছ থেকে শোনা। তিনি বলেন, ‘সোলস তখন তুঙ্গে, হোটেল ব্লু নাইলে সোলসের সভা চলছে। একসময় দেখলাম মন খারাপ করে বাচ্চু বেরিয়ে এল। চোখ ছলছল। আমার সঙ্গে সিঁড়িতে দেখা। বলল, “ভাই, সোলস ছেড়ে দিলাম। সোলস থেকে ‘একদিন ঘুম ভাঙা শহরে’ গানটি চেয়ে নিয়েছি।”’

সোলস ছেড়ে ১৯৯০ সালের ৫ এপ্রিল নিজের ব্যান্ড দল প্রতিষ্ঠা করলেন আইয়ুব বাচ্চু, যার নাম রাখলেন ‘লিটল রিভার ব্যান্ড’। পরবর্তী সময়ে এর নাম বদলে রাখা হয় ‘লাভ রান্‌স ব্লাইন্ড’। সেই বছরই এলআরবি তাদের যাত্রা শুরু করে একটি ডাবল অ্যালবাম দিয়ে, যা ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসের প্রথম ডাবল অ্যালবাম। এই অ্যালবাম দুটির বেশ কিছু গান খুব জনপ্রিয় হয়, যা আজও আমাদের কানে বাজে।
নিজে যেমন বিভিন্ন সময়ে নানান ব্যান্ডের সঙ্গে জড়িয়েছিলেন, তেমনি এলআরবি গঠনের পর সেটাকেই একটা পরিবারের মতো গড়ে তুলেছিলেন। বলতেন, এটা আমার আরেকটা পরিবার। কিন্তু এই দল থেকেও বিভিন্ন সময়ে কয়েকজন সদস্য বেরিয়ে গেছেন। দল থেকে বেরিয়ে কেউ কেউ বিদেশে পাড়ি দিয়েছিলেন। কি-বোর্ডিস্ট এস আই টুটুলের দল থেকে বেরিয়ে যাওয়া আইয়ুব বাচ্চুকে মানসিকভাবে আহত করেছিল। টুটুলের পর এলআরবি ব্যান্ডে আর কোনো কি-বোর্ডিস্ট নেননি তিনি।

গিটারের জন্য চাপাকান্না
সব ছাপিয়ে আইয়ুব বাচ্চু ছিলেন গিটারের জাদুকর। গিটারের টুংটাং শব্দই যেন তাঁর সমস্ত দেহ-মন-সত্তাজুড়ে সারাক্ষণ বিরাজমান ছিল। আইয়ুব বাচ্চু সব সময় বলতেন, গিটার আমার প্রথম ও শেষ ভালোবাসা। গিটারের জন্যই ঘর ছেড়েছি। নামীদামি সব ব্র্যান্ডের গিটার সংগ্রহ করার নেশা ছিল তাঁর। বিদেশে যখনই যেতেন, স্বনামধন্য গিটারের দোকানে যেতেন। বাজাতেন, কিনতেন। সেগুলো নিয়ে নিত্যদিন ভক্ত, বন্ধু, শিল্পীদের সঙ্গে আড্ডায় মেতে উঠতেন। অভিজ্ঞতা বিনিময় করতেন। অথচ অপ্রিয় কথা হলো, জীবনের শেষ দিকে এসে আক্ষেপে-অভিমানে গিটারগুলো বিক্রি করে দিতে চেয়েছিলেন তিনি। কারণ হিসেবে নিজেই ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছিলেন, ‘আমার ভীষণ ইচ্ছে ছিল, আমার গিটারগুলো নিয়ে গিটার বাজিয়েদের সঙ্গে নিয়ে দেশব্যাপী একটি গিটার প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠান করার, যেখানে এই গিটারগুলো বাজিয়ে বিজয়ীরা জিতে নেবে আমার প্রাণের চেয়েও প্রিয় একেকটি গিটার! কিন্তু বেশ কিছুদিন চেষ্টা করার পরও কোনো পৃষ্ঠপোষকই পেলাম না…।’
কারণ হিসেবে আইয়ুব বাচ্চু লিখেছিলেন, ‘গিটারগুলো রক্ষণাবেক্ষণ বেশ কষ্টকর। তাই আমি ঠিক করেছি, প্রথম দিকে পাঁচটি গিটার বিক্রি করে দেব তাদের কাছে, যারা গিটার বাজায় কিংবা যারা আমার গিটারগুলো সংরক্ষণে রাখতে চায়…।’

শেষ জন্মদিনে
২০১৮ সালের ১৬ আগস্ট শেষ জন্মদিন উদযাপন করেন ব্যান্ড তারকা আইয়ুব বাচ্চু। ঠিক উদযাপন বললে হয়তো বাড়াবাড়িই হবে। ঘরোয়া আয়োজন ছিল। তবে কাছের মানুষদের নিখাদ ভালোবাসায় পরিপূর্ণ ছিল সে আয়োজন। এদিন তিনি বলেছিলেন, ‘এমন কিছু গান করতে চাই, যা আগে কখনো করিনি। এই গানগুলো নিজে লিখব, সুর করব ও গাইব।’ দুই মাস পর সেই আইয়ুব বাচ্চু বিদায় নিলেন হঠাৎ করেই। অনুরাগীদের জন্য এ আক্ষেপ চিরদিন থেকে যাবে। কিন্তু আইয়ুব বাচ্চুর গাওয়া ও সুর দেওয়া বহু গান টিকে থাকবে অনেক দিন। সেগুলোর মধ্যে থেকে যাবে অকালে চলে যাওয়া ব্যান্ড সংগীতের এই শিল্পীর নাম।

এবার কোরবানির পশুর চামড়ার অর্ধেকের বেশি নষ্ট হয়ে যাবে

0

কাঁচা চামড়ার দামে বড় ধসের কারণে এবার কোরবানির পশুর চামড়ার অর্ধেকের বেশি নষ্ট হয়ে যাবে। নষ্ট হওয়া চামড়ার আর্থিক মূল্য কমপক্ষে ২৪২ কোটি টাকা। অবশ্য চামড়া রপ্তানির হিসাব করলে ক্ষতির অঙ্কটি হবে কয়েক গুণ বেশি।

গত দুই দিনে ট্যানারিমালিক ও আড়তদারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কোরবানির ঈদে সারা দেশ থেকে ৫৫-৬০ লাখ গরু এবং ৩৫-৪০ লাখ মহিষ, ছাগল ও ভেড়ার চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল তাঁদের। তবে ন্যূনতম দাম না পেয়ে কমপক্ষে ১০-১৫ শতাংশ গরুর চামড়া সড়কে ফেলে ও মাটিতে পুঁতে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আবার সময়মতো লবণ না দেওয়া, বৃষ্টি ও গরমের কারণেও কমপক্ষে ২০ শতাংশ গরুর চামড়া নষ্ট হবে। অন্যদিকে দামের ধসের কারণে নষ্ট হয়েছে ছাগল ও ভেড়ার ৮০ শতাংশ চামড়া। তার মানে প্রায় ১ কোটি চামড়ার মধ্যে ৫৩ লাখ চামড়াই নষ্ট হবে।

সরকার–নির্ধারিত হার অনুযায়ী, এবার ৩০ থেকে ৩৫ বর্গফুটের বড় আকারের গরুর চামড়ার দাম হওয়ার কথা দেড় হাজার থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকা। আর ১৫ থেকে ২৫ বর্গফুটের ছোট ও মাঝারি আকারের গরুর চামড়ার দাম ৫০০ থেকে ১ হাজার টাকা। একেকটি গরুর চামড়ার দামে গড়ে ১ হাজার টাকা ধরলে ২১০ কোটি টাকা ক্ষতি হবে। আর একেকটি ছাগলের চামড়া ১০০ টাকা ধরলে ক্ষতি ৩২ কোটি টাকা। ট্যানারির মালিক ও আড়তদারেরা বলছেন, প্রায় আড়াই শ কোটি টাকার চামড়া নষ্ট হবে। চামড়াগুলো ঠিকঠাক থাকলে বিভিন্ন পর্যায়ে কমপক্ষে ৫০০ কোটি টাকার লেনদেন হতো।

কোরবানির পশুর চামড়া বেচাকেনায় সরকারের কার্যকর নজরদারি ও উদ্যোগের ঘাটতি রয়েছে। অভিযোগ আছে, এই সুযোগে এবার আড়তদার ও ট্যানারির মালিকদের কারসাজিতে চামড়ার দামে ধস নেমেছে। ঈদের দিন বিকেলে ঢাকায় ৩০০ থেকে ৮০০ টাকায় গরুর চামড়া বিক্রি হয়। আবার পরদিন পোস্তার চামড়ার আড়তে বিক্রি হয় ১৫০-২০০ টাকায়। তাতে প্রতি বর্গফুট চামড়ার দাম পড়ে ৩ থেকে ২০ টাকার মতো। অথচ সরকারি দর ছিল প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়া ৪৫-৫০ টাকা। তবে সারা দেশের চিত্র ছিল আরও ভয়াবহ। দাম না পেয়ে লোকসান গুনেছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা।

রাজধানীতে চামড়ার আড়ত লালবাগের পোস্তায় গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিটি আড়তেই কমবেশি লবণযুক্ত চামড়া মজুত আছে। ট্যানারির মালিকেরা চামড়া কেনা শুরু না করায় আড়তদারেরা অলস সময় কাটাচ্ছেন।

আড়তদার মো. এবায়েতউল্লাহ, মো. আশরাফ, মো. হাফিজসহ কয়েকজন ক্ষুদ্র ও মাঝারি আড়তদার বলেন, চামড়ার দামের ধস হঠাৎ কোনো ঘটনা নয়। ১৯৮৯ সালে ওয়েট ব্লু চামড়া (রাসায়নিক দিয়ে চামড়াকে পশম ও ঝিল্লিমুক্ত করা) রপ্তানি নিষিদ্ধ করার পর থেকেই আড়তদারেরা ট্যানারির মালিকদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েন। পাইকার ও আড়তদারের প্রচুর অর্থ তাঁদের কাছে আটকে আছে। ট্যানারির মালিকেরা হাজারীবাগ থেকে হেমায়েতপুরের চামড়াশিল্প নগরে নেওয়া এবং রপ্তানি কমে যাওয়ার অজুহাতে ঈদের আগে পাওনা টাকা ১-৫ শতাংশের বেশি দেননি। বকেয়া টাকা শিগগিরই পাওয়ার আশাও কম। অনিশ্চয়তার কারণে নিজের গাঁটের টাকা বিনিয়োগ করেননি অধিকাংশ আড়তদার। তাই চামড়ার দাম ব্যাপকভাবে পড়ে গেছে। তবে দু-তিন বছর ধরেই অবস্থা বেশি খারাপ। সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর যদি কার্যকর ব্যবস্থা নিত, তাহলে বিপর্যয় ঠেকানো যেত বলে মনে করেন তাঁরা।

জানতে চাইলে জ্যেষ্ঠ বাণিজ্যসচিব মো. মফিজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘চামড়া নষ্ট হওয়ার বিষয়টি অনাকাঙ্ক্ষিত। ঈদের আগে আমরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বসে দাম নির্ধারণ করেছিলাম। তবে সেই দরে চামড়া বেচাকেনা হয়নি।’ তিনি আরও বলেন, ‘শনিবার থেকে ট্যানারির মালিকেরা চামড়া কেনা শুরু করবেন। তখন অবস্থার উন্নতি না হলে আমরা প্রথমে ওয়েট ব্লু চামড়া রপ্তানির অনুমতি দেব।’

ঈদের আগে মাঠপর্যায়ের প্রকৃত অবস্থা না বুঝেই দাম নির্ধারণ করায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে দুষলেন আড়তদারদের সমিতি বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি আলী হোসেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, বাড়তি দাম নির্ধারণ করার জন্যই বিপর্যয়। ৫০ শতাংশের বেশি চামড়া নষ্ট হবে। আর বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএ) সাবেক সভাপতি আবু তাহের মনে করেন, চামড়ার দর বেঁধে না দিয়ে প্রতিযোগিতামূলক দামে কেনার ঘোষণা দিলে পরিস্থিতি ততটা খারাপ হতো না।

সরকারের নজরদারির অভাব, চাহিদা ও জোগানের মধ্যে বিরাট ফারাক, চামড়া আমদানিসহ কয়েকটি কারণে চামড়ার দামে ধস নেমেছে বলে মনে করেন বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, সীমিত পরিসরে ওয়েট ব্লু আকারে চামড়া রপ্তানির অনুমতি দিতে পারে সরকার। তবে এর আগে চামড়া পণ্য ও জুতা উৎপাদনকারী কারখানার চাহিদার বিপরীতে কাঁচা চামড়ার জোগান হিসাব করতে হবে। সেটি হলে চামড়া নিয়ে ভবিষ্যতে বিপর্যয় কিছুটা হলেও ঠেকানো যাবে।

গাড়ি খাদে পড়ে গেলে মা-বাবা ও দুই সন্তান নিহত

0

ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলায় বাসকে পাশ কাটাতে গিয়ে ব্যক্তিগত গাড়ি খাদে পড়ে গেলে মা-বাবা ও দুই সন্তান নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ওই দম্পতির আরেক শিশুসন্তানসহ চারজন আহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার রামগোপালপুর নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন রফিকুজ্জামান (৪৬), তাঁর স্ত্রী শাহিনা আক্তার (৪২), ছেলে নাদিম (২৬) ও মেয়ে রনক (১৩)। তাঁরা নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার চণ্ডীগড় গ্রামের বাসিন্দা। নেত্রকোনার দুর্গাপুর থেকে নরসিংদী যাচ্ছিলেন তাঁরা। এ ঘটনায় রফিকুজ্জামানের আরেক ছেলে নাহিদ (৩) গুরুতর আহত হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে।

গৌরীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম মিয়া এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

ওসি জানান, রামগোপালপুর বাজারসংলগ্ন স্থানে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কে ময়মনসিংহ থেকে কিশোরগঞ্জগামী এম কে সুপার পরিবহনের একটি বাসকে পাশ কাটাতে গিয়ে ব্যক্তিগত গাড়িটি রাস্তার পাশে খাদে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে শাহিনা আক্তার নিহত হন। পরে আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে আরও তিনজনের মৃত্যু হয়।

কথাসাহিত্যিক রিজিয়া রহমান আর নেই

0

একুশে পদকপ্রাপ্ত কথাসাহিত্যিক রিজিয়া রহমান আর নেই। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ক্যানসার ও কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন।

আজ শুক্রবার সকাল পৌনে ১১টার দিকে রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

মৃত্যুকালে রিজিয়া রহমানের হয়েছিল ৮০ বছর। তিনি ১৯৩৯ সালে কলকাতার ভবানীপুরে জন্মগ্রহণ করেন। এরপর দেশ ভাগের সময় বাংলাদেশে চলে আসেন।

একুশে পদক ছাড়াও তিনি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে অবদানের জন্য চলতি বছর তাকে একুশে পদকে ভূষিত করা হয়।

রিজিয়া রহমানের উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলোর মধ্যে রয়েছে- অগ্নিস্বাক্ষরা, ঘর ভাঙা ঘর, উত্তর পুরুষ, রক্তের অক্ষর, বং থেকে বাংলা, অরণ্যের কাছে, শিলায় শিলায় আগুন, অলিখিত উপাখ্যান, ধবল জোৎস্না, সূর্য সবুজ রক্ত, একাল চিরকাল, হে মানব মানবী, হারুন ফেরেনি, উৎসে ফেরা।

বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীরা যেখানেই থাকুক ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর করা হবে

0

আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীরা কে কোথায় আছে আমরা জানি। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের ফিরিয়ে আনার জন্য আইনি ও কূটনৈতিক লড়াই চলছে। তারা যে যেখানেই থাকুক ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর করা হবে।

আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া রেলস্টেশন চত্বরে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইনমন্ত্রী এ কথা বলেন।

আনিসুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীরা কে কোথায় আছে আমরা জানি। চারজনের ব্যাপারে খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে। এর মধ্যে আমেরিকায় যিনি আছেন তাকে আমরা ফিরিয়ে আনব।

আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক জয়নাল আবেদীনের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন, কসবা উপজেলা চেয়ারম্যান রাশেদুল কাইসার ভূইয়া জীবন, আখাউড়া পৌরসভার মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল, সাবেক চেয়ারম্যান নরুল হক ভূইয়াসহ দলীয় নেতাকর্মীরা।