Home Blog Page 3589

২১ জুয়াড়িকে কারাদণ্ড মিরপুরে

0

রাজধানীর মিরপুর-১ নম্বরে অভিযান চালিয়ে জুয়া খেলার সময় ২১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) ভ্রাম্যমাণ আদালত। তাদের প্রত্যেককে এক মাস করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

গতকাল বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় থেকে শুরু হয়ে রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলে অভিযান। অভিযানে নেতৃত্ব দেন র‌্যাব-৪ এর নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট নিজাম উদ্দিন আহমেদ।

আটকরা হলেন- মো. ইউসুফ, ইকবাল হোসেন, আব্দুস সালাম মৃধা, বাবুল মোল্লা, নজরুল ইসলাম শহীদ, ফরিদ উদ্দিন, সালেহ উদ্দিন, আক্কাস আলী, শামিম খাঁন, শাহ আলম, আনিসুর রহমান, নিজাম মৃধা, মো. আলী, দেলোয়ার হোসেন, সাইফুল আলম খাঁন, হানিফ তালুকদার, দিদার হোসেন চৌধুরী, গোলাম মাহফুজ, মিরাজ হাওলাদার, সামাদ মিয়া, মো. লতিফ। তাদের মুক্তিযোদ্ধা পুনর্বাসন সোসাইটি কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের অফিস প্রাঙ্গন থেকে আটক করা হয়।

র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, অভিযানে জুয়া খেলা অবস্থায় ২১ জনকে আটক করা হয়েছে। এ সময় জুয়া খেলার বিভিন্ন সরঞ্জামসহ জুয়ার বোর্ড থেকে ৭১ হাজার ৭শ ৫৭ টাকা জব্দ করা হয়। এছাড়াও প্রত্যেককে এক মাস করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

নিবন্ধনের আওতায় আসছে মোবাইল হ্যান্ডসেটও

0

মোবাইল সিমের পর এবার প্রতিটি হ্যান্ডসেটকে নিবন্ধনের আওতায় আনা হচ্ছে। এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (বিটিআরসি)।

বাংলাদেশে বছরে ২৫ থেকে ৩০ ভাগ মোবাইল হ্যান্ডসেট নানা অসাধু উপায়ে সরকারি কর ফাঁকি দিয়ে দেশের বাজারে আসছে। এতে প্রতিবছর ৮০০ থেকে এক হাজার কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। তাই অবৈধভাবে আমদানি ও নকল মোবাইল হ্যান্ডসেট চিহ্নিত করার পাশাপাশি বাংলাদেশের মোবাইল নেটওয়ার্কে যতগুলো রেডিও ডিভাইস অর্থাৎ মোবাইল হ্যান্ডসেট ব্যবহৃত হবে সেসব সেটকে নিবন্ধনের আওতায় আনতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানায় সংস্থাটি। এতে গ্রাহকদের সিমের মতো হ্যান্ড-সেটটিও নিবন্ধিত থাকবে।

বিটিআরসি স্পেকট্রাম বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসিম পারভেজ জানান, এতে অবৈধভাবে আমদানি, চুরি ও নকল হ্যান্ডসেট প্রতিরোধ করা যাবে, গ্রাহকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাবে, মোবাইল ফোনের হিসাব রাখা যাবে। সবশেষে সরকারি রাজস্বের ক্ষতি ঠেকানো সম্ভব হবে। তিনটি ধাপে এই প্রক্রিয়াটি শুরু করা হবে বলে জানান তিনি।

প্রথম ধাপ: বৈধ ফোন চিনে রাখুন
প্রথমত, বাংলাদেশে যতগুলো হ্যান্ডসেট বৈধভাবে আমদানি হচ্ছে এবং স্থানীয়ভাবে যেগুলো অ্যাসেমব্লিং করা হচ্ছে বা উৎপাদিত হচ্ছে সেগুলোর ১৫ ডিজিটের স্বতন্ত্র আইএমইআই নম্বর নিয়ে একটি বৈধ ফোনের ডাটাবেজ তৈরি করা হবে। এতে মানুষ যখন মোবাইল ফোন কিনতে যাবে তখন তারা সেই সেটটির আইএমইআই নম্বর দিয়ে জানতে পারবেন তাদের সেটটি বৈধ নাকি অবৈধ।

দ্বিতীয় ধাপ: হ্যান্ডসেট কীভাবে নিবন্ধন করবেন
দ্বিতীয় ধাপে বিটিআরসি তাদের ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্ট্রার (ইআইআর) খসড়া নির্দেশনা ইআইআর তৈরি করবে। এর আওতায় দেশের প্রতিটি সক্রিয় সেটকে নিবন্ধনের আওতায় আনা হবে। এরইমধ্যে বিশ্বের বড় বড় কম্পানির ইআইআর যাচাই করে বাংলাদেশের জন্য প্রযোজ্য ২৪ পাতার একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছে বিটিআরসি।

প্রতিবেদনটি যাচাইয়ের জন্য মোবাইল অপারেটরগুলোর কাছে পাঠানো হয়েছে। যদি সেখানে কোনো সংশোধনের প্রয়োজন হয় তবে তা সম্পন্ন করে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য প্রতিবেদনটি বিটিআরসির কমিশনে পাঠানো হবে।

খসড়া নির্দেশনাটিকে চূড়ান্ত হলে প্রত্যেক অপারেটরকে তাদের নেটওয়ার্কের আওতায় থাকা প্রতিটি সক্রিয় হ্যান্ড-সেটের ডাটাবেজ তৈরির সময় বেঁধে দেওয়া হবে। এখানে গ্রাহকদের হ্যান্ডসেট নিবন্ধনের জন্য কোথাও যেতে হবে না। তারা নিজেদের নিবন্ধিত সিমটি সেটে সক্রিয় করলেই সেটটি ওই নামে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধন হয়ে যাবে।

ওই সেটে যদি দ্বিতীয় সিম ব্যবহার করতে হয় তবে সেটিও অবশ্যই একই নামে নিবন্ধিত সিম হতে হবে। এ ছাড়া কারও যদি একাধিক সেট থাকে তাহলে তিনি দ্বিতীয় সেটটিতে যে নামের সিমটি সক্রিয় করবেন, সেই নামেই সেটটি নিবন্ধিত হয়ে যাবে। তখন ওই সেটে অন্য নামের কোন সিম চলবেনা। অর্থাৎ একটি সেট একজনের নামেই নিবন্ধিত হবে। এভাবে একেকটি অপারেটরের আলাদা ডাটাবেজ সম্পন্ন হবে।

আপনার হ্যান্ডসেটটি কোন ক্যাটাগরির?
এই ডাটাবেজকে ব্ল্যাক, হোয়াইট ও গ্রে- এই তিনটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হবে। খসড়া নির্দেশনায় ‘হোয়াইট’ বলতে বোঝানো হয়েছে বৈধভাবে আমদানি করা এবং দেশে বৈধভাবে তৈরি হ্যান্ডসেটগুলোকে। অর্থাৎ যে সেটগুলো বিটিআরসি নিবন্ধিত। ‘গ্রে’ ক্যাটাগরিতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

ক্লোন, অনুমোদনহীন নকল, অবৈধভাবে আমদানি হয়ে আসা সেটগুলোকে। এই সেটগুলো অবৈধ হলেও এবারের মতো সেগুলোকে অনুমোদন দেওয়া হবে। যারা এরইমধ্যে এগুলো ব্যবহার করছেন বা দেশের বাইরে থেকে আনিয়েছেন তাদেরকে একটি সময় বেঁধে দেওয়া হবে যেন তারমধ্যেই তারা নিবন্ধিত সিম দিয়ে সেটটিকে সক্রিয় করে নেন।

অন্যদিকে, চুরি হওয়া হ্যান্ড-সেটের আইএমইআই, মেয়াদ উত্তীর্ণ আইএমইআই যুক্ত সেট, নকল আইএমইআই সম্পন্ন হ্যান্ডসেটগুলোকে ‘ব্ল্যাক’ ক্যাটাগরিতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। যখন পূর্ণাঙ্গ ডাটাবেজ তৈরি হয়ে যাবে তখন সম্পন্ন করা হবে সর্বশেষ অর্থাৎ তৃতীয় ধাপের কার্যাদি।

তৃতীয় ধাপ: কমন সার্ভার
তৃতীয় ধাপে সরকার একটি প্রতিষ্ঠানকে নির্বাচিত করবে যারা বিটিআরসির জন্য এই কেন্দ্রীয় প্লাটফর্ম বা কমন সার্ভার তৈরি করবে। যেখানে প্রত্যেকটি অপারেটরের ডাটাবেজগুলো সিঙ্ক্রোনাইজ হবে। অর্থাৎ বাংলাদেশে সক্রিয় প্রতিটি হ্যান্ডসেট কেন্দ্রীয়ভাবে ব্যবস্থাপনার আওতায় আনা হবে। তখন এর নাম হবে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্ট্রার (এনইআইআর)। এতে ইআইআর এ নতুন কোনো ডেটা সংযুক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেটা এনইআইআরে চলে আসবে।

সেট বিক্রি করতে গেলে বা হারিয়ে গেলে কী করবেন?
কেউ যদি তার নিবন্ধিত সেট অন্য কাউকে দিতে চান বা বিক্রি করতে চান তবে সেটটি পুনরায় নিবন্ধন করতে হবে। সেক্ষেত্রে নিজের নাম অনিবন্ধিত করে যার কাছে সেট দেবেন তার নামে হ্যান্ডসেটটি নিবন্ধিত করতে হবে। সেটি কীভাবে করা হবে সেটি কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়ে জানিয়ে দেবে। তৃতীয় কোন প্রতিষ্ঠান বা মোবাইল ফোন অপারেটরদের এই দায়িত্ব দেয়া হতে পারে বলে জানান তিনি।

এ ছাড়া যদি আপনার ফোন হারিয়ে যায় বা চুরি যায় সেক্ষেত্রে ওই প্রতিষ্ঠানটি আমার পরিচয় শনাক্ত করে ফোনটি লক করে দেবে। যেন আপনার ফোনটি কেউ কোথাও ব্যবহার করতে না পারে।

ব্যতিক্রম:
করপোরেট সিম ও সেটের ক্ষেত্রে নিয়মটা কিছুটা ভিন্ন। যেমন আপনার অফিস যদি আপনাকে একটি সিম ও হ্যান্ডসেট দেয়। সেক্ষেত্রে আপনার ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বর দিয়ে ওই সেটটি আগে নিজের নামে নিবন্ধন করে নিতে হবে। তারপর তাতে কম্পানির সিম ব্যবহার করা যাবে। এ ছাড়া সরকার চাইলে তাদের বিশেষ নির্দেশনায় বিশিষ্ট তালিকাভুক্ত ব্যক্তিদের হ্যান্ডসেট ব্যবস্থাপনার বাইরে রাখতে পারবে।

মূলত পুরো প্রক্রিয়াটি চূড়ান্ত হওয়ার পর বিষয়টি গণমাধ্যমের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে বলে জানান নাসিম পারভেজ।

সূত্র : বিবিসি বাংলা

শেখ হাসিনার ব্যক্তিত্ব পুরোপুরি বঙ্গবন্ধুর মতোঃ এইচ টি ইমাম

0

শেখ হাসিনার ব্যক্তিত্ব পুরোপুরি বঙ্গবন্ধুর মতো বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম বলেছেন ‘পিতার সব গুণই তিনি পেয়েছেন। কিছু ক্ষেত্রে তিনি তার পিতাকেও ছাড়িয়ে গেছেন। তাই নিঃসন্দেহে বলা যায়, আমার নেত্রী একজন ক্যারিশমাটিক লিডার।’

গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা কমিটির উদ্যোগে ‘গৌরবের অভিযাত্রায় ৭০ বছর : তারুণ্যের ভাবনায় আওয়ামী লীগ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টাপরিষদের সদস্য এইচ টি ইমাম বলেন, ‘বাংলাদেশকে সবসময় সঠিকপথে পরিচালিত করেছে আওয়ামী লীগ। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে আসার পর থেকে সারাদেশ তিনি চষে বেড়িয়েছেন। তৃণমূল পর্যায়ে আওয়ামী লীগের শক্তি ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে। গণতন্ত্রে বিভিন্ন মতামত থাকবে। কিন্তু সবকিছুর ঊর্ধ্বে বাংলাদেশ।’

এইচ টি ইমাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিশন-২০২১, ২০৪১ এবং ২১০০, ডেল্টা প্ল্যান ঘোষণা করেছেন। তা বাস্তবায়নে তরুণ প্রজন্মকে যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে হবে।

জিয়াউর রহমান এবং এইচ এম এরশাদকে মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ বলে মন্তব্য করে এইচ টি ইমাম বলেন, ‘স্বাধীনতার পর দেশকে পেছনের দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য অনেক চক্রান্ত হয়েছিল। জিয়াউর রহমান এবং এরশাদ এরা আর কিছুই নয়, মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ এবং এরা ছিলেন পাকিস্তানের পক্ষের লোক। আমাদের জন্য কিছু করেননি। দেশের উন্নতি কিছু করেছেন এরশাদ সাহেব, কিন্তু তাদের মন ছিল অন্যদিকে।’

প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী শাহ আলী ফরহাদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন ও সংসদ সদস্য ওয়াসিকা আয়েশা খান প্রমুখ।

রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে মধ্যস্থতা করতে চায় জাপান

0

রোহিঙ্গা সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানে টোকিওতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে জাপান সক্রিয় ভূমিকা পালনের প্রস্তাব দিয়েছে।

মঙ্গলবার রাজধানীতে মেঘনা স্টেট গেস্ট হাউজে জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তারা কনোর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে জাপান যে রাজনৈতিক সদিচ্ছা দেখিয়েছে আমরা তা বিবেচনা করে দেখব।’

তিনি বলেন, জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে এবং রাখাইনে তাদের প্রত্যাবাসনে উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টির জন্য মিয়ানমারকে রাজি করানোর চেষ্টা করবেন। তিনি (কনো) আমাদের বার্তা নিয়ে ঢাকা থেকে মিয়ানমারের রাজধানী নেপিডোতে যাবেন।

জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন ও তাদের সঙ্গে আলোচনার পর এ বৈঠকে বসেন। কনো ১৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে সোমবার রাতে তিন দিনের সরকারি সফরে ঢাকা পৌঁছেন। তার এ সফরের মূল লক্ষ্য হচ্ছে- রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলোচনা করা।

জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মঙ্গলবার ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বুধবার মিয়ানমারের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন।

ফের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালাল উ. কোরিয়া

0

উত্তর কোরিয়া তার পূর্ব উপকূলে দু’টি স্বল্প-পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী এ খবর জানিয়েছে। আজ (বুধবার) সকালে উত্তর কোরিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় ‘ওনস্যান’ এলাকা থেকে ক্ষেপণাস্ত্র দু’টি নিক্ষেপ করা হয়। এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) উত্তর কোরিয়া একই ধরনের দু’টি ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছিল।

আজ ওনস্যান বন্দরের কালমা এলাকা থেকে স্থানীয় সময় ভোর ৫টা ৬ মিনিট ও ৫টা ২৭ মিনিটে দু’টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে উত্তর কোরিয়া। দু’টি ক্ষেপণাস্ত্রই ৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত উচ্চতায় উঠে ২৫০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে জাপান সাগর বা পূর্ব সাগরি পতিত হয়। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী জিয়ং কেয়ং-ডু জানিয়েছেন, আজকর ক্ষেপণাস্ত্র এর আগেরগুলোর চেয়ে ভিন্ন মডেলের। জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবে আজকের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, এ পরীক্ষার ফলে জাপানের নিরাপত্তায় কোনো বিঘ্ন সৃষ্টি হয়নি।

গত বছরের জুন মাসে সিঙ্গাপুরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন সাক্ষাতের পর এই প্রথম ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাল পিয়ংইয়ং। জুন মাসের পর দুই নেতা আরো দু’বার পরস্পরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেও ঢাকঢোল পিটিয়ে ছবি তোলা ছাড়া এসব সাক্ষাতে উত্তেজনা প্রশমনের কোনো পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব হয়নি।

উত্তর কোরিয়া গত সপ্তাহের পরীক্ষার পর জানিয়েছিল, দক্ষিণ কোরিয়া আমেরিকার সঙ্গে আবার যৌথ সামরিক মহড়া চালানোর যে পরিকল্পনা করেছে তার বিরুদ্ধে এটি একটি ‘আনুষ্ঠানিক সতর্কবার্তা।’ আগামী মাসে পরিকল্পিত ওই যৌথ মহড়া অনুষ্ঠিত হবে যাকে উত্তর কোরিয়া সব সময় সেদেশের ওপর আগ্রাসনের প্রস্তুতি বলে মনে করে।

আজ টাইগারদের হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর লড়াই

0

প্রথম দুই ম্যাচের হারে এরই মধ্যে সিরিজ হাতছাড়া করেছে বাংলাদেশ। আজ বুধবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তৃতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে লাল-সবুজের দল। হোয়াইটওয়াশ এড়াতে হলে এ ম্যাচে জিততেই হবে তামিম-মুশফিকদের।

২০১৫ বিশ্বকাপের পর মাশরাফির হাত ধরে বাংলাদেশ ক্রিকেটের ব্র্যান্ড পাল্টেছে। বাংলাদেশ ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলতে শিখেছে। ধারাবাহিক সাফল্য পাওয়ায় র‌্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ এগিয়েছে। পেছনে ফেলেছে দুই বিশ্বচ্যাম্পিয়ন পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কাকে। পাকিস্তান বাংলাদেশকে টপকে এখন ছয়ে থাকলেও শ্রীলঙ্কা এখনো বাংলাদেশের পেছনে আটে। দুই বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের মাঝে বাংলাদেশের অবস্থান, সাতে। র‌্যাঙ্কিংয়ে পিছিয়ে থাকা দলের বিপক্ষে কখনো ওয়ানডে সিরিজে ওয়াইটওয়াশ হয়নি বাংলাদেশ। বাংলাদেশের জন্য লড়াইটা আজ মান বাঁচানোর।

অধিনায়ক তামিম ইকবালও চান অন্তত একটি জয় নিয়ে দেশের মাটিতে ফিরতে। বলেন, ‘আমরা এই সিরিজ হেরে গেছি। ৩-০ আর ২-১ এর মধ্যে পার্থক্য হবে যে, আমরা অন্তত নিজেদেরকে প্রমাণ করতে পারব আমরা প্রথম দুই ম্যাচে যেভাবে চিন্তা করেছি সেভাবে খেলতে পারিনি। কিন্তু শেষ ম্যাচটি নিজেদের আত্মতৃপ্তির জন্য জেতা উচিত। দেশে সবাই প্রত্যাশা করছে অন্তত একটা জয় নিয়ে ফেরার।’

বাংলাদেশকে জিততে হলে ফর্মে ফিরতে হবে তামিম ইকবালকে। ইনিংসের শুরুতে তার উইকেট যাওয়া মানেই টপাটপ বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে ধস নামা। শেষ ম্যাচে শতরানের আগে বাংলাদেশের অর্ধেক ব্যাটসম্যান সাজঘরে ফেরেন। এর আগে দলীয় রান পঞ্চাশ ছোঁয়ার আগে ৪ ব্যাটসম্যান সাজঘরে। শেষ ম্যাচে তামিম জ্বলে উঠলে লড়াইয়ের জ্বালানি পাবে বাংলাদেশ, নয়তো ব্যাকগিয়ারে যাওয়া শুরু হবে শুরু থেকেই।

ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বোলিং-ফিল্ডিংয় হয়ে উঠেছে মাথা ব্যথার মূল কারণ। তিন বিভাগের কোনোটা নিয়েই বাংলাদেশ এগিয়ে যেতে পারছে না। নতুন বলে সাফল্য নেই দীর্ঘদিন ধরে। পেসররা পাওয়ার প্লে’তে নিষ্প্রাণ, নির্বিষ। মুস্তাফিজুর রহমান প্রতি ম্যাচেই উইকেট পাচ্ছেন। কিন্তু রান দিচ্ছেন বেহিসেবী। বাকিরা প্রত্যেকেই গড়পড়তা।

লাসিথ মালিঙ্গার জন্য প্রথম ম্যাচ খেলেছিল শ্রীলঙ্কা। এ ম্যাচ লঙ্কানরা খেলবেন নুয়ান কুলাসেকারার জন্য। এ ম্যাচটি তার জন্য উৎসর্গ করেছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড। আনুষ্ঠানিকতার ম্যাচ হলেও কুলাসেকারার জন্য সিংহের দল জয় পেতে মুখিয়ে। এমন অবস্থায় কী হোয়াইটওয়াশ এড়ানো সম্ভব? সব জায়গায় একটাই প্রশ্ন- হোয়াইটওয়াশ এড়াতে পারবে বাংলাদেশ?

ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে নায়ক আলমগীর

0

সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ছে ডেঙ্গু। সম্প্রতি জনপ্রিয় চলচ্চিত্র অভিনেতা আলমগীর ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

শনিবার (২৭ জুলাই) জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ডেঙ্গু ধরা পড়ে।

জনপ্রিয় নায়ক নিজেই গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, এখন আগের চেয়ে সুস্থ আছি। আরো দুই-তিনদিন হাসপাতালে থাকতে হবে। সুস্থতার জন্য তিনি সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন।

অন্যদিকে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সকালে ডেঙ্গুর বিস্তার রোধ ও গুজবের প্রতিকারে এক মানববন্ধনের আয়োজন করেন। আজ দুপুর ১টায় এফডিসির গেটে মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন চলচ্চিত্র শিল্পী ও কলাকুশলীরা। সেখানে তিনি অভিনেতা আলমগীরের সুস্থতার জন্য সবার দোয়া চেয়েছেন।

জায়েদ খান বলেন, সারা দেশে ডেঙ্গু জ্বর ছড়িয়ে পড়ছে। সম্প্রতি আমাদের সবার প্রিয় নায়ক আলমগীর ভাই ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তিনি এখন বাসায় বিশ্রাম নিচ্ছেন। ভয়ের কিছু নেই। সবাই উনার জন্য দোয়া করবেন। তিনি যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসতে পারেন।

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া আলমগীর আশি ও নব্বইয়ের দশকে ছিলেন দাপুটের নায়ক। নয়বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেছেন তিনি।

কুমিল্লায় গরুবোঝাই ট্রাক উল্টে তিন ব্যবসায়ী নিহত

0

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে গরুবোঝাই ট্রাক উল্টে ৩ জন নিহত হয়েছেন। এ সময় ওই ট্রাকে থাকা ৬টি গরু মারা যায়।

আজ বুধবার ভোরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রাম উপজেলার চিওড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে তাদের পরিচয় জানাতে পারেনি পুলিশ।

হাইওয়ে পুলিশ জানায় ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ঝিনাইদহ থেকে গরুবোঝাই একটি ট্রাক নিয়ে চট্টগ্রাম যাচ্ছিল ব্যবসায়ীরা। চৌদ্দগ্রামের চিওড়া এলাকায় পৌছলে ট্রাকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি খাদে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই ৩ জন নিহত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করে।

মিয়াবাজার হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম আজাদ জানান ঘুম নিয়ে ট্রাক চালানোর কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

সাকিবের হাতে চট্টগ্রামের চাবি

0

চট্টগ্রামের চাবি এখন সাকিব আল হাসানের হাতে। বিশ্বকাপে অলরাউন্ড নৈপুণ্যের সুবাদে সাকিবকে সম্মান জানিয়ে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) স্মারক চাবি উপহার দেন চসিক মেয়র আ জ ম নাছির।

মঙ্গলবার বিকালে চট্টগ্রাম এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে সংবর্ধনা দেয়া হয় বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে। সংবর্ধনা শেষে মাঠে উপস্থিত খুদে ক্রিকেটাদের উদ্দেশে সাকিব বলেন, সফল হতে হলে পড়াশুনার বিকল্প নেই। নিয়মিত পড়াশুনা চালিয়ে যেতে হবে। কারণ ক্রিকেট মেধার খেলা। এখানে টিকতে হবে মেধা দিয়ে। আর শুনতে হবে বাবা-মার কথা। এটাই সাফল্যের মূলমন্ত্র।

মঙ্গলবার চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার (সিজেকেএস) আয়োজনে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সাকিব আল হাসানকে দেখতে স্টেডিয়ামে বিকাল থেকেই ভীড় জমান ভক্ত-সমর্থকরা। তাদের মধ্যে ক্রিকেট প্রশিক্ষণের বিভিন্ন একাডেমি এবং চসিক পরিচালিত বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীদের সংখ্যাই বেশি ছিল।

বিকেল সাড়ে চারটার দিকে স্টেডিয়ামে আসেন পাঞ্জাবি পরিহিত সাকিব। ভক্তদের হুড়োহুড়ি আর ব্যান্ড-বাদ্যের তালে তালে প্রবেশ করেন মাঠে। এসময় ভক্তদের সামলাতে বেশ বেগ পেতে হয় পুলিশকে। সংবর্ধিত অতিথিকে তার সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ চট্টগ্রাম নগরীর চাবি তুলে দেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। এছাড়া ক্রেস্ট দেয়া হয় সিজেকেএস ও চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের পক্ষ থেকে।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে সাকিব বলেন, চট্টগ্রাম আমার প্রিয় শহর। আমার টেস্ট অভিষেক হয়েছিল এখানে। চট্টগ্রামবাসী আমার প্রতি যে ভালোবাসা দেখাল, তাতে আমি মুগ্ধ। আশা করছি, এ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে দেশের অন্যান্য বিভাগেও সফল খেলোয়াড়দের এরকম সম্মান দেয়া হবে।

এর আগে পাকিস্তানের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ও বর্তমানে দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও সর্বকালের সেরা ক্রীড়াবিদ মোহাম্মদ আলীকে এই সম্মান জানায় বাংলাদেশ।

সদ্য শেষ হওয়া ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে প্রত্যাশার চেয়েও ভালো খেলেছেন সাকিব আল হাসান। ব্যাটে-বলে অসাধারণ নৈপুণ্য দেখিয়েছেন বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডার।

দল হিসেবে বাংলাদেশ প্রত্যাশিত পারফরম্যান্স করতে না পারলেও ব্যক্তিগতভাবে উজ্জ্বল সাকিব। ব্যাট হাতে আট ম্যাচে ৬০৬ রান করার পাশাপাশি বল হাতে শিকার করেন ১১ উইকেট। নান্দনিক এ পারফরম্যান্সের সুবাদে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন বিরল সম্মান দেয় সাকিব আল হাসানকে।

লন্ডন থেকে টেলি-কনফারেন্সে যা বললেন প্রধানমন্ত্রী

0

আজ মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির এক বিশেষ সভায় লন্ডন থেকে টেলি-কনফারেন্সে সংযুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী। টেলি-কনফারেন্সে যোগ দিয়ে ডেঙ্গু, বন্যা, গুজব প্রতিরোধ, পাস্তুরিত দুধসহ বিভিন্ন ইস্যুতে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ডেঙ্গু মোকাবিলায় করণীয় ঠিক করতে আওয়ামী লীগ এই জরুরি সভার আয়োজন করে। সভা চলাকালে দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের মোবাইল ফোনে কল করেন প্রধানমন্ত্রী। পরে টেলি-কনফারেন্সে মাইকের সংযোগ দেওয়া হয়।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে দেশবাসীকে সক্রিয় হওয়ার আহ্বান
ডেঙ্গু প্রতিরোধে সক্রিয় হওয়ার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে দেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে সঙ্গে নিয়ে ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও নিরাময়ে কাজ করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। একইসঙ্গে জনগণকে সচেতন করতে নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ডেঙ্গু আস্তে আস্তে দেশের বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে। ঢাকা থেকে ঈদে যারা বাড়িতে যাচ্ছে তাদের মাধ্যমে এ রোগ অন্য এলাকায় আরও ছড়িয়ে পড়তে পারে। কারণ বাড়িতে যাওয়ার পর সেখানে ডেঙ্গু রোগী থেকে এডিস মশার মাধ্যমে ছড়াতে পারে। তাই সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। সবার প্রতি আবেদন, যার যার নিজের ঘরবাড়ি ও কর্মস্থল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখবেন। তাছাড়া কোথাও যেন বৃষ্টির পানি জমতে না পারে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ঘরবাড়ি, অফিস, হাসপাতাল ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোথাও যেন ফুলদানি, ফুলের টব, পরিত্যক্ত ভাঙা হাঁড়িপাতিল ও খানাখন্দে বৃষ্টির পানি জমতে না পারে সেদিকে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে। বাসাবাড়িতে জামা-কাপড়ের মধ্যেও যেন মশা দাঁড়াতে না পারে, সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। তাছাড়া ডোবা নালায় যেন এডিস মশা বিস্তার লাভ করতে না পারে, সে ব্যাপারে ঢাকার দুই সিটি মেয়রসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে করণীয় যা যা আছে, তার প্রত্যেকটি ব্যবস্থা গ্রহণ করার আহ্বান জানাচ্ছি।’ সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের সব নেতাকর্মীকেও পরিচ্ছন্নতা কাজে নামার আহ্বান জানান দলটির সভাপতি।

পাস্তুরিত দুধ বিতর্ক
বাজারে পাস্তুরিত দুধের সংকটের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমি জানি না হঠাৎ করে একজন প্রফেসর সাহেব কী পরীক্ষা চালালেন, আর এই পরীক্ষার ওপর ভিত্তি করে আদালতে রিট হলো। একে একে সব কোম্পানির দুধ উৎপাদন বন্ধ। এর ফলে দুধের ঘাটতিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ। আবার যারা খামার করছে তারাই বা কীভাবে জীবনযাপন করবে আর গরুকেই বা কী খাওয়াবে। আমদানিকৃত গুঁড়ো দুধের ব্যাপারে কোনও পরীক্ষা হয় না। তাই গুঁড়ো দুধ আমদানিকারকদের কোনও কারসাজি এখানে আছে কি-না সেটিই এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘গবাদি পশুকে রোগমুক্ত রাখতে অনেক সময় অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ানো হয়। সেক্ষেত্রে দুধে কিছুটা অ্যান্টিবায়োটিকের উপস্থিতি থাকতে পারে। তবে দুধের যে সংকট সৃষ্টি হয়েছে, তা থেকে পরিত্রাণ পেতে সরকার কাজ করছে।’

গুজবে কান দিবেন না
পদ্মা সেতুতে মানুষের মাথা লাগার গুজব ও গণপিটুনি ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশবাসীকে বলবো গুজবে কান দেবেন না। কাউকে সন্দেহ হলে পুলিশের হাতে তুলে দিন। গুজব ও গণপিটুনির নামে মানুষ হত্যা জঘন্য অপরাধ ও পাপের কাজ। মিডিয়ার যারা আছেন তাদের বলবো, অহেতুক ভুল তথ্য ছড়িয়ে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করবেন না।’

গুজব ও ভুল তথ্য প্রচারকারী এবং গণপিটুনিতে জড়িতদের হুঁশিয়ারি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গুজব ছড়িয়ে মানুষ হত্যা করে আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না। গুজব ও মিথ্যা তথ্য যারা ছড়াবে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বন্যা মোকাবিলায় কাজ করছে সরকার
দেশের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভৌগোলিক কারণে আমাদের দেশে বিভিন্ন সময় নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা যায়। বর্তমানে বেশ কয়েকটি জেলায় যে বন্যা দেখা দিয়েছে, তা মোবাবিলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়সহ সরকারের অন্যান্য দায়িত্বশীলরা কাজ করছে। তাছাড়া আওয়ামী লীগের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের বন্যাকবলিতদের সাহায্য-সহযোগিতা করতে বলা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বন্যা ও নদী ভাঙন থেকে রক্ষা পেতে ও নদীগুলোতে পানি ধরে রাখতে ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগ সরকার নদীগুলো ড্রেজিংয়ের কাজ করছে। নদীর পানি ধারণক্ষমতা বাড়াতে পারলে নদীভাঙন ও বন্যা প্রবণতা কমবে এবং শুষ্ক মৌসুমেও পানির ঘাটতি কমবে।’

আওয়ামীলীগের কর্মসূচি ঘোষণা
ডেঙ্গু মোকাবিলায় ‘পরিষ্কার রাখি চারপাশের পরিবেশ, পরিচ্ছন্ন সমাজ ডেঙ্গুমুক্ত বাংলাদেশ’ শীর্ষক সভায় ওবায়দুল কাদের ঢাকার দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশনসহ দেশের জেলা, উপজেলা, থানা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে তিন দিনের পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এরই অংশ হিসেবে বুধবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা, শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা এবং শনিবার ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত সব ওয়ার্ড পর্যায়ে পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন, ঢাকা উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবীর নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদসহ ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের উত্তর ও দক্ষিণের নেতাকর্মীরা।