Home Blog Page 3585

রাশিয়া-চীনের সঙ্গে নতুন চুক্তি করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট

0

মাঝারিপাল্লার পরমাণু অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ চুক্তি- আই.এন.এফ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর রাশিয়া এবং চীনের সঙ্গে নতুন চুক্তি করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে এই চুক্তির অনুপস্থিতিতে বিশ্বে আবারো পরমাণু অস্ত্রের অসুস্থ প্রতিযোগিতা শুরু হবে বলে সতর্ক করেছে বেইজিং। আর এর ফলে পরমাণু যুদ্ধের ঝুঁকি সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।

অন্যদিকে অস্ত্র প্রতিযোগিতার আশঙ্কা উড়িয়ে দিলেও রাশিয়ার হুমকি মোকাবিলার প্রস্তুতির কথা জানিয়েছে ন্যাটো।

যুক্তরাষ্ট্র এবং তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে স্নায়ুযুদ্ধ যখন চূড়ান্ত পর্যায়ে, ঠিক তখন ১৯৮৭ সালে মধ্যপাল্লার পরমাণু অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ চুক্তি বা আইএনএফ স্বাক্ষর করে দুই দেশ। তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রেগান এবং সোভিয়েত নেতা মিখাইল গর্বাচেভের মধ্যে স্বাক্ষর হওয়া ওই চুক্তি অনুযায়ী, ৫০০ থেকে সাড়ে ৫ হাজার কিলোমিটার পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র নিষিদ্ধ করতে সম্মত হয় দুই দেশ। ধ্বংস করা হয় প্রায় তিন হাজার ক্ষেপণাস্ত্র। এতে খানিকটা হলেও দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যকার অস্ত্রের প্রতিযোগিতা হ্রাস পায়।

কিন্তু এর ৩২ বছর পর, রাশিয়া ক্রমাগত শর্ত ভঙ্গ করছে এই অজুহাতে শুক্রবার ঐতিহাসিক ওই চুক্তি থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বেরিয়ে যায় যুক্তরাষ্ট্র। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এর তীব্র প্রতিবাদ জানায় রাশিয়া। এরপরই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, রাশিয়া এবং চীনের সঙ্গে নতুন করে চুক্তি করতে আগ্রহী তিনি।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্র আইএনএফ চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ায় উদ্বেগ জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। শুক্রবার তিনি বলেন, এর মাধ্যমে পরমাণু অস্ত্রধর দুই রাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা আরো বাড়বে।

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, স্নায়ুযুদ্ধের উত্তেজনা কমাতে আইএনএফ চুক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার প্রতি আমার আহ্বান থাকবে তারা যেন দ্রুত কোনো নতুন সমাধান খুঁজে বের করে।

এদিকে সামরিক জোট ন্যাটো আইএনএফ চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বেরিয়ে যাওয়ার পক্ষে সাফাই গেয়েছে। শুক্রবার ব্রাসেলসে সংবাদ সম্মেলনে ন্যাটোর মহাসচিব স্টোলটেনবার্গ সাংবাদিকদের বলেন, আন্তর্জাতিক অস্ত্র আইনের প্রতি সম্মান রেখে রাশিয়ার হুমকি মোকাবিলায় একমত হয়েছে জোটের সদস্যরা।

জেনস স্টোলটেনবার্গ বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রাশিয়া আইএনএফ চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করেছে। যেগুলো এক মিনিটের মধ্যেই ইউরোপের শহরগুলোতে হামলা করতে সক্ষম। কিন্তু সেখানে যুক্তরাষ্ট্র কিংবা ন্যাটোর কোন নতুন ক্ষেপণাস্ত্র নেই। তাই এই চুক্তিতে থাকার কোন অর্থ আছে বলে আমি মনে করি না। তবে এই সম্ভাব্য হুমকির বিষয়ে সার্বক্ষণিক নজর রাখছি আমরা। তবে ন্যাটো নতুন করে কোন অস্ত্র প্রতিযোগিতা চায় না।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরমাণু বোমা ফেলা হবে তার একটি তালিকা প্রকাশ করেছে রাশিয়ার

0

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে হঠাৎ পরমাণু যুদ্ধ শুরু হলে সে দেশের কোন কোন লক্ষ্যবস্তুতে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে পরমাণু বোমা ফেলা হবে তার একটি তালিকা প্রকাশ করেছে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল।

চ্যানেলের প্রধান নিউজ শো অ্যাংকার দিমিত্রি কিসলিয়োভ আমেরিকার একটি মানচিত্র তুলে ধরে বেশ কিছু টার্গেটের নাম উল্লেখ করেন। একই সঙ্গে বলেন, পরমাণু যুদ্ধ শুরু হলে এসব লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানবে মস্কো। এসব টার্গেটের মধ্যে রয়েছে পেন্টাগন ও ক্যাম্প ডেভিড। কিসলিয়োভ বলেন, যুদ্ধ লাগলে পাঁচ মিনিটেরও কম সময়ের মধ্যে এই সমস্ত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানা হবে।

হঠাৎ এমন তথ্য কেন ওই সংবাদমাধ্যম সামনে আনল তা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর আলোচনা। সামরিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, তাহলে কি আমেরিকার সঙ্গে রাশিয়ার যুদ্ধের আশঙ্কা সত্যি! যদিও সে সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দিয়েছেন পর্যবেক্ষকদের অন্য অংশ। তাঁদের দাবি, আমেরিকাকে চাপে রাখতে একটা কৌশল মাত্র রাশিয়ার।

অন্যদিকে, রুশ টিভি চ্যানেলের এই উপস্থাপক আরও যেসব লক্ষ্যবস্তুর নাম বলেন সেগুলোর মধ্যে রয়েছে মেরিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের সামরিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র- ফোর্ট রিচি এবং ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের সামরিক বিমান ঘাঁটি- ম্যাকক্লেল্লান। ১৯৯৮ সালে ফোর্ট উইলিয়াম বন্ধ হয়ে গিয়েছে এবং ম্যাকক্লেল্লানও ২০০১ সালের পর থেকে আর ব্যবহৃত হচ্ছে না বলে মার্কিন সূত্র জানিয়েছে।

কোল্ড ওয়ারের সময় আমেরিকা ও তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে স্বাক্ষরিত একটি ঐতিহাসিক পরমাণু অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যে ঘোষণা দিয়েছেন তা নিয়ে ওয়াশিংটন ও মস্কোর মধ্যে বর্তমানে উত্তেজনা চলছে।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও গত ১ ফেব্রুয়ারি বলেছেন, আইএনএফ নামক ওই চুক্তি ১৮০ দিনের জন্য স্থগিত রাখতে পারে ওয়াশিংটন। তার ভাষায় রাশিয়া এই চুক্তি লঙ্ঘন বন্ধ না করলে মার্কিন সরকার ওই ১৮০ দিন পার হওয়ার পর স্থায়ীভাবে বেরিয়ে যাবে বলে তিনি হুমকি দেন।

প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন ডেঙ্গু আক্রান্তরা যেন বিনামূল্য চিকিৎসা পায় :স্বাস্থ্যমন্ত্রী

0

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা বিনামূল্যে করার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী সবসময় ডেঙ্গু পরিস্থিতির খোঁজ-খবরও নিচ্ছেন। তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, ডেঙ্গু আক্রান্তরা যেন বিনামূল্য চিকিৎসা পায়। তাছাড়া, এ নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ২৪ ঘণ্টা কাজ করছে। ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা যদি বেড়ে যায়, তাদের চিকিৎসার জন্য আরও তিনটি হাসপাতাল প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যেমন- শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউট দেড়শ রোগীর জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

শনিবার দুপুরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নতুন ভবনে ভর্তি হওয়া ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের খোঁজ-খবর নিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।

তিনি বলেন, ডেঙ্গু এখন নিয়ন্ত্রণে আছে। ঢামেকে এখন পর্যন্ত এ রোগে ১১ জন মারা গেছে। তবে, তারা ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ার আগেই নানা রোগে আক্রান্ত ছিল।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, গত তিন দিন পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, আগের চেয়ে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা অনেক কমেছে। ঢামেকে মোট ভর্তি ছিল ২ হাজার ৭৯৪ জন। ছাড়পত্র পেয়েছে ২ হাজার ৯০ জন। এখন ভর্তি আছে ৬৯৩ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছে ৫৪ জন।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সারাদেশে মোট কত জন ডেঙ্গু রোগী মারা গেছে তা পর্যালোচনা করে পরে জানাবো।

জাহিদ মালেক বলেন, আমাদের চিকিৎসকরা ২৪ ঘণ্টা ডেঙ্গু আক্রান্তদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। ১৩ সদস্যের একটি বিষেশজ্ঞ দল সব জেলায় ছুটে যাচ্ছে ও সেখানকার চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে।

তিনি বলেন, ডেঙ্গু নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। কোনো বিভ্রান্তিতে কান দেবেন না।

এসময় এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের (ডিজি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গুর চিকিৎসায় অনিয়মের খবর পেলেই সেখানে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

সরকারের দায়িত্ব ডেঙ্গু আতঙ্ক থেকে মানুষকে রক্ষার

0

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, ঢাকা শহরের মানুষ ডেঙ্গু আতঙ্কে আছে। এ আতঙ্ক থেকে মানুষকে রক্ষা করার দায়িত্ব ছিল সরকারের। আমরা আশা করবো সামনের দিনে এ সমস্যার সমাধান হবে।
আজ শনিবার দুপুরে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার পাঁছগাছী কলেজ মাঠে বন্যার্ত মানুষের মধ্যে ত্রাণ বিতরণকালে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় বন্যা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বন্যাদুর্গত এলাকায় জনগণের দুঃখ, দুর্দশা বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে দেখার জন্য এসেছি। যারা সব সময় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় সেসব এলাকা সার্ভে করে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করতে হবে। যখনই যে এলাকায় বন্যা হবে সেই এলাকাকে বন্যার্ত এলাকা ঘোষণা করে এই তালিকা অনুযায়ী ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দিতে হবে।
জাতীয় পার্টিতে কোনো দ্বন্দ্ব আছে কি না সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জাতীয় পার্টিতে প্রতিযোগিতা থাকতে পারে কিন্তু এখানে কোনো দ্বন্দ্ব নেই।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মশিউর রহমান রাঙ্গা এমপি, জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান আহসান আদেলুর রহমান আদেল এমপি, কুড়িগ্রাম-২ আসনের সংসদ সদস্য পনির উদ্দিন আহমেদ, উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য মেজর (অব:) আশরাফুদ্দৌলা তাজ, যুগ্ম দপ্তর সম্পাদক এমএ রাজ্জাক খান ও জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক প্রমুখ।

ঈদুল আযহা উপলক্ষে মহাসড়কে চলাচলরত কোন পশুবাহী গাড়ী থামানো যাবে না

0

রাজশাহী রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) একেএম হাফিজ আকতার (বিপিএমবার) বলেছেন, ঈদুল আজহা উপলক্ষে মহাসড়কে চলাচলরত কোন পশুবাহী গাড়ী থামানো যাবে না। এসব যানবাহন যাতে নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পারে সে বিষয়ে পুলিশ সতর্ক অবস্থায় দায়িত্ব পালন করতে হবে। আজ শনিবার দুপুরের দিকে সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকায় মহাসড়ক পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, বন্যা ও বৃষ্টির কারণে রাস্তাঘাট খারাপ হয়ে আছে। দু-তিনদিনের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্থ রাস্তার সংস্কার কাজ শেষ করা জরুরী। এজন্য তিনি দ্রুত রাস্তাগুলো সংস্কারের জন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগকে তাগিদ দেন। সেইসাথে মহাসড়কের পাশে পশুর হাট বসাতে না পারে এজন্য পুলিশকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা দেন। তিনি হাটিকুমরুল গোলচত্বরে অভিজাত একটি হোটেলের সম্মেলন কক্ষে ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে এবং আইন শৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে যৌথ সমন্বয় সভায় মিলিত হন।
এ সময় ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি সালাহ মো. তানভীর, রাজশাহী রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মিশারুল আরিফ, জেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহম্মেদ, পুলিশ সুপার টুটুল চক্রবর্তী, পুলিশ সুপার (হাইওয়ে) জাহাঙ্গীর হোসেন, সওজ’র নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম প্রামানিকসহ টাঙ্গাইল, নাটোর, পাবনা ও বগুড়া পুলিশ সুপারগণ উপস্থিত ছিলেন।

ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে

0

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে বিদেশ থেকে ওষুধ আনা হচ্ছে, ওষুধের কোনো সংকট হবে না। হাসপাতালগুলোয় ডেঙ্গু পরীক্ষার জন্য এরই মধ্যে দুই লাখ কিট আনা হয়েছে। কোথাও পরীক্ষার সমস্যা হবে না।
আজ শনিবার (৩ আগস্ট) দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ডেঙ্গু রোগীদের দেখতে এসে এসব কথা বলেন তিনি।
ডেঙ্গু রোগে নিহতদের সংখ্যায় গরমিল নিয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ১৪ জন মারা গেছেন। তবে আরও দুয়েক বাড়তে পারে।
বেসরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু পরীক্ষার কিট নেই- এমন অভিযোগের বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এ বিষয়টি দেখার জন্য গঠিত সেল কাজ করছে। তারা তদারকি করছে।’
জাহিদ মালেক বলেন, ‘ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। প্যানিকড হওয়ার কিছু নেই। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ৫০ লাখ ডেঙ্গু শনাক্তের কিট আমদানির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দুই লাখ চলে এসেছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছি। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সবার ঈদের ছুটি বাতিল করেছি। সিটি করপোরেশন ভালো কাজ করছে। মশা কামানো গেলে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যাও কমে যাবে। চিকিৎসার জন্য যা যা প্রয়োজন, আমরা সব করছি।
তিনি বলেন, ‘আমাদের চিকিৎসকরা দিন-রাত কাজ করছেন। এ জন্য তারা প্রশংসার দাবিদার। আমরা রোজ মনিটর করছি। ডাক্তার নার্সের অভাব নেই। সবাই মিলে চেষ্টা করছি। সে কারণে মৃতের সংখ্যা কম। অন্যান্য দেশে যদি দেখেন, সেখানে মৃতের সংখ্যা অনেক বেশি। ফিলিপাইনে শত শত লোক মরা গেছে। ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুরসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ রয়েছে। বিশ্বে এমন দেশ খুব কম আছে, যেখানে ডেঙ্গু নেই।’
এ সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া উপস্থিত ছিলেন।

ছুটি বাতিল রকার বিভাগ ও ঢাকার দুই সিটির কর্মকর্তা কর্মচারীদের

0

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব মোঃ এরশাদুল হক স্বাক্ষরিত শনিবার (৩ আগস্ট) এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।

অফিস আদেশে বলা হয়েছে, ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব রোধে জনসচেতনতা সৃষ্টি, মশার প্রজননস্থল বিনষ্টকরণ, পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা এবং লার্ভা ও মশক নিধন কার্যক্রমে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর ও সংস্থা ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এ কর্মসূচিকে সফল করার লক্ষ্যে পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত স্থানীয় সরকার বিভাগের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন ওয়ার্ডে দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তাদের সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটি বাতিল করা হলো।

অফিস আদেশে আরো বলা হয়েছে, ইতোমধ্যে ছুটিতে গমনকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে স্ব-উদ্যোগে কর্মস্থলে যোগদান করতে হবে।

ঈদের আগেই গাইবান্ধা–ঢাকা ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হবে

0

পবিত্র ঈদুল আজহার আগেই গাইবান্ধায় ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হবে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। বন্যার পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত সান্তাহার-লালমনিরহাট রুটের ত্রিমোহিনী ও বাদিয়াখালী এলাকায় রেলপথ পরিদর্শন করে শুক্রবার এ কথা জানিয়েছেন তিনি। রেলপথ দ্রুত সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনাও দেন তিনি।

ক্ষতিগ্রস্ত রেললাইন পরিদর্শন শেষে বাদিয়াখালী রেলস্টেশনে রেলমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ঈদের আগেই গাইবান্ধার ক্ষতিগ্রস্ত রেললাইন সংস্কার করে ঈদে ঘরমুখী মানুষের চলাচল স্বাভাবিক করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দ্রুত ঠিকাদার নিয়োগ করে সংস্কারকাজ শুরু করা হয়েছে। নতুন করে প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা না দিলে ৮ আগস্টের মধ্যে ট্রেন চলাচল শুরু হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

এ সময় রেলমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক আবদুল মতিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাহাদ গাওহারী, রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।

গত ১৭ জুলাই সান্তাহার-লালমনিরহাট রুটের গাইবান্ধা সদর উপজেলার ত্রিমোহিনী ও বাদিয়াখালী এলাকায় রেলপথ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বন্যার পানির চাপে রেলপথের মাটি ধসে ও পাথর ভেসে গিয়ে প্রায় এক হাজার ফুট রেলপথ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ কারণে দীর্ঘদিন ধরে ঢাকার সঙ্গে গাইবান্ধার সরাসরি ট্রেন চলাচল বন্ধ আছে।

সান্তাহার-লালমনিরহাট রুটের রেলপথ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে লালমনিরহাট ও দিনাজপুর থেকে ডাউন ট্রেনগুলো গাইবান্ধা স্টেশন পর্যন্ত চলাচল করছে। অন্যদিকে সান্তাহার জংশন থেকে বোনারপাড়া পর্যন্ত মেইল ও লোকাল ট্রেনগুলো চলাচল করছে। এ ছাড়া আন্তনগর লালমনি এক্সপ্রেস ও রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেন দুটি পার্বতীপুর-সান্তাহার হয়ে ঢাকায় যাতায়াত করছে। এতে যাত্রী ও মালামাল পরিবহনে বিঘ্ন ঘটছে।

রেলওয়ে সূত্র জানিয়েছে, ঢাকার সঙ্গে গাইবান্ধার সরাসরি ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় স্থানীয় যাত্রীদের ঢাকায় যাতায়াতের সুবিধার্থে গাইবান্ধার বোনারপাড়া-সান্তাহার রুটে বিশেষ শাটল ট্রেন চালু করা হয়েছে।

রাজাকার ও যুদ্ধাপরাধীদের তালিকা প্রকাশ ডিসেম্বর মাসে

0

আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে রাজাকার ও যুদ্ধাপরাধীদের তালিকা প্রকাশ করা হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। তিনি বলেন, ‘আশা করছি, ডিসেম্বরের মধ্যে আমরা তালিকা প্রকাশ করতে পারব। প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা ও জেলা পরিষদের সামনে এবং বিভিন্ন স্থানে রাজাকার ও যুদ্ধাপরাধীদের তালিকা প্রকাশ করা হবে।’

মুজিবনগর পর্যটন মোটেলে আয়োজিত মুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিকেন্দ্র প্রকল্পের স্থাপত্য নকশা অনুমোদনসংক্রান্ত সভায় আজ শুক্রবার প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।

মোজাম্মেল হক বলেন, মুজিবনগরকে আন্তর্জাতিক মানের মুক্তিযুদ্ধ তীর্থস্থান হিসেবে গড়ে তোলা হবে। এরই মধ্যে ৩৭ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগামী তিন মাসের মধ্যে নতুন প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। বেশ কিছু ভাস্কর্য পরিবর্তন করা হবে।

মন্ত্রী আরও বলেন, মুজিবনগরে পর্যটকদের থাকা–খাওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক মানের হোটেল মোটেল স্থাপন করা হবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ জাতীয় চার নেতার আন্তর্জাতিক মানের মুর‌্যাল তৈরি করা হবে। যেসব মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক মুর‌্যাল আছে, তার অনেকগুলো পরিবর্তন করা হবে বলেও জানান তিনি।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও মেহেরপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। সভাপতিত্ব করেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এস এম আরিফ-উর রহমান। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক আতাউল গনি, পুলিশ সুপার এস এম মোরাদ আলীসহ সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।

বাবরি মসজিদ-রাম জন্মভূমি বিতর্কের মীমাংসার চেষ্টা ব্যর্থ

0

আলাপ আলোচনার মধ্য দিয়ে অযোধ্যা বাবরি মসজিদ-রাম জন্মভূমি বিতর্কের মীমাংসার চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। অতএব আগামী ৬ আগস্ট, মঙ্গলবার থেকে সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের কনস্টিটিউশন বেঞ্চে এই মামলার দৈনন্দিন শুনানি শুরু হবে। আজ শুক্রবার ভারতের সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ এই নির্দেশ দেন।

উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা বাবরি মসজিদ ধূলিসাৎ করে। তাদের দাবি, হিন্দুদের ভগবান রামচন্দ্রর জন্মস্থানে থাকা মন্দির ভেঙে সেই কাঠামোর ওপর ১৫২৮ সালে মুঘল সম্রাট বাবরের সৈন্যরা বাবরি মসজিদ গড়ে তুলেছিল। বিতর্কিত ২ দশমিক ৭৭ একর জমির মালিকানা কার, সুন্নি ওয়াক্ফ বোর্ড, নির্মোহী আখড়া না ভগবান রামচন্দ্রর (রাম লালা)—শুরু হয় সেই বিবাদ।

২০১০ সালে এলাহাবাদ হাইকোর্ট রায় দেন, বিতর্কিত জমি বিবদমান তিন পক্ষকেই এত তৃতীয়াংশ করে দেওয়া হবে। সেই রায়ের বিরুদ্ধে তিন পক্ষই সুপ্রিম কোর্টের শরণাপন্ন হলে চলতি বছরের ৮ মার্চ সর্বোচ্চ আদালত সবার সঙ্গে কথা বলে শান্তিপূর্ণ সমাধানের চেষ্টায় তিন সদস্যের এক কমিটি গঠন করে দেন। কমিটিতে রাখা হয় সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি এফ এম কালিফুল্লা, আধ্যাত্মিক গুরু শ্রী শ্রী রবিশঙ্কর ও প্রবীণ আইনজীবী শ্রীরাম পঞ্চুকে।

গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যস্থতাকারী দলের রিপোর্ট সুপ্রিম কোর্টে জমা পড়ে। তাতে বলা হয়, মধ্যস্থতাকারীরা সর্বসম্মতভাবে কোনো সমাধানের খোঁজ পাননি। হিন্দু ও মুসলমান কোনো পক্ষই কোনো সমাধান সূত্রে একমত হননি। বিতর্ক অব্যাহত থাকায় প্রধান বিচারপতি জানান, আগামী মঙ্গলবার থেকে প্রতি দিন শুনানি হবে। সব পক্ষকে শুনানির জন্য তৈরি থাকার নির্দেশও তিনি দেন।

প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ–এর অবসর গ্রহণের তারিখ ১৭ নভেম্বর। তিনি চান, এর আগেই এই মামলার নিষ্পত্তি হোক। ১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পর দেশ জুড়ে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় ২ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছিল।

অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ-রাম জন্মভূমি বিতর্কে জমির মালিকানা মামলা সুপ্রিম কোর্টের যে কনস্টিটিউশন বেঞ্চে বিবেচনাধীন তার নেতৃত্বে রয়েছেন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। এই বেঞ্চে আর রয়েছেন বিচারপতি এস এ বোরদে, বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি অশোক ভূষণ এবং বিচারপতি এস আবদুল নাজির।